দাদাকে নিয়ে একটু ঘুরাঘুরি ||
২৬-০১-২০২৩
বৃহস্পতিবার
আসসালামু আলাইকুম
হেলো বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন? আশাকরি সবাই ভালো আছেন আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আমি বাংলাদেশ থেকে @sagor444 আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো ঘুরাঘুরি কিছু মুহূর্ত। আশাকরি আপনাদের ভালো লাগবে ভুল ত্রুটি সবাই ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন।
চলুন দেরি না করে শুরু করা যাক
ঘুরাঘুরি করতে তো কম বেশি সবারই পছন্দ আসলে কাজ কর্মের ব্যাস্ত থাকার কারণে বেড়ানোর সময় হয়ে ওঠে না। আমার দাদা অসুস্থ থাকার কারণে আমার ফোপাতো বোন আর বোনের জামাই আমাদের বাড়িতে বেড়াতে আসছে দাদার দেখার জন্য । এক মাস আগে আমার দাদার একটা অপারেশন করা হয়েছে এই অপারেশন করার পর আর একটা মারাত্মক রোগ ধরা পরছে ক্যান্সার। বাংলাদেশে আর চিকিৎসা দেবো না ইন্ডিয়াতে নিয়ে যাবো চিকিৎসার জন্য। তাই ভাবছি ইন্ডিয়া নিয়ে যাওয়ার আগে দাদাকে নিয়ে একটু ঘুরাঘুরি করে আসি। আজকে যেহেতু দুলাভাই আর খালাতো ভাই আসছে সবাই এক সাথে সবাই ঘুরতে যাবো। আমরা দাদার কাছে বললাম আগে তোমরা যেখানে বসবাস করতে ওই দিকে বেড়াতে যাবো দাদাও যাওয়ার জন্য রাজি হয়ে গেলো। আসলে আমার দাদারা আগে যেখানে বসবাস করত সেই জায়গার সব জমি জায়গা নদীর মাঝখানে চলে গেছে নদীর ভাঙনে। ওই গ্রামের নাম এনায়েতপুর মোটামুটি আমরা বেলা ১১ টার দিকে বেড়িয়ে পরলাম ৫ জনে দুইটা গাড়ি নিয়ে।
আমরা এনায়েতপুর গ্রাম দেখার পর এই গ্রামের পাশে আর একটা গ্রাম আছে ওই গ্রামের নাম হিজলাবট গ্রাম। এই গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে গড়াই নদী এই গ্রামে একটা অনেক পুরাতন বিল্ডিং আছে দাদার কাছে জানতে পারি এই বিল্ডিং এর নাম নীলকুঠির। এই বিল্ডিং ২ তালা এর আশেপাশে অনেক জঙ্গল এর কাছে কেও যায় না। এই বিল্ডিংয়ের ভিতরে অনেক চামবাদুরের কিচিরমিচির। আমরা এই বিল্ডিংয়ের ভিতরে না ঢুকে বাহির থেকে সবাই ছবি উঠলাম। এই বিল্ডিংটা দেখার পর আমরা বাড়ির উদ্দেশ্য রওনা দিলাম। তো বন্ধুরা আজকের পোস্ট এখানেই শেষ করছি আবার আপনাদের মাঝে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে হাজির হবো। একটু সময় আমার পোস্ট পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
সমস্ত ছবির | তথ্য |
---|---|
লোকেশন | বাংলাদেশ |
ক্যামেরা | স্যামস্যাং এ ১৩ |
ক্যামেরাম্যান | @sagor444 |
w3words | https://w3w.co/minstrel.enforcing.cuckoo |
আপনার দাদার ক্যান্সার ধরা পড়েছে জেনে সত্যি অনেক খারাপ লাগলো। উনার চিকিৎসার জন্য যেহেতু বাইরে নিয়ে যাবেন তাই একটু ঘুরাঘুরি করেছেন দেখে ভালো লাগলো। আসলে এই সময় মন ভালো রাখা খুবই জরুরী। হয়তো এভাবে সবার সাথে ঘুরাঘুরি করলে মন ভালো থাকবে। আর মানসিকভাবেও শান্তিতে থাকবে।
সত্যি আপু দাদা কে বাইরে নিয়ে যেওয়ার পর অনেকটা হাসি খুশি ছিলো। আমার দাদার জন্য একটু দোয়া করবেন আপু। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
আপনারা দাদার জন্য অনেক অনেক দোয়া করি, যেন তিনি খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে আমাদের মাঝে ফিরে আসেন।
জি ভাইয়া আমারা দাদার জন্য দোয়া করবেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনার দাদা অসুস্থ তার জন্য দোয়া রইল।আপনার দাদা অসুস্থ্য থাকার কারণে তাকে নিয়ে ঘুরতে বেরিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো।অসুস্থ থাকা মানুষ সবসময় বোরিং ফিল করে তাকে যদি কেউ সময় দেয় বা কোথাও ঘুরতে নিয়ে যায় তাহলে কিছুটা সুস্থতা অনুভব করতে পারে।বোঝা যাচ্ছে আপনারা সবাই মিলে তাকে হাসিখুশি রাখার চেষ্টা করছেন। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।সুন্দর কিছু মুহূর্তে আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য।
জি ভাই আমার দাদার জন্য দোয়া করবেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।