রিভিউঃ রোলেক্স বিরিয়ানী হাউস রিভিউ || আমার বাংলা ব্লগ || 10% to @shy-fox || 14-10-2021
২৯শে আশ্বিন, ১৪২৮ বঙ্গাব্দ
রিভিউঃ রোলেক্স বিরিয়ানী হাউস রিভিউ
আসসালামুআলাইকুম বন্ধুরা। আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন। আপনাদের দোয়ায় আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। দিন যত যাচ্ছে ফুড রিভিউ বা রেস্টুরেন্ট রিভিউ আমার এক ধরনের প্যাশনের মতো হয়ে যাচ্ছে। রেস্টুরেন্ট বা ফুডকে নিয়ে যত রিভিউ দিতে পারি মনের মধ্যে আমার ততই আনন্দ ও অনুভূতি কাজ করে। দিন যত যাচ্ছে আমি নিজেকে ফুড ব্লগার হিসেবে আবিষ্কার করতেছি। খাবার খেয়ে সেটির রিভিউ দিতে বর্তমানে খুবই ভালো লাগে। বর্তমানে ফুড ব্লগিং এক অন্যতম পেশা হয়ে উঠেছে। খাবার রশিক যে কেউই ফুড ব্লগার হতে পারবে। ফুড ব্লগার হতে গেলে জানতে হবে খাবারের মান সম্পর্কে, জানতে হবে রন্ধন কৌশল সম্পর্কে। আর সব থেকে বড় যে বিষয়টি হচ্ছে পকেট ভর্তি টাকা থাকতে হবে তাহলেই আপনি ব্লগিং করতে পারবেন। আর যে জিনিসটি থাকতে হবে সেটি হচ্ছে ভালো মানের একটি ক্যামেরা। তো চলুন শুরু করা যাক আজকের এই রিভিউ টি।
গতকালকে থেকেই আমিও আমার রুমমেট @ebrahim2021 ও @munna101 মিলে প্ল্যান করে রেখেছিলাম আজকে সন্ধ্যার পর কোন একটি রেস্টুরেন্টে খেতে যাব। তো যেই কথা সেই কাজ আমরা তিনজনে মিলে খেতে বের হই। আজকের সন্ধ্যার আবহাওয়া টা ছিল অনেক সুন্দর। পশ্চিম আকাশে লাল আবছে আলো। সেইসাথে ছোট ছোট মেঘের ছানাগুলো উড়ে উড়ে বেড়াচ্ছিল। সেগুলো দেখতে দেখতে আমরা তিনজন রেস্টুরেন্টে পৌঁছে যাই।
আজ আমি আপনাদেরকে একটি রেষ্টুরেন্টের সাথে পরিচয় করিয়ে দেব। রেষ্টুরেন্টের নাম হচ্ছে রোলেক্স বিরিয়ানী হাউস। এটি বাংলাদেশের দিনাজপুর সদর উপজেলায় অবস্থিত। এটি দিনাজপুর রেলওয়ে স্টেশন হতে ৫ মিনিটি এর দূরত্বে উত্তরে অবস্থিত। এখানে অনেক ধরনের খাবার পাওয়া যায়। তার মধ্যে আমরা কাচ্চি অডার করেছিলাম। রেষ্টুরেন্টটির ইন্টোরিয়র ডিজাইন ছিলো চোখ ধাধানো। রেষ্টুরেন্টটি দু'টি ইউনিটে বিভক্ত। একটি নিচ তলায় আরেকটি ২য় তলায়। ১ম তলার ইউনিটটি অন্য সকল রেষ্টুরেন্টের মতো ছিলো এবং ২য় তলায় সকল সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ করা হয়েছে। তাই আমরা সেখানেই যাই।
প্রথমত আমি আপনাদের এর লোকেশন ও ডিটেইলস সম্পর্কে জানাবোঃ-
- নামঃ রোলেএক্স বিরিয়ানী হাউস
- মোবাইল নংঃ- +৮৮০১৭১৬২১১২১২
- Google Maps: https://goo.gl/maps/yZMpTcEiTBUFP94t5
রেষ্টুরেন্টটি দিনাজপুর রেলওয়ে স্টেশনের পাশে বিধায় খুব সহজেই দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে মানুষ এখানে এসে খাবার খেয়ে যেতে পারে। ট্রেন থেকে নেমে মাত্র 5 মিনিট উত্তরের দিকে হাঁটলেই রেস্টুরেন্টটি দেখতে পাওয়া যায়। রেস্টুরেন্টের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে রেস্টুরেন্টে বেশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন এবং এখানকার ফ্রেন্ডলি ও আন্তরিকতা সম্পন্ন। আমার সবথেকে ভালো লেগেছে এখানকার বড়ই ও তেতুলের আচার।
