রাতে সংসদ ভ্রমন অভিজ্ঞতা। ১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য।
কয়েক দিন আগে রাতে কাবাব খেতে গিয়েছিলাম মোহাম্মদপুর। সেখান থেকে ফেরার পথে চিন্তা করলাম কোথা থেকে একটু ঘুরে যাই। যেই ভাবা সেই কাজ। চলে গেলাম আমাদের সকলের অত্যন্ত পছন্দের একটি জায়গা সংসদ ভবন এলাকায়। এই জায়গাটি বেশিরভাগ মানুষেরই অত্যন্ত পছন্দের জায়গা।
বিশেষ করে রাতের বেলায় এ জায়গাটিতে মানুষ বেশি আসে। যদিও আমরা যখন পৌঁছে ছিলাম তখন রাত বেশী হয়ে যাওয়ার কারণে খুব বেশি লোকের আনাগোনা ছিল না। মোহাম্মদপুরে খাওয়া শেষ করে আমরা কিছুক্ষণ আলোচনা করে সরাসরি চলে এলাম সংসদ ভবনে। সংসদ ভবনের সামনে এসে গাড়ি থেকে নেমে আমরা আশেপাশে ঘোরাফেরা করছিলাম।
এই সময়ে সবচেয়ে যে জিনিসটা আমার কাছে ভাল লেগেছিল সেটা হচ্ছে রাতের সংসদ ভবন। চমৎকার লাইটিং করার কারণে সংসদ ভবনের বিল্ডিংটা দেখতে খুবই সুন্দর লাগছিল। একটা সময় ছিল যখন সংসদ ভবনের একদম কাছে যাওয়া যেত। কিন্তু এখন নিরাপত্তার কারণে চারপাশ ঘিরে দেয়া হয়েছে। জাতীয় সংসদ ভবনের একদম কাছে পৌঁছাতে না পারে প্রথম প্রথম ব্যাপারটা খারাপ লাগতো। তবে এখন আর খুব একটা খারাপ লাগে না। কারণ বিশ্বের পরিবর্তিত পরিস্থিতির কথা চিন্তা করে মনে হয় কাজটা ভালোই হয়েছে। না হলে যে কোন সময় একটা দুর্ঘটনা ঘটার সুযোগ থেকে যায়।
রাতে সংসদ ভবনের কাছে গেলে আপনি বিভিন্ন রকমের মানুষ সেখানে দেখতে পাবেন। তবে আমার কাছে সবচাইতে আকর্ষণীয় লেগেছে এক ধরনের আর্টিস্টদের কে। তারা টাকার বিনিময়ে আপনার ছবি এঁকে দেবে বা আপনি যদি কারো ছবি তাদেরকে দেখান তারা সেই ছবি দেখেও সেখান থেকে ছবি আঁকতে পারে। কি চমৎকার তাদের ছবি আঁকার দক্ষতা। অথচ তারা ফুটপাতে বসে ছবি আঁকছে।
এছাড়াও নানা রকম মুখরোচক খাবারের পসরা নিয়ে অনেক হকার বসে আছে। যদিও রাত একটু বেশি হয়ে যাওয়ার কারণে হকারের সংখ্যা একটু কমে গিয়েছে। হঠাৎ করে আরো একটি মজার জিনিস দেখতে পেলাম। সেটা হচ্ছে ঘোড়ার গাড়ি। বেশ সুন্দর করে তৈরি করা একটি ঘোড়ার গাড়ি সেখানে দাঁড়িয়ে ছিল। এই ঘোড়ার গাড়িতে মানুষ শখের বশে চড়ে থাকে।
বিভিন্ন ধরনের মানুষকে এখানে দেখতে পেলাম। কেউ বন্ধুবান্ধবকে নিয়ে এখানে ঘুরতে এসেছে কেউবা পরিবার-পরিজন নিয়ে আবার কেউ বা তার প্রিয়তমাকে নিয়ে এখানে এসেছে। এখানকার মজার ব্যাপার হচ্ছে কারো অন্য কারো দিকে কোন মনোযোগ নেই। সবাই নিজেকে নিয়েই ব্যস্ত। সবাই নিজেদের ভেতরে গল্পে মশগুল হয়ে আছে।
এই এলাকাটার আর একটা জিনিস আমার কাছে ভালো লাগে সেটা হচ্ছে এখানকার রাস্তা। এর এলাকার ভেতর দিয়ে যে রাস্তাগুলি গিয়েছে সেগুলো খুবই প্রশস্ত। এই এলাকার আশেপাশে ঘোরাফেরা মত আরো বেশ কয়েকটি স্পট আছে। যার ফলে এই এলাকাটি মানুষের কাছে অবসর কাটানোর জন্য খুবই জনপ্রিয়। এছাড়াও দেশের নানা প্রান্ত থেকে মানুষ এখানে ঘুরতে আসে।
