প্রসঙ্গঃ "হ-তে হাওয়াই মিঠাই! খ-তে খেয়ে মজাই পাই! " || ১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁকের জন্য ||
২৭ই অগ্রায়ন, ১৪২৮ বঙ্গাব্দ
প্রসঙ্গ: "হ-তে হাওয়াই মিঠাই! খ-তে খেয়ে মজাই পাই! " |
---|
টাইটেল ও থ্যাম্বনেইল দেখে হয়তো আপনারা বুঝে গেছে আজকে কি নিয়ে কথা বলবো। দিনটি ছিলো গতকাল শুক্রবার। খালাতো বোনের বিয়ের দাওয়াত ছিলো। জুম্মার নামাযের শেষে দাওয়াত খাওয়ার পর বাহিরে বের হয়ে দেখি একটা লোক সাইকেলে করে হাওয়াই মিঠাই বিক্রি করতেছে। তো সেটা দেখে আমাদের ছোট রাজা আর নিজেকে সামলে রাখতে পারলো না। আমাদেরকে বলেই ফেললো ভাইয়া আমি ওটা খাবো। কি আর করার। ওর কথা তো রাখতেই হবে। তা না হলে, আমাদের সবার খবর আছে।
তো প্রথমেই বলে নেই, হাওয়াই মিঠাইকে আমাদের আঞ্চলিক ভাষায় বাতাসাও বলে থাকে। কয়েকবছর আগেও সর্বত্র এটি পাওয়া যেত, কিন্তু সময়ের পালাক্রমে আর এটাকে বেশি খুঁজে পাওয়াই যায় না। তো, সেই হিসেবে বর্তমান ছোট ছোট ছেলে-মেয়েদের কাছে এটি সম্পূর্ণ নতুন একটি জিনিস।
যার কারণে এটি সম্পর্কে তাদের মনের ভিতরে একটা রোমাঞ্চকর পরিবেশ তৈরি হয়। আর তারা সেটাকে অনেক আনন্দের সাথে উৎযাপন করে। সে কারণেই আমাদের ছোট রাজাও একটু রোমাঞ্চিতো। বাতাসার বিশেষ্যত্ব আমরা সবাই জানি। এখানে আলাদা ভাবে তুলে ধরার কোনো কারণ নেই, তবুও আমার ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি কয়েক লাইনে তুলে ধরছি। নাম তার হাওয়াই মিঠাই। নামের মতোই এটাও হাওয়াতেই মিঠান্ন বিশেষ কিছু। এটি চিনির সাহায্যে এমন ভাবে বানানো হয় যেটা সম্পূর্ণ হাওয়াতে ভেসে থাকে। মাকড়শার জালের মতো হাওয়াতে উড়ে বেড়ায় বলেই এর নাম হাওয়াই মিঠাই। মুখে দিলে নিমিষেই উধাও হয়ে যায়। মনে হয় মুখের মধ্যে কিছুই দেই নি, কিছুই খাই নি। তবে এর স্বাদ কিন্তু মুখের মধ্যে লেগে থাকে, যার কারণেই এটি এত বিখ্যাত।
এর বিক্রেতা সাইকেলে করে হাওয়াই মিঠাই বানানোর যন্ত্রটি পরিবহন করে থাকে এবং গ্রামে-গঞ্জে যেখানে ইচ্ছে সেখানেই উড়াল দেন। তবে এই মেশিনটি বাংলাদেশের থেকে ভারতে যেটি বানানো হয়, সেই মেশিনের হাওয়াই মিঠাই নাকি আরো অনেক সুস্বাদু ও চিকনের মতো হয়। এই তথ্যটি আমি এই লোকের কাছ থেকেই জানতে পেরেছি।
গতকালকের এই হাওয়াই মিঠাই বানানোর প্রক্রিয়াটি আমার কাছে বেশ মজাদার লেগেছে। কেননা, সবার উপস্থিতিতে এবং এত সুন্দর প্রশংসার কারণে তখনকার পরিবেশ আরো রোমাঞ্চিত হয়ে উঠেছিলো। জীবনের একটা মুহুর্তে এসে কত জিনিস ভালো লাগে না, কিন্তু হাওয়াই মিঠাই এমন একটা জিনিস যেটা ছোট-বড় সবার কাছেই প্রিয়।
