রাঙ্গামাটি ভ্রমণ অভিজ্ঞতা (প্রথম পর্ব)। ১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য।
পূর্বপরিকল্পনা মত সাজেক ঘোরাফেরা শেষ হলে আমরা চলে গেলাম রাঙ্গামাটির দিকে। আমাদের পরিকল্পনা ছিল সাজেক ভ্রমন শেষ হলে রাঙ্গামাটি ঘুরতে যাওয়ার। রাঙ্গামাটি ঘোরাফেরার জন্য চমৎকার একটি জায়গা। সেখানে রয়েছে পাহাড় এবং জলের মিতালী। রাঙ্গামাটি সম্বন্ধে অনেক কিছু শুনেছি আগে। কিন্তু রাঙ্গামাটি যাওয়ার পর ভালোলাগা বেড়ে গেল আরো বহুগুণ। রাঙ্গামাটিতে দর্শনীয় বেশ কয়েকটি স্থান আছে। তার ভেতর সবচাইতে বেশি লোক সমাগম হয় কাপ্তাই লেকে এবং ঝুলন্ত ব্রিজ দেখতে। এছাড়াও আছে কয়েকটি ঝর্ণা এবং বুদ্ধমন্দির।
আমরা ছোটবেলা থেকে এই ঝুলন্ত ব্রিজের ছবি দেখে বড় হয়েছি। একটা সময় বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্যালেন্ডারে ঝুলন্ত ব্রিজের ছবি থাকতো। সেই জায়গায় যখন গিয়ে পৌঁছলাম। তখন দেখলাম আসলেই ঝুলন্ত ব্রিজটা খুবই সুন্দর। যদিও পুরো ব্রিজটা লোকে-লোকারণ্য ছিল। দর্শনীয় স্থান গুলিকে মাত্রাতিরিক্ত ভিড় থাকলে আমার কাছে খুব বিরক্ত লাগে। কিন্তু কিছুই করার নেই। যেহেতু একবার চলে এসেছি তাই ফিরে যাওয়ার প্রশ্নই আসে না। কাপ্তাই লেক এলাকায় প্রবেশ করতে হলে টিকেট কাটতে হয়। আমরা দু'বন্ধু টিকিট কেটে গেট দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করলাম। প্রবেশ করেই দেখলাম পাহাড়ি পথে একটি সিঁড়ির মতো নেমে গিয়েছে। পুরো কাপ্তাই লেকে প্রচুর দর্শনার্থী এসেছে ঘুরতে।
লোকজন সেখান থেকে দেদারছে কেনাকাটা করছে। পাহাড়ি পথ বেয়ে ঘোরাফেরা করা খুবই ক্লান্তিকর একটি ব্যাপার। কিছুক্ষণ হাঁটার পরেই মনে হচ্ছে খানিকটা জিরিয়ে নিই। তারপর আবার হাঁটা শুরু করি। এর ভেতরে আমরা এক বৃদ্ধা পাহাড়ীর কাছ থেকে কিছু ফল কিনে খেলাম। বয়সে বৃদ্ধ হলেও তার হিসাব যথেষ্ট পাকা। হিসাব করে আমাদের কাছ থেকে টাকা কড়ায়-গণ্ডায় বুঝে নিল। সে একদামে এসব ফল বিক্রি করছিল। এভাবে কাপ্তাই লেক এলাকায় ঘুরতে ঘুরতে প্রায় দুপুর হয়ে গেল। তারপর আমরা দুজন কিছু কেনাকাটা করলাম।
কেনাকাটা শেষ হলে আমরা হোটেলে ফিরে আসলাম খাওয়া-দাওয়া করার জন্য। আমাদের কাপ্তাই লেক ভ্রমণ এর আসল কাজ তখনো বাকি। আমরা দুজন ঠিক করেছি কাপ্তাই লেকে ইঞ্জিন চালিত নৌকা ভাড়া করে ঘুরবো। লেকের পাড়ে এসে যদি নৌকায় না ঘুরি তাহলে মনে হবে ঘোরাফেরাটা অসমাপ্ত থাকলো। সে গল্প করব আপনাদের কাছে দ্বিতীয় পর্বে।
আমরা প্রথমে পুরো এলাকাটা ঘুরে দেখলাম। ব্রিজের উপরে দেখলাম অনেকেই সেলফি তোলার জন্য ভিড় করছে। কিন্তু ব্রীজে ওঠার পথে স্পষ্ট নির্দেশনা আছে ব্রিজে অবস্থান করা যাবে না এবং ব্রিজটি দোলানো যাবেনা। কিন্তু খেয়াল করে দেখলাম কেউই নির্দেশনাগুলো মানছে না। এটা দেখে কিছুটা বিরক্ত বোধ করলাম। তারপর কাপ্তাই লেকের সৌন্দর্য দেখায় মনোযোগ দিলাম। একবার পাহাড়ি রাস্তা দিয়ে নিচের দিকে নামলাম। তারপর ব্রিজ পার হয়ে আবার উপরের দিকে ওঠা শুরু করলাম। উপরে উঠে দেখি একটি টিলার উপরে উঠেছি। সেই টিলার উপরে স্থানীয় অনেক হকার বিভিন্ন রকম পসরা নিয়ে বসেছে। তার ভেতরে দেশীয় ফল থেকে শুরু করে বিদেশি চকলেট আচার সবকিছুই আছে।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে রাঙামাটি ভ্রমণ এর দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত যন্ত্র | হুয়াই নোভা ২আই |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | লিংক |
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
🇧🇩🇧🇩ধন্যবাদ🇧🇩🇧🇩
আমি রূপক। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাঙালি। আমি বাংলায় মনের ভাব প্রকাশ করতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকেও ভালোবাসি।
