Source

💗💗💗

🔥আমার বাংলা ব্লগ 🔥

💗💗💗

অতি লোভে তাঁতি নষ্ট

আপনারা সকলে কেমন আছেন? আশা করি ভাল আছেন। আজকে আমি আপনাদের মাঝে জেনারেল রাইটিং একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম।বিষয়টি হচ্ছে অতি লোভে তাঁতি নষ্ট। প্রতিটা মানুষ কিন্তু আশায় বাঁচে। আশা ছাড়া কিন্তু তারা কিছুই বোঝেনা। আমরাও কিন্তু এই দুনিয়ায় একটা আশা নিয়ে বেঁচে আছি। সামনে ভবিষ্যৎ লক্ষণ টার্গেট করে আমরা বেঁচে আছি। তো আমার একটা দুঃসম্পর্কের বোন সব সময় ভালো কিছু চাইতো।অতিরিক্ত লোভ মানুষকে ধ্বংস করে দেয় একটা কথায় আছে না। তো কথা না বাড়িয়ে আমার আজকের পোস্টে আপনারা অবশ্যই করবেন।

Source

_{মানুষের শুরুতে কিন্তু চাহিদা খুবই কম থাকে।প্রতিটা মানুষ যখন আস্তে আস্তে উপরে উঠে যায় তখন সে আর নিজেকে মানুষ বলে মনে করেন।এমনই ভাবে আমার একটা বোনের যখন ১৬-১৭ বয়স ছিল তখন বেশ সুন্দর ছিল। অনেক বিয়ের প্রস্তাব আসত কিন্তু তিনি কখনোই আগ্রহ দেখানননি। প্রতিটা বিয়ের প্রস্তাবকে রিজেক্ট করেছেন।তখন প্রতিটা ছেলের সাথে সে সম্পর্ক লিপ্ত ছিল। সে বুঝতো না যে সামনে তার জন্য কি ভয়াবহ অবস্থা অবস্থান করছে।প্রতিটা মানুষ এই বয়সে অনেক ভুল করে ফেলে। যারা ভুল থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে ভালো সামনের দিকে চলে যায়। সামনে যেটা পাই সৃষ্টিকর্তা যেটা ভালো মনে করে সেটাই গ্রহণ করে নেয় আর নিজ নিজ জায়গা থেকে যদি সন্তুষ্ট থাকতে পারে তারাই সুখী। কিন্তু আদৌ কি মানুষ নিজ নিজ অবস্থান থেকে শুকরিয়া আদায় করতে পারে? যার একতলা বাড়ি আছে সে দুই তলা চাই, যার কিছুই নাই সে একতলা বাড়ি চাই। আমরা যদি নিজ অবস্থান থেকে শুকরিয়া আদায় করতে পারি সব সময় নিচের দিকে তাকায় তাহলে কিন্তু আর আমাদের ভিতরে এই লোভ কাজটা আর করে না।এইভাবে প্রতিটা ছেলেকে রিজেক্ট করার পর আস্তে আস্তে বয়স ৩২- ৩৩ হয়ে গেল। আপনারাই বলুন একটা ইয়াং জেনারেশন এর ছেলে এখন কি ওই ৩২ ৩৩ বছরের মেয়েকে বিয়ে করবে এখন অনেক বিয়ে আসতো কেউ পছন্দ করত না চলে যেত আশপাশের মানুষ অনেক কথাই বলতো কারণ ৩২ বছর বয়সে তার অতীত বারবার সামনে চলে আসতো।এইভাবে বয়স তো দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে বাবা-মার মাথার উপর চিন্তার ছাপ। যারা ভাবতেছে যে মেয়ের বিয়ে দিতে পারলেই আমরা একটু মুক্তি পাবো সমাজের কাছে নানান কথা শুনতে হয় বাবা-মাকে মেয়েকে বিয়ে দিচ্ছ না কেন?}

Source

_{একের পর এক বিয়ে আসতেই চলে কিন্তু একটাও আর পছন্দ হয় না, এখন তো বয়স হয়ে গেছে। একটা সময় কিন্তু ছেলেরাই ওই মেয়ের পিছে ঘুরতো হাজার হাজার প্রস্তাব দিত তখন মেয়েটা বঞ্চিত করত সবাইকে।এমনও সময় গেছে সরকারি চাকরি ওয়ালা এসে বাড়িতে বসে থাকতো। আজকে তার কি অবস্থা সে বেটার অপশন খুঁজতে খুঁজতে আজকে তার অবস্থা একদমই ক্ষীন।অতঃপর হঠাৎ তারে দিয়ে ঠিক হলো।ছেলে মাদ্রাসায় মাস্টারি করে এখনো বেতন হয় নাই। আর বাড়ির সামনে একটা হোমিওপ্যাথি ওষুধের দোকান আছে।আজকে কিন্তু ঠিকই সে মেনে নিল তার পরিস্থিতি। ঠিক এইটা যদি দশটা বছর আগে করত তাহলে কিন্তু তার পরিস্থিতি আজকে ভিন্ন হতো।এজন্যই বলে সৃষ্টিকর্তার যেটা ভালো মনে করেন সেটাই। এই যে আমরা প্রেম ভালোবাসা করে নিজের জীবনটা নষ্ট করে ফেলি। প্রেম ভালোবাসা ব্যক্তি জীবনেও অনেকটা ব্যাঘাত ঘটায়।যে প্রেম করে সে কি বিয়ে করে, জীবনেও বিয়ে করল না তাকে অনেক ছেলে প্রতারণা করেছিল।মেয়েরা হচ্ছে পরিস্থিতির শিকার বিয়ের প্রভলোন দেখিয়ে তাদের কাছ থেকে ভালোবাসার সৎ ব্যবহার করে নেয়।এইভাবেই তার জীবন এখন কাটতেছে কোনরকমে। তাই আমাদের লোভ করা যাবে না এবং আমাদের সামনে যেটা আসবে ভালো-মন্দ দেখি সেটাকে গ্রহণ করতে হবে। বেশি যদ আমরা এটার ভিতর যাচাই বাচাই করতে চায় তাহলে কিন্তু পরিস্থিতি আরো খারাপ হতে পারে।}

_{আজকের মত এখানেই শেষ করলাম। অতিরিক্ত লোভ মানুষকে ধ্বংস করে। আমাদের চাহিদা সীমিত রাখতে হবে। সামনে যেটা আসবে সেটা কে গ্রহণ করতে হবে সবার মতামত নিয়ে আশা করি। আপনাদের এই জেনারেল রাইটিং পোস্টটি ভাল লাগবে আমি একটা শিক্ষা দেওয়ার চেষ্টা করেছি যে কখনোই লোভ করা যাবে না, অতি লোভে তাঁতি নষ্ট ।}