এখন আমি আপনার এর ইন্টিরিয়র ডিজাইন দেখাবোঃ-
এর ইন্টিরিয়র ডিজাইন আসলেই অনেক মনোমুগ্ধকর। এটি প্রকৃতিকে কেন্দ্র করে এর ডিজাইন টা করা হয়েছে। ২য় তলায় ট্যারেস এ টবে করে কিছু কিছু গাছ ও লাগানো আছে। আবার ২য় তলায় একটি স্পেশাল রুম রয়েছে যেটা সত্যিই অসাধারণ। এসি দিয়ে রুমটাকে সজ্জিত করেছে। যেটা আমার অনেক ভালো লেগেছে। আমরা প্রথম কিছুটা সময় সেখানে কাটিয়ে পড়ে সন্ধ্যার আকাশটাকে উপভোগ করার জন্যে আমরা বাহিরে চলে আসি।
এখন আমরা এই রেষ্টুরেন্টের ম্যানু লিষ্ট দেখবোঃ-
- এখান থেকে আমরা দেখতে পাই, এখানে কি কি ধরনের খাবার পাওয়া যায়।
এখন আমি আপনাদের দেখাবো, এখানকার স্পেশাল কাচ্চিঃ-
এখন পেমেন্ট করার সময়ঃ-
১। 1/2 কাচ্চি বিরিয়ানী ( বাসমতী চাল ) = ১৯০ টাকা - ২,২২ USD
২। আচার = ১ প্লেট ৫০ টাকা - ০,৫৮ USD
৩। মরিচ আচার = ৩টি ৩০ টাকা - ০,৩৫ USD
৪। কোক = ৩ গ্লাস ৬০ টাকা - ০.৭০ USD
- ম্যানেজার হিসেবে তিনি একজন মিস্টার পারফেক্ট। ওনার ব্যবহার আমার অনেক ভালো লেগেছে। সবার থেকে বেশ ভালো ব্যবহার করেছেন। আর তিনি সব স্টাফবয়-কে সুন্দরভাবে মেইনটেইন করেন।
এই রেষ্টুরেন্ট নিয়ে আমার ব্যক্তিগত অভিমত বা মন্তব্যঃ-
আমরা আজকে অডার করেছি **কাচ্চি বিরিয়ানী**। তো আজকে আমি এই নিয়ে কিছু বলবো। এই কাচ্চিটির দাম নিয়েছে হাফ প্লেট ১৯০টাকা। তো সে হিসেবে, প্লেটে অনেক বাসমতী চালের বিরিয়ানী ছিলো। এবং বিরিয়ানীর রঙ দেখতে বেশ ভালো লেগেছে আমার। দেখে তো আমার ভালোই লেগেছিলো। কিন্তু যখন হাত ধুয়ে আমি বিরিয়ানীতে হাত বুলিয়ে দেখি তখন আবিষ্কার করি, সেখানে মাত্র ১টি মাংসের পিস দেওয়া ছিলো আর অনেকগুলো আলুর খন্ড ছিলো। এটা আমার খুব খারাপ লেগেছে। কারণ যখন তারা ১৯০টাকা নিচ্ছে তখন সর্বনিম্ম ৩-৪ টা পিস দেওয়া উচিত ছিলো। এই বিষয়ে আমি খুব হতাশাজনক। টেষ্টের বিষয়ে বলতে গেলে, আমার ব্যক্তিগতভাবে এটি ভালো লেগেছে আবার ভালো লাগে নি এমনটাই বলা চলে। কেননা, এর স্বাদ মোটামোটি। খারাপ ও না আবার ভালো ও না। তো খাবারের রেটিং ৫/১০। এরপর বড়ই আচার ও মরিচের আচারটি বেশ ভালো ছিলো। বড়ই আচারটা আমার কাছে বেশ মজাদার ছিলো। রেটিং ৯/১০। এবার আসি, আমি এখানকার স্টাফবয় দের সেবা নিয়ে কথা বলবো। সেবার মান নিয়ে কোনো কমতি নেই। কেননা, অডার করা মাত্রই এখানকার স্টাফবয় এসে সেবা দিয়েছে। এটি বেশ চমৎকার। রেটিং ১০/১০।
Camera | Vivo |
---|---|
Model | Y11 |
Location | https://what3words.com/version.passively.suitcase |
আশা করি, আমার এই ব্লগটি আপনাদের ভালো লেগেছে। সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করে এখানেই শেষ করছি।
আমার সম্পর্কে কিছু কথাঃ-
আমি মোঃ আবু হেনা সরকার। আর আমার ডাক নাম সাগর। আমি একজন স্বাধীন চেতনাময়ী ছেলে। যে সবসময় স্বাধীনতাকে প্রাধান্য দেই। আমি লিখতে, পড়তে, ফটোগ্রাফি, ভিডিওগ্রাফি, বিশ্লেষন এবং কোনো অজানা বিষয় সম্পর্কে জানতে ভীষণ আগ্রহী ও ভালোবাসি। আমি একজন মিশুক ছেলে। সবার সাথে মিশতে আমার অনেক ভালো লাগে।
