প্রসঙ্গঃ "উত্তরবঙ্গের বৃহত্তম ফুটবল টুর্নামেন্ট" || আমার বাংলা ব্লগ || 10% to @shy-fox || 04-10-2021
১৯শে আশ্বিন, ১৪২৮ বঙ্গাব্দ
প্রসঙ্গঃ "উত্তরবঙ্গের বৃহত্তম ফুটবল টুর্নামেন্ট"
উত্তরবঙ্গের সর্ববৃহৎ ফুটবল টুর্নামেন্ট প্রতিবছর আয়োজন করছে আমাদের এলাকার যুব সমাজ। প্রতিবছরের এই শরৎকালে কাশবনের কাশফুলগুলো যখন নিজস্ব উদ্দীপনায় জ্বলে উড়তেছে, ঠিক তখনই আমাদের যুবসমাজের কিছু সম্ভাবনাময়ী যুবক এই টুর্নামেন্টের আয়োজন করে থাকে। আর এই টুর্নামেন্টের আর্থিকভাবে যোগান দেয় আমাদের সংসদ সদস্য ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। এই টুর্নামেন্টটি প্রতিবছর সফলভাবে আমরা আয়োজন করে থাকি। কখনো এটিকে ফেইল হতে দেইনি। প্রত্যেক বছরের ধারাবাহিকতায় এবারও আমরা এই টুর্নামেন্টটি আয়োজন করতেছি। এই টুর্নামেন্টের নাম দেই আমাদের উপজেলার সংসদ সদস্য মুক্তিযোদ্ধা মোস্তাফিজুর রহমান এর নামে। তিনি একজন ক্রীড়াপ্রেমী মানুষ। তারমধ্যে ফুটবল তিনি সবথেকে বেশি ভালোবাসেন। তাই তিনি ফুটবল টুর্নামেন্টের জন্য অনেকগুলো টাকা দিয়ে থাকেন। আজকের এই টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় ম্যাচে অংশগ্রহণ করেছিল বগুড়া ফুটবল ক্লাব এবং জয়পুরহাট ফুটবল একাডেমী।
এই দুই দলে অংশগ্রহণ করেছিল উত্তরবঙ্গের বগুড়া ও জয়পুরহাটের বাঘা বাঘা ফুটবল খেলোয়াড়রা। কেউ কাউকে এক ইঞ্চি জমি ছাড় দিতে রাজি নয়। এমনই তাদের মনোভাব নিয়ে খেলতে নেমেছিল। তাইতো খেলাটি অনেক সুন্দর ও মনোরম হয়েছিল।
এদিন খেলাটি দেখার জন্য অত্র এলাকা যেন ভেঙে পড়েছিল। কোথাও কোনো ফাঁকা জায়গা নেই। সব জায়গায় জনমানুষের টইটুম্বুর। উত্তরে দেখি মানুষ, দক্ষিণ এও মানুষ। এক কথায় মাঠের কোন জায়গা ফাঁকা ছিল না। এত মানুষকে নিয়ন্ত্রণ করা কিন্তু চাট্টিখানি ব্যাপার নয়। অনেক হিমশিম খেতে হয়েছে আমাদের যুব সমাজকে। আমাদের আয়োজক কমিটি থেকে প্রায় 50 থেকে 60 জন ছেলেকে ভলান্টিয়ার এর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। সবাই তাদের নিজ নিজ দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে পেরেছে। বিধায়, শেষমেষ খেলাটি অনেক সুন্দর হয়েছে।
কোথাও কোন গণ্ডগোল এর খবর শোনা যায়নি। আমরা যারা কমিটির লোক ছিলাম, তারা প্রায় সবাই মন থেকে এই খেলাটি উপভোগ করেছি এবং মাঠে উপস্থিত সকল দর্শক মন ভরে খেলাটি দেখেছিল। কেননা, খেলাটি এমন ভাবে পরিচালিত হচ্ছিল যেন মনে হচ্ছে এটি কোন আন্তর্জাতিক পর্যায়ের টুর্নামেন্ট হচ্ছে। সকল রেফারিও ছিল বাফুফে কর্তৃক সার্টিফিকেট প্রাপ্ত ও অভিজ্ঞতা সম্পন্ন। যাদের যোগ্যতা নিয়ে চুল পরিমান সন্দেহ নেই।
