আমার বাংলা ব্লগ:[ছোট গল্পঃ অপ ব্যায়] ১৫% @shy-fox.
অপ ব্যায়
source
ছেলেটির নাম রাতুল,বলতে গেলে সে কোটিপতির ছেলে।সব সময় তার ভোগ বিলাস আমাকে মুগ্ধ করে।বন্ধু বান্ধব মিলে কোন এক জায়গায় বেড়াতে গেলে বা রেস্টুরেন্টে খেতে গেলে সবার থেকে বেশি রাতুল ই খরচ করে থাকে। সে সব সময় সকলের মধ্যে নিজেকে লিডার বলে বিবেচনা করে।আসলেও এমন ধনী সম্ভ্রান্ত পরিবারের ছেলেরা এমন করবে এটাই স্বাভাবিক।একদিন রাতুল সকল বন্ধুদের নিয়ে একটি মতামত পেশ করলো, এই বছর বালীতে ট্যুরে যাবে।তাছাড়া এই বছরে তার জন্মদিন সেখানেই উৎযাপন করবে।তার এমন কোথায় সকল বন্ধু একমত হলো। কিন্তু বন্ধুদের মধ্যে দুইজন খুবই গরীব ছিলো।রাতুল সিদ্ধান্ত নিলো যে গরীব দুই বন্ধুর সকল খরচ সে নিজেই বহন করবে।এরকম একটা বিশাল সিদ্ধান্ত নিয়ে রাতুল ফুরফুরে মেজাজ নিয়ে বাড়িতে চলে আসলো।বাড়িতে এসে বাবাকে বলার আগেই বাবা বলে ফেললো কত টাকা লাগবে এবার?রাতুলের বাবা টাকার আমাউন্ট জিজ্ঞেস করার কারণ হলো সে জানে তার ছেলের জন্মদিন আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই।কিন্তু প্রতিবারের থেকে এবারের টাকার পরিমাণ শুনে বাবা একটু বিস্মিত হলো এবং রাতুলকে বললো,এটা কোন ব্যাপার না।রাতুল তার বাবার কাছে তিন লক্ষ টাকা আবদার করে বসে।তখন তার বাবা বলেন তুমি কোটিপতির ছেলে তুমি জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান তোমার জন্মদিনে তিন লক্ষ টাকা খরচ করা খুব একটা কঠিন না।বাবা আর কোন কিছু না বলেই রুমে গিয়ে টিভি দেখতে লাগলেন।
পরের দিন সকালে রাতুল তার এক বন্ধুর সাথে কোন একটি পার্কে যাবে বলে সিদ্ধান্ত নিলো। পার্কে যাওয়ার বাহন হিসেবে তারা একটি রিকশা ভাড়া করলো। রাতুলের বন্ধু ৮০ টাকায় রিকশা ভাড়া মিটিয়ে রিকশায় উঠলো।তারপর তারা পার্কের দিকে যেতে লাগলো।পার্কের সামনে গিয়ে রাতুল ও তার বন্ধু রিকশা থেকে নামলো, রাতুল রিকশা চালক কে ১০০ টাকার নোট দিয়েই পার্কের ভেতরে ডুকতে লাগলো।এদিকে রাতুলের বন্ধু তাকে পেছন থেকে ডেকে বললো কিরে! ২০টাকা ফেরত নিবি না?রাতুল পেছন দিকে ঘুরে উঠে বললো চলে আয় তো!
রাতুলের এমন ভোগ বিলাস এবং অহংকার দেখে তার বন্ধু মেনে নিতে পারলো না।পার্কে ডুকে রাতুলের বন্ধু রাতুলকে নিয়ে একটি ব্রেঞ্চের উপরে বসলো।তারপর রাতুলকে কিছু কথা বললো,
তুই ৮০ টাকার ভাড়া ১০০ টাকা দিয়ে চলে এলি কেন?রাতুল বললো বাদ দে তো ২০ টাকার জন্য কি সময় নষ্ট করবো নাকি?রিকশা চালক ২০ টাকা নিয়েছে তো কি হয়েছে কত টাকা কত দিক দিয়ে খরচ করছি তার কোন হিসেব রাখি নাকি,তুই আছিস রিকশা চালকের ২০ টাকা নিয়ে তুই না;
এই কথা শোনার পর রাতুলের বন্ধু বললো, যেই টাকা গুলো তুই এলোপাথারী খরচ করছস এগুলো কি তোর টাকা?উত্তরে রাতুল বললো হ্যা এটা তো আমারই টাকা!রাতুলের বন্ধু তখন বললো তোর আয়ের উৎস কি? এত টাকা তুই কোথায় পাস বলতো?তখন রাতুল বললো আমার আবার আয় করতে হবে কেন আমার বাবার কি টাকার কোন অংশে কম আছে?তখন রাতুলের বন্ধু বলে তোর বাবা কি করে?রাতুল বললো তুই তো জানিস আমার বাবা শহরের একজন বড় বিজনেসম্যান শুধু শুধু অহেতুক এত জেরা করিস না তো।তখন রাতুলের বন্ধু বললো হ্যা আমি সবই জানি তোর সম্পর্কে এবং তোর পরিবার সম্পর্কে। আমি এটাও জানি তোর বাবা একজন বড় বিজনেসম্যান আর এজন্যই তুই এত এলোপাথারী টাকা খরচ করতে দ্বিধা করস না।কিন্তু একটা কথা চিন্তা কর তোর বাবা যদি রিকশা চালক হতো!?তাহলে তোর এই অপব্যয় করার মতো টাকা কোথায় পেতি?তুই যে টাকা নিয়ে এত বড়াই করছিস এগুলো কি তোর টাকা নাকি তোর বাবার টাকা?যে টাকা গুলো তুই অহেতুক নষ্ট করতেছিস এর এক একটি টাকা রোজগার করতে তোর বাবার কতটুকু পরিশ্রম করতে হয়েছে সেটা ভেবে দেখেছিস?(মুলতবি)
সুতরাং আমাদের সকলের একটু ভাবা উচিত অযথা ১ টাকা ব্যায় করা যতটা সহজ আয় করা তার থেকে শত গুন কষ্টের।
১৫% সুবিধাভোগী @shy-fox এর জন্য।
cc:@rme @rex-sumon
আপনার গল্পটিতে অনেক কিছু শিক্ষণীয় বিষয় ছিল। আমরা যেসব টাকা এদিক-ওদিক অপ্রয়োজনে খরচ করি এবং এক্সট্রা যেসব টাকা আমরা খরচ করি সেখান থেকে বিরত থাকতে হবে। সেই টাকা গুলো যদি আমরা জমিয়ে রাখতে পারি একসময় অনেক বড় একটি অ্যামাউন্টের তৈরি হবে। ধন্যবাদ আপনাকে।
সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই। একটি ভালো মন্তব্য আমাকে আরো অনুপ্রাণিত করেছে।
ভালোবাসা রইলো ভাই ❤️
আপনার গল্পটা পরে খুব ভালো লেগেছে।ভালো লিখেছেন।ধন্যবাদ আপনাকে।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে গল্পটি পড়ার জন্য।
শিক্ষনীয় গল্প এটি।আপনার গল্পটি ভালো লেগেছে আমার।ধন্যবাদ আপনাকে।
গল্পটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু।
খুবই সুন্দর গল্প ছিলো এটি।ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ পোস্টটি পড়ার জন্যে।🥰