আপনার রাঙ্গামাটি ভ্রমণ অভিজ্ঞতার পোস্টটি পড়ে আমার পুরোনো দিনের সেই রাঙ্গামাটিভ্রমনের কথা মনে পড়ে গেল। আমি যখন গিয়েছিলাম ঝুলন্ত ব্রীজটি পানিতে ডুবা অবস্থায় ছিল। আমরা বন্ধুরা মিলে এটিতে অনেক মজা করেছিলাম।
এখন শীতের সময় সেজন্য পানি কম আছে। শুনেছি বর্ষাকালে নাকি ব্রিজে পানি উঠে যায়। ধন্যবাদ আপনাকে।
ছোট থেকে বড় হয়েছি আমার চাচ্চুর মুখে অনেক শুনেছি রাঙ্গামাটি অনেক সুন্দর একটি জায়গা। যেখানে গেলে নাকি মনের ভেতর সবটুকু আনন্দ খুঁজে পাওয়া যায়। ছবিতে অনেক দেখেছি। আজ আপনার পোস্ট এ আবারো দেখলাম। স্বপ্ন আছে একদিন পরিবারের সঙ্গে ঘুরতে যাব। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে দিনটি উপভোগ করেছেন। প্রতিটি জায়গার ছবি বেশ সুন্দরভাবে তুলেছেন। কোন জায়গা দেখতে কেমন ঝুলন্ত ব্রিজ এর অনুভূতি কেমন এবং পাহাড়ের ঢালে যে দোকান গুলো রয়েছে সেগুলোতে কেমন বেচাকেনা হয় সে বিষয়টিও বেশ সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন। আপনার এত সুন্দর একটি পোস্টে আমি নতুন একটি অভিজ্ঞতা খুঁজে পেলাম। আশাকরি আমি সেখানে গেলে খুব সুন্দর ভাবে নিজেকে গুছিয়ে সেখানে চলতে পারব। আপনার এত সুন্দর একটি দিন আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া। শুভকামনা রইলো আপনার প্রতি।
বিভিন্ন ছবি ব্লগে এই ঝুলন্ত ব্রীজ দেখেছি। খুবই সুন্দর। এবং কাপ্তাই লেকেরও অনেক নাম শুনেছি। এবং এখানে দেখছি অনেক পর্যটক এসেছে। এবং কোথায় ঘুরতে গেলে সবাই একটু কেনাকাটা করে। এবং মালামাল গুলো খুবই আকর্ষণীয়। এবং ছবিগুলি দারুণ হয়েছে ভাই। পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম।।
ধন্যবাদ ভাইয়া।
আমি গিয়েছিলাম। জায়গাটা খুবই সুন্দর। অনেকদিন পর আবার দেখলাম ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।
সবার মুখে শুনি রাঙ্গামাটি জায়গাটি অনেক সুন্দর একটি প্লেস অনেকে বেড়াতে যায়। আসলেই জায়গাটি অনেক সুন্দর। ভাই তোমার কিছু ছবির মাধ্যমে কিছুটা আন্দাজ হলো যে জায়গাটা আসলেই অনেক সুন্দর। আমার কাছে প্রথম ছবিটি অনেক জোস লাগতাছে। ইনশাআল্লাহ কোন একদিন যাব।
ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাই আপনার সাজেক ভ্রমণের অনুভূতি এবং অভিজ্ঞতা পড়ে বেশ ভালো লেগেছে। আজকে আবার রাঙামাটি ভ্রমণের অভিজ্ঞতা জেনেও খুবই ভালো লাগছে। সুন্দর একটি জায়গায় ভ্রমণ করেছেন আপনি। প্রতিটি ফটোগ্রাফি বেশ চমৎকার হয়েছে। খুব সুন্দর ভাবে আপনি আপনার জার্নি এই অভিজ্ঞতাগুলো আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া এবং শুভকামনা আপনার জন্য।
ধন্যবাদ ভাইয়া।
চমৎকার রুপক ভাই এই শীতে ভ্রমন একটা আনন্দের ব্যাপার ।রাঙামাটি ভ্রমনের বিভিন্ন স্পট আছে দেখারমতো যদিও কখন ও যাওয়া হয়নি ।তবে আপনার মাধ্যমে দেখে নিলাম ।খুবই ভালো লাগলো যায়গা গুলোর ফটোগ্রাফি দেখে ।ধন্যবাদ ভাই ।
ধন্যবাদ আপনাকে ভাই। রাঙামাটি আসলেই একটি দেখার মত জায়গা।
ধন্যবাদ আপনাকে ভাই। সময় করে একসময় ঘুরে আসবেন। দেখবেন খুবই ভাল লাগবে।
ভাইয়া, আপনি দারুণ সময় কাটিয়েছেন।আমি রাঙ্গামাটির কথা অনেক শুনেছি ,আজ আপনার মাধ্যমে দেখে নিলাম।খুবই সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন পরিবেশ।তাছাড়া ফলগুলো দেখে মনে হচ্ছে খুবই টাটকা।ঝুলন্ত ব্রীজটি খুবই আকর্ষণীয় দেখতে।ধন্যবাদ ভাইয়া।
ধন্যবাদ আপনাকে দিদি।
রাঙামাটি অনেক সুন্দর একটা জায়গা। পাহাড়, লেক, ঝুলন্ত ব্রিজ। যেমনটি বলেছেন বড় হয়েছি বই, ক্যালেন্ডার আর খবরের কাগজে ঝুলন্ত ব্রিজের ছবি দেখে। সব কিছু খুব ভাল লাগল শুধু অতিরিক্ত ভিড় বাদে। অবশ্য এমন বিখ্যাত জিনিস দেখতে মানুষের ভিড় হবে এটা মেনে নিতেই হবে। যাই হোক, দ্বিতীয় পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।