ঝাল-মিষ্টি টমেটো চাটনির রেসিপি || 10% Beneficiary To @shy-fox 🦊
আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা
সবাই কেমন আছেন? আশা করছি মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে ভালো আছেন সবাই। আমি খুব একটা ভালো নেই। ওষুধ খাচ্ছি। খুব দ্রুতই সুস্থ হয়ে যাবে ইনশাল্লাহ।
টমেটো একটি সুস্বাদু ও পুষ্টিকর সবজি। টমেটো শীতকালীন সবজি হলেও এখন সারা বছরই পাওয়া যায়। খাবারের স্বাদ বাড়াতে টমেটোর জুড়ি মেলা ভার। কাঁচা কিংবা পাকা দুভাবে টমেটো খাওয়া যায়।
অনেক সময় টমাটো সালাত করে খাওয়া হয়। আবার বিভিন্ন সবজি বা মাছ রান্নায় টমেটো যোগ করলে রান্নার স্বাদ অনেক বেড়ে যায়।
এছাড়াও টমেটোর একটি মজাদার রেসিপি হলে টমেটো চাটনি। ভাত খাওয়ার সময় টমেটো চাটনি থাকলে খাবার রুচি অনেক বেড়ে যায়। বিশেষ করে আলু ভর্তা আর ডাল এর সঙ্গে যদি টমেটো চাটনি থাকে তাহলে তো কথাই নেই।
আমি আবার খাওয়া শেষ করেও টমেটো চাটনি এমনিতেই খাই। আমার কাছে এই রেসিপিটি খুবই পছন্দের।
আজ আমি আমার পছন্দের টমেটো চাটনি রেসিপি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করবো। আশা করি আপনাদেরও এই রেসিপিটি ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয় উপকরণ
১. টমেটো
২. পেঁয়াজ
৩. কাঁচা মরিচ
৪. রসুন
৫. লবণ
৬. চিনি
৭. সয়াবিন তেল
৮. হলুদ গুড়া
৯. মরিচ গুড়া
১০. পাঁচফোড়ন গুঁড়া
১১. ধনিয়া গুড়া
১২. জিরা গুড়া
প্রস্তুত প্রণালী
ধাপ-১
টমেটোগুলোকে ছিলে নিয়ে ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নিয়েছি।
![]() | ![]() |
---|
একটি পেঁয়াজ কুচি করে নিয়েছি এবং অর্ধেকটি রসুনের কোয়া নিয়েছি এবং রসুনের কোয়া গুলোকে মাঝখানে কেটে নিয়েছি।
চারটি কাঁচা মরিচ এর মাঝখানে একটু কেটে নিয়েছি।
ধাপ-২
![]() | ![]() |
---|
চুলায় একটি কড়াই দিয়েছি এবং কড়াইয়ে পরিমাণমতো সয়াবিন তেল দিয়েছি। সয়াবিন তেল গরম হয়ে গেলে তাতে কেটে রাখা পেঁয়াজ ও রসুন গুলো দিয়েছি এবং হালকা ভেজে নিয়েছি।
ধাপ-৩
এবার টমেটো টুকরোগুলো গরম তেলে দিয়েছি এবং পেঁয়াজ ও রসুনের সাথে নেড়েচেড়ে নিয়েছি।
ধাপ-৪
সব গুড়ো মসলাগুলো টমেটোতে দিয়েছি এবং টমেটোর সাথে নেড়েচেড়ে মিশিয়ে নিয়েছে।
ধাপ-৫
এবার স্বাদমতো লবণ যোগ করেছি এবং টমেটোর সাথে একসাথে নেড়েচেড়ে মিশিয়ে নিয়েছি।
![]() | ![]() |
---|
এরপর স্বাদমতো চিনি দিয়েছি। তারপরে মাঝখানে ফালি করে রাখা মরিচগুলো দিয়েছি।
এবার সবকিছু একসাথে ভালো করে নেড়ে চেড়ে নিয়েছি। এখানে আলাদা করে পানি ব্যবহার করার প্রয়োজন নেই কারণ টমেটো আর চিনি থেকে পানি বের হবে।
এবার কড়াইটি ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিয়েছি।
ধাপ-৬
পানি শুকিয়ে আসলে ঢাকনা খুলে দেব এবং টমেটো গুলোকে অনবরত নাড়তে থাকবো যাতে কিছু টমেটো গলে যায়।
