প্রসঙ্গ: "এক্সাম শেষে ঘুরে ফিরে, সেই নীড়ে!" || 10% to @shy-fox
৭ই অগ্রায়ন, ১৪২৮ বঙ্গাব্দ
প্রসঙ্গ: "এক্সাম শেষে ঘুরে ফিরে, সেই নীড়ে!"
আসসালামুআলাইকুম বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালোই আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালো আছি। গত কয়েকদিন যাবত পরীক্ষার কারণে ঠিকমতো যেতেও পারছিনা, কিছু করতেও পারছিনা। তাই আজকে একটু ঘোরাঘুরি আর কেনাকাটার মুহুর্ত সেরে ফেললাম কিছু সময়ের জন্য আর সেই সব মুহুর্তগুলো আপনাদের মাঝে আজকে তুলে ধরবো।
আজকে হঠাৎ করে আমরা ক'য়েকজন মিলে একটু খানি ঘুরতে বেড়িয়েছিলাম। ঘুরতে বেড়িয়েছি বললে ভুল হবে। আমার ল্যাপটপটি গত কয়েকদিন থেকে কুলিং ফ্যানে সমস্যা থাকার কারণে জোরে জোরে আওয়াজ করতেছিলো। তো সেটিই ঠিক করার জন্যে পরীক্ষা দিয়ে এসে খাওয়া দাওয়া করে হালকা ঘুম দিয়েই বিকেলের দিকে বেড়ীয়ে পড়ি।
কম্পিউটার সাভির্স সেন্টারটি আমাদের মেস থেকে বেশি দূরে ছিলো না। তাই আমরা সেখানে অল্প সময়ের মাঝেই চলে যাই। সেখানে চলে যাওয়ার পর আমি তাদের সাথে এই বিষয়ে আলোচনা করি, কত সময় লাগতে পারে এবং পারিশ্রমিক কত লাগতে পারে এটিই ঠিক করতে। তারা আমাকে জানায় যে ১ ঘন্টার মতো সময় লাগবে এবং ৫০০টাকা লাগবে সার্ভিস চার্জের জন্য। এর বাহিরেও তারা আমাকে আমার ল্যাপটপের সমস্যার কথা জানায়। কিন্তু আমি জানি আমার ল্যাপটপের কোথায় কোথায় সমস্যা। আমার ল্যাপটপের শুধু কুলিং ফ্যানেই সমস্যা। কিন্তু এর বাহিরে তারা আমাকে আরো সমস্যার কথা জানায়, যেনো আমি তাদের এই কথাগুলো শুনে ঠিক করে নেই। আর তাদের লাভাংশের পরিমাণ বেড়ে যাক। আমার যেহেতু বর্তমান সমস্যা একটাই তাই তাদের কথায় কর্ণপাত না করে, শুধু ফ্যানের সার্ভিস করতে বললাম। এবং তারা তা করতে থাকলো।
![IMG_20211122_165255.jpg]( |
---|
তারা আমার কাছ থেকে এক ঘন্টা সময় নেয় কাজটি করার জন্য। হাতে এখন ঘন্টা সময়, তার ফাকে আমার আরেকটি ফ্রেন্ডের কিছু শীতকালীন কাপড়-চোপড় কিনতে হবে। তাই এই একঘন্টা সময়টাকে কাজে লাগালাম। আমরা ঘুরে ফিরে পাশে থাকা কাপড়ের মার্কেটে চলে যাই, এবং পছন্দের কাপড় খুজতে থাকি।
এই সুযোগে আমরা অনেক কয়েকটি দোকান ঘুরি এবং অনেক পছন্দের জিনিসপত্র দেখি। কিন্তু দামাদামী বনাবনি না হওয়ার কারণে, সেগুলো নেওয়া হয় নি। একটা সময়ে এসে পছন্দের সাথে সব কিছুর সাথে সামঞ্জস্য রেখে আমরা সব কিছু কিনে নেই। ইতি মধ্যে আমরা অনেক দোকান ঘুরেছি এবং ১ ঘন্টার মতো সময় অতিবাহিত করেছি। এই বার সময় ল্যাপটপটি ফেরত নেওয়ার।
তো সময় মতো সেখানে গিয়ে আমরা ল্যাপটপটি ফেরত নেই, কিছু সময় চেক করার পর। সেই সময় মনে হয়েছে সব কিছু ঠিকঠাক।
এরপর আমরা সেখান থেকে চলে আসি আর আসার পথে আমি কিছু নাইট ফটোগ্রাফি করি- যেগুলো এখন আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করছিঃ-
এরপরের সময়টা শুধু খাওয়া দাওয়ার। যখনি মেস থেকে বেড়িয়েছি, বাহিরে এসে কিছু না কিছু মুখোরোচক খাবার খেয়েছি। আজকেও তার ব্যতিক্রম নই। আমার সবাই ধরতে গেলে লাইন ধরেই হাজী বিরিয়ানী হাউজে প্রবেশ করি এবং সবাই অনেক অধির আগ্রহে ছিলাম।