এইতো আমাদের সবার সামনেই এক ভাইয়া বড় করে একটা হাওয়াই মিঠাই বানিয়ে নিয়ে আরেক আপুকে প্রপোজ করলো। যদিওবা তারা আগে থেকেই স্বামী স্ত্রীর সম্পর্কে জড়িত ছিলেন। তবুও এই রকম পরিবেশগুলো চোখের সামনে দেখতে ভালোই লাগে। এসব কাহিনীগুলো দেখতেছিলাম আর আমাদের জন্য প্রস্তুত হচ্ছিলো আমাদের সেই প্রিয় হাওয়াই মিঠাই।
একটা সময়ে আমাদের হাওয়াই মিঠাই প্রস্তুত হয়ে যায় এবং আমাদের ছোট রাজাকে সেটি উপহার স্বরুপ দিলে সে খুব খুশি হয়ে যায় এবং আবেগে আপ্লুত হয়ে যায়।
Camera : Redmi 10 |
---|
হাওয়াই মিঠাই বেশ স্বাদের জিনিস 😋
আমি ছোট বেলায় খেতাম মাঝে মাঝে।
এখন আমার মেয়েকে মাঝে মাঝে কিনে দেই। সে বেশ তৃপ্তি নিয়ে খায়, ব্যাপারটা ভালোই লাগে ☺️ আপনার পোস্টটি যথেষ্ট সুন্দর লেগেছে ♥️
জ্বি ভাই,
হাওয়াই মিঠাই কে কেউ কখনো না করতে পারে নি, আর কখনো না করতে পারবেও না।
আপনার মন্তব্যটি অনেক সুন্দর হয়েছে ভাই। 🥰😊
২০১৪ সালের শেষের দিকে মনে হয় এই হাওয়াই মিঠাই খেয়েছিলাম। তখন পুরাতন কৌঠা এসব দিয়ে খেয়েছিলাম 😐। সময়ের পালাক্রমে আসলেই ভাই এটা হারিয়ে গেছে। এখন আর তেমন দেখিনা কোথাও আর খাওয়াও হয়না। ছোট রাজা খুব খুশি হয়েছে দেখেই বুঝা যাচ্ছে। আমাদের সাথে মুহূর্তগুলো ভাগ করে নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
জ্বি ভাই এমন ভাবে হারিয়ে গেলো তা আর খুজে পাওয়াই যায় না।
আগে মেলায় পাওয়া যেত, কিন্তু করোনার কারণে গত দুবছরে কোনো মেলাও হয় নি।
সব মিলিয়ে অনেক সুন্দর একটি মন্তব্য ছিলো ভাই। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ❤️
আপনাকেও ধন্যবাদ। 😍
বাহ দারুন মিলিয়েছেন তো। হাওয়াই মিঠাই কত খেয়েছি ছোট বেলায়। আপনার পোষ্ট দেখে মনে পড়ে গেল পুরোন স্মৃতি। এখন আর এই হাওয়াই মিঠাই দেখা যায় না। মেলাতে মাঝে মধ্যে দেখা যায়। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি পুরোন স্মৃতি মনে করিয়ে দেয়ার জন্য।
করোনার কারণে এখন আর মেলাও হয় না ঠিক মতো। আমার এই পোষ্টের কারণে আপনার পুরোনো স্মৃতি মনে পড়ে গেলো শুনে ভালো লাগলো ভাই।
অনেকদিন হলো হাওয়া মিঠাই খাওয়া হয়নি। আমার কাছে এই ধরনের খাবার মাঝে মাঝে খেতে খুবই ভালো লাগে। খুব সুন্দর একটি মুহূর্ত পার করলেন তার সাথে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের প্রপোজাল বিষয়টি খুব ভালো লেগেছে। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য। ❤️❤️
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই পুরো পোষ্টটি মনোযোগ দিয়ে এত সুন্দরভাবে পড়ার জন্য❤️😊
হাওয়াই মিঠাই দিয়ে প্রপোজ করার মুহূর্তটি মনে হচ্ছে অনেক রোমান্টিক ছিল যদিও কাপল দুটি বিবাহিত ছিল। ছোটবেলায় এই হাওয়াই মিঠা অনেক খেয়েছি এটি খেতে বেশ মজা লাগে ,এখন মাঝেমধ্যে যদি বাসাবাড়িতে বিক্রয় করতে আসে এটি তাহলে আমি খাই। এটি তৈরি করার প্রসেস টি দেখতে আমার অনেক ভালো লাগে। ধন্যবাদ ভাই অনেক সুন্দর কিছু মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
