আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস || || 10% Beneficiary To @shy-fox 🦊
আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা
সবাই কেমন আছেন? আশা করছি মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে ভালো আছেন সবাই। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
আজ ২১ ফেব্রুয়ারি। জাতীয় শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। ১৯৫২ সালের এই দিনে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে রফিক, জব্বার, শফিউল, সালাম, বরকত সহ শহীদ হন নাম না জানা অনেক ভাইবোন। তাদের রক্তের বিনিময়ে আজ আমরা বাংলায় কথা বলতে পারি। মাতৃভাষায় নিজের মনের ভাব প্রকাশ করতে পারি। আজকের এই দিনের সকল ভাষা শহীদ দের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি।
১৯৫২-এর ভাষা আন্দোলন বাঙ্গালী জাতির সংগ্রামী চেতনার মহাকাব্য। আমাদের জাতিসত্তার চাবিকাঠি।
৫২’র আন্দোলনের পথ বেয়েই আমাদের চেতনা তথা স্বাধীনতা আন্দোলন ত্বরান্বিত হয়।
প্রতি বছর ২১ ফেব্রুয়ারিতে বিভিন্ন রকম কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। এইদিনটি যথেষ্ট ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যে পালন করি আমরা।
সূর্যোদয়ক্ষণে সকলে মিলিত হই একটি স্থানে। সবাই শোক এর প্রতিক কালো ব্যাচ ধারণ করি। তারপর পুষ্পস্তবক হাতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এর উদ্দেশ্যে রওনা হয় আমাদের প্রভাতফেরি।
শহীদ মিনার এর উদ্দেশ্যে বের হওয়া প্রভাতফেরি সবাই সম্মিলিত কন্ঠে গেয়ে উঠি
আমার ভাই এর রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারী আমি কি ভুলিতে পারি
এই গানটি গাওয়ার সময় গায়ে কাটা দিয়ে ওঠে। প্রচন্ড আবেগ মাখা একটি গান।
পায়ে পা মিলিয়ে হেটে হেটে আমাদের প্রভাতফেরি টি চলে আসে রংপুর টাউন হল এ অবস্থিত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এর কাছে।
শহীদ মিনার ও পুষ্পস্তবক অর্পন করে ভাষা শহীদ দের শ্রদ্ধা নিবেদন করি। এই শহীদ মিনার এই রংপুর এর সকল অফিস, স্কুল, কলেজ, রাজনৈতিক সংগঠন, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন পুষ্পস্তবক অর্পন করে ভাষা শহীদ দের শ্রদ্ধা নিবেদন করে।
পুস্পস্তবক অর্পন শেষে ভাষা শহীদ দের স্মরণে ১ মিনিট নিরবতা পালন করি।
আমাদের কর্মসূচি ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে আমাদের অনুভূতি ও আমাদের কি কি দাবি বা প্রত্যাশা সেগুলো জানতে চায় নিউজ চ্যানেল। সাক্ষাৎকার দেই তাদের।
এসকল কর্মসূচির মাধ্যমেই আমাদের আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করে থাকি।
রক্তঝরা এইদিনকে স্মরণীয় করে রাখতে ১৯৯৯ সালের ১৭ই নভেম্বর অনুষ্ঠিত ইউনেস্কোর প্যারিস অধিবেশনে ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণার প্রস্তাব উত্থাপন করে। ২০১০ সালের ২১ অক্টোবর জাতিসংঘ ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করার প্রস্তাব দেয় এবং প্রস্তাবটি সর্বসম্মতভাবে পাস হয়। ২১ ফেব্রুয়ারী এক যোগে সারা পৃথিবীর মানুষের কাছে কাছে তাৎপর্যপূর্ণ।
মাতৃভাষা হল মায়ের ভাষা। মাতৃভাষা আমাদে সংস্কৃতিকে ইতিহাসের স্নিগ্ধ বন্ধনে জড়িয়ে রাখে। মাতৃভাষা আমাদের সকলের কাছে প্রচন্ড আবেগের। নিজেদের এই আবেগকে রক্ষা করার দায়িত্ব আমাদের নিজেদেরই।
তাই আমাদের নিজেদের সংস্কৃতি কে আপন করে অপসংস্কৃতিকে বর্জন করতে হবে । নতুন প্রজন্মকে তাদের ভাষা ও সংস্কৃতির ব্যাপারে সচেতন করতে হবে ও মাতৃভাষার সঠিক চর্চার মধ্যে রাখতে হবে। মাতৃভাষার ব্যাবহার হবে সুন্দর, সাবলীল ও শুদ্ধ। এই কার্যকলাপ গুলো সঠিকভাবে পালন করতে পারলেই আমাদের আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন সার্থক হয়ে উঠবে।
আজ শেষ করছি এখানেই। সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার লেখাটি পড়ার জন্য। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন ও সাবধানে থাকবেন। শুভ কামনা রইলো সকলের জন্য।
চিত্রধারণকৃত ডিভাইস | vivo |
---|---|
লোকেশন | রংপুর |
জয় হোক মাতৃভাষার সারা জীবন বাঙালি স্মরণ রাখুক মাতৃভাষা জয়ের ইতিহাস। সারা পৃথিবীর বুকে এ ভাষা যেন আজীবন টিকে থাকে। ধন্যবাদ আপনাকে কালকের সকালটা যে শহীদ ভাইয়ের স্মরণে পালন করেছেন তার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য