নাটক রিভিউঃ- "রিভেঞ্জ" আমার অনুভূতি || আমার বাংলা ব্লগ || 10% to @shy-fox || ১১-১১-২০২১
২৬ কার্তিক, ১৪২৮ বঙ্গাব্দ
নাটক রিভিউঃ- "রিভেঞ্জ" আমার অনুভূতি
আমার বাংলা ব্লগে এটি আমার ২য় নাটক রিভিউ নিয়ে লিখতে বসলাম। নাটক দেখা আমার প্যাশন ও বলতে পারেন। যখনই আমি ফ্রি সময় পাই তখনই আমি বাংলা নাটক দেখে থাকি। আমি বাংলা নাটকের একজন ডাইহার্ট ফ্যান। বাংলা নাটক আমাকে যেনো যাদু করে রেখেছে। এই যাদু থেকে আমি যেনো বেড়োতেই পারি না। নাটকের এই রাজ্যে প্রতিনিয়ত অনেক নাটক রিলিজ হচ্ছে এবং প্রতিদিনই সেগুলো মার্কেট পেয়ে যাচ্ছে। তবুও, তার মধ্যে কয়েকগুলো নাটক আছে যেগুলো চরমবাস্তবতা নিয়ে নির্মাণ করা হয়। আজকে আমি সেগুলোর মধ্যে থেকে একটি নাটক রিভেঞ্জ নিয়ে। আফরান নিশো, তাসনিয়া ফারিন, ও শাওনের অভিনীত এই নাটকটি আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। তাই ভাবলাম আপনাদের সাথে এটি আমি শেয়ার করি। আমি আজকে তারই ধারাবাহিকতায় এটি রিভিউ করবো।তো চলুন বন্ধুরা শুরু করা যাকঃ-
নাটক বা মুভির কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্যঃ
নাটকঃ- | রিভেঞ্জ |
---|---|
অভিনয়েঃ- | আফরান নিশো, তাসনিয়া ফারিন, ও শাওন |
ডিরেক্টরঃ | জিয়াউল হক পলাশ |
দৈর্ঘ্যঃ- | ৩৯ মিনিট ৫১ সেকেন্ড |
মুক্তির তারিখঃ | ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২১ |
ধরণঃ- | ট্রাজিডি, একশন |
এডিট করেছেনঃ- | ইসমাইল হোসাইন |
মিউজিকঃ- | সায়েদ নাফিস |
লেবেলঃ- | দ্রুবা টিভি |
সবার প্রচেষ্টায় নাটকটি একটি সেরা নাটক হিসেবে গড়ে উঠতে পেরেছে। নাটকটির প্রতি সেকেন্ড বেশ সুন্দর ও রোমান্টিকতায় ভরপুর ছিলো।
সারসংক্ষেপ বা মূল কাহিনীঃ
নাটকটি মূলত প্রতিশোধ নেওয়াকে কেন্দ্র করেই বানানো হয়েছে। জীবনের শেষ মূহুর্তেও যে মানুষ প্রতিশোধ নিতে পারে সেটিও বোঝিয়েছে এই নাটকের মাধ্যমে। নিশো ও ফারিনের মধ্যে প্রেম ছিলো, নিশো ছিলো হট মেজাজী মনোভাবের একটি ছেলে যখন পারতো সে যাকে তাকে মারতো। মারামারি করা ছিলো প্যাশন। অবশ্য সে নিজের রাগ বলতে অন্যায়কে কখনো প্রশ্রয় দিতো না। তো এমন সময় ফারিনের বিয়ে হয়ে যায়। এবং কিছু বছর পর নিশো জানতে পারে, ফারিন একসাথে দুটো প্রেম করেছে এবং তাকে ধোকা দিয়ে অন্যজনকে বিয়ে করেছে। তাই এটা সে মেনে নিতে পারে নি, তখন থেকে সে প্রতিশোধ নিতে চেয়েছিলো। আর এই থেকেই এই নাটকের নাম হয় রিভেঞ্জ।
তো মূল কাহিনীটি শুরু করা যাকঃ
মূলত নাটকের শুরুতেই ঘটে এর বিপত্তি। মানে শাওনের প্রাইভেট কারের সাথে ধাক্কা লেগে বাইক এক্সিডেন্ট করে রাস্তায় পড়ে থাকে নিশো এবং শাওন তাকে বাচানোর জন্যে হসপিটাল এ নিয়ে আসে। রাস্তায় সবাই শাওনকে মারার জন্যে তেড়ে এসেছিলো কিন্তু নিশো জ্ঞান হারানোর আগে বলেছিলো তার কোনো দোষ নেই। তাই শাওন পাবলিকের মাইরের হাত থেকে বেঁচে যায়।