অর্ধেক টমেটো গলে গেলে টমেটো চাটনি চুলা থেকে নামিয়ে নেবো।
ঝাল-মিষ্টি মজাদার টমেটো চাটনি র রেসিপি টি আপনাদের কেমন লাগলো অবশ্যই কমেন্ট এর মাধ্যমে জানাবেন।
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন ও সাবধানে থাকবেন।
ধন্যবাদ সবাইকে।
ছবি উঠানোর জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | Tecno Spark 5 pro |
---|
আপনি ইউনিক একটি টমেটো চাটনি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করছেন। টমেটো আমার খুবই ভালো লাগে। তবে কখনো টমেটো চাটনি খাওয়া হয় নাই। আপনার ঝাল-মিষ্টি টমেটো চাটনির রেসিপি দেখে লোভ লেগে যাচ্ছে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আপু। ❣️
আপনি কখনো টমেটোর চাটনি খালি এটা শুনে খুব অবাক হলাম। টমেটো চাটনি আমাদের এদিকে খুবই প্রচলিত। আপনি আমার রান্না করার পদ্ধতি দেখে চাটনি করে খেয়ে দেখতে পারেন। আশা করি খারাপ লাগবে না।
আপনি একদম ঠিক বলেছেন আপু এখন প্রযুক্তির উন্নতির কারণে টমেটো সব সময় পাওয়া যায়। আপনি দেখছি চমৎকারভাবে টমেটোর চাটনি তৈরি করার পদ্ধতি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
আমিতো সাধারণভাবেই রান্নাটি করেছি আপনাদের এত প্রশংসা শুনে সত্যিই খুব ভালো লাগলো। ধন্যবাদ ভাইয়া।
তোমার টমেটো চাটনি রেসিপি দেখে আমার অনেক গুলো পুরনো কথা মনে পড়ে গেলো। কারণ এই কথাগুলো বাসায় চাটনি খেতে বসলেই আলোচনা করা হয়। যাইহোক তুমি খুব চমৎকার করে ঝাল-মিষ্টি টমেটোর রেসিপিটি আমাদের মধ্যে শেয়ার করেছ। চাটনি রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খেতে সুস্বাদু হয়েছে। রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার টমেটো চাটনি দেখেছে আপনার পুরনো কিছু কথা মনে পড়ে গিয়েছে যা আপনারা চাটনি খেতে বসলে আলোচনা করেন এটা শুনে ভালো লাগলো।
আর এই টমেটো চাটনি আসলে অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
ঝাল-মিষ্টি টমেটো চাটনির রেসিপি দেখে আমার জিব্বায় পানি চলে আসছে। আপনার চাটনি রেসিপি ধাপ গুলো সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। ঝাল মিষ্টি টমেটো দিয়ে কখনো চাটনি করে খাওয়া হয়নি। আপনার আন্না ধাপ গুলো দেখে মনে হচ্ছে না খেলে অনেক মিস করবো। তাই আমিও রান্না করে খাব। সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ।আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
এতদিন টমেটো চাটনি না খেয়ে ভালোই মিস করেছেন। এখন আর দেরি না করে ঝটপট রান্না করে খেয়ে ফেলুন না হলে আসলেই আরো বেশী মিস হয়ে যাবে।
শুভকামনা রইলো ভাইয়া।
