বিয়ের কনে এবং বড় এর কিছু ফটোগ্রাফি এবং স্মৃতি | ১০ % লাজুক খ্যাকের জন্য ভালোবাসা |

ছোট ভাইয়ের বিয়ে বলে কথা অনেক দায়িত্ব ঘাড়ের উপর চলে এসেছিল যার জন্য আমি খুব বেশি একটা সময় দিতে পারেনি এই গত কয়েকদিন। গত দুইদিন পোস্ট পর্যন্ত করতে পারি নাই। যাই হোক আমি গ্রামে গেলাম গায়ে হলুদের দিন ।গিয়ে দেখলাম আমার ছোট ভাই ক্যামেরাম্যান ভাড়া করেছে 6000 টাকা দিয়ে। আমি রীতিমত একটু অবাক হয়ে গেলাম কারন আমি অন্য মানুষের বিয়ের প্রোগ্রাম করে দেই আর আমার নিজের খুব আদরের ছোট ভাই সে কিনা অন্য কাউকে টাকা দিবে সত্যি এটা আমি মানতে পারছিলাম না। যাইহোক ক্যামেরাম্যান যখন আসলো দেখলাম সে ডি এস এল আর নিয়ে আসেনি। মেজাজটা আমার সত্যি তখন অনেক খারাপ হয়ে গিয়েছিল।যদিও এটি ঘরোয়াভাবে একটি অনুষ্ঠান হয়েছিল।

ছোট ভাই দীর্ঘ নয় বছর যাবত প্রেম করেছিল এই মেয়ের সাথে। অনেক কষ্টে আমার চাচিকে রাজি করানো হয়েছে। কারণ চাচি এত দূরে বিয়ে করানোর জন্য মোটেও রাজি ছিল না। অনেক কষ্ট বোনরা মিলে রাজি করালো। অনেক দূরে আসলেই। সেই চট্টগ্রাম জায়গার নাম যদি আমি এখন ভুলে গিয়েছি হাহাহা। যেদিন আমরা চট্টগ্রাম যাই সেদিন অনেক অনেক জ্যাম ছিল রাস্তায় কারণ তিনদিনের টানা ছুটির জন্য মানুষ সবাই নিজের বাড়িতে পাড়ি জমাতে চেয়েছিল। আমরা সকাল দশটার সময় রওনা দেই কিন্তু সেখানে গিয়ে পৌছালাম রাতের প্রায় ৮ টার সময়। তবে যাওয়ার এক ঘন্টা আগে রাস্তায় খুব সুন্দর সুন্দর দৃশ্য দেখে আমাদের মন কেড়ে নিয়েছিল। ও হ্যাঁ মনে পড়েছে জায়গাটির নাম ছিল চট্টগ্রাম হাটহাজারী।

আমরা যত যাচ্ছিলাম ততোই পাহাড়ের দিকে উপরে উঠছিলাম। আমি অনেকটা জায়গা ভিডিও করে নিয়ে এসেছি কোন একদিন হয়তো বা সেটি ভিডিও আকারে পোস্ট করব ইনশাল্লাহ। আমি আমার ভাইকে রেস্পেক্ট করেছি একটি বিষয় কারণ দীর্ঘ নয় বছর যাবত রিলেশন কন্টিনিউ করা মুখের কথা নয়। ও রিলেশন পড়েছিল কি একটা গ্রুপ এর মাধ্যমে যার ফেসবুক বা হোয়াটসঅ্যাপ এর মাধ্যমে নয়। মেয়েটি দেখতে তেমন একটা সুন্দর না কেউ তেমন ভাবে পছন্দ করেনি।কিন্তু ও মেয়েটাকে অনেক ভালোবেসে ফেলার পড়ে ছবি দেখে ছিল।কিন্তু সে মেয়েটিকে কখনোই ছাড়েনি কারণ সে তখন মেয়েটিকে সত্যি ভালোবেসে ফেলেছিল। আসলে সত্যি ভালোবাসা যে চেহারা দেখে হয় না তা আরেকবার প্রমান হয়েছে আমার ভাই কে দেখে।

আমরা মাত্র 13 জন গিয়েছিলাম সেখানে। যাওয়ার পথে এই সুন্দর দৃশ্য দেখে আমি মনে মনে ভেবে নিয়েছিলাম আসার সময় ভাই এবং ভাইয়ের বউ এর কিছু ছবি ক্যাপচার করবো এখানে। ঠিক তাই করলাম। আমরা গিয়েছিলাম বৃহস্পতিবার কিন্তু এসেছি শুক্রবার সকালে রওনা দিয়ে। সত্যি বলতে চট্টগ্রামের মানুষগুলো অনেক মিশুক টাইপের হয়ে থাকে। আমি মন থেকেই তাদের খুব পছন্দ করেছি তাদের ব্যবহার অনেক সুন্দর ছিল। আর আপ্যায়নের দিক থেকে অসাধারণ ছিল।

তবে দুঃখের বিষয় আমার চাচা অনেক আগেই মারা গিয়েছেন। ছোট ভাই যখন বিয়ে করতে যাচ্ছিল প্রচুর কান্না করেছে ও ওর বাবার জন্য। আসলে ও বিদেশ চলে যাবে।যাওয়ার আগেই বিয়েটা করে নিয়েছে কারণ ওর মনে সন্দেহ ছিল বিদেশ চলে গেলে হয়তো বা আসার পর ওর ভালবাসার মানুষ ও নাও হতে পারতো। তবে আমি সত্যি ওকে অনেক সাপোর্ট করি এই বিষয়ে। কারণ নিজের ভালবাসার মানুষকে আগলে রাখার বা একজন ভালো মানুষের দায়িত্ব। সব শেষে এই টুকুই বলবো আসলে পর পর দুটি বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য আমি অনেকটা পিছিয়ে গিয়েছি। ইনশাল্লাহ চেষ্টা করব আগের মত করে আবার নিজের কাজগুলো গুছিয়ে নেয়ার জন্য।