ভালোবাসার রং || 10% Beneficiary To @shy-fox 🦊

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা

সবাই কেমন আছেন? আশা করছি মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে ভালো আছেন সবাই। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।

আজ আবারো নতুন একটি পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি। আজ কোন রেসিপি বা ডাই পোস্ট কিংবা ফটোগ্রাফি পোস্ট নিয়ে আসিনি আমি। আশা করছি আমার আজকের পোস্ট টি আপনাদের ভালো লাগবে।

এখানে বলে রাখি আমি খুব একটা ভালো গল্প লিখতে পারিনা। চেষ্টা করেছি মাত্র। ভুল ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রইলো।

people-2561053__480.webp

Image source

জিম আর রাত্রির বিয়ে হয়ে গেল গতকাল। বিয়ের পরদিন সকালেই রাত্রি একটি নীল রংয়ের শাড়ি পড়ে জিম এর সামনে হাজির হয়েছে। জিম রাত্রির দিকে তাকাতেই রাত্রি জিজ্ঞেস করল দেখতো আমাকে কেমন লাগছে। আর তখনই জিম চলে গেল তার ফেলে আসা অতীতের কল্পনায়।

"জিম" বাবা মায়ের একমাত্র ছেলে। জিম এর বাবার পারিবারিক অবস্থা বিশাল। ছোটবেলা থেকেই রাজকীয়ভাবেই বড় করেছে একমাত্র ছেলেকে। ও হ্যা বলতে ভুলে গেছি জিম পড়াশুনা করছেন নামিদামি এক ইউনিভার্সিটিতে। জিম এর বাবা মায়ের ইচ্ছে ছেলে পড়াশোনা শেষ করে বাবার ব্যবসা এগিয়ে নিয়ে যাবে। জেম এর ও তাই ইচ্ছে।

ছোটবেলা থেকেই জিম এর কোনো ইচ্ছেই তার বাবা-মা অপূর্ণ রাখেনি। যখন যাই চেয়েছে সেটাই তার সামনে হাজির হয়ে গিয়েছে।

বিত্তশালী বাবা মায়ের ছেলে জীম ভালোবেসে ফেলল মধ্যবিত্ত পরিবারের রিয়াকে। রিয়া জীম এর ই ইউনিভার্সিটিতে পড়ে। পড়াশুনায় তুখোড়। স্কলারশিপ এর মাধ্যমে এই ইউনিভার্সিটিতে ভর্তির সুযোগ হয়েছে
তার। দুজনের প্রেম বেশ জমে উঠেছিল। ইউনিভার্সিটি শেষে তারা অনেকক্ষণ আড্ডা দিত মাঝে মাঝে কোন কফি সবে কফি খেতে খেতে আবার মাঝে মাঝে খোলা মাঠে বাদাম চিবোতে চিবোতে। পুরো ইউনিভার্সিটির সবার মুখে মুখে ছিলো তাদের প্রেম কাহিনীর চর্চা।

নীল রং ছিল জিম এর পছন্দের রং। জিম এর জন্মদিনে রিয়া শাড়ি পড়ে দেখা করতে এসেছে জিম এর সাথে। দুধে আলতা চেহারার রিয়া যখন নীল রংয়ের শাড়ি পড়ে জীম সামনে আসলো, মনে হচ্ছিল কোন এক অপ্সরী জিম এর সামনে এসে দাঁড়িয়েছে।

সমস্যাটা হল যখন তাদের এই ভালোবাসার কথা জীম এর বাবা-মায়ের কাছে পৌঁছলো। বড়লোক বাবা-মা কখনোই মধ্যবিত্ত রিয়াকে মেনে নেবে না। এবং এও বলে দেয় রাত্রি নামের মেয়ের সাথে তার বিয়ে ঠিক করেছে। রাত্রি প্রভাবশালী একজন ব্যবসায়ীর মেয়ে। ছেলের এই প্রথম কোন আবদার বাবা-মা রাখলো না। জীম অনেক বোঝানোর চেষ্টা করলে তার মা কিছুটা অসুস্থ হয়ে যায়। শেষমেষ মায়ের অসুস্থতার কথা চিন্তা করে জীম এই বিয়েতে রাজি হয়ে যায় । রিয়াকে সব খুলে বললে রিয়া সবকিছু মেনে নেয় যদিও তার খুবই কষ্ট হচ্ছিলো।

