প্রসঙ্গঃ "শিক্ষার খোঁজে ভার্সিটিতে" || আমার বাংলা ব্লগ || 10% to @shy-fox
১৬ই কার্তিক, ১৪২৮ বঙ্গাব্দ
প্রসঙ্গঃ "শিক্ষার খোঁজে ভার্সিটিতে"
আসসালামুয়ালাইকুম,
আশা করি সবাই ভালোই আছেন। আজকের টাইটেল দেখে বুঝে গেছেন আমি আজকে কি নিয়ে লিখতে চলেছি। আজকে আমাদের যাত্রা টা অন্যরকম। আজকে আমরা দুজন বেরিয়েছি একটা মিশনে। টাইটেলে হয়তো দেখে বুঝেই গেছেন, কি নিয়ে আমি বলতেছি। হ্যাঁ, শিক্ষার খোঁজেই আমরা ভার্সিটিতে যাই। হাহা আপনারা অনেকে হয়তো বলতে পারেন শিক্ষা আবার খোঁজা লাগে নাকি। হ্যাঁ বন্ধুরা, শিক্ষার খোঁজেই আমরা বেরিয়েছি। আসলে আজকে আমার স্কুল ফ্রেন্ডের ভর্তি পরীক্ষা ছিল, তাই তাদেরকে একটু মানসিক সাপোর্ট দেওয়ার জন্যই আমরা দুজন ভার্সিটিতে গেছিলাম। বন্ধুরা আমার কমার্সের ছাত্র। সারা জীবন টাকা পয়সার না থেকেও হাজার কোটি টাকার হিসাব তাদের করতে হয়। তো টাকার হিসেব করতে করতে তারা আজকে ফকির হয়ে গেছে।
তো বন্ধুরা চলুন ব্লগটি এখন শুরু করা যাক।
আমার স্কুল ফ্রেন্ড গুলো পরীক্ষা দেওয়ার জন্য খুব সকালেই ভার্সিটিতে চলে আসে। আমরা দিনাজপুরেই আগে থেকে ছিলাম আমাদের মেসে। তাই তাদের সাথে যোগদান করতে আমাদের সময় লাগবে শুধু তিরিশ মিনিট। তাই আমরা মেস থেকে বের হয়েই একটি অটো ঠিক করে নেই।
আমাদের ম্যাচ থেকে ভার্সিটির দূরত্ব মাত্র 30 মিনিট এর। তাইতো তাদের এক্সাম শুরু হওয়ার এক ঘণ্টা আগেই আমরা তাদের কাছে পৌঁছে যাই। আজকে বহুদিন পর তাদের সঙ্গে দেখা। প্রায় কয়েক মাস তো হয়ে যাবেই। কারণ এর মাঝে আর দেখা হওয়ার কোনো সুযোগই হয়নি তাদের সাথে। মাঝেমধ্যেই শুধু ফেসবুক এ কথা হতো। আর ফোন কলে মেসেজে কথা হতো। তারাই সুয়াদি জানতে পারি যে তারা আজকে এক্সাম দিতে আসছে। তাই তাদের ভয় দূর করার জন্যই মূলত তাদের কাছে আমরা আগে চলে গেছি।
যথাসময়ে আমরা তাদের সাথে দেখা করি এবং তাদের অভয় দেই আর বলি ভয় নেই তো আমরা আছি। প্রশ্ন অনেক সহজ হবে, দেখে শুনে উত্তর দিবে, পরীক্ষার হলে কোন কথা বলবেনা। বিসমিল্লাহ বলে পরীক্ষা শুরু করবে। পরীক্ষা শুরু হওয়ার আধা ঘণ্টা আগেই তাদেরকে পরীক্ষা হলে ঢুকিয়ে নেয়। আমরা বাহিরে তাদের জন্য অপেক্ষা করতে থাকি। এখন আপনারা বলতে পারেন যেহেতু পরীক্ষা দিচ্ছে আমরা কেন দিচ্ছি না। হাহা সভার উদ্যোগে বলবো আমি, আমি ও সাদিক বাংলাদেশ শিক্ষা বোর্ড থেকে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের আওতায় চলে আসি। এর মানে হচ্ছে আমরা জেনারেল থেকে ডিপ্লোমা করতে আসি। তো সেই জন্য আমাদের কোন ভার্সিটি এক্সাম দিতে হচ্ছে না।
