প্রসঙ্গঃ "বাংলাদেশ বনাম অষ্ট্রেলিয়া" [4th T-20 ] // আমার বাংলা ব্লগ // [ ০৭ আগষ্ট ২০২১ ]
২১ই শ্রাবণ ১৪২৮
প্রসঙ্গঃ "৩ উইকেটের জয়ে ঘুরে দাঁড়ালো অষ্ট্রেলিয়া! ৩-১ ব্যবধানে এগিয়ে বাংলাদেশ।"
সিরিজের ৪র্থ ম্যাচে এসে জয়ের দেখা পেলো সফরকারী অষ্ট্রেলিয়া। ৩উইকেটের জয় দিয়ে শেষ করে সিরিজের ৪র্থ ম্যাচ। সাকিবকে এক ওভারে ৫টি বড় ছক্কা হাকিয়ে চালকের আসনে বসান, ড্যানিয়েল ক্রিস্টিয়ান। ড্যানিয়েল ক্রিস্টিয়ান এর ১৫ বলে ৩৯ রানের টর্নেডো ইনিংসের জন্য ফ্রন্টফুটে চলে যায় অষ্ট্রেলিয়া। বাংলাদেশ সফরে অষ্ট্রেলিয়ার প্রথম জয়ের জন্যে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
টস ও ব্যাটিংঃ
০৭ আগষ্ট ২০২১, সন্ধ্যা ৬ টায় টস জিতে ব্যাটিং এর সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। অপরিবর্তিত দল নিয়ে অষ্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৪র্থ টি২০ ম্যাচে খেলতে নামে বাংলাদেশ। যথারীতি আগের মতোই এদিন ও ওপেন করতে নামেন সৌম্য ও নাঈম। প্রথম ওভারে দেখে শুনে ২ রান নিলেও পরবর্তী ২ ওভারে ২০ রান নিলে ৩ ওভারে ২২ রান করে বাংলাদেশ। এদিন ভালো শুরুর অভাস দিলেও সৌম্য জ্বলে উঠতে পারে নি। মাত্র ৮ রান করেই প্যাভিলিয়নে ফেতর চলে যায়। নাঈমের সাথে সাকিব ব্যাট করতে নেমে শুরু হয় ধীরগতির ক্রিকেট। এদিন যেনো চোখ দিয়ে কোনো বল দেখতেই পারেন নি সাকিব আল হাসান। রানের থেকে বলের পরিমাণ যেনো বেড়েই চলেছে। টি২০ ক্রিকেট যত বেশি ডট বল তত বেশি চাপ। আর এই চাপের কারণেই সাকিব জ্যাহলউডের শিকার হয়ে মাঠ ছাড়েন। এর[পর বাংলাদেশের ক্যাপ্টেন মাহমুদুল্লাহ নামলে তিনিও ভালো সূচনা করতে পারেন নি। প্রথম বলেই লেগ বি ফর উইকেটের ফাঁদে পড়ে শুন্য রানে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে। এরপর যেনো সবার যাওয়া আসার মিছিল শুরু হয়। এর মধ্যে আফিফ হোসেন ১৭ বলে ২০রানের একটি ইনিংস খেলেন। ২০ ওভার শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে ১০৪ রান তুলতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারেই উইকেট হারান অষ্ট্রেলিয়া। এদিন অষ্ট্রেলিয়ান ক্যাপ্টেন ও ভালো কিছু করতে পারেন নি দলের জন্য। এর নাসুম আহমেদ এর স্পিন ঘুর্নীতে আবদ্ধ হতে থাকে অষ্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যান রা। কিন্তু সাকিব আল হাসান এর করা ৪র্থ ওভারে টানা ৪টি ছক্কা ও ওভারে মোট ৫টি ছক্কা হাকিয়ে দলকে জয়ের একধাপ এগিয়ে নিয়ে যান ক্রিস্টিয়ান। ১৫ বলে খেলেন ৩৯ রানের ম্যাচ উইনিং ইনিংস। এরপরের ওভারে ক্রিস্টিয়ান মুস্তাফিজের কাটারে ধরা পড়লে থেমে যায় অষ্ট্রেলিয়ার রানের গতি। কিন্তু একে-দুয়ে করতে করতে আগারের ব্যাটে ভর করে জয়ের বন্দরে পৌছে যায় অষ্ট্রেলিয়া। আর এর মধ্যে দিয়ে হোয়াইটওয়াশ হাত থেকে রক্ষা পায়।
টার্নিং পয়েন্ট ফর উইনিং টিমঃ-
আজকের খেলার জয়ী দল হলো অষ্ট্রেলিয়া। তাই, আজকে অষ্ট্রেলিয়ার টার্নিং পয়েন্ট নিয়ে কথা বলবো! বোলিং সেক্টরে পরপর মাহমুদুল্লাহ ও সোহানের উইকেট তুলে নেওয়া অষ্টেলিয়ার টার্নিং পয়েন্ট ছিলো আবার ব্যাটিং সেক্টরে সাকিবের এক ওভারে ৩০রান নেওয়াটাও টার্নিং পয়েন্ট ছিলো।
আশা করি, আমার এই ব্লগটি আপনার ভালো লেগেছে।
আমার সম্পর্কে কিছু কথাঃ-
আমি মোঃ আবু হেনা সরকার। আর আমার ডাক নাম সাগর। আমি একজন স্বাধীন চেতনাময়ী ছেলে। যেসব সবসময় স্বাধীনতাকে প্রাধান্য দেই। আমি লিখতে, পড়তে, ফটোগ্রাফি, ভিডিওগ্রাফি, বিশ্লেষন এবং কোনো অজানা বিষয় সম্পর্কে জানতে ভিশন আগ্রহী ও ভালোবাসি। আমি একজন মিশুক ছেলে। সবার সাথে মিশতে আমার অনেক ভালো লাগে।
সাকিবের এক ওভারে ৩০ রান - এটাই গতকালকের খেলায় দুই দলের পার্থক্য করে দিয়েছে।
ম্যাচ হারার চেয়ে সাকিবের বলে ৫ ছক্কায় বেশি কষ্ট লেগেছে।
চেষ্টা করেছে অনেক। সাকিব ৫ টা ছয় না খাইলে হয়তো জিততে পারতাম ভাই