এরপর নিশোকে হাসপিটালে এনে চিকিৎসার সকল ব্যবস্থা করা হয়। এমন সময় ফারিন এখানে শাওনের জন্যে আসে। ফারিন হচ্ছে শাওনের স্ত্রী। শাওনের কথা চিন্তা করেই সে এখানে আসে এবং শাওনের কিছু হয়নি দেখে সে খুশি হয়। এদিকে শাওন খুব চিন্তায় থাকে কারণ তার গাড়ির সাথে নিশোর অ্যাক্সিডেন্ট হয়েছে। এতে করে সে খুব দুশ্চিন্তায় থাকেন। এমন সময় ডাক্তার এসে কিছু ঔষধ ও রোগীর পাশে একজনকে থাকতে বলে। শাওন ঔষদ আনতে গেলে, ফারিন রোগীর কাছে যায়। কিন্তু যখনই রোগীর কাছে ফারিন যায়। তখনই সে দেখতে পায়, বেডে নিশো শুয়ে আছে আর নিশো হচ্ছে ফারিনের এক্স বয়ফ্রেন্ড। আর এর মধ্য দিয়েই দৃশ্য অতীতে চলে যায়।
নিশো আর ফারিনের প্রেম কাহিনী চলতে থাকে আর সাথে চলতে থাকে নিশো এগ্রেসিভ মনোভাব। যখনই কেউ অপরাধ করে তখনই সে তাকে মারার জন্য উদ্ভূত হয়। একদিন রেস্টুরেন্ট ও রাস্তায় রিকশা চালককে বেধরম মেরেছে নিশো। ফারিন এসব মারামারি একদম পছন্দ করত না। কিন্তু নিশো তবুও মারামারি করত। তো এভাবেই নিশো আর ফারিনের প্রেমকাহিনী চলতে থাকে। কিন্তু হঠাৎ একসময় ফারিন, নিশো কে বলে যে তার বাড়ি থেকে ফারিনের বিয়ে ঠিক করে দিচ্ছে। নিশো সেই কথাটি মজার ছলে উড়িয়ে দিয়েছিল। কিন্তু ফারিন নিশোকে সেই কথাটি সিরিয়াস ভাবে বলেছিলো। এবং একসময় ফারিন নিশোর সাথে সকল যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এতে করে নিশো পাগলের মতো হয়ে যায়।
একটা সময় ফারিনের বিয়ে হয়ে যায় এবং নিশো একা হয়ে পড়ে। এভাবে কিছু বছর কেটে যাওয়ার পর নিশো জানতে পারে ফারিন তার সাথে ধোকাবাজি করেছে। তার সাথে রিলেশন থাকা অবস্থায় আরেকজনের সাথে রিলেশনে জড়িয়েছিলো এবং সেটি নিশো মেনে নিতে পারে নি, তাই সে ফারিনকে বলে দিয়েছিলো সে সুযোগ বুঝে রিভেঞ্জ নিবেই নিবে।
এক্সিডেন্টের কয়েকদিন পরে শাওন ও ফারিনের বাসায় পুলিশ আসে এবং তা দেখে তারা খুব আতংকিত হয়ে যায় এবং কারণ হিসেবে বলে নিশো মারা গেছে এবং মারা যাওয়ার সময় তাদেরকে কারণ হিসেবে উল্লেখ্য করেছে, এতে করে শাওন ও ফারিন দুজনেই পুলিশের কাছে বন্দি হয়ে যায় আর নিশোর রিভেঞ্জ ও নেওয়া হয়ে যায়।
শিক্ষাঃ
এই নাটক থেকে আমরা শিক্ষা নিতে পারি, যে কেউ আপনার সাথে রিভেঞ্জ নিতে পারে। তাই কাউকে সেই সুযোগ কখনো দেওয়া যাবে না বা দিতে নেই। নিজের মৃত্যুর আগে নিশো ফারিন ও শাওনকে চরম ভাবে হেনস্থ। পুলিশ তাদের ধরে নিয়ে যায়।
তাই বলতে পারি, কাউকে যদি আমরা সুযোগ না দেই, তাহলে কেউ আমাদের উপর রিভেঞ্জ নেওয়ার সুযোগ পাবে না।