আমরা যেহেতু না খেয়েই তাদের কাছে গিয়েছি তাই আমাদের অনেক খুদা লেগেছিল। এজন্য তাদেরকে হলে ঢুকায় দেওয়ার পরেই, আমি আর সাদিক মিলে রেস্টুরেন্টে যাই নাস্তা করতে। তো রেস্টুরেন্টে যাওয়ার পথে অসাধারণ একটি গাড়ি দেখলাম, যেখান থেকে মাইকে করে অ্যানাউন্সমেন্ট করা হচ্ছে।
এটি দেখে আমি অবাক হয়ে যাই। এত সুন্দর একটি গাড়িতে করে অ্যানাউন্সমেন্ট করতেছে। এরপর হাঁটতে হাঁটতে আমরা রেস্টুরেন্টে চলে যায় খাওয়ার জন্য।
তারপর পেট ঠান্ডা করে আসলাম ভার্সিটির ভিতরে। আমি যেহেতু এর আগে এই ভার্সিটিতে আসিনি, তাই সাদিককে বলি, চল বন্ধু ভার্সিটি ঘুরে ঘুরে দেখি এবং ঘোরার ফাঁকে ফাঁকে কিছু ফটোগ্রাফি করতে থাকি। তো আমি যেহেতু একজন ফটো লাভার তাই ভালো কোনো দৃশ্য দেখলেই তা ক্যামেরাবন্দি করতে ভুলি না। আর সেইসব ক্যামেরাবন্দি করার দৃশ্য গুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে ভুলে যাই না। তাইতো আজকের ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করতেছি। ভার্সিটির প্রধান ফটক দিয়ে শুরু করে দিয়েছি আজকের আমার ফটোগ্রাফী গুলো।
মূল গেট দিয়ে ঢুকেই আমরা এই চিত্রটি দেখতে পাই। আসলে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এর আয়তন অনেক বড়। তাই পুরো ভার্সিটি হেঁটে হেঁটে ঘুরে দেখাও আমাদের পক্ষে সম্ভব না। তাই যতদুর পেরেছি হেঁটে হেঁটে ঘুরে দেখেছি। ওই যে বললাম শিক্ষার খোঁজে ভার্সিটিতে এই কথার মানে হচ্ছে ভার্সিটির প্রতিটি দেয়ালে দেয়ালে কিছু না কিছু শিক্ষনীয় জিনিস তুলে ধরা থাকে। সেই থেকে প্রতিটি শিক্ষার্থী হাজারো শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে। এর থেকে শিক্ষা নেওয়ার জন্যই মূলত সেখানে যাওয়া।
প্রতিটি ভার্সিটিতে থাকে একটি করে স্মৃতিসৌধ। যেখানে হাজারো শহীদের স্মরণে ও শ্রদ্ধা ভরে ভালোবাসা বহিঃপ্রকাশ করা হয়। এটি হচ্ছে ভার্সিটির সেই স্মৃতিসৌধ।
আসলে প্রত্যেকটি ভার্সিটি একটি মনোরম পরিবেশে গড়ে তোলা হয়। তাই এই ভার্সিটির মাঝে কোন কোলাহল থাকেনা। তার মাঝে মাঝে এত সুন্দর দৃশ্য আসলেই মনটাকে সুন্দর করে তোলে। আজকের এই জার্নি থেকে আমি অনেক কিছু শিক্ষা পেয়েছি যে আপনাদেরকে বলে বোঝাতে পারবো না। তো আমাদের পুরো ভার্সিটির কিছু অংশও ঘোরা হয়ে গেলে আমরা আমাদের বন্ধুর জন্য অপেক্ষা করতে থাকি।
বন্ধু আমার অপেক্ষা করতে করতে ধ্যানে বসে গেছে, যেনো এক্সাম তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যায়। এবং একটা শেষ হয় এক্সাম আর তারা বেড়িয়ে আসে হল থেকে। তো এমন সময় আমরা বলে উঠি, কি রে এক্সাম কেমন হলো তোদের? হেড শট দিতে পারছিস তো?