এই খেলায় আমার সবথেকে বেশি পছন্দ হয়েছে দু'দলের গোলকিপার কে। কেননা, তাদের দু'জনকেই আমার বাজপাখি মনে হয়েছে। বাজপাখি যেহেতু বললাম সেহেতু আপনারা বুঝতে পেরেছেন কেন আমি তাদের দুজনকে বাজপাখি বলে আখ্যায়িত করেছি। তাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে গোল দেওয়া যেন অসম্ভব প্রায় হয়ে গিয়েছিলো। এতটাই চতুর তারা ছিল। খেলার মাঝখানে ঘটে নাটকীয় এক ঘটনা। জয়পুরহাটের স্ট্রাইকার নিয়ে যখন গোল দেওয়ার উদ্দেশ্যে দৌড় শুরু করেছিল এবং বল নিয়ে বগুড়ার ডি-বক্সে পৌঁছায় তখন বগুড়ার এক খেলোয়াড় জয়পুরহাটের সেই স্ট্রাইকার কে পিছন থেকে ফালাই দেয়।
এতে রেফারি সরাসরি পেনাল্টি শুট আউটের ঘোষণা দেয়। সিওর গোলের এক সম্ভাবনা তৈরি হয় জয়পুরহাটের শিবিরে। কিন্তু, সবাইকে চমকপ্রদ করে গোল দিতে ব্যর্থ হয় জয়পুরহাটের স্ট্রাইকার। যখন তিনি পেনাল্টি শুট আউট করেন তখন বলটি গোলপোস্টে লেগে গোলের ভিতরে ঢুকে যায় নাকি বাহির থেকে ঘুরে আসে, সেটি রেফারি বুঝতে পারেনা। তাই রেফারি এটিকে গোল হয়নি বলে ঘোষণা করে। আর এই নিয়েই লেগে যায় জয়পুরহাটের খেলোয়াড়ের মধ্যে আর রেফারির মধ্যে একটু বাকবিতণ্ডা। এই সমস্যাটি বেশিদূর এগোতে দেয়নি আয়োজক কমিটির প্রধান। খেলোয়াড় ও রেফারির মধ্যে আপোষ বিনিময়ের মাধ্যমে আবারও শুরু হয় দ্বিতীয়ার্ধের খেলা।
দ্বিতীয়ার্ধে এসে কাউন্টার অ্যাটাক এর মাধ্যমে একটি গোল দিয়ে দেয় বগুড়ার খেলোয়াড়রা। আর এতে করেই ম্যাচের হাল ধরে বগুড়া ফুটবল একাডেমি। শেষ মুহূর্তে টানটান উত্তেজনা পূর্বক ম্যাচ এর মাধ্যমে শেষ হয়ে যায় পুরো খেলাটি। আর এতে করেই 0-1 ব্যবধানে আজকের এই ম্যাচটি জিতে নেয় বগুড়া ফুটবল একাডেমি।
এদিন প্রথম গোলদাতার জন্য একটি আকর্ষণীয় পুরষ্কার ঘোষণা করেছিল স্থানীয় একটি সংবাদ মাধ্যম। প্রথম যে গোলটি করে সে কিন্তু বরাবরের মতই সবার চোখের মণি হয়। আমন্ত্রিত সকল অতিথিবৃন্দের মাধ্যমে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয় প্রথম গোলদাতা কে। প্রথম গোলদাতা এই পুরস্কারটি পেয়ে বেশ আনন্দিত ও উচ্ছ্বাসিত মনে হয়েছে। কেননা সবাই চায় বড় কোন টুর্নামেন্ট এ পুরস্কার জিততে।
Camera | Vivo |
---|---|
Model | Y11 |
Location | https://what3words.com/abandons.stunts.giraffes, https://what3words.com/avoiding.dome.thinnest |
আশা করি, আমার এই ব্লগটি আপনাদের ভালো লেগেছে। সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করে এখানেই শেষ করছি।
আমার সম্পর্কে কিছু কথাঃ-
