ই-ক্যাব নির্বাচনের গুরুত্ব | ১০% লাজুক খ্যাকের জন্য

আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আজকে আমি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো। ই-কমার্স বিজনেস বাংলাদেশে দিন দিন প্রসারিত হচ্ছে। এই ফাকে মানুষ ধোকাও দিচ্ছে। এই সব কিছু বিবেচনা করেই ই-ক্যাব নির্বাচন হয়েছে। এই ই-ক্যাব নির্বাচনের মাধ্যমে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। যারা এগুলা সব বিচুক্ষুন ভাবে খেয়াল রাখবেন।

একটা মজার বিষয় হচ্ছে এখানে আমি গিয়েছি আমাদের উই এর প্রেসিডেন্ট নিশা আপুর টিম থেকে। গিয়ে দেখলাম বিপরীতে রয়েছে আমার কলেজের হেড স্যার। কি এক অবস্থা স্লোগান হচ্ছে রাস্তায় মানুষের ভিড়। আমি স্লোগান দিতে শুরু করলাম কিন্তু কেমন জানি লাগছিলো আমার।কারন অপর সাইডে নিজের টিচার।

আমি একটা বিষয় সেদিন লক্ষ করলাম যে আমার সত্যি মানুষ অনেক ভালোবাসে। আসলে আমার ভিতর অনেক খারাপ গুন থাকতে পারে তবে আমার বিশ্বাস প্রতিটা মানুষের ভিতর ভালো খারাপ মিলিয়ে থাকে। আমি সকালে গিয়ে একটা ছবি তুলেছি সেই ছবিটা ১৩ লক্ষ মেম্বার এর গ্রুপে কাভার করা ছিলো প্রায় অনেকটা সময়। এর পরে আমি একটা কথা বললে সবাই রাখে এটা আমার ফ্রেন্ড নটিশ করলো। ও আমায় আলাদা ভাবে ডেকে বলল স্যার এখানে ক্যান্ডিটেড তুই প্লিজ স্লোগান দিস না। আমি সত্যি একটা ঝামেলায় পরে গেলাম কি করবো। পরে আমি আর স্লোগান দিলাম না। দুপুরে সব বন্ধুদের সাথে খাবার শেষ করলাম। আমি চিন্তা করছিলাম যেই জুয়ী হোক আমি হ্যাপি। কারন দুইজন আমার প্রিয় মানুষ ছিলো। কিছু কিছু সময় থাকে যখন সত্যি ভালোবাসা চেনা যায়। আমি দুটি জায়গাকে খুব আপন করে নিয়েছিলাম কষ্টের হলেও এক জায়গায় অনেক কষ্ট পাইছি তবে আমার বিপদে এক সাইডের মানুষ সব সময় পাশেই ছিলো। আমি একটু অবাক হয়ে গেলাম আমি যখন বাবা হলাম পোস্ট দিতেই লাইক এর বন্যা এস এম এস এর বন্যা। ৩ টা পোস্ট করি আমার বাবু কে নিয়ে। একটায় লাইক হয় প্রায় ৩৮০০। একটায় ১৩০০ একটায় ১২০০। এস এম এস পাই কম হলেও প্রায় ৫০০ এর উপর তার ভিতর অনেকেই এড্রেস জোর করে নিচ্ছে বাবুর জন্য কিছু পাঠাবে তাই। সত্যি ভালোবাসা গুলা খুব অদ্ভুত হয় যা আমি বুঝেছি। তবে জীবনে যেই টুকু অন্যায় করেছি তা পিছনে ফেলে ভালোভাবে চলার চেষ্টা করে যাবো ইনশাল্লাহ।

অবশেষে নিশা আপুর জয় হয়ে গেলো। সাথে ছিলো ফুড পান্ডার আব্বারিনা আপু ও। আসলে এই নির্বাচন টা আমার কাছে খুব গুরুত্বপূর্ন এই জন্য মনে হয়েছে কারন ই-কমার্স এর নাম করে অনেকে টাকা মেরে দিয়েছে যেখানে আমার অনেক গুলা টাকা চলে গেছে সব মিলিয়ে হিসেব করলে প্রায় ১১ লাখ টাকার ভুক্তভুগি আমি। যাই হোক এখন থেকে আশা রাখি তারা এগুলা সব দেখে শুনে বিবেচনায় রাখবে। আর সাধারন মানুষের হেল্প কিছুটা হলেও হবে ইনশাল্লাহ।

ছবিটা আমি ক্যাপচার করেছি। কারন আমি দেখলাম তারা যে ছবি ক্যাপচার করছে পছন্দ হচ্ছিলো না তাই নিজে ফ্রেম থেকে সরে নিজেই একটা ছবি ক্যাপচার করে ফেলেছি। এই ছবিটাও কাভার হয়েছিলো। আসলে এখানে যারা উপরের পর্যায়ে আছে সবাই আমায় খুব আদর করে। আমি চেষ্টা করে যাবো তাদের এই ভালোবাসা আগলে রাখার জন্য। জীবনে এমনিতেই বেশি মিশতে গিয়ে অপমান হয়েছি অনেক জায়গাতে।