ঠাকুরগাঁও এর জ্বিন মসজিদ || 10% Beneficiary To @shy-fox 🦊
হ্যালো/আসসালামু আলাইকুম
সবাই কেমন আছেন? আশা করছি মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে ভালো আছেন সবাই। আমিও ভালো আছি।
বেশকিছু দিন আগে কিছু দরকারী কাজে কিছু বন্ধুসহ গিয়েছিলাম ঠাকুরগাঁও। কাজ তাড়াতাড়ি শেষ হওয়াই ভাবলাম একটু ঘোরাঘুরি করা যাক। ঠাকুরগাঁও এর এক বন্ধু বললো জ্বিন মসজিদ এর কথা। নাম টা শুনে মনে হলো এখানে ঘুরে আসতেই হবে। তাই আর দেরি না করে চলে গেলাম জ্বিন মসজিদ।
মসজিদ টি বেশ পুরনো। ঠাকুরগাঁও জেলা শহর থেকে পঞ্চগড় এর বোদা উপজেলা যাওয়ার পথে ভূল্লী-পাঁচপীর হাট সড়কের পাশে এই মসজিদ টি অবস্থিত। এই মসজিদ ছোট বালিয়া জামে মসজিদ নামেও পরিচিত।
স্থানীয় কিছু মানুষ এর কাছে এই মসজিদ সম্বন্ধে জানতে চাইলে তারা বলেন, কোন এক অমাবস্যার রাতে জ্বীন পরীরা এই এলাকা উপর দিয়ে উড়ে যাওয়ার সময় এই এলাকার মাটিতে নেমে আসে। সেই রাতেই তারা মসজিদ নির্মাণের কাজ শুরু করে এবং রাতারাতি মসজিদ নির্মান হয়ে যায়। জ্বীন পরীরা এই মসজিদ তৈরি করেছে জন্য স্থানীয়দের কাছে মসজিদ টি জ্বীনের মসজিদ নামে পরিচিত ।
মসজিদ এর ইমাম সাহেব এর সাথে কথা বলে জানতে পারি উনবিংশ শতাব্দীর শেষ ভাগে জমিদার মেহের বকস চৌধুরী বালিয়া এলাকায় একটি মসজিদ তৈরীর পরিকল্পনা করেন । কিন্তু মসজিদ এর কাজ শেষ হওয়ার আগেই তিনি মৃত্যুবরন করেন। এর কয়েকবছর পর তার ছোট ভাই মসজিদ নির্মান এর কাজে হাত দেন কিন্তু কাজ শেখার হওয়ার আগে তিনিও মৃত্যুবরন করেন। এরপর মসজিদ টি পরিত্যক্ত অবস্থায় পরে থাকে এবং মসজিদ এর ওপর নানা রকম লতাপাতা গাছপালা উঠে মসজিদ টি একেবারে ঢেকে যায়।
এরপর ২০১০ সালে মেহের বকস চৌধুরীর প্রোপৌত্রি তসরিফা খাতুন প্রত্নতত্ত্ব ইনস্টিটিউটের কারিগরী সহায়তায় মসজিদটির সংস্কার এর কাজ শুরু করে ।
মসজিদ টির উপর থেকে লতাপাতা গাছপালা কেটে ফেলা হয়। মসজিদ টির উপর থেকে লতাপাতা গাছপালা কেটে ফেলার পর মসজিদ টি দৃশ্যমান হয়।কিছু স্থানীয় লোকজন মনে করে মসজিদ টি রাতারাতি তৈরী হয়েছে। এজন্যই মসজিদ টি জ্বিন তৈরী করেছে বলে অনেকেই মনে করে।
মসজিদ এর পাশে অবস্থিত ভিত্তি প্রস্তর।
মসজিদ এর ভেতরের অংশ। মসজিদ টির ভেতরে বেশ বড় জায়গা রয়েছে। মসজিদটি চুনসুরকির মর্টার এবং হাতে পোড়ানো ইট দিয়ে নির্মিত। ইটে কোনো নকশা করা নেই।
ওযু করার স্থান।
এই দরজাগুলা সাধারণত বন্ধই থাকে।
জ্বিন এর সাথে হ্যান্ডশেক। মজা করে ছবি টি তুলেছিলাম।
ধন্যবাদ সবাইকে আমার লেখাটি পড়ার জন্য।
সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন ও সাবধানে থাকবেন।
চিত্রধারনকৃত ডিভাইস : Oppo
মডেল : Reno 5
লোকেশন : ঠাকুরগাঁও
ঠাকুর গাও এর জীন মসজিদ এটি প্রথম শুনলাম এবং চিত্রে দেখলাম।খুবই দারুন একটি জায়গা মনে হচ্ছে।আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাইয়া।
ধন্যবাদ আপনাকে।
ঠাকুরগাঁও এর জ্বীন মসজিদের ব্যাপারে এই প্রথম শুনলাম এবং দেখলাম। বেশ সুন্দর তো জায়গা টা!!! রাতারাতি জ্বীনরা মিলে এ মসজিদ তৈরি করেছে এটা শুনেও অনেক অবাক হলাম । এমন পুরোনো জায়গা ভ্রমন করার অভিজ্ঞতা খুবই দারুণ। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপনার ভ্রমণ অভিজ্ঞতা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
রাতারাতি জ্বীনরা মিলে এ মসজিদ তৈরি করেনি ভাইয়া।
স্থানীয় কিছু লোকের ভুল ধারনা এটা। আমি আমার পোস্ট এ উল্লেখ করেছি সেটা।
ধন্যবাদ আপনাকে।
ওহ !আমি ভুল দেখেছি । তার জন্য দুঃখিত আমি।