আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি ভালো আছেন। আজকে আমি আপনাদের মাঝে জেনারেল রাইটিং এ আমার একটা কাছের বান্ধবীর গল্প নিয়ে হাজির হলাম আশা করি সকলে দেখবেন।অল্প বয়সে প্রেম খুশির জীবনে কাল হয়ে দাঁড়ালো। ২য় পর্ব তুলে ধরলাম |
Source
প্রেম জীবনটাকে শেষ করে দিল |
আবার যখন খুশির বাবা খুশিকে অনেক মারধর করতে লাগল এবং তাকে চরম আঘাত করে তাকে ঘরে আটকে রাখল ।তারপর হঠাৎ করে আত্মীয়-স্বজনের সাথে পরামর্শ নিয়ে সবার সম্মতিতে তার বিয়ে ঠিক করলো। কিন্তু খুশি কিছুতেই মানছে না যে তার বিয়ে অন্য ছেলের সাথে হবে। সে তাকেই ভালোবাসে শত বাধার পরও তার সাথে থাকতে চাই ।একটাই কথা যদি মরেও যায় ।তার কথা ভেবে মরবো এমন ভালোবাসা। ছেলেও কষ্ট পাচ্ছে ।ছেলেও কিছু করতে পারছে না। এখন কি করবে বাস্তবতা তো অনেক কঠিন । খুশি খাওয়া দাওয়া বন্ধ করে দিল ।আস্তে আস্তে কারো সাথে কথা বলতো না।ঘরের মধ্যে আটকে থাকতো ।এমন কেউ কিছু বললেই রেগে যেত মানুষের সামনে যেত না । |
Source
তারপর আস্তে আস্তে সে প্রায় মানসিক রোগী হওয়ার মত অবস্থা হয়ে গেল। হঠাৎ করে তারপরে তাকে বিয়ে দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিল এবং তার বিয়ে দিয়ে দিল এবং সে সংসার জীবনে সুখী হতে পারল না । বিয়ের পরও তার প্রেমিকের সাথে যোগাযোগ করছিল ।তার সাথে কথা বলতে হঠাৎ করে একদিন তার স্বামী জেনে গেল এবং তাকে প্রচুর মারধর করে কিন্তু খুশি কিছুতে কিছু মানছে না ।তাকে ছাড়া কখনো সে বাঁচবে না। তাকেই চায় । প্রেম আসলে কারো প্রতি ইচ্ছা করে আসে না ।যার প্রতি মন প্রাণ সবই দিয়ে দেওয়া যায় । এটারই উত্তম উদাহরণ খুশি হয়ে থাকবে |
তারপর খুশির জীবনে আরো কষ্ট নেমে আসলো। খুশি কাউকে পেল না এবং খুশির স্বামী এখন তাকে সহ্য করতে না পেরে ।তাকে তার বাপের বাড়িতে পাঠিয়ে দিল। কিছুদিন পর তাকে ডিভোর্স দিয়ে দিল। আসলে খুশির জীবনে খুশি কাউকে পেল না আর আমার মতামত ।খুশির বাবা-মা যদি মেনে নিত তাহলে সবাই সুখে থাকতো। আজকে খুশির জীবনটা তছনছ হয়ে গেল। তারপর যা ঘটলো জীবনে |
সংক্ষিপ্ত আকারে আমার পরিচয়
আমার নাম হচ্ছে সাদিয়া।আমি ক্লাস টেনে পড়ি। আমার বাসা হচ্ছে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানার বামুন্দিতে। পড়াশোনার পাশাপাশি আমি ব্লগিং সাইট বেছে নিয়েছি। এখানকার কার্যক্রম আমাকে মুগ্ধ করেছে। সত্যিই ফেসবুকে যে সময়টুকু দিয় এখানে দিলে হয়তোবা ভালো কিছু আশা করব।আমার প্রিয় শখ হচ্ছে বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করা, রান্না করা আর এখানে এসে অনেক কিছু শিখতে পারছি। কাগজ দিয়ে অনেক কিছু তৈরি করার আগ্রহ। আমি চেষ্টা করছি আমার স্বামীর পাশাপাশি তাকে হেল্প করার।ফুচকা খেতে অনেক ভালো লাগে। আর আমার স্বামীকে অনেক ধন্যবাদ সে এত সুন্দর একটি প্ল্যাটফর্ম আমাকে দিয়েছে razuan12 💗
যদিও আপনার গল্পের প্রথম পর্ব টি আমার পড়া হয়নি। তবে আপনার কাছের বান্ধবীর গল্পটি পড়ে আমার কাছে খুবই খারাপ লেগেছে। আমিও আপনার সাথে একমত।আসলে খুশির মা-বাবা যদি খুশির ভালোবাসার সম্পর্কটা মেনে নিত তাহলে খুশির জীবনে এরকম দুঃখ নেমে আসত না। সবাই সুখে থাকতে পারতো। এরকম খুশির জীবন তছনছ হয়ে যেত না। ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ আপু। আসলে তখন যদি খুশির বাবা-মা তাদের ভালোবাসার মেনে নিতো তাহলে তারা আজকে সুখে থাকতো আনন্দ থাকতো। আজ খুশির জীবনে কাল নেমে আসতো না ।আমি দেখেছি খুশি অনেক কষ্ট পায় হাসে না কেমন মনমরা হয়ে থাকে মনে হয় যেন মানুষ রোগী।
তার বাবার এই সিদ্ধান্তের কারণে এখন খুশির জীবনটা একেবারে নষ্ট হয়ে গিয়েছে। খুশির ভালোবাসার মানুষটার সাথে যদি তাকে বিয়ে দিত, তাহলে এখন তার জীবনটা অনেক সুন্দর হতো এবং সেও ভালো থাকতো। অনেক খারাপ লেগেছে আজকের এই গল্পটার দ্বিতীয় পর্ব। যাইহোক তবুও আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই গল্পটা লিখে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাইয়া। আসলে আমরা যে পরিবারের জন্য জন্ম বেড়ে উঠা আবার সে পরিবারের জন্যই আমাদের অনেক সময় জীবনের কাল নেমে আসে। এটাই খুশির সাথে হয়েছে।
সত্যিই অনেক দুঃখজনক একটি ব্যাপার। পরিবার বুঝতে চায়না ছেলে মেয়ে কি চাই। ছেলে মেয়ে যেখানে শান্তি পায় সেখানেই তাদের দেয়া উচিত। নাহলে কোনদিনও সে সুখী হয়ে উঠতে পারে না। আজকে খুশির জীবনটা ছন্নছাড়া হয়ে গেল। সে এগুলো এ্যা্কুল ও পেলোনা কিছুই পেলো না। খুবই খারাপ লাগতেছে। পরবর্তী পরের জন্য অপেক্ষায় রইলাম।
একদম ঠিক বলেছো। আসলে আমাদের শুনেই খারাপ লাগছে। আর যার সাথে হয়েছে তার কথা একটু ভাবো।