ব্যক্তিগত মতামতঃ
ব্যক্তিগত মতামত হিসেবে আমি বলবো আসলেই আমাদের সমাজে এই রকম হাজারো ঘটনা ঘটে চলেছে। আমার চোখের সামনে হাজারো উদারহণ রয়েছে। বাস্তবতা ঘিরেই মূলত এই নাটকটি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করা হয়েছে।
ব্যক্তিগত রেটিংঃ
আমি ব্যক্তিগত রেটিং হিসেবে ৯.৫/১০ দিবো এই নাটকটিকে। তারা যেভাবে বানাতে চেয়েছিলো ঠিক সেভাবেই বানাতে পেরেছে।
মুভি বা নাটকের লিংকঃ
এই ছিলো আজকের আমার করা ব্লগ পোষ্টটি। আমার সকল স্ক্রীনশট টি এই লিংক থেকে নেওয়া হয়েছে। আমি স্বাক্ষ্য দিচ্ছি যে, এই পোষ্টটি সম্পূর্ণ আমার নিজস্ব লিখা।
আশা করি, আমার এই ব্লগটি আপনাদের ভালো লেগেছে। সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করে এখানেই শেষ করছি।
আমার সম্পর্কে কিছু কথাঃ-
আমি মোঃ আবু হেনা সরকার। আর আমার ডাক নাম সাগর। আমি একজন স্বাধীন চেতনাময়ী ছেলে। যে সবসময় স্বাধীনতাকে প্রাধান্য দেই। আমি লিখতে, পড়তে, ফটোগ্রাফি, ভিডিওগ্রাফি, বিশ্লেষন এবং কোনো অজানা বিষয় সম্পর্কে জানতে ভীষণ আগ্রহী ও ভালোবাসি। আমি একজন মিশুক ছেলে। সবার সাথে মিশতে আমার অনেক ভালো লাগে।
আফরান নিসুর নাটক গুলো আমি অনেক পছন্দ করি। আপনার পোস্টের কথা অনুযায়ী এটি একটি প্রতিশোধমূলক নাটক এবং অন্যদিকে একটু কষ্টের ও বটে। আফরান নিশো তার প্রেমিকের কাছে ধোঁকা খায় এবং প্রতিশোধ মুখর হয়ে ওঠে। অনেক ইন্টারেস্টিং মনে হচ্ছে ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি নাটক আমাদের মাঝে রিভিউ করার জন্য।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
নাটকটা আমি দেখেছি। নিশো আমার খুবই পছন্দের অভিনেতা। নিশোর জায়গা থেকে নিশো ঠিক ছিল প্রতিশোধ নেওয়াই। কিন্তু আমি ব্যক্তিগতভাবে এটা সার্পোট করি না। একজন আমার সাথে অন্যায় করলে আমি তার সাথে সেটা করতে পারিনা। তাহলে তার এবং আমার মধ্যে পার্থক্য কোথায় থাকল।
নাটকটার ভালো রিভিউ করেছেন ভাই।
আপনি ঠিক কথা বলেছেন। কিন্তু নাটক তো নাটকই। বাস্তবতাকে ঘিরেই বানানো হয়েছে। সবার চিন্তা ভাবনা এক নয় ভাইয়া
আমি বাংলাদেশী অনেক নাটক দেখি বিশেষ করে ঈদের সময় একটি নাটক বাদ দেই না দেখা ।তবে এই নাটকটি দেখা হয়নি ।আপনার লেখা নাটকের রিভিউটা দেখে মনে হচ্ছে এই নাটকটা খুবই ভালো হয়েছে দেখার খুব ইচ্ছা হচ্ছে ।নায়ক-নায়িকা দু'জনকেই আমার ভালো লাগে ।দেখার ইচ্ছা রইল ।ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু খুব সুন্দর একটি মন্তব্য করেছেন।
