যত্নে থাকা খাঁচায় বন্ধী পাখি কি সুখী?|| 10% Beneficiaries @shy-fox ||


প্রথমেই সবাইকে জানাই সালাম,আদাব। সৃষ্টিকর্তার রহমতে আশা করছি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সকলেই ভালো এবং সুস্থ আছি।


❤️ সবার জন্য অবিরাম ভালোবাসা ❤️


IMG_20220106_222645.jpg


আজকে আমি হাজির হয়েছি একটি লিখা নিয়ে। লিখতে ভালা লাগোটা আমার বহুদিন এর। কেও যদি জিজ্ঞেস করে তোমার লিখার কারণ কি? তাহলে আমার একটাই উত্তর আসবে তা হলো জানিনা।
তাহলে আজকের লিখাটা শুরু করি। আজকের লিখার বিষয় হলো " যত্নে থাকা খাঁচায় বন্ধী পাখি কি সুখী? "।

যত্নে থাকা খাঁচায় বন্ধী পাখি কি সুখী?

মাঝেমধ্যে চিন্তায় বসি।চিন্তায় বসার জন্য কোনো আয়োজন করা লাগেনা।বাসের সিটে বসে গন্তব্যে যেতে যেতে আলাদা একটা জগৎ এ যাওয়া যায়।
ওই জগৎ এ যেতে কারো কোনো দরকার লাগেনা, কাওকে প্রয়োজন হয়না,কারো পারমিশন লাগেনা।
শুধু যেটা লাগে সেটা হলো নিজ।নিজ মানে নিজেকে দরকার হয়।

এই চিন্তাটা মাথায় আসার একটা কারণ আছে।আগে আমি কারণটা বলি।

কয়েকদিন আগে এক বন্ধুর বাসায় গেলাম।একটা ভার্সিটির এক্সামের কারণেই যাওয়া হয়েছিলো।আমরা প্রায় দশজনের মতো গেলাম।গিয়ে পড়াশোনা,আড্ডা,গল্প,খাওয়া-দাওয়া সব হয়েছে।এরপর আমরা সাধারণ কথা বলতে বলতেই চলে গেলাম পাশের বড় বারান্দাটাতে।
সেখানে গিয়ে দেখলাম অনেকগুলা পাখি খাঁচায় আছে।
অনেক সুন্দর সুন্দর সব পাখি,বিভিন্ন রঙ এর বিভিন্ন রকমের,বিভিন্ন ধরণের।
অনেক পাখি যে এতোগুলার নাম ও মনে নাই।
যখন দেখেছিলাম তখন জিজ্ঞেস করে জেনে নিয়েছিলাম নাম গুলা কিন্তু এখন আর মনে নাই।
সেই পাখিগুলার যত্নের জন্য আলাদা একটা লোক সেই।সেই লোক খাওয়া দেওয়া,গোসল করানো,ঔষধ খাওয়ানো, পরিষ্কার করা সব কিছুই করতেছে।

সেই খান থেকেই আমার চিন্তার উৎপত্তি।
আমি আগেই বলেছিলাম আমার ভাবতে ভালো লাগে
এবং
ভাবতে ভাবতে সেসব বিষয় আপনাদের সামনে তুলে ধরতেও খুব ভালো লাগে।

সেই চিন্তা থেকেই আমার মাথায় একটা ভাবনা আসল।সেইটা হচ্ছে আমাদের যদি এইভাবে কেও খাঁচায় বন্দি করে রাখতো তাইলে আমাদের কেমন লাগত?

খাঁচায় বন্দি মানুষ!!

এই পাখিগুলাকে যে খাঁচায় বন্দি করে রাখে তারা চাইলেও পারে না কোথাও উড়ে যেতে।
তাদের যেই উড়ার জন্য পাখা আছে সেগুলো তারা চাইলেও ব্যবহার করতে পারেনা।তারা স্বাধীন হতে পারেনা কোনোদিন ও, তাদের যদি কোনোদিন খাওয়া দেওয়া না হয় তাইলে তারা কোনোদিন ও খেতে পারবেনা।তাদের যদি কোনোদিন কিছু দেওয়া না হয় তাইলে সেভাবেই থাকতে হবে তাদেরকে।এটাই তাদের জীবন।

বন্দিঘর এর বন্দিজীবন।

এই পাখিগুলাকে আমি দেখে যা বুঝলাম সেটা হচ্ছে তাদের যত্নের কোনো অভাব হয়না।
কিন্তু
স্বাধীনতা ছাড়া যত্নের কোনো স্বাদ কি আছে?

মানুষকে যদি এভাবে খাঁচায় বন্দি করে রাখা হয় তাহলে আমাদের কেমন লাগবে।আমরা স্বাধীন ভাবে কোথাও যেতে পারবোনা,আমাদের মত প্রকাশের কোনো স্বাধীনতা থাকবেনা।আমাদের যা খুশি তা আমরা চাইলেও করতে পারবোনা।আমাদের যেভাবেই রাখবে সেভাবেই আমাদের থাকতে হবে।আমরা মানুষ,আমাদের মন আছে।আমাদের কখনো না কখনো কিছু একটা চাওয়ার থাকবে,ইচ্ছা থাকবে কিন্তু আমাদেরকে যদি বন্দি করে রাখা হয় তাহলে আমরা এসব সব কিছু থেকেই বঞ্চিত থাকব। আমরা এই বন্দি না থাকার কারণেই যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করছি

আর সেই স্বাধীন আমরাও অন্য এক প্রাণীকে বন্দি করে রাখি!!

ঠিক সেইভাবেই খাঁচায় বন্দি রাখা মানুষ যেমন কোনোদিন ও সুখী হতে পারবেনা।
সেই ভাবেই পাখিরাও পারবেনা।

আমার এই পোস্টটি পড়ে একজনের ও যদি বিবেক জাগ্রত হয়। তাহলে আমি মনে করব আমার আজকের লেখাটা সার্থক।

সকলকে জানাই আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ।
নিজেদের মূল্যবান কমেন্টের মাধ্যমে আমার পাশে থাকবেন।

Coin Marketplace

STEEM 0.16
TRX 0.16
JST 0.030
BTC 58180.92
ETH 2477.99
USDT 1.00
SBD 2.42