আমার জন্মদিন এর কিছু মুহূর্ত || 10% Beneficiary To @shy-fox 🦊
আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা
সবাই কেমন আছেন? আশা করছি মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে ভালো আছেন সবাই। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
আজ কিছু আনন্দে মুহূর্ত ভাগ করে নিতে এসেছি আপনাদের সাথে।
গতকাল মানে ২৩ এপ্রিল ছিলো আমার জন্মদিন। জন্মদিন মানেই স্পেশাল দিন। আমার কাছে আমার জন্মদিন এ অন্যরকম একটা অনুভূতি কাজ করে। আপনাদের ও কি তাই করে?
তো রাতে ১২ টা বাজতেই কল করে, মেসেজ দিয়ে অনেকেই জন্মদিন এর শুভেচ্ছা জানালো। এই যে সবাই আমার জন্মতারিখ মনে রেখে আমাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে এটাতেই ভালো লাগা কাজ করে।
এবার আমার জন্মদিন এর দিন ই খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা কাজ পরে গেছে। তাই জন্মদিন উদযাপন করার কোনো প্লান ছিলো না। ২৩ তারিখ দিন এ কিংবা সন্ধ্যার পর কয়েকজন ছোট ভাইবোন আমার সাথে দেখা করতে চাইলে তাদের ও অনিচ্ছাকৃত ভাবেই না করতে হয়েছে। তাই এবার জন্মদিন এ সারাটা দিন মন টা খারাপ ছিলো।
কিন্তু সন্ধ্যার পর যখন আমি বাসায় ফিরি তখন বাসায় আসার সাথে সাথেই কেউ একজন পেছন থেকে আমার চোখ ধরে ফেলে এবং আমার রুম এ আমাকে নিয়ে আসে। বুঝতে বাকি রইলো না কিছু একটা প্লান হয়েছে। আমার রুম এ আসতে আমার ওপর স্নো স্প্রে শুরু হয়ে যায়। তারপর আমার যখন আমার চোখ খুলে দেয়া হলো সারাদিন এর মন খারাপ এক নিমিষেই ভালো হয়ে গেলো।
আমার ছোট ভাই বোন রা মিলে আমার রুম টি সাজিয়েছে এবং কেক ও ফুল এনেছে। দিনশেষে এদের ভালোবাসাই আমার প্রাপ্তি।
তারপর শুরু হয় ছবি তোলার ধুম। আম্মু, মামি ও ভাই বোনদের সাথে ছবি তুলে মুহূর্তগুলোকে বন্দি করে রাখলাম।
এবার জন্মদিনের মূল আকর্ষণ কেক কাটার পালা। স্পার্ক ক্যান্ডেল জ্বালিয়ে দেয়া হয় এবং আমি একটি কেটে নেই। এখন তো মোমবাতি ফু দিয়ে নিভিয়ে দিতে হয় না, একাই নিভে যায়।
এরপর সবাইকে কেক খাইয়ে দেই আমি। আর আমাকে কেক খাওয়ানোর ভান করে মুখে ক্রিম লাগিয়ে দেয়।
কেক খাওয়া শেষ হলে ছোট ভাই পিজ্জা খেতে চায় কিন্তু সে বাইরে যাবে না। তাই অনলাইন অর্ডার দিয়ে দিলাম। 30 মিনিট পর তারা ফোন করে বলল তাদের ডেলিভারি ম্যান আসেনি। তাই আমার ছোট ভাইকে বাইরে যেতেই হল। সে রেস্টুরেন্টে গিয়ে প্লাটিপাসকে করে নিয়ে আসে। পিজ্জা আর কোল্ড ড্রিংকস খেতে খেতে আমরা অনেক গল্প করি।
আমি যখন বাসায় আসছিলাম তখন খুবই ক্লান্ত ছিলা। ভেবেছিলাম বাসায় এসেই ঘুমিয়ে পড়ব। কিন্তু এদের এসব আয়োজন দেখে আমার ক্লান্তি কোথায় যেন চলে গেকো। একটুও মনে হচ্ছে না আমি ক্লান্ত। অনেক ভালোলাগা কাজ করছিল।
আজ এখানেই শেষ করছি। সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্ট টি পড়ার জন্য। আবার দেখা হবে আপনাদের সাথে নতুন কিছু নিয়ে। সবাই ভাল থাকবে, সুস্থ থাকবেন ওসাবধানে থাকবেন।
ছবি উঠানোর জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | Redmi 9 |
---|---|
লোকেশন | রংপুর |
w3w | লিংক |
প্রথমে জন্মদিনের শুভেচ্ছা রইল আপু। জন্মদিনের ছবিগুলো দেখে অনেক ভালো লাগল।শুভহোক আপনার আগামি দিনগুলো।ধন্যবাদ আমাদের মাঝে শেয়ার করার। জন্য।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাক।
আপনার জন্যও শুভকামনা রইল ।
প্রথমে আপনাকে জানাই শুভ জন্মদিন। জীবনে অনেক ভালো কিছু করেন সামনের দিকে এগিয়ে যান এই দোয়া করি। আর জন্মদিনে খুব সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছেন আপনার পরিবারের সাথে। যা দেখে মনটা ভরে গেল। খুব সুন্দর একটি সময় পার করেছেন দেখে বোঝা যাচ্ছে। জন্মদিনের এরকম সুন্দর কিছু মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
পরিবারের সাথে জন্মদিন পালন করলে আসলে অনেক ভালো লাগে। আপনার মন্তব্যের জন্য ও মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে জন্মদিন এর শুভেচ্ছা জানানোর জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
