বন্ধুর সাথে ঘোরাফেরা। ১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য।
বেশ কিছুদিন ধরে আমার এক বন্ধুর সঙ্গে বাইরে ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা করছিলাম।
কিন্তু ব্যাটেবলে মিল হচ্ছিলো না। কখনো ওর কাজ থাকে আবার কখনো আমি ব্যস্ত থাকি। এর ভেতরে আমি যখন গ্রামের বাড়িতে গিয়েছিলাম তখন ও আমাকে ফোন দিয়েছিলো। কিন্তু বাইরে থাকায় ওর সঙ্গে কোথাও যেতে পারিনি।
লোকেশন-লিংক
বাড়ি থেকে ফেরার পরে আমি ওকে ফোন দিয়েছিলাম বাইরে ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা করার জন্য। কিন্তু ও বলল ওর কিছু জরুরী কাজ আছে। তাই তার পরেরদিনও যাওয়া হলো না। আজ যখন ওকে আমি বললাম যে চলো আজকে কোথাও ঘুরতে যাই। তখন ও প্রথমে রাজী হলো। কিছুক্ষণ পরে আমার বন্ধু আমাকে ফোন দিয়ে বলল। আমার একটু জরুরী একটা জায়গায় যেতে হবে। আজকে ঘুরতে যাওয়া হচ্ছে না। ও কখনোই ওর সিদ্ধান্তে অটল থাকতে পারেনা। যাই হোক কিছুক্ষণ পরে আবার ফোন দিলো আমাকে। ফোন দিয়ে বলল আমার প্রোগ্রাম ক্যান্সেল হয়েছে। চলো আজকে আমরা ঘুরতে যাই। আমি বললাম আচ্ছা বিকেল সাড়ে চারটার দিকে আমরা একটা জায়গায় দেখা করবো।। সেখান থেকে ওর বাইকে করে আমরা গ্রামের দিকে ঘুরতে যাবো।
কিছুদিন আগে ফেসবুক ব্রাউজ করার সময় একটা পোস্ট দেখেছিলাম। সেখানে দেখলাম গ্রামের দিকে বড় ফসলের মাঠে পানি জমে নদীর সাথে মিশে গিয়ে বিরাট হাওরের মতো রুপ নিয়েছে। সেখানে স্থানীয় কিছু ছেলেরা একটি নৌকায় ভ্রাম্যমান রেস্তোরাঁ বানিয়েছে। দেখার পর থেকে আমার সেখানে ঘুরতে যাওয়ার খুব ইচ্ছা ছিলো। কিন্তু সঙ্গী-সাথী কেউ না থাকায় যাওয়া হচ্ছিল না। আজ যখন সুযোগ পেলাম ওকে নিয়ে সেখানে চলে গেলাম। বিকাল ঠিক সাড়ে চারটায় যথারীতি আমরা এক জায়গায় মিলিত হোলাম। সেখান থেকে আমি ওর মোটরসাইকেলে উঠে বসলে আমাদের যাত্রা শুরু হলো।
লোকেশন-লিংক
কিছু দূর এগোনোর পর দেখতে পেলাম একটি ছোট সুইচগেট। সেখান থেকে পানির যাওয়ার তীব্র শব্দ আসছে। আমি আমার বন্ধুকে মোটরসাইকেল থামাতে বললাম। সেখানে গিয়ে আমি পানি পড়ার দৃশ্যটা দেখে অবাক হয়ে গেলাম। কি তীব্র বেগে পানি সুইস গেটের অপর পাশে আসছে। আমি তাড়াতাড়ি কিছু ছবি তুললাম। তারপর আবার এগোতে লাগলাম।
লোকেশন-লিংক
লোকেশন-লিংক
এর ভেতরে আসরের আযান দিয়ে দিলো। আমরা দুই বন্ধু এক জায়গায় মোটরসাইকেল থামিয়ে একটি মসজিদে নামাজ পড়ে নিলাম। তারপর আমরা আমাদের গন্তব্যের দিকে এগিয়ে চললাম। এভাবে কিছুক্ষণ যাওয়ার পর আমরা আমাদের গন্তব্যে পৌঁছে গেলাম। পৌঁছানোর পরে জায়গাটা দেখে আমাদের ভালো লেগে গেলো। পৌঁছার পর দেখতে পেলাম ঘাটে একটি বড় সাইজের একটু ভিন্ন রকমের নৌকা ভেড়ানো আছে। সেখানে টিকিট কেটে উঠতে হয়। আমরা যথারীতি টিকিট কেটে সেই নৌকায় উঠে বসলাম।
লোকেশন-লিংক
নৌকার ভিতর চেয়ার টেবিল পেতে রাখা আছে। নৌকায় ছোট্ট একটি চটপটি ফুচকার দোকান আছে। আমরা নৌকায় উঠার পর থেকেই আমাদের অনেক ভাল লাগছিল। এসব সময় যা হয় তাই করছিলাম। পকেট থেকে মোবাইল বের করে ছবি তুলতে লাগলাম। চারপাশ এত সুন্দর লাগছিল নৌকা থেকে।নৌকায় বেশ ভালো মানুষ ছিলো। নৌকা কিছুক্ষণ দেরি করছিল কয়েকজন লোক আসার জন্য। তারা আসার পর নৌকাটি ছেড়ে দিলো।
লোকেশন-লিংক
লোকেশন-লিংক
লোকেশন-লিংক
লোকেশন-লিংক
তারপর আমাদের ভ্রাম্যমান রেস্তোরাঁয় ভ্রমণ শুরু হলো। আমি আর আমার বন্ধু প্রতিটা মুহূর্ত আমরা উপভোগ করছিলাম। নৌকায় অন্য যারা ছিল তাদেরকে দেখে বোঝা যাচ্ছিল তারা অনেক মজা পাচ্ছে। প্রায় ঘন্টা খানেক সময় আমরা নৌকায় ঘুরলাম। এর ভেতরে শুরু হল মুষলধারে বৃষ্টি। তাতে চারপাশে একটা অন্যরকম আবহের তৈরি হলো।
লোকেশন-লিংক
লোকেশন-লিংক
খুবই চমৎকার লাগছিলো। শেষ কবে যে এত সুন্দর একটি পরিবেশে নৌকায় করে ঘুরেছি সেটা মনে পড়ছে না। নৌকায় বসে আমি আর আমার বন্ধু ঠিক করলাম আমরা আরো একদিন এখানে আসব।
লোকেশন-লিংক
লোকেশন-লিংক
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি। আশা করি পোস্টটি আপনাদের ভালো লেগেছে। পরবর্তীতে আপনাদের সঙ্গে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন।
Support @amarbanglablog by delegating STEEM POWER.