চাটনি তো সব সময় ভালো লাগে খেতে আপু। কিন্তু কথা হলো, চাটনি তে পিয়াজ রসুন ও দিতে হয় ! 🙄। আমি সত্যিই এটা জানতাম না। এমনিতে রান্নার ব্যাপারে কোন অভিজ্ঞতা নেই আমার। তবে রেসিপি গুলো দেখতে বেশ ভালো লাগে। আশা করি বেশ টেস্টি হয়েছে। আমার হয়েও খেয়ে নিবেন আপু 🙏🙏
চাটনি বিভিন্ন পদ্ধতিতে করা যায়। পেঁয়াজ না দিলেও হয় আবার দিলেও ক্ষতি নেই। দুটির স্বাদ দু'রকম। আমি পেঁয়াজ দিয়েই করেছি কারণ আমার এটি বেশি ভালো লাগে। আর এর রেসিপি অনেক টেস্টি হয়েছিল। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
সত্যি বলতে কি টমেটো একটি সুস্বাদু খাবার। যে কোন খাবারে এই টমেটো ব্যবহার করলে তার স্বাদ আরও বেড়ে যায় ।যদিও এটা শীতকালীন সবজি তারপরেও প্রযুক্তির কল্যাণে এখন আমরা সারা বছরই এই সবজিটি পেয়ে থাকি।ঝাল-মিষ্টি টমেটো চাটনির রেসিপি অত্যন্ত সুস্বাদু এবং মজাদার হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
একদম ঠিক প্রযুক্তির কারণে আমরা এখন সব সিজনেই সব রকম সবজি খেতে পারছি। টমেটোর স্বাদ ও গুন অসাধারন। আর ঝাল মিষ্টি এই টমেটো চাটনি ও খেতে অনেক সুস্বাদু।
আপনার টমেটোর চাটনি রেসিপি বেশ চমৎকার হয়েছে ।দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে বেশ সুস্বাদু হয়েছে ।আপনি ঠিকই বলেছেন এধরনের টমেটোর চাটনি ভাতের সঙ্গে খেতে বেশ সুস্বাদু লাগে।প্রতিটি ধাপ আপনি খুব সুন্দর করে দেখিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু এই টমেটো চাটনি খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছিলো। গরম গরম ভাতের সাথে একেবারে জমে গিয়েছিল খাওয়া।
এই খাবারটি ভালোমতো রান্না করতে পারলে খুবই মজা হয় । টমেটো দিয়ে এই ধরনের খাবার আমি আগে খেতাম না।তবে কক্সবাজার ঘুরতে গিয়ে টমেটো ভর্তা খাওয়ার পর আমি এই ধরনের খাবারের ভক্ত হয়ে গিয়েছি । আপনার চাটনি দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে খুব মজা হয়েছে । ধন্যবাদ আপনাকে ।
যে কোন খাবারে স্বাদ নির্ভর করে রান্নার ওপর। টমেটো চাটনি ও ভালোভাবে রান্না করতে পারলে খুবই মজাদার হয়। যদিও টমেটো ভর্তা ও টমেটো চাটনি দুটি একেবারেই আলাদা রেসিপি। তবে আপনি যে এখন খেতে পারেন এটা শুনে ভালো লাগলো। আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
দোয়া রইল খুব তাড়াতাড়ি যেন সুস্থ হয়ে যেতে পারেন ।ঠিকই বলেছেন টমেটো খুবই মজাদার একটি সবজি এটি সালাদ করে খেতেও যেমন ভালো লাগে আবার যে কোন তরকারিতে দিলেও ভালো লাগে ।আপনি টমেটো দিয়ে খুবই মজাদার একটি চাটনি তৈরি করেছেন। এই খাবারটি গরম ভাতের সাথে ডাল দিয়ে খেতে অসাধারণ লাগে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে আমি তো মাঝে মাঝেই খাই ।আপনার রেসিপি দেখে ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ আপু।
আমার মত আপনিও দেখছি টমেটো চাটনি অনেক বড় ফ্যান। আমিও প্রায় সময়ই টমেটো চাটনি খেয়ে থাকি।