রেসিপি || ঝটপট নাস্তায় ফ্রেঞ্চ টোস্ট || 10% Beneficiary To @shy-fox 🦊
সবাই কেমন আছেন? আশা করছি মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে ভালো আছেন সবাই। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
সকালের কিংবা বিকালের নাস্তায় গরম গরম ফ্রেঞ্চ টোস্ট মনকে চনমনে করা দারুণ এক নাস্তা। পাউরুটির টুকরা, ফেটানো ডিম, দুধ আর চিনির মিশ্রণে চুবিয়ে ফ্রাই প্যান এ ভেজে গরম গরম ফ্রেঞ্চ টোস্ট। আহ! তুলনা হয়না এই নাস্তার।
খুব সহজে তৈরি করা যায়, স্বাদের ভিন্নতা এবং পুষ্টিগুণ, সব মিলিয়ে ফ্রেঞ্চ টোস্ট ব্যস্ত জীবনের নাস্তায় এক চমৎকার এবং ঝটপট রেসিপি।
ইউরোপে পঞ্চদশ শতাব্দীতে ২/৩ দিনের পুরনো শক্ত হয়ে যাওয়া রুটি ফেলে না দিয়ে তা পূনরায় ব্যবহার করা যায় কিনা এই ধারণা থেকেই ফ্রেঞ্চ টোস্ট খাবার টির সূচনা।
চলুন তাহলে ফ্রেঞ্চ টোস্ট বানানোর রেসিপিটি দেখে নেয়া যাক।
প্রয়োজনীয় উপকরণ
***১. পাউরুটি
২. তরল ঘন দুধ
৩. ডিম
৪. চিনি ও
৫. সয়াবিন তেল।
প্রস্তুত প্রণালী
ধাপ-১
একটি পরিষ্কার শুকনো পাত্রে ডিমগুলোকে ফেক ভেঙে নিতে হবে। তারপর একটি হ্যান্ডউইক্স এর সাহায্যে ডিমগুলোকে ফেটিয়ে নিতে হবে।
ধাপ-২
ফেটানো ডিমগুলোতে স্বাদমতো চিনি যোগ করে চিনি গুলোকে ডিমের সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে।
ধাপ-৩
ঘন করে জ্বাল দেয়া এক কাপ ঠান্ডা দুধ ডিম চিনির মিশ্রণের সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-৪
চুলায় একটি ফ্রাইপ্যান বসিয়ে, ফ্রাই প্যানে সামান্য পরিমাণ সয়াবিন তেল দিয়েছি এবং তেলগুলো হালকা গরম করে নিয়েছি।
ধাপ-৫
এবার একটি করে পাউরুটির টুকরা নিয়ে প্রতিটি টুকরার দুইদিক ডিম-দুধের মিশ্রণে চুবিয়ে নিয়েছি। হালকা ঝাঁকি দিতে হবে যাতে অতিরিক্ত মিশ্রণ রুটির গা থেকে ঝেড়ে যায়।
ধাপ-৬
মিশ্রণে ডুবানো পাউরুটি দুদিকেই হালকা আঁচে বাদামি রং এর করে ভেজে নিতে হবে। এভাবেই একে একে সবগুলো পাউরুটি ভেজে নিয়েছি।
রেসিপিটি আপনাদের কেমন লাগলো তা মন্তব্যের মাধ্যমে জানাতে ভুলবেন না। আমি চেষ্টা করেছি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত গুছিয়ে শেয়ার করবার।
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি আবার দেখা হবে নতুন একটি পোস্ট এ। সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন ও সাবধানে থাকবেন।
ধন্যবাদ।
ছবি উঠানোর জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | Tecno Spark 5 pro |
---|
আপনার নাস্তা তৈরির কৌশল দেখে আমিও শিখে নিলাম৷ আমি নিজেও এটা তৈরি করার চেষ্টা করবো। আপনাদ রেসিপির জন্য অনেক অনেক শুভকামনা।
এই নাস্তাটি একবার বানানো শিখে গেলে, চটজলদি তৈরি করার জন্য এর বিকল্প আর কিছুই মাথায় আসে না।
ফ্রেঞ্চ টোস্ট খেতে বেশি ভালো লাগে আমার কাছে। বিশেষ করে রাতের বেলা ক্ষুধা লাগলে খাবারটা অনেক উপকারী। খুব সুন্দর উপস্থাপনা করেছেন আপনি। ধন্যবাদ এরকম সুন্দর একটি ঝটপট রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
