কটু কথা বলার আগে কত সময় ভাবি?🗣️🗣️|| 10% Beneficiaries @shy-fox ||
প্রথমেই সবাইকে জানাই সালাম,আদাব। সৃষ্টিকর্তার রহমতে আশা করছি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সকলেই ভালো এবং সুস্থ আছি।
আজকে আমি হাজির হয়েছি একটি লিখা নিয়ে।
লিখতে ভালা লাগোটা আমার বহুদিন এর। কেও যদি জিজ্ঞেস করে তোমার লিখার কারণ কি?
তাহলে আমার একটাই উত্তর আসবে তা হলো জানিনা।
তাহলে আজকের লিখাটা শুরু করি।
আজকের লিখার বিষয় হলো " কটু কথা বলার আগে কত সময় ভাবি?"
আমরা যারা নিজেদের মাথা গরম কিংবা বদমেজাজি হিসেবে অন্যদের সামনে উপস্থাপন করি।সেই আমরা কতক্ষণ ভাবি অন্যকে একটা কথা শুনিয়ে দেওয়ার আগে।
- আমার ধারণা:-
আমার মনে মাথা গরম মানেই কটু কথার অধিকারি না।
আমি আমার জীবনে অনেক মাথা গরম মানুষ দেখেছি।
আমি সেই প্রসঙ্গে আমার বাবার কথা তুলতে পারি।
আমার এই জীবনে আমার দেখা সবচেয়ে মাথা গরম মানুষ গুলোর মাঝে একজন আমার বাবা।
এখন বয়স হয়ে যাওয়াতে খুব একটা মাথা গরম নেই। কিন্তু এখন একেবারে শরীর স্বাস্থ্য নরম হয়ে যাওয়ার পরেও একেবারেই যে আমার বাবা নরম হয়ে গেছে তা না।কিন্তু এই মানুষটার মুখে বাজে শব্দ আমি খুব কম ই শুনলাম।মাথা গরম মানেই যে কটু কথা শুনানো নয় তা ই এর প্রমাণ।
- বদমেজাজী মানুষ:-
আমিও নিজেও স্বীকার করি আমি কিছুটা বদমেজাজী। কিন্তু আমি আমার জায়গা থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করি নিজের রাগ কে নিয়ন্ত্রণ করতে।
আমি আমার চারপাশ থেকে একটা জিনিষ ই উপলব্ধি করতে পেরেছে যে বদমেজাজী মানুষ কোনোদিন ও সুখী জীবন যাপন করতে পারেনা।তারা সবসময় একপ্রকার অস্থিরতার মধ্যে থাকে।কোনো বিষয়কে সহজ ভাবে নিতে পারেনা।
নিজে কাছে যেইটা সঠিক মনে হয় সেই কাজটা ভুল হলেও তা কোনোরকমে বুঝতে চেষ্টা করেনা।
অনেক প্রতিবেদন এ পড়েছি বদমেজাজ সমস্যাটা একটা রোগ যেইটা আমরা সবসময় পাশ কাটিয়ে যাই।কিংবা যেই মানুষটা বদমেজাজী তাদের আমাদের বলার ও সাধ্য নেই যে এই সমস্যা জন্য কোনো বিশেষজ্ঞ এর সাথে আলাপ করতে।
বদমেজাজী মানুষ গুলোর সাথে কথা বলতেও অনেক সময় বিরক্ত লাগে।ওই মানুষ যতই আমাদের ভালোবাসার বা আপন মানুষ হোক না কেনো।আমরা সবসময় চাই তাদের কাছ থেকে একটা দূরত্ব বজায় রাখতে।কারণ তাদের ভাষা গুলা হয় তিক্ততায় ভরা।যেই কথা গুলা শুনলে মন খারাপ হয়ে যায়।
এই বদমেজাজী মানুষ গুলা জীবনের একটা পর্যায়ে গিয়ে একদম একা হয়ে যায়।কারণ তার অনেক ভালোবাসার মানুষ থাকলেও তারা সবাই তাকে ভয় পায়।সেই ভয় থেকেও তারা সেই মানুষকে দূর থেকেই ভালোবাসে, কাছে যেতে চায়না।দিনশেষে হয়ে যায় তারা একদম নিঃস্বঙ্গ।
- কটু কথা:-
বদরাগী মানুষগুলার সবচেয়ে বড় সমস্যা এই কটু কথা।কটু কথা বলতে সাধারণ ভাবে আমরা বুঝি যেই কথা গুলা আমরা মানুষকে বললে মানুষ কষ্ট পাবে বা মানুষের খারাপ লাগতে পারে।
বদমেজাজী মানুষের যখন মাথা গরম হয় তখন তাদের মুখের ভাষা হয়ে যায় খুব খারাপ।তারা তখন কাকে কি বলবে সেইটা কোনোদিন ও ভেবে চিনতে বলে না বা ভেবে চিনতে বলার কথাটা ভাবে বলেও মনে হয়না।
- কটু কথা বলার আগে ভাবিনা:-
আমাদের মধ্যে আমরা বেশিরভাগ মানুষ ই খারাপ একটা কথা অন্য মানুষকে বলার আগে দুই মিনিট ও ভাবিনা।যখন যা মুখে আসে বেশিরভাগ সময় ই আমরা তা বলে ফেলি।
আমরা যখন মানুষকে একটা কথা শুনিয়ে দি। তখন যেই মানুষটাকে আমরা কথা গুলা বলি তাদের কতটা খারাপ লাগলো সেইটা আমরা কোনোদিন ও আগে ভাবিনা।কটু কথা মানুষের মনে কাঁটার মতো বিঁধে।অর্থাৎ আমরা আমাদের মুখের মাধ্যমে মানুষের মনের কাঁটা বিঁধার মতো করে কষ্ট দি। যেইটা একজন মানুষ হিসেবে করা উচিত না।
আমরা মানুষ, আমাদের উচিত অন্য কেও কোনো ভুল করলেও তাকে সুন্দর ভাবে বুঝিয়ে দেওয়া।কিন্তু কাওকে খারাপ কথা বলা অত্যন্ত খারাপ একটা অভ্যাস।প্রতিটা ধর্মেও উল্লেখ্য আছে মানুষকে অসম্মান না করার কথা।আমাদের উচিত আমাদের রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে শিখা।
মানুষকে খারাপ কথা বলা খুব খারাপ অভ্যাস।
আমি মনে করি কারো মনে কষ্ট দিয়ে কেও কোনোদিন সুখী হতে পারেনা।
অন্যকে কষ্ট দিয়ে,
খারাপ কথা বলে,
নিচু দেখিয়ে ভালো থাকা যায়ও না।
সকলকে জানাই আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ।
নিজেদের মূল্যবান কমেন্টের মাধ্যমে আমার পাশে থাকবেন।
প্রথমেই ধন্যবাদ জানাই খুব চমৎকার একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করার জন্য 🥀
আসলে আমারও অনেক রাগ বেশি। কিন্তু আমার ক্ষেত্রে যা ঘটে তা হলো আমি কারো উপর রাগ করার আগে দশবার চিন্তা করি কারন একটা ভুল পদক্ষেপ জীবনে বড় বিপদ নিয়ে আসতে পারে। ভাই দারুন লিখেছেন 👌
আংকেলের অনেক রাগ জানতে পারলাম যাক সাবধানে থাকুন ☺️ আংকেলের শরীর এখন কেমন আছে?
এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।