বাংলা নাটক মানেই ভালোলাগা। আর আফরান নিশোর নাটক হলে তো কথাই নেই। আফরান নিশোর রিভেঞ্জ নাটকটি আমি দেখেছি, এটা সত্যি বাস্তবতার সাথে কিছুটা মিলে যায়। পরিচালক অনেক সুন্দর ভাবে নাটকটি কে পরিচালনা করেছে। আর প্রত্যেক অভিনেতাই তাদের চরিত্র কে সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলেছে নাটকটিতে।
অনেক সুন্দর রিভিউ দিয়েছেন ভাইয়া যারা এই নাটকটি দেখেনি তারা আপনার রিভিউটি পড়ে অবশ্যই দেখবে।
আপনার জন্য শুভকামনা রইল ভাইয়া।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই খুব সুন্দর একটি মন্তব্য করেছেন।
এই নাটকটি নিয়ে বেশ কিছুদিন যাবত ফেচবুকে আলোচনা হচ্ছিলো।নাটকটি খুব সুন্দর ছিল এই বিষয় নিয়ে তখনো আমি নাটকটি দেখেছিলাম না আজ পোস্ট দেখতে দেখতে আপনার পোস্টি পেলাম এবং পরলাম এতো সুন্দর একটি নাটক আমি এখনো দেখি নায়।
আপনার রিভিউ খুবই দারুন ছিলো।অত্যান্ত সুন্দর এবং গুছিয়ে আপনি উপস্থাপন করেছেন।শুভ কামনা রইলো।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
ভাইয়া আপনার রিভিউ লেখাটিতে আপনি নাটক এর কাহিনি খুব নিখুঁত ভাবে উপস্থাপন করেছেন। নাটক এর কাহিনি খুবই চমকপ্রদ। আমি নাটক এর খুব বড়ো ফ্যান না তারপরও আপনার নাটক এর রিভিউটা মনযোগ দিয়ে পড়লাম। অনেক ভালো লাগল। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু মনোযোগ দিয়ে আমার লেখাটি পড়ার জন্য।
ভাইয়া আপনি অনেক সুন্দর ভাবে নাটকের রিভিউ করছেন। তাছাড়া আমাদের দেশের নাটক গুলো অনেক হাস্যময় আর মজার হয়। তাছাড়া আরফিন নিসুর নাটক বেশ ভালো লাগে।ফটোগ্রাফি সাথে উপস্থাপনা দারুন হয়েছে। অনেক ধন্যবাদ।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই খুব সুন্দর একটি মন্তব্য ছিল।
এই নাটক আমি দেখেছি ভাইয়া। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে আবার রিভিউ করলেন। আসলে নায়কটি অনেক রাগান্বিত হয়ে যেত প্রতিশোধ নিতে ভালবাসত কিন্তু শেষ পর্যায়ে ও প্রতিশোধ নিয়ে নিল। ভাল ছিল
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই খুব সুন্দর একটি মন্তব্য করেছেন
বাহ আপনি অনেক সুন্দর ভাবে নাটক এর রিভিউ দিয়েছেন, নিশোর প্রায সকল নাটক আমার দেখা, এটাও দেখেছি কিছুদিন আগে। নাটক টা দেখে মাঝে মাঝে অনেক রাগ হইচে আবার কান্না ও পাইছে। সব মিলিয়ে অসাধারণ একটি নাটক। আপনি খুবই সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন আমাদের মাঝে, শুভকামনা রইলো আপনার জন্য
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য.
ভাইয়া রিভেঞ্জ নাটকটি আমি দেখেছি। আফরান নিশো আমার প্রিয় একজন একটর, আসলে এই নাটকে কিছু বাস্তব চিত্র ফুটে উঠেছে। এই নাটকে দেখা যায় যে তাসনিয়া ফারিন দুই জনের সাথে প্রেম করে।
পরবর্তীতে তাসনিয়া ফারিন সুখি হয়না এবং জেলের ঘানি টানে।