শীতকালীন সবজির খোঁজে বাজারে ঘোরাঘুরি।
বেশ কিছুদিন পর গতকাল আবার বাড়িতে এসেছি। ইদানিং প্রচণ্ড ব্যস্ততায় সময় কাটছে। ব্যক্তিগত ব্যস্ততার সাথে রয়েছে কমিউনিটির বিভিন্ন কাজ। তবে সবচাইতে বেশি সময় ব্যয় করতে হচ্ছে কমেন্ট মনিটরিং এর কাজে। গতকাল আমি যখন বাড়িতে ফিরছিলাম তখন বাসে বসে বসে ও কমেন্ট মনিটরিং এর কাজ করছিলাম। গতকাল বাসায় ফেরার পর থেকে আজ সকাল ১০ টা পর্যন্ত কমেন্ট মনিটরিং এর কাজে ব্যস্ত ছিলাম। রাত্রে ইলেকট্রিসিটির সমস্যা থাকার কারণে ঘুমটা ভালো হয়নি।
সকালে যখন কমেন্ট মনিটরিং এর কাজটা শেষ করলাম তখন প্রচন্ড ঘুম আসছিলো। কিন্তু ঘুম আসলেও কিছু করার নেই। কারণ ঘরে বাজার তেমন কিছুই ছিল না। যার ফলে আমাকে বাজারে যেতে হয়েছিলো। আপনারা জানেন বাজারে যেতে আমার কাছে ভালোই লাগে। আজকে আবার ছিল আমাদের শহরে হাটবার। যেদিন শহরে হাট থাকে সেদিন শহরের বেশিরভাগ মানুষই চেষ্টা করে সেখান থেকে টাটকা শাকসবজি ফলমূল এগুলি কিনতে। কারণ হাটে প্রচুর টাটকা শাকসবজি ফলমূল পাওয়া যায়।
তাই আমি বেলা ১১ টার দিকে হাটে গিয়েছিলাম সবজি কেনার উদ্দেশ্যে। তবে আগে যেমন হাটে যেতে আমার কাছে ভালো লাগতো এখন আর তেমনটা লাগেনা। কারণ আর কিছুই না দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি। বাজারের প্রত্যেকটা জিনিসের এমন চড়া দাম। যে বাজারে গিয়ে কোন কিছুর দাম জিজ্ঞেস করলে মেজাজ খারাপ হয়ে যায়। দ্রব্যমূলের এই ঊর্ধ্বগতির ছোঁয়া সবজির বাজারেও লেগেছে। বেশিরভাগ সবজির দাম আকাশচুম্বি। যেমন গাজরের কেজি বিক্রি হচ্ছে আমাদের শহরে ১৬০ টাকা। টমেটোর কেজি ১২০ টাকা। ৪০-৫০ টাকার নিচে বাজারে আলু ছাড়া আর কোন সবজি নেই।
তারপরেও যেহেতু হাটে গিয়েছি তাই প্রথমে পুরো হাটের জায়গাটা ঘুরে ফিরে দেখলাম কোথায় কি পাওয়া যাচ্ছে। তারপর আমি ধীরে ধীরে পছন্দসই জায়গা থেকে আমার চাহিদার মত সবজি কিনতে লাগলাম। আমি যখন হাটে গিয়েছি তখনও হাটে ভিড় খুব বেশি হয়নি। একটু বেলা করে গেলে হাটে এত ভিড় হয় যে সেখানে চলাফেরা করাই মুশকিল হয়ে দাঁড়ায়। এই ধরনের হাটে আশেপাশের গ্রাম থেকে মানুষজন তাদের খেতে উৎপাদিত বিভিন্ন রকম শাকসবজি ফলমূল নিয়ে আসতো। আগে তারাই সরাসরি হাটে এসে বিক্রি করতো।
তবে এখন গ্রামের সেসব মানুষের কাছ থেকে এক ধরনের দালালেরা বা আরোত দারেরা শাকসবজি ফলমূল কিনে নেয়। তারপর তারা সেই একই শাকসবজি ফলমূল হাটে ক্রেতাদের কাছে উচ্চমূল্যে বিক্রি করে। এখানে ক্রেতা যেমন অসুবিধার সম্মুখীন হয়। তেমনি মূল চাষিও কোন অর্থনৈতিক সুবিধা পায় না। মধ্যস্বত্ব ভোগীরাই লাভের মূল অংশটা খেয়ে ফেলে। হাটে ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন দোকানের পণ্য দেখছিলাম আর হাটে আগত মানুষজনের বিভিন্ন রকম মন্তব্য শুনছিলাম। প্রায় সবার মুখে একই কথা। প্রতিটি জিনিসের দাম আগুনের মতো হয়ে উঠেছে সেই কথাই বলছে সবাই।
বাজারে বেশ কিছুক্ষণ ঘুরে ফিরে নিজের পছন্দমত সবজিগুলো কিনলাম। এ বছর এখন পর্যন্ত শীতকালীন সবজি তেমন একটা কেনা হয়নি। তাই আজকে মূলত গিয়েছিলাম শীতকালীন সবজি কিনতে। আমি সবজি খুব একটা বেশি খাই না। তবে শুধু শীতের সময়টাতেই আমার সবজি বেশি খাওয়া হয়। কারণ এই শীতকালীন সবজিগুলো আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। সবজি কেনা শেষ হলে সাথে কিছু ফলও কিনলাম। তারপর গেলাম পাশে একটি বাজারে। সেখান থেকে আরো কিছু টুকিটাকি জিনিস কিনে তারপর বাড়ির দিকে ফিরতে লাগলাম।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | হুয়াই নোভা 2i |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | ফরিদপুর |
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
একদম ঠিক ভাইয়া প্রতিটি জিনিসের দাম যে হারে বাড়তে চলেছে মনে হচ্ছে মধ্যবিত্ত মানুষদের কিছু দিন পর না খেয়ে থাকতে হবে। আমার আবার সবসময় সবজি খেতে অনেক ভালো লাগে। যখন শীতকাল আসে তখন দেখা যায় মাছ বা মাংস যাই রান্না করি না কেন সবকিছুর সাথে সবজি থাকে। আপনার সবজির বাজারের দৃশ্য দেখে খুব ভালো লেগেছে কারণ প্রতিটা সবজি দেখে মনে হচ্ছে এখনি ক্ষেত থেকে মনে হয় তুলে এনেছে। শীতকালে এমন টাটকা সবজি খেতে খুবই ভালো লাগে। আপনার বাজার করার সুন্দর মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
আমি সবজি খাই খুব বেছে বেছে। তবে শুধু এই শীতকালে আমি বেশ কিছু সবজি খাই। এই টাটকা সবজি কেনার জন্যই আমি মূলত হাটে বা বাজারে যাই।
অনেক ভাল লাগলো পড়ে ব্লগটি। সত্যি ই ভাইয়া জিনিসপত্রের দাম সব জায়গায়ই একই রকম, বাড়তি। তবুও তো খেতে হবে তাই দাম দিয়ে হলেও কিনতে হয় আর কি। গরীবের জন্য আসলে খারাপ লাগে। 😔 অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া শেয়ার করার জন্য। অনেক অভিনন্দন আপনাকে।
বাজারে প্রত্যেকটি জিনিসের দাম আগের থেকে অনেক বেশি। শুধু গরিব মানুষ না মধ্যবিত্তের জন্যও এটা অনেক বড় সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।