মা পন্যের দাম এতো কম বলে কিভাবে 🙆 | ১০% লাজুক খ্যাকের জন্য |

আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন❤️, আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি❤️। আমার বাংলা ব্লগের প্রতিটি মেম্বার এর জন্য রইল অফুরন্ত ভালোবাসা। আজ একটি নতুন পোস্ট নিয়ে চলে এলাম আশা করি আপনারা মজা পাবেন।

মা আর আমি হুট করেই চিন্তা করলাম একটু বাহিরে খাবো।মাকে হালকা করে পাম দিলাম। মা বলে চল বাহিরেই খাই তাহলে। চলে গেলাম বিরিয়ানি খেতে। খাওয়ার চ্যাপটার নিয়ে কিছু বলবো না। বিরিয়ানি খাওয়ার পরে হুট করেই বলে বাইক ঘুড়াতো। একটা ব্লাউজ কিনবো। আমি চিন্তা করলাম এই সময়ে ব্লাউজ দিয়ে কি করবো আবার। যাই হোক চলে গেলাম দোকানে।

মজার কথাটা আগে বলি 😜। আমি নিকেই ছটফট করতেছি মজার বিষয়টা বলার জন্য। ব্লাউজ কতো দাম জিজ্ঞেস করলো মা। দোকানের লোক বলল ৪০০ টাকা আপা। মা বলে কি যে বলেন এগুলার এতো দাম নাকি। ভিতরে আবার ওভারলক করা নেই। মা বলে দাম বলবো আমি? ওই লোক বলতেছে আপা দাম বেশি চাই নাই তাও বলতে পারেন। মা হুট করেই বলে উঠলো ১০০ টাকা দিবো হবে? 😬😬😬☹️☹️☹️ আমি সেই লজ্জা পেয়ে গেলাম। পারছিলাম না বাইক রেখেই একটা দৌড় দেই হাহহহ। ওই লোক বলল আপা কি বললেন এটা হাহহাহা। আমি চিন্তায় পরে গেলাম মা কি আসলে নিবে তাই দাম বলল নাকি না নেয়ার জন্য এই দাম বলল। কারন একটা ব্লাউজ সেলাই করতেই তো অনেক টাকা লাগে। মা বলে দিবেন না তাহলে চলে গেলাম হাহহহা ফাপর টাই কি নিতাছে। লোকটা বলল আপা এই দামে হবে না। পরে আমি বললাম ভাইয়া লাস্ট কতো হলে দিবেন আপনি? উনি বলল ১৫০ হলে নিতে পারবেন 🙆🙆🙆🙆। আমি আরো অবাক হয়ে গেলাম উনি যখন ১৫০ টাকা বলল। চিন্তা করলাম মা তাহলে ঠিক আছে হহাহ। আমি হলে তো অন্তত ৩০০ বলেই ফেলতাম। যাই হোক মা এবার বলল ১২০ দিবেন। ওই লোক বলে না আপা পারবো না। আমি বললাম ভাই দিয়ে দিন হাহহা। এবার চিন্তা করুন কি কাহিনি হয়ে গেলো।

এটা মূলত বিহারী ক্যাম্প। এখানে সব বিহারীরাই থাকে। তবে বিহারীদের একটা বিষয় হচ্ছে তারা প্রচুর খেতে পছন্দ করেন। আর তাদের খাবার গুলো অনেক মজার হয়।বিশেষ করে তাদের বিরিয়ানি খুব নামকরা। আমরা প্রাই যাই বিরিয়ানি খেতে।

জায়গাটা পাকিস্তান এর মতই। হিবিজিবি জায়গায় অনেক দোকান। তবে এখানে কম দামে জিনস পাওয়া যায়। সেই ছোট যখন ছিলাম শপিং করতে আসতাম। যখন ছোট ছিলাম একটা ব্লেজার পরার খুব ইচ্ছে ছিলো। বাবাকে বলেছিলাম বাবা আমি কোট পরবো। বাবা অনেক শখ করে একটা ব্লেজার এর সেট কিনে দিয়েছিলো। এখন যাবত মনে আছে বেগুনী কালার ছিলো। আমি ছোট থেকে ফরমাল লুক নিতে খুব পছন্দ করতাম। যাই হোক এইখানে ছোট বেলার অনেক কাহিনি লুকিয়ে আছে।