আজকের মতো এখানে শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | হুয়াই নোভা 2i |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | লিংক |
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
আসলে এটাই বাস্তবতা, আমিও গিয়েছি সংসদ ভবনের সামনে দেখা হইছে তাদের সাথে। সত্যি অসাধারণ ছবি তারা। শুধু সংসদ ভবন না বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে তাদের দেখা মেলে। তারা জানেই না তাদের দক্ষতা প্রকাশের জন্য কত শত প্লাটফর্ম অপেক্ষা করছে। সঠিক গাইড লাইনের অভাবে তাদের ফুটপাতেই তাদের দক্ষতা প্রকাশ করতে হয়।
একদম ঠিক বলেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
যদিও আমি দীর্ঘদিন ঢাকায় বসবাস করছি, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত এখনো আমার সংসদ ভবনে কখনো যাওয়া হয়নি। সংসদ ভবনের আশেপাশে দিয়ে আসা-যাওয়া করেছি বাট সংসদ ভবনে ঘুরতে যাওয়ার মত সময় আমার এখনো হয়ে ওঠেনি। আপনি খুব সুন্দর সুন্দর আপনার নিজের মনের ভাব প্রকাশ করেছেন। তবে হ্যাঁ আপনি ঠিকই বলেছেন ফুটপাতে যে আর্ট গুলো করে দেখার মত। এবং কিভাবে আর্ট করে সত্তিকারের চিত্রটি ফুটিয়ে তোলে। আর এলাকার বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছেন তবে ইচ্ছা আছে সময় করে একবার যাওয়ার। কিন্তু কর্মব্যস্ততার কারণে যাওয়া হয়না, এত সুন্দর একটি আপনার ভ্রমণের আনন্দ মুহূর্ত কাটানো সময় আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য এবং সংসদ ভবনের ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করার জন্য আপনার প্রতি রইল আন্তরিক শুভেচ্ছা।
সংসদ ভবনের পাশে ভ্রমণের সুন্দর দৃশ্য গুলো আমার খুবই ভালো লেগেছে। আপনি খুবই আনন্দময় মুহূর্ত উপভোগ করেছেন।বিশেষ করে ভ্রমণের সময় ঘোড়ার গাড়িটি আমার খুবই ভালো লেগেছে। দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে। ঘোড়ার গাড়িতে ভ্রমণ করতে পারলে আমার খুবই ভাল লাগত। আপনার জন্য রইল শুভকামনা।
এই জায়গায় ঘুরার আমার অনেকদিনের ইচ্ছা।তবে কখন যে ইচ্ছে পূরণ হবে জানিনা।ঘোড়ার গাড়িটা আমার কাছেও দারুণ লেগেছে।
একদম ঠিক বলছেন তখন পরিচত মানুষ দেখলেও তাকে কিভাবে এরিয়ে যাওয়া যায় এই চিন্তা করি।কেননা যে যাকে নিয়ে ঘুরতে বের হয় তাকেই সময়টা দেয়।আপনার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে অনেকদিন পর সংসদভবন দেখতে পেলাম।ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য
আপনাকে ও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
আপনি ঠিকই বলেছেন সংসদ ভবনের আশেপাশের রাস্তাগুলো অনেক প্রশস্ত।আর এখানে নানান কিসিমের মানুষ আসে আড্ডা দিতে। এখানকার পরিবেশটা সবসময় মুখর থাকে। ইন্শাআল্লাহ একদিন সংসদ সদস্য হবো। সেদিন খুব করে ঘুরে দেখবো সবকিছু
সর্বোনাশ আপনি রাজনীতি করেন নাকি?
জ্বী ভাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের রাজনীতি করি