হয়তোবা আজ আত্নহত্যা করে ফেলতাম | ১০ % লাজুক খ্যাকের জন্য ভালোবাসা |

আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আজ কিছু কষ্টের কথা শেয়ার করবো। আমি মনে করি আপনারা পরিবার তাই আপনাদের সাথে শেয়ার করা উচিত।

কষ্টের বিষয় মানুষ আত্নহত্যা করলে সবাই সবাই বলে কেনো আত্নহত্যা করলো। কিন্তু হাজার মানুষ বেঁচে আছে অনেক কষ্ট নিয়ে। আজ হয়তোবা আমি আত্নহত্যা করলে অনেকেই কষ্ট পাবে। আমার ফ্যামিলি বাবা মা সবাই বলবে রাজু অনেক ভালো ছিলো, নিজের ফ্যামিলির জন্য অনেক করেছে। এই টুকুতেই শেষ। কিন্তু কেনো আত্নহত্যা করে ফেলে একজন মানুষ🥺🥺। অনেক কষ্টের থেকে কথা গুলো আজ আমি লিখতেছি। চোখে পানি টলটল করতেছে। আমিও তো একজন মানুষ দিন শেষে এতো জুলুম কেনো হচ্ছে আমার সাথে।

শশুড়ের অফিসে টাকা গেলো আমার। শশুড় রিস্ক নিলো সেই টাকা দেয়ার জন্য প্রেশার আসলো আমার উপর। যারা টাকা দিলো তারা বলল তুই টাকা দিতে হবে না তোর শশুড় কে আটকাইয়া দে। আমি একজন মানুষ বলে এই কাজ টা করলাম না। টাকা শশুড় এর দেয়া কথা ছিলো ৩ মাস এর ভিতর দিলো না। নিজের বাইক ক্যামেরা সব বিক্রি করেই দিলাম। কিন্তু একটা সময় শুনলাম শশুড় তার ভাই এর মেয়ের ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা দিয়ে দিলো নিজে বাড়ি কমপ্লিট করলো। ছেলেকে দোকান নিয়ে দিলো তার নিজের বোনের টাকা দিলো। কিন্তু আমি যে তাকে আটকিয়ে না দিয়ে সব বিক্রি করে টাকা দিলাম আমি কেনো কিছুই পেলাম না। কিছুই বললাম না সহ্য করে গেলাম। শুধু আল্লাহকে বলেছি ধৈর্য দিন আমায়। কিন্তু আমিও তো মানুষ।

একজন খারাপ সময়ে এসে বলল তোমার মায়ের এমন ক্যান্সার টাকা লোন করলা তুমি আমায় ৫০ হাজার টাকা দাও আমি কিছু মাল দিচ্ছি সেল করে ভালো টাকা হবে। বোন হিসেবে এই টুকু হেল্প না হয় করি। টাকা দিলাম বিশ্বাস করে কিন্তু তার পর থেলেই সে নেই আর🥺। আমার এতো পরিশ্রম এর টাকা গুলো কিভাবে মানুষ এই ভাবে খেয়ে দেয় 🥺। বৃষ্টিতে সেদিন ও দুই বার ভিজলাম বাইক চালাইয়া বাতাসে শুকাইলাম এই টাকা গুলো এই ভাবে শেষ কেন হয়।৫০ হাজার টাকা সুদের উপর নিলাম বাসায় বুঝতে দিলাম না কারন তারা চিন্তা করবে।

বিশ্বাস করেন নিজের ফ্যামিলির জন্য জীবন টাও দিয়ে দেয়ার চেষ্টা করি। নিজের কষ্ট কোথাও গেলে বুঝতে দিতে চাই না। কিন্তু সবাই এতো কষ্ট দিতাছে জানি না নিজেও কি করবো আমি। মাকে হসপিটাল নিয়ে এতো দৌড়াইলাম। ডাক্টার যেখানে আশা ছেড়ে দিতে বলল সেখানে ব্যাংক লোন করলাম মানুষ এর কাছে হাত ফেতেও চিকিৎসা চালিয়ে গেলাম সেখানে দিন শেষে কি পাচ্ছি নিজেও জানি না। বাসা ভাড়া দিতে হয় কিস্তি এদিক সেদিক খরচ। কতো আর ইনকাম হয় আমার। অন লাইনের বিজনেস টাও খারাপ যাচ্ছে। টাকা ম্যানেজ না হলে বাইক নিয়ে চলে যাই পাঠাও মারতে। তার পরেও যখন নিজের ফ্যামিলি থেকে বলে বসে কি করিস তুই তখন কষ্ট টা যে কোথায় লাগে তা বুঝানোর মতন না।

মানুষ এর জন্য বেশি করে ফেলা হয় তখন আসলেই তার মূল্যায়ন টা থাকে না এটাই বাস্তব। আজ হয়তোবা আমি আত্নহত্যা করে ফেলতাম কিন্তু দুটি কারনে করলাম না। তারা আমায় যাই বলুক আমি জানি আমি না থাকলে তাদের কষ্ট হবে। দুই আত্নহত্যা মহা পাপ। জানি না আমার ভিতরে এই দুই টা বুঝ আর কতোদিন থাকবে। যদি কোন দিন এই দুটি জ্ঞান আমার ভিতর থেকে সরে যাবেন সেদিন হয়তোবা সবাই খোজ পাবে রাজু নেই।