আমার ধারনকৃত রংপুর এর পাচটি পুরাতন ঐতিহ্য || 10% Beneficiary To @shy-fox 🦊
হ্যালো/আসসালামু আলাইকুম
সবাই কেমন আছেন? আশা করছি মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে ভালো আছেন সবাই। আমিও ভালো আছি।
ফটোগ্রাফির একটি পোস্ট নিয়ে আজ আবার হাজির হলাম। রংপুর এর পাচটি পুরাতন ভবন এর স্থিরচিত্র আজ আপনাদের সামনে উপস্থাপন করবো।
Location: Rangpur city
১৯ শতকের ঐতিহ্যবাহী মাহিগঞ্জ পাবলিক লাইব্রেরি। লাইব্রেরীর সামনের অংশ এটি। এখন শুধুই একটি ধ্বংসাবশেষ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। তাজহাটের জমিদার ১৯১০ সালে এই লাইব্রেরী টি নির্মাণ করেন। প্রায় ১০ হাজারের মতো বই ছিলো এই লাইব্রেরিতে। যুদ্ধকালীন সময়ে লাইব্রেরির ব্যাপক ক্ষতি হয় এবং ১৯৮২ সালে লাইব্রেরীটি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।
Location: Rangpur city
এই পুরাতন পরত্যক্ত ভবন টি রংপুর এর কারমাইকেল কলেজ এ অবস্থিত। ভবনটি পরিত্যক্ত হলেও ফটোগ্রাফি প্রিয় মানুষের কাছে এই ভবনটি বেশ জনপ্রিয়। রংপুর এর খুব কম সংখ্যক মানুষ ই আছে যারা এই ভবনটির ও এই ভবন এর সামনে নিজের স্থিরচিত্র ধারন করেননি।
Location: Rangpur city
রংপুর টাউন হল অডিটোরিয়াম। রংপুর এর পুরাতন স্থাপত্যের মধ্যে একটি। এটি শুধু একটি অডিটোরিয়াম বা হল নয় অনেক সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক,সামাজিক ও গঠনমূলক কর্মকাণ্ডের সূতিকাগার। এই ভবনটি ১৯১৩ সালে নির্মিত হয়েছিল।
Location: Rangpur city
রংপুর মাহিগঞ্জ এ অবস্থিত বখতিয়ারী মসজিদ। মাহিগঞ্জের যে সকল পুরাতন স্থাপত্য আজও কোন রকমে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে তার অন্যতম এটি। মসজিদটি পরিত্যক্ত হয়েছে, দেয়াল ফেটে গেছে, শুধু কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে গম্বুজ । যে কোন মুর্হুতে এটি ধসেও যেতে পারে। ১৬৮৭ খ্রিষ্টাব্দে ঘোড়াঘাটের ফৌজদার এবাদত খান এ মসজিদটি নির্মাণ করেন। তিনি বঙ্গবিজয়ী ইখতিয়ার উদ্দিন মুহাম্মদ বিন বখতিয়ারকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য মসজিদের নাম দেন বখতিয়ারী মসজিদ।
Location: Rangpur city
কেরামতিয়া মসজিদ। কেরামতিয়া মসজিদ ও মাজার মোঘল আমলের শেষের দিকের একটি মসজিদ। রংপুর শহরের কাচারি বাজারের দক্ষিণ পাশে অবস্থিত এই মসজিদটি। কয়েক হাজার সালাত আদায়কারী একসাথে সালাত আদায় করতে পারে এই মসজিদ এ। কেরামতিয়া মসজিদ এর এই পুরাতন ভবনটি উনিশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে নির্মিত।
আশা করছি ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের ভালো লাগবে।
সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন ও সাবধানে থাকবেন।
ধন্যবাদ।
পরের জেনারেশন আসোলেই অনেক কিছু দেখতে পারবেনা কারণ এখোনি অনেক স্থাপত্যই ধ্বংসের কাছাকাছি।
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার মন্তব্যের জন্য।
ভাইয়া আমার সত্যি কপালটা অনেক খারাপ। রংপুর বিভাগে বাড়ি হয়েও এত সুন্দর ঐতিহ্যপূর্ণ জিনিস গুলো এখনো আমি চোখে দেখা দেখি নি। আপনার পোস্ট দেখে দেখার ইচ্ছে মনে জাগল অবশ্যই খুব তাড়াতাড়ি এদের সাথে পরিচয় হবো।
পুরাতন ঐতিহ্য গুলো সঠিক সংস্কারের অভাবে পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে আছে। তাই অনেকেই এদের সম্বন্ধে অজ্ঞাত। রংপুর আসলে ঘুরে দেখবেন ভাইয়া।ভালো লাগবে আপনার।
আমাদের দেশের পুরাতন ঐতিহ্য গুলো সত্যিই জাস্ট অসাধারণ। কখনো সরাসরি যদিও দেখা হয়নি। কিন্তু সরাসরি দেখার আমার খুব ইচ্ছা। সবায়ের জন্য যাওয়া হয়নি। আপনার এই পোষ্টের মাধ্যমে পুরাতন ঐতিহ্য গুলো সম্পর্কে জেনে নিলাম ধন্যবাদ আপনাকে এটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ।এবং আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
ধন্যবাদ আপু আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।