সিকিউরিটি পারপাস এ আমি সেটির স্থিরচিত্র গ্রহণ করতে পারি নাই।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য ❤️😊🥰
ভাই দেখি বাচ্চা হয়ে গেলেন 😄😄😄। হাওয়াই মিঠাই আমিও খেয়েছি খুবই মজাদার। তবে বাতাসা বলতে আমরা অন্য একটি খাবার বুঝি। এটা এমন এক খাবার সব বয়েসের লোকই খেতে পারে। দারুণ একটি পোস্ট ছিল।
হাহা জ্বি ভাই, মাঝে মধ্যে এমন একটু বাচ্চামি স্বভাব ভালোই লাগে। জানি না তো আমি আপনাদের ওখানে বাতাসা বলতে কি বোঝায়।
অনেক সুন্দর একটি মন্তব্য ছিলো ভাই।
ভাই আপনার পোস্ট পড়ে ও হাওয়াই মিঠাই দেখে ছোটবেলার কথা মনে পড়ে যায়, ছোটবেলায় হাওয়াই মিঠা অনেক অনেক পছন্দ করতাম, ছোটবেলায় আব্বু অনেক হাওয়াই মিঠাই কিনে দিত। আপনার পোস্টটি আমার সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে হ তে হাওয়াই ও খ তে খেয়ে মজা পাই। কিন্তু ভাই এই জিনিসটা খাইলেও পস্তাবেন না খাইলেও পস্তাবেন এমন একটি অবস্থার মধ্যে পড়ে যায়। শুভকামনা রইল ভাই আপনার জন্য।
হাহাহা,
ঠিকি বলেছেন ভাই, খেলেও পস্তাবো আবার না খেলেও পস্তাবো। ❤️❤️
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই 😊
ভাইয়া আপনার হাওয়াই মিঠাই দেখে ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল। ছোটবেলায় এই হাওয়াই মিঠাই দেখলে খুব খেতাম। কিন্তু তখনকার এরকম বড় হাওয়াই মিঠাই পাওয়া যেত না। ছোট ছোট গোল গোল হাওয়াই মিঠাই পাওয়া যেত। আসলেই এই জিনিষটি এত আকর্ষণীয় এবং মজাদার যে বাচ্চারা দেখলে লোভ সামলাতে পারেনা। ধন্যবাদ ভাইয়া হাওয়াই মিঠাই নিয়ে সুন্দর একটি পোষ্ট আমাদের সামনে উপস্থাপন করার জন্য।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
ছোট বাচ্চাদের সাথে সাথে বড়রাও কিন্তু লোভ সামলাতে পারে না। 😊😉
হাওয়াই মিঠাই খাওয়ার সময়টুকু আপনি অনেক সুন্দর ভাবে উপভোগ করেছেন।
এবং সেটা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ,,,,
জ্বি ভাই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য 💜❤️🥰
ভাইয়া আজ থেকে প্রায় আট বছর আগে হাওয়াই মিঠা খেয়েছিলাম। আমার কাছে হাওয়াই মিঠা খেতে অনেক অনেক ভালো লাগে। ভাইয়া হাওয়াই মিঠাই আপনার গল্পটি পড়ে আমার খুবই ভালো লেগেছে। ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে অনেক সুন্দর হয়েছে। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
জ্বি ভাই আমিও প্রায় অনেক বছর পরেই খেয়েছি, এখন তো খুজে পাওয়াই যায় না এগুলো😊