তারা এসে বলে বন্ধু পুরাই কিল করে দিয়েছি চান্স হবেই হবে এবার। এই সব ফাজলামি করতে করতে আমরা স্টেশনে চলে আসি। এবং সেখানে এসে কিছু নাস্তা করে তাদের বিদায় দেওয়ার জন্যে ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করতে থাকি। যখন শুনি যে ট্রেন আসতে একটু লেট হবে, তখন আমার অসুস্থতার কারনে তাদের কে বিদায় বলে চলে আসি।
Camera | Realme Narzo 30A |
---|---|
Location | https://what3words.com/dumplings.doing.activates |
আশা করি, আমার এই ব্লগটি আপনাদের ভালো লেগেছে। সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করে এখানেই শেষ করছি।
আমার সম্পর্কে কিছু কথাঃ-
আমি মোঃ আবু হেনা সরকার। আর আমার ডাক নাম সাগর। আমি একজন স্বাধীন চেতনাময়ী ছেলে। যে সবসময় স্বাধীনতাকে প্রাধান্য দেই। আমি লিখতে, পড়তে, ফটোগ্রাফি, ভিডিওগ্রাফি, বিশ্লেষন এবং কোনো অজানা বিষয় সম্পর্কে জানতে ভীষণ আগ্রহী ও ভালোবাসি। আমি একজন মিশুক ছেলে। সবার সাথে মিশতে আমার অনেক ভালো লাগে।
আশা করছি আপনার বন্ধুর পরীক্ষা যেমন খুব ভালো হয়েছে তেমন রেজাল্টও যেন খুবই ভালো হয়। আর ভার্সিটি টি আসলেই খুব বেশি সুন্দর
আসলে কেন জানিনা এই ভার্সিটি গুলো সবগুলোই অনেক সুন্দর হয় এভাবেই হয়তো তৈরি করা হয়েছে যেন শিক্ষার্থী অথবা যারা যায় তাদের মন ভালো হয়ে যায়। অনেক ধন্যবাদ আপনার জন্য খুব সুন্দর একটা ভার্সিটি আজকে দেখতে পেলাম।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ অনেক সুন্দর একটি মন্তব্য করেছেন।
এত সুন্দর একটি গাড়িতে করে অ্যানাউন্সমেন্ট করতেছে এটা দেখে আমিও সেই অবাক হইছি হাহাহাহহাহাআহহাহা। এটা জাস্ট অবাক করা ছিল। সব মিলে সেই ছিল পোস্ট টা বন্ধু। আর তোমার বন্ধুর হাতের আংগুল বাকা এটাও খেয়াল করলাম।
ক্রিকেট খেলে বল ধরতে ধরতে তার আজকে এই অবস্থা। সে একজন ভালো ক্রিকেট খেলোয়ার।
দিনাজপুরে যে একটি ইন্জিনিয়ারিং বিশ্বাবিদ্যালয় আছে তা আজকে জানতে পারলাম ভাই। ভার্সিটিতে শিক্ষামূলক অনেক কিছু তুলে ধরেছেন। তবে আমার প্রশ্ন হচ্ছে আমরা ডিপ্লোমা শেষ করে এখানে তাহলে পরীক্ষা দিতে পারবো?
জি ভাই ডিপ্লোমা শেষ করে আমরাও এখানে এক্সাম দিতে পারব। কিন্তু সেটাতো ইন্টারের ছাত্রদের সঙ্গেই।
ওও আচ্ছা ভাই বুঝেছি
ভার্সিটি লাইফ টা কতো আনন্দময় তা আমি জানি ।আপনার ভার্সিটিতে কাটানো মুহূর্তগুলো দেখে আমারও পিছনের সেই কাটানো সময় মনে পরে গেলো।আর ছবিগুলোও সুন্দর ছিলো ।ধন্যবাদ ভাই এতো সুন্দর টপিক শেয়ার করার জন্য ।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
আশা করি এক্সাম অনেক ভালো হয়েছে আর চান্স ও পেয়েছে। এইভানে বন্ধুদের পাশে থাকবেন সব সময় এই প্রত্যাশা করি। হাজি দানেশে অনেকবার যাওয়া হয়েছে। ক্যাম্পাস মোটামুটি সুন্দর। আমার বেশ ভালো লেগেছিল। তারপর শুভকামনা রইল আপনার বন্ধুর জন্য।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু। অনেক সুন্দর একটি মন্তব্য করেছেন।
বাহ্ বন্ধু খুবই সুন্দর আর সাবলীল ভাষায় উপস্থাপন করেছ। আর বন্ধুদের সাথে কাটানো দিনগুলো আসলেই খুব জোশ ছিল। কবে যে আমরা এরকম একসাথে সবাই ছিলাম তা হয়তো ভুলে গেছিলাম। যাক কালকে ওরা সবাই আসছিল একটি ভালো দিন উপহার দিয়ে গেছে। 🥰
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে বন্ধু আমার।
আসলেই অনেক ভালো লাগলো তাদের ভয় দূর করার জন্য আপনারা পাশে এগিয়ে গিয়েছেন।। খুবই ভালো লাগার একটি বিষয় ছিল।সত্যিই গাড়িটি খুব সুন্দর ছিল।আসলে ভার্সিটিতে দেখতে খুব সুন্দর ছিল। আসলেই আপনি খুব সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন এবং আপনাকেও দেখতে অস্থির লাগছে ভাইয়া
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
অনেক চেনাজানা একটা জায়গা আমার। অনেক সময় কাটয়েছি এই ভার্সিটিতে। আজকে আপনার ফটোগুলো দেখে আমার খুব মনে পড়ে গেলো অতীতের সব কথা,স্মৃতি। অনেকদিন পর দেখলাম। শুভ কামনা রইলো ভাই।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য