রাতের বেলা খুধা লাগাটা সত্যিই খুব অস্বস্তিকর। কিছু বানাতে ইচ্ছাও করে না, আবার না খেয়ে থাকাও যায় না। আর এ সময় ফ্রেঞ্চ টোস্ট পারফেক্ট একটি খাবার।
ঝটপট নাস্তা তৈরি করতে এটি বেশ ভালো একটি রেসিপি বলে মনে করে, টাইটেলের সাথে আপনার রেসিপিটাও চমৎকার মিল রয়েছে, খুবই ভাল হয়েছে আপনার আজকের রেসিপিটি শুভকামনা আপনার জন্য।
ঝটপট নাস্তার জন্য এই নাস্তাটি একেবারি পারফেক্ট।
খুব কম সময়ে তৈরি করে নেয়া যায়। আর খেতেও খুবই সুস্বাদু।
আজ বিকেলে তোমার তৈরি ফ্রেঞ্চ টোস্ট খেয়ে খুবই স্বাদ পেয়েছিলাম। এর আগেও অনেকবার ফ্রেন্স টোস্ট খেয়েছি তবে আজ স্বাদটা মনে হয় একটু বেশিই পেলাম। তোমার রান্নার হাত খুব ভালো। এভাবেই নিত্য নতুন রেসিপি তৈরি করতে করতে পাকা রাধুনী হয়ে ওঠো এই কামনা করছি। ধন্যবাদ
আমার তৈরি করা ফ্রেঞ্চ টোস্ট খেয়ে তোমাদের ভালো লেগেছে এটা শুনে সত্যিই আমি খুব আনন্দ পেয়েছিলাম।
এরকম আরো অনেক রেসিপি তোমাদের করে খাওয়াবো।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আসলেই ঠিক বলেছেন আপু এই নাস্তাটি খুব সহজে তৈরি করা যায়, কিন্তু খেতে আসলে অনেক বেশি মজার হয়। বিশেষ করে আমার ছেলে এই খাবারটি অনেক বেশি পছন্দ করে। ধন্যবাদ আপনাকে এই মজার নাস্তার রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আমাদের বাসাতেও এই নাস্তাটি সকলেরই খুব পছন্দের। আপনাকেও ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি মন্তব্য করে আমার পাশে থাকার জন্য।
খুবই মজাদার একটি ফ্রেঞ্চ টোস্ট রেসিপি তৈরি করে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। রেসিপিটি আমার কাছে অনেক বেশি লোভনীয় লেগেছে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের মাঝে এত মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আসলে এ খাবারটি খুবই লোভণীয়। আপনি বাসায় একবার তৈরি করে খেয়ে দেখবেন। আপনারও ভালো লাগবে।
খুবই চমৎকার ভাবে আপনি নাস্তায় ফ্রেঞ্চ টোস্ট তৈরি করেছেন । আপনার নাস্তা টি দেখে খেতে খুব ইচ্ছে করতেছে । আপু দেখতেই খুব লোভনীয় লাগতেছে । এত চমৎকার একটি নাস্তা রেসিপি তৈরি করে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনিও আমার ফ্রেঞ্চ টোস্ট বানানো পদ্ধতি অনুসরণ করে এই নাস্তাটি তৈরি করে খেয়ে দেখতে পারেন।
আমার খুব পছন্দের একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আপু। ফ্রেঞ্চ টোস্ট আমার কাছে দারুন লাগে খেতে। আপনার রেসিপিটি দেখে জিভে জল চলে এসেছে। সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি খুব সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন আমাদের মাঝে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
আমারও এই নাস্তাটি খুবই পছন্দের আপু।
খুব কম সময়ে ঝামেলা বিহীন ভাবে তৈরি করা যায় বলে একটু বেশি পছন্দ করি।