আমি মোঃ আবু হেনা সরকার। আর আমার ডাক নাম সাগর। আমি একজন স্বাধীন চেতনাময়ী ছেলে। যে সবসময় স্বাধীনতাকে প্রাধান্য দেই। আমি লিখতে, পড়তে, ফটোগ্রাফি, ভিডিওগ্রাফি, বিশ্লেষন এবং কোনো অজানা বিষয় সম্পর্কে জানতে ভীষণ আগ্রহী ও ভালোবাসি। আমি একজন মিশুক ছেলে। সবার সাথে মিশতে আমার অনেক ভালো লাগে।
খেলাটা নিয়ে আপনে সেদিনের খুঁটিনাটি বিষয়গুলো খুব ভালো ভাবে উপস্থাপন করেছেন। আপনার জন্য শুভ কামনা রইল।
ধন্যবাদ ভাই
আমি এসব খেলাধুলার বিষয়ে খুব একটা জানিও না এবং বুঝিওনা।
তবে আপনার উৎসাহ দেখে বুঝাই যাচ্ছে আপনার অনেক ভালো লাগে। অনেক সুন্দর ভাবে লিখেছেন।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
ফুটবল এমন একটি খেলা না বোঝলেও উপভোগ করা যায়। ধন্যবাদ ।
ফুটবল খেলা খুবই উত্তেজনাকর হয়ে থাকে। বিশেষকরে পাড়ায় খেলাগুলে অনেক মজার হয়ে থাকে। বগুড়া ও জয়পুরহাট দু দুলই ভালো খেলেছে। খেলার মুহূর্ত ভাগ করে নেয়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।
হুম ভাইয়া
আমার ফুটবল খেলা খুব ভালো লাগে। আমাদের এখানে শীতকালে মাঠে তিন দিন ব্যাপী ফুটবল খেলা হয়। আমি আমার ছাদে বসে খেলা দেখি। তবে আপনার পোস্ট দেখে মনে হচ্ছে খেলাটি খুবই উত্তেজনাকর ছিল। আর আপনার উৎসাহ দেখে বোঝা যাচ্ছে আপনার খুব ভালো লাগে। ফুটবল খেলার মুহুর্ত টি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু আপনার মূল্যবান মন্তব্যেব় জন্য।
উত্তরবঙ্গের বৃহত্তম ফুটবল টুর্নামেন্ট এই সব খেলা আগে গ্রামে থাকতে প্রতি শুক্রবার দেখতাম। ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া অনেক সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য । আপনার শুভকামনা রইলো ভাইয়া
ধন্যবাদ ভাইয়া
আসলে ফুটবল খেলা দেখতে অনেক ভালো লাগে অনেক মানুষ উত্তেজনা বেড়ে যায় এবং আপনার জন্য শুভকামনা রইল।জিনিসটা অনেক সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে পরিবেশন করেছেন
বৃদ্ধ থেকে কিশোর সবাই এ খেলা দেখে।
অনেক সুন্দর ইনজয় করেছেন খেলাটি। তামাক খেলাধুলা অনেক ভালো লাগে খেলার মাঠে কি এমনি বসে থাকলেও একটা মানসিক শান্তি পাওয়া যায়। আপনার আনন্দগুলো আমাদের সঙ্গে ভাগাভাগি করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার জন্য অকৃতিম শুভকামনা রইল
ফুটবল খেলা আমার প্রিয় খেলার মধ্যে একটি। তবে আপনার পোস্ট দেখে মনে হচ্ছে খেলাটি খুবই উত্তেজনাকর ছিল। আর আপনার উৎসাহ দেখে বোঝা যাচ্ছে আপনার খুব ভালো লাগে।ধন্যবাদ ভাইয়া পোস্ট টা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।