অবশেষে ধুমধাম করে বিয়ে হলো জীম আর রাত্রির।

রাত্রি এবার জীম কে একটু টোকা দিয়ে জিজ্ঞেস করলো, বলোনা কেমন লাগছে আমাকে নীল রঙের শাড়িতে। মা বললো নীল তোমার পছন্দের রঙ তাই এই শাড়িটা পড়লাম আজ। জীম আনমনা হয়ে রাত্রি কে বলল শাড়ি টা পাল্টে নাও। সব রং সবার জন্য না। এক একটা রঙ একেকজনের জন্য। আর আজ এই নীল রং টা জীম এর কাছে এতোটুকুও ভালো লাগছে না। রাত্রি ছুটে গেল শাড়ি পাল্টাতে।
আর জীম স্তম্বিত হয়ে খাটের উপর বসে পড়লো। আজ তো ওর আর রিয়ার ই এ জায়গায় থাকার কথা ছিলো।

image.png

ধন্যবাদ আমার লেখা গল্পটি কষ্ট করে পড়ার জন্য। জানিনা কেমন লিখেছি। আপনারা মন্তব্য করে জানাবেন আপনাদের কেমন লাগলো।
আবার দেখা হবে নতুন একটি পোস্টে। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন ও সাবধানে থাকবেন।

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
default.jpg

 2 years ago 

ভালোই লাগলো।পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায়। হয়ত সব রং সবার জন্য না।

 2 years ago 

ধন্যবাদ আপু আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য। গল্পটি এক পর্বের। কিছু ভালোবাসা অসমাপ্তই থেকে যায়।

নিজের জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, ভালোবাসার একটাই রং ,, সেটা হল ফ্যাকাশে। কারণ সত্যিকারের ভালোবাসা গুলো হারিয়ে যায় কালের গহ্বরে। বেশ ভালো লাগলো গল্পটা আপু। চেস্টা চালিয়ে যান। অনেক ভালো হবে।

 2 years ago 

ঠিক বলেছেন ভাইয়া ভালোবাসার রং আসলেই ফ্যাকাশে। আর সত্যিকারের ভালোবাসা এখন বিরল। যদিও কেউ কাউকে সত্যিকারে ভালোবাসে অপর মানুষটি সে ভালোবাসা কখনোই বুঝতে পারে না।
আপনার মূল্যবান মতামতের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

 2 years ago 

গল্পটি পড়ে কেমন জানি মনটা একটু খারাপ হয়ে গেল। জীম ও রিয়ার যদি বিয়েটা হতো তাহলে হয়তো জীম তার প্রিয় সংগীনীকে নিয়ে তার লাইফটা পার করে দিতে পারতো। কি আর করার । সবার ভালবাসা পূর্ণতা পায় না। বাস্তবতাকে মেনে নিতে হয়।

সব ভালোবাসা আসলে পূর্ণতা পেলে তা তার নিজের বৈশিষ্ট্য হারায়। আপনি আজকে আপনার গল্পের মাধ্যমে একটি অপূর্ণ ভালোবাসার ব্যাখ্যা দিয়েছেন। যা খুবই ভালো লাগলো। এরকম বিচ্ছেদ ধরনের গল্প পড়তে ভালোই লাগে। আপনার জন্য দোয়া থাকলো

 2 years ago 

কিছু ভালোবাসা অসমাপ্ত থেকে যায়। তবুও মনের এক কোণে সে ভালোবাসার মানুষটি সারা জীবনই বাস করে।
আপনার মূল্যবান মতামতের মাধ্যমে আমাকে উৎসাহ দেয়ার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।

 2 years ago 

আপু আপনি তো অনেক সুন্দর গল্প লিখেছেন।আসলে গল্পটি ছোট হলেও তাতে আনন্দ-দুঃখ ও না পাওয়ায় যন্ত্রনা রয়েছে।তবে প্রথম থেকেই পড়তে পড়তে ভালো লাগছিল গল্পটি

জীম আনমনা হয়ে রাত্রি কে বলল শাড়ি টা পাল্টে নাও। সব রং সবার জন্য না। এক একটা রঙ একেকজনের জন্য।

কিন্তু শেষে এই লাইনটি পড়ে খুবই খারাপ লাগছে।ধন্যবাদ আপু।

 2 years ago 

ভালোবাসা মানে যন্ত্রনা। সত্যিকারের ভালোবাসা গুলো এরকম অসমাপ্তই থেকে যায়। আপনার মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে উৎসাহ দেয়ার জন্য ধন্যবাদ দিদি। ভালো থাকবেন।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.13
JST 0.027
BTC 60699.39
ETH 2655.06
USDT 1.00
SBD 2.59