ভালোই কেটেছে আপনার মুহুর্ত টি। এমন সারপ্রাইজ দেখলে যেনকেউই খুশি হবে। যাইহোক জন্ম দিনের শুভেচ্ছা জানাই। একটু পর হলেও জানিয়েছি কারন আমরা জানতামান। ধন্যবাদ আপু আপনার সুন্দর মুহূর্তে আমাদের মাঝে ভাগ করে নেওয়ার জন্য শুভকামনা রইল।
ঠিক বলেছেন, সারপ্রাইজ পেয়ে খুব খুশি হয়েছিলাম।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
প্রথমেই বলব, হ্যাপি বার্থ ডে টু ইউ। আপনার এত সুন্দর জন্মদিন পালন আমার ভালোবাসা লেগেছে। কারণ জন্মদিনে তো আপন জনরা থাকবেই। সবমিলিয়ে সুন্দর একটি সময়। অনেকেই সময় ধরে রাখতে চাই, কিন্তু পারি না। তবে জন্মদিন গুলো ও তার আয়োজন মনের মধ্যে গেঁথে থাকে সুন্দর ভাবে।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনজনরা থাকলে জন্মদিন আরো স্পেশাল হয়। এরকম দিন ভোলার মতো নয়।
একদিন পরে হলেও জানায় জন্মদিনের শুভেচ্ছা।আসলে জন্মদিন দিন মানেই হলো জীবন থেকে একটি বছর কে হারিয়ে ফেলা এবং এক বছর এগিয়ে যাওয়া খুব সুন্দর উপস্থাপনা করেছেন❤️❤️
সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে জন্মদিন এর শুভেচ্ছা জানানোর জন্য ধন্যবাদ।
আসলে জন্মদিনের দিন আলাদা রকম একটা অনুভূতি কাজ করে, নিজেকে একটু ছোট ছোট মনে হয় আরকি। 😁
সারাটা দিন খারাপ গেলেও সন্ধ্যার পরে দারুন হয়েছে জন্মদিনের উদযাপন, ছোট ভাই বোনেরা মিলে ভালোই সারপ্রাইজ দিয়েছিল। খুবই ভালো লাগলো জন্মদিনের কাহিনী পড়ে। ধন্যবাদ আমাদের মাঝে এত সুন্দর গোছালোভাবে জন্মদিনের কাহিনীটি উপস্থাপন করার জন্য।
জন্মদিন এ সবাই একটু স্পেশাল ভাবে ট্রিট করে তাই নিজেকে বাচ্চা মনে হয় 😛
এই দিনে আমরা পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
শুভ জন্মদিন সাদিয়া আপু,আপনার আগামী দিন গুলো কাটুক এই কামনা করি।জন্মদিনের বিশেষ মূহুর্ত গুলো আমাদের মাঝে তুলে ধরছেন খুবিই ভালো লাগল।আমরাও আনন্দিত, ধন্যবাদ সময় নিয়ে আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য
আমার এই পরিবার এর সাথে আনন্দ গুলো ভাগাভাগি করে না নিলে তা অপূর্ণ থাকতো।
আপনার মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ।
প্রথমেই জন্মদিনের শুভেচ্ছা রইল আসলে ছবিগুলো দেখে আমার বেশ ভালো লাগলো। অনেক সুন্দর মুহূর্ত উদযাপন করেছেন এবং মাহির ভাইয়া কেও দেখলাম অসাধারণ। প্রযুক্তি এবং সর্বোপরি আপনার ছবিটি দারুণ ভাবে ফুটে উঠেছিল এবং লাস্টে পিজ্জা থেকে আর মাথায় কাজ করছে না 😁😁
ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করে আমাকে জন্মদিন এর শুভেচ্ছা জানানোর জন্য।
মাহির যে আমার ভাই ও তো থাকবেই। আর পিজ্জা দেখে মাথা খারাপ না করে চলে আসুন, দাওয়াত রইলো।
আসলেই আগের দেখতাম মোম নেভানোর জন্য কত বার ফুঁ দিতে হতো। এখন আর সেই ঝামেলা নাই। অটোমেটিক নিভে যায়।
যাইহোক, জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন রইলো। ভালো কাটুক আপনার সারাটি জীবণ। 💞
ছোট বাচ্চারা তো মোমবাতি নিভাতে পারতো না, তখন তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ব্যক্তি মোমবাতি নিভিয়ে দিতো😛
সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে জন্মদিন এর শুভেচ্ছা জানানোর জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
জন্মদিন আপনাকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন জানাই। আগামীর পথ চলা আপনার খুব সুন্দর এবং সাফল্য মন্ডিত হোক এই আশাবাদ ব্যক্ত করি। খুব সুন্দর ভাবে আপনি জন্মদিনের মুহূর্তগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। দেখে খুবই ভালো লাগলো । এত অসাধারণ পোষ্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। আপনি আপনার মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে জানিয়েছেন খুব ভালো লাগলো। ভালো থাকবেন।