ছোট ভাই এর জন্মদিন এ বাংলা ক্যাফেতে কিছুক্ষণ || 10% Beneficiary To @shy-fox 🦊
আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা
সবাই কেমন আছেন? আশা করছি মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে ভালো আছেন সবাই। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
শহরে নতুন রেস্টুরেন্ট হয়েছে। নাম বাংলা ক্যাফে। রেস্টুরেন্ট টি ওপেন হওয়ার পর থেকেই যাবো যাবো ভাবছিলাম। কিন্তু যাওয়া হচ্ছিল না কাজের চাপে। গতকাল ছিল এক ছোট ভাইয়ের জন্মদিন। আশ্চর্যজনকভাবে তার জন্মদিন উদযাপন ছিল বাংলা ক্যাফেতে। আমার তো শুনেই ভালো লাগলো। একঝিলে দুই পাখি মারা হয়ে গেল। নতুন রেস্টুরেন্টটিতে ও যাওয়া হলো আর ছোট ভাইয়ের জন্মদিন এও অংশগ্রহণ করা গেলো।
বাংলা ক্যাফে তে যাওয়ার উদ্দেশ্যে আমি আর আমার এক ছোট ভাই বাইক এ করে রওনা দিলাম। রাতের বেলা বাইকে ঘোরাঘুরির মজাই অন্যরকম। কোনরকম কাজ না থাকলে আমি মাঝে মাঝে বন্ধু-বান্ধব বা ছোট ভাইদের কে নিয়ে বাইকে করে শহর ঘুরি।
যেহেতু জন্মদিন এর দাওয়াতে যাচ্ছি তাই গিফট আর ফুল তো নিতেই হবে। প্রথমেই গেলাম ফুলের দোকানে। সেখান থেকে একটি বড় ফুলের তোড়া নিলাম। তারপর ছোট ভাইকে গিফট দেয়ার জন্য একটি হাতঘড়ি কিনলাম। দুঃখজনকভাবে সময় স্বল্পতার কারণে একটির ও ছবি তুলতে পারিনি। কেনাকাটা শেষে বাইক চললো ক্যাফের উদ্দেশ্যে।
ক্যাফের ভেতরে পা দিতেই মনটা ভরে গেল। আসলে অনেক সুন্দর ডেকোরেশন করে ক্যাফেটি সাজিয়েছে। ছবিতে যেমনটা দেখেছিলাম ঠিক তেমনটাই সাজসজ্জা ভেতরে পেলাম। মন শীতল করার মতো একটা পরিবেশ ক্যাফেতে বিরাজমান।
প্রতিটি কর্নার সুন্দরভাবে সাজানো ছিল। আমার কাছে সবচেয়ে ভালো লেগেছে এই কর্নার টি। দেয়ালে লেখা কথাটিও ১০০ ভাগ সত্য। আর পুরো জায়গাটি হলুদ লাইটিং এর কারণে খুব বেশি আকর্ষণীয় লাগছিলো আমার কাছে।
আর একটি ফটো কর্নার। যারা ছবি তুলতে ভালোবাসে তাদের জন্য এই ক্যাফেটি দারুন জায়গা। মোটকথা ছবি প্রেমীদের কথা চিন্তাভাবনা করেই এই ক্যাফেটি সজ্জিত করেছে ক্যাফে মালিক।
সবচেয়ে মজাদার লেগেছে সুপারম্যান ফটো কর্নার টি। এটা কিন্তু বাচ্চাদের জন্য না বড়দের জন্যই। কয়েকটা ছবিও তুলেছিলাম আমি এখানে হাহাহা।
![]() | ![]() |
---|---|
![]() | ![]() |
দেখতে দেখতে কেক কাটার সময় চলে এলো। আর কেক কাটা সময় সম্মিলিতভাবে সবাই ছবি না তুললে তো অনুষ্ঠান ই অসম্পূর্ণ থেকে যায়। তাই প্রথমে কেক সামনে নিয়ে সবাই কিছু ছবি তুললাম তারপর কেক কেটে একে অপরকে খাইয়ে দিলাম। জন্মদিনটা ছোট ভাই এর হওয়াতে মুখে কেক লাগানো থেকে বেঁচে গিয়েছি। তবে ওদের একে অপরের মুখে কেক লাগানো দেখে দারুন মজা করছিলাম।
এবার যথারীতি খাওয়া দাওয়ার পালা। খাবারের মান ও যথেষ্ট ভাল ছিল। আর খাবার এর জায়গাগুলো ত্রিভুজের মতো ঘর বানানো। ভেতরে সুন্দর লাইটিং। একটি ঘরে চারজন বসা যাবে। খাবারটি খুব মজা করেই আমরা খেলাম।
খাওয়া শেষে বাড়ি ফেরার পালা। সবার কাছে বিদায় নিয়ে ও আমাদের বার্থডে বয় ছোট ভাইকে আরেকবার দোয়া দিয়ে চলে এলাম। সত্যিই খুব ভালো একটি সময় কাটিয়েছিলাম বাংলা ক্যাফেতে। সুন্দর পরিবেশ প্রিয় মুখগুলো সবমিলিয়ে অসাধারণ।
আজ বিদায় নিচ্ছি এখানেই। সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ সময় নিয়ে আমার পোস্টটি করার জন্য। আমার পোষ্টটি পড়ে আপনাদের কেমন লাগলো তা মন্তব্যের মাধ্যমে জানাবেন। আবার দেখা হবে নতুন কিছু নিয়ে। সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন ও সাবধানে থাকবেন।
চিত্র উঠানোর জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | Tecno spark 5 pro |
---|---|
লোকেশন | রংপুর |
w3w | link |
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
![default.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmNwBDPMPvL1yaKWTYF4wxyUmxWiEJgAy1WZWTJyCha5wE/jswit_comment_initial.w320.jpg)
আপনার ভাইয়ের জন্মদিনে অনেক অনেক শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন জানাই, শুভ জন্মদিন।
জন্মদিনে খুব চমৎকার মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। এত দুর্দান্ত মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
হ্যাঁ ছোট ভাইয়ের জন্মদিনে খুব সুন্দর কিছু মুহূর্ত অতিবাহিত করেছিলাম। যেহেতু এটাও আমার একটি পরিবার তাই এই পরিবারের সাথেও আনন্দের মুহূর্ত গুলো ভাগাভাগি করে নিলাম।
ঠিকই বলেছেন আপু, রাতের বেলা শহরে ঘোরার মজাটাই আলাদা। আর যদি হয় বাইক রাইড তাহলে তো কথাই নেই। ছবিগুলো দেখেই বুঝা যাচ্ছে অনেক ভালো সময় অতিবাহিত করেছেন। মুহূর্তগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ আপু।
আমি প্রায় সময়ই এভাবে বাইক রাইড দেই। খুবই ভালো লাগে। আসলেই সে সময়টা খুব ভালোভাবেই উপভোগ করেছিলাম।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।