খুবই সুন্দর রিভিও, আর পরিবেশটা সুন্দর কোনো হৈ চৈ নাই।
সব মিলিয়ে অস্থির 💓💓
ভালোবাসা রইলো ভাইয়া
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই
বাহ সারাদিনের ঘুরাঘুরি খাওয়া দাওয়া গুলোও জে এত সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করা যায়।সেটা আপনার পোস্ট পড়ে বুঝলাম।অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করছেন।আর হুম ধন্যবাদ আপনাকে আজকে এত সুন্দর একটা ট্রিট দেওয়ার জন্য😍❤️
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ খুব সুন্দর একটি মন্তব্য করেছেন।
অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করছেন রিভিউ ভাইয়া। তবে খুব ক্ষুধা লেগে গেলো দেখে।
দিনাজপুরে আসেন আপনাকেও ট্রিট দিবো আপু। 😋😍
রিভিউ তো দিলেন না ভাই যেন খুদা লাগিয়ে দিলেন হাহাহাহহাহাহাহাহ। এটা খুব ইউনিক ছিল ভাই রিভিউ এর বিষয় টা। কারন এটা কিন্তু আমি কাউকে করতে দেখি নাই।
আমাদের মধ্যে তেমন কেউ এইরকম রিভিউ দেয় দেয় না। মাঝে মধ্যে দু-একজন রিভিউ করে। তবে তারা প্রতিনিয়ত সেটা ধরে রাখতে পারে না।
সারাদিন ই দেখছি খুব ভালোই কাটিয়েছেন আপনি ভাইয়া। তবে এতো রাতে বিরিয়ানির ছবি দেখে একটু লোভ লাগছে। দেখেই মনে হচ্ছে অনেক মজাদার হবে।
মজাদার ছিলো কিন্তু দামের তুলনার খাবার মান তেমন ভালো ছিলো না,
হুম,বুঝেছি ভাইয়া।
ভাই কি আর বলব ম্যাচে থাকা এতো মজা বন্ধুবান্ধবের সাথে সময় কাটানো।। আসলেই মাঝে মাঝে অনেক সুন্দর মুহূর্ত পার হয়ে যায়। যদি বাসায় রান্না না হয় আপনারা বাইরে যেয়ে একসাথে অনেক আনন্দ করে খেয়েছেন এবং বন্ধুদের সাথে অনেক সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছেন এবং বিরিয়ানি হাউজ অনেক ভাল ছিল পরিবেশটা এবং দেখতে অনেক ভাল ছিল। অনেক ইনজয় করেছেন এবং ফটোগ্রাফি গুলো অনেক ভাল ছিল আপনার জন্য শুভকামনা রইল ভাই। অনেক সুন্দর ছিল
অনেক সুন্দর ও গঠনমূলক কমেন্ট করেছেন ভাই
বিরিয়ানি হাউজ নাম হলেও এখানে দেখছি প্রায় সকল ধরনের খাবার পাওয়া যায়। বিরিয়ানি হাউজের রিভিউ টা খুব ভালো ছিল। কোথায় কীভাবে কখন যেতে হবে সবকিছু ভালোভাবে লিখেছেন। সময়টা খুব ভালো উপভোগ করেছেন বন্ধুদের সাথে। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া
অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন ভাই। শুভেচ্ছা রইলো।
জ্বি ধন্যবাদ ভাইয়া। ভালো লাগতো কমেন্টটা আর একটু বড় হলে।
বিরিয়ানি অনেকবার খেয়েছি ।কিন্তু রোলেক্স বিরানি কখনো খাওয়া হয়নি
। ছবিগুলো দেখে খেতে ইচ্ছা করছে। অনেক সুন্দর রিভিউ দিয়েছেন।
দিনাজপুরে এসে খেয়ে যাইয়েন ভাই। রোলেক্স ঘড়ির পাশাপাশি রোলেক্স বিরিয়ানীও এখন পাওয়া যায়!
আহ ভাই!! বিরিয়ানী দেখেই তো ইচ্ছে করছে। রোলেক্স বিরিয়ানী হাউজ সম্পর্কে ভালো একটি রিভিউ দিয়েছেন ভাই। পাশাপাশি বন্ধুদের সাথে কাওয়া দাওয়াটাও বেশ হয়েছে। শুভেচ্ছা নিবেন।