এরপর আমরা সবাই আবারো আমাদের সেই চির চেনা নীড়েই ফিরে আসি। মানে আমাদের মেসে চলে আসি। চলে আসার আগ মুহুর্তে একটা কলেজ ব্যাগ কেনা বাকি ছিলো সেটি কিনতে আমরা দোকানে আবারো যাই এবং সেখানেও অনেক ইঞ্জয় ও ফান হয়েছে।
এরপরেই আমরা চলে আসি। এবং মেসে এসেই আমি ল্যাপটপটি আবারো চেক করি। কিন্ত এবার আমি চমকে যাই তাদের সার্ভিস দেখে! যেই লাউ সেই কদু। আমার ল্যাপটপ আগের মতোই সাউন্ড করতেছে। তারা কি সার্ভিস করছে আমি জানি না। তারা যদি আমাকে বলতো যে কুলিং ফ্যানটিই চেঞ্জ করতে হবে তাহলে আমি সেটিই করতাম। কিন্তু তারা এমন সার্ভিস করেছে যেটা দেখে আমার মেজাজটিও ল্যাপটপের মতো সাউন্ড করতেছে। এই হচ্ছে তাদের সার্ভিস।
Camera : Redmi 10 |
---|
তাদের সার্ভিস খারাপ হওয়ার কারণ আছে তো। ওই যে আপনি যে ওদের পকেটে ভরতে ওদের কথাবার্তা মেনে নেননি সেই কারণেই।আসলে এই হয় আমাদের আজকালকার অবস্থা!! কেউ কথা না শুনলে তাকে জায়গামতো হেনস্তা করে দেয় মানুষ। যাইহোক আবার ঠিক করাতে হবে। কি আর করার টাকা গুলো নষ্ট হলো আরকি।
কালকে অবশ্য আসার সময় বলে দিয়েছিলাম, বাসায় গিয়ে যদি আবার ঝামেলা করতেছে তাহলে আবার চলে আসব।
সত্যি বলতে ভাইয়া এক্সাম আসলে মাথায় কিছু কাজ করে না ।কোথাও যেতেও মন বলে না। আসলে আপনারা ফ্রেন্ডগুলো মিলে খুব সুন্দর মুহূর্ত যাপন করেছেন আর এক ঘণ্টা সময়ের ফাঁকে কাপড় কিনলেন বা সময়টাকে কাজে লাগালেন। প্রথম ফটোগ্রাফি টা আমার খুবই ভালো লেগেছে ভাইয়া তারপর আপনারা এসে বন্ধুরা মিলে সব বিরিয়ানি খেলেন। বাহ অনেক সুন্দর মুহূর্ত উদযাপন করেছেন ভাইয়া। আমার খুবই ভালো লাগলো
জি ভাই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ খুব সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
ভাই আপনারা ল্যাপটপ ঠিক করতে গিয়ে অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন। ল্যাপটপ ঠিক করার মাঝের একঘন্টা সময়ে ভালোই ঘোরা ঘুরি করেছেন। হাজির বিরিয়ানি দেশের বিখ্যাত। বিরিয়ানি আমার বেশ পছন্দের। তবে ল্যাপটপে সমস্যার কথা শুনে খারাপ লাগলো। ওই দোকানে গিয়ে দোকানদারের কাছ থেকে টাকা ফেরত নিবেন।
বাহ ভাইয়া খাওয়া-দাওয়া থেকে শুরু করে কেনাকাটা পর্যন্ত আরো অনেক কিছুর সাথে সুন্দর সময় পার করেছেন। সত্যি অনেক ভালো লাগলো। বিশেষ করে খাওয়ার টেবিলে খাবার গুলো দেখে। ধন্যবাদ ভাই আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা রইলো।
জি ভাইয়া আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনি আসলে আপনাকেও নিয়ে যাইতাম।
দোকানে দাড়ায়ে কাজটি করলে হয়তো ফ্যানের সমস্যাটা মিটে যেত। ওরা এমনই করে দোকান থেকে চলে গেলেই আন্তাজি কিছু চেক না করেই ঠিক করে দেয়। যায়হোক পরবর্তীতে আশা করি বুঝে শুনে সার্ভিস গ্রহণ করবেন।
আজকে আবার সেখানে গিয়ে বসে থেকে কাজ করিয়ে নিয়েছি। কি আর বলব দুঃখের কথা। কালকে শুধু বাতাস মেরে ধুলো পরিষ্কার করে দিয়েছিল।