100 SP | 250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP |
🇧🇩🇧🇩ধন্যবাদ🇧🇩🇧🇩
আমি রূপক। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাঙালি। আমি বাংলায় মনের ভাব প্রকাশ করতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকেও ভালোবাসি।
জায়গাটা সত্যিই অসাধারণ। প্রত্যেকটি ছবি জায়গাটার সৌন্দর্য তুলে ধরেছে৷
ভাই আপনার ফটোগ্রাফির প্রশংসা না করলেই না।আপনি প্রতিটি ফটো সূক্ষভাবে ক্যাপচার করেছেন।আপনার পোস্টটি পড়ে ও ফটেগুলো দেখে বুঝতে পারলাম জায়গাটা অনেক সুন্দর।আমারও মন চাইছে ভ্রাম্যমান রেস্তোরাঁয় বসে কফি খেতে খেতে বাংলার প্রকৃতি দেখার।।আপনার উপস্থাপনা ও বর্ণনা খুবই সুন্দর হয়েছে।ধন্যবাদ ভাইয়া এতো সুন্দর একটা জায়গার সাথে আমাদের পরিচয় করে দেবার জন্য।
আসলেই জায়গাটা চমৎকার। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
শুভকামনা রইলো ভাইয়া।
অনেক ভালো লিখেছেন ভাই।
সেজন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
আর আপনার ভ্রমণ কাহিনী দেখে আমার খুব ইচ্ছা করছে এই একটা আনন্দ ভ্রমণ করি।কিন্তু তা শত ব্যস্ততায় সম্ভব হয়ে ওঠে না। সামনে ১২ তারিখে স্কুল খুললে আরো অনেক বিজি হবো। তখন তো আর কোন ক্রমেই সম্ভব হবে না।
তবে ভবিষ্যতে চেষ্টা করবো, ঐ রকম একটা জার্নি করতে।
শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন রইল। ভালো থাকবেন।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই আপনাকে।
সত্যি ভাই জায়গাটা অসাধারণ। আমার খুব ভালো লেগেছে নদী টা। আপনি সময়টা খুব উপভোগ করেছেন বোঝাই যাচ্ছে। এরপর আবার বৃষ্টি। কোনো কিছুরই অভাব ছিল না আপনার আজকের ভ্রমণে।।
হ্যাঁ ঠিকই বলেছেন ভাই। আসলেই অনেক চমৎকার ছিল আজকের ভ্রমণ।
🙂🙂
কতদিন যেভাবে ঘোরাঘুরি করে নি,,, সেটাই মনে পড়ছেনা..। করোনাকালীন সময়ের জন্য একদম বন্দি রয়েছি। বন্ধুবান্ধবের সাথে কোন দেখা সাক্ষাৎ নেই, কোথাও ঘুরতে যাওয়া হয়না তেমন। অনেক ভালো কাটিয়েছেন সময়টি, একটি আনন্দময় বিকেল কেটেছে। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাই।
অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছেন আপনি।সেই সাথে সাথে দুর্দান্ত ফটোগ্রাফি করেছেন।
এই ছবিটা আমার কাছে খুব বেশি ভালো লেগেছে।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
জায়গাটা খুব সুন্দর। আর বন্ধুদের সাথে ঘুরা ঘুরি করার মজাই আলাদা। আপনাদের বন্ধুত্বের সম্পর্ক অটুট থাকুক আজীবন। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো 🥀
ধন্যবাদ আপনাকে।
ছবিগুলো খুব সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন ভাইয়া।গেটের পানিতে খুবই স্রোত এবং নদীটিও ভারী সুন্দর দেখতে। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দিদি।
এটাকেই বলে উপস্থিত বুদ্ধি! জল জমে গিয়ে আজকের পরিস্থিতিকে নিজের কাজ লাগানো। দারুন উদ্ভাবনী।
এতে নতুন কিছু কর্মসংস্থান তৈরী হলো আবার কিছু মানুষ ভালো সময় কাটাতেও পারবে।
ছবি গুলো বেশ সুন্দর হয়েছে দাদা ❤️
অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে আর অল্প কিছুদিন পরেই এখানে পানি কমে যাবে। তখন আর এই নৌকাটা এখানে চালানো যাবে না। তাই তাদেরকে পরামর্শ দিয়েছি পানি থাকতে থাকতে পদ্মা নদীতে নিয়ে যান। ওখানে প্রচুর লোক সমাগম হয়। আপনাদের ব্যবসা ভালো হবে।
ভালো বুদ্ধি দিয়েছেন দাদা। পদ্মার পাড়ে হলে তো আরো ভালো হবে।
অনেক সুন্দর ছিলো দিনিটা বিশেষ করে জাইগাটা অনেক সুন্দর❤️