এশিয়ার সর্ববৃহৎ সূর্যপুরী আমগাছ পর্যটকদের প্রধান আকর্ষণ // আমার বাংলা ব্লগ // [ 10-08-2021 ]
২৪ই শ্রাবণ ১৪২৮
এশিয়ার সর্ববৃহৎ সূর্যপুরী আমগাছ পর্যটকদের প্রধান আকর্ষণ
Camera | Walton GF7 |
---|---|
Mode | Portrait |
ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার হরিণমারী সীমান্তে মন্ডুমালা গ্রামের রয়েছে এক বিশাল আমগাছ। আমগাছটি এক একর এর অধিক ডালপালা মেলে দাঁড়িয়ে আছে। বিশেষজ্ঞদের মতে সূর্যপুরী আমগাছটি এশিয়ার সর্ববৃহৎ আমগাছ। সূর্যপুরী আমগাছ টি দেখার জন্য দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতিদিন শতশত মানুষ ছুটে আসেন। অনেকেই পিকনিক স্পট মনে করে বনভোজনের প্রস্তুতিও নিয়ে আসেন। সরকারের মন্ত্রী, জাতীয় সংসদ সদস্য, সচিব, হাইকমিশনার ও বিভিন্ন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা বৃন্দ ও রাজনৈতিক লোকজন সূর্যপুরী আমগাছটি একনজর দেখার জন্য হরিণমারীর মুন্ডুমালা গ্রামে ছুটে আসেন।
কয়েকদিন আগে আমের মৌসুম চলছিল আর আমগাছটি দেশের বিখ্যাত প্রজাতির সূর্যপুরী আমগাছ। দেখতে চমৎকার, সুমিষ্ট এবং ছোট আঁটি বিশিষ্ট আমটির স্বাদ যিনি একবার পেয়েছেন তিনি বারবার ছুটে এসেছেন উত্তরের প্রত্যন্ত এলাকার হরিণমারীর মন্ডুমালা জনপদে। তবে এই সূর্যপুরী আমগাছটি ফলের চেয়ে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে সুপরিচিত হয়ে উঠেছে। মন্ডুমালা গ্রামের মোহাম্মদ ইসলাম উদ্দিন এর পিতামহ আম গাছের চারা রোপণ করেছিলেন। মোঃ ইসলাম উদ্দিন এ সূর্যপুরী আম গাছের আম ভোগ করেছেন। ডিজিটাল বাংলাদেশের মিডিয়ার কবলে পড়ে প্রায় এক একর এর অধিক জমিতে অবস্থিত সূর্যপুরী গাছটি বর্তমানে পর্যটন কেন্দ্রে রূপান্তরিত হচ্ছে। প্রায় দুইশত বছরের পুরাতন এ সূর্যপুরী আমগাছটি দেশের শ্রেষ্ঠতম পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে পরিণত হতে পারে।
এই সূর্যপুরী আমগাছ এর চারিপাশে যথেষ্ট পরিমাণ জমি থাকলে অতি সহজে এলাকাসহ এলাকা বহির্ভূত পর্যটক, ভোজন রশিক ও ভ্রমণ পিপাসুদের প্রাণকেন্দ্র হয়ে উঠতে পারে। এজন্য প্রয়োজন সরকারি সহযোগী ও এলাকাবাসীর বিশেষ ধরনের উদ্যোগ। অপরদিকে সূর্যপুরী আমগাছটির পৈতৃক সূত্রে মালিক মোহাম্মদ ইসলাম উদ্দিন প্রতি মৌসুমে আম গাছের প্রতিটি আম কমপক্ষে 200 টাকা থেকে পাঁচশত টাকা পর্যন্ত বিক্রি করে পরিবারের আর্থিক স্বচ্ছলতা এসেছে। এলাকাবাসীর দাবি অনুসারে উক্ত সূর্যপুরী আমগাছটি দেখার জন্য চলাচলের রাস্তাটি পাকা নির্মাণসহ আম গাছের নিচে বসার সুব্যবস্থা করলে অতি দ্রুত আমগাছটি পর্যটন শিল্পের মধ্যে জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
আমি এই জায়গাতে গেছিলাম ২০১৮ সালের জুলাই মাসে। তার উপর ভিত্তি করেই আজকের এই ব্লগটি লেখা। আশা করি, আমার এই ব্লগটি আপনার ভালো লেগেছে।
আমার সম্পর্কে কিছু কথাঃ-
আমি মোঃ আবু হেনা সরকার। আর আমার ডাক নাম সাগর। আমি একজন স্বাধীন চেতনাময়ী ছেলে। যেসব সবসময় স্বাধীনতাকে প্রাধান্য দেই। আমি লিখতে, পড়তে, ফটোগ্রাফি, ভিডিওগ্রাফি, বিশ্লেষন এবং কোনো অজানা বিষয় সম্পর্কে জানতে ভিশন আগ্রহী ও ভালোবাসি। আমি একজন মিশুক ছেলে। সবার সাথে মিশতে আমার অনেক ভালো লাগে।
অনেক সুন্দর লিখেছেন ভাইয়া। ধন্যবাদ ভাই মন্তব্য করার জন্য
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
এই গাছটি নিয়ে ইত্যাদিতে একটি অনুষ্ঠান দেখেছিলাম। আজ আপনার পোস্ট টা পড়লাম। সত্যি খুব ভালো লাগল।
আপনার ভালো লেগেছে শুনে ভালো লাগলো ভাই
জনশ্রুতি আছে, কয়েক শ বছর আগে তৎকালীন ভারতবর্ষের উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুরের সূর্যপুর এলাকায় এই আমের বেশ জনপ্রিয়তা ছিল। ধারণা করা হয়, ওখান থেকেই আমের জাতটি এখানে আসে। [সূত্রঃ প্রথম আলো]
ওহ আচ্ছা ভাইয়া, এত ইতিহাস আমার জানা ছিলো না। জানানোর অসংখ্য ধন্যবাদ
আসলেই গাছটি অনেক বড় এবং এটা সম্পর্কে মোটামুটি আমার আগে থেকে ধারণা আছে ধন্যবাদ আপনাকে ভাল লিখেছেন।
আপনার ভালো লেগেছে শুনে ভালো লাগলো ভাই