বিয়ে বাড়িতে ভোজন বিলাস। ১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য।
দুই দিন আগে আমি শুভ ভাই এর একটি পোস্ট পড়ছিলাম। সেই পোস্টে আমাদের একজন এডমিন শুভ ভাই একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যাওয়ার অভিজ্ঞতা লিখেছিল। শুভ ভাইয়ের পোস্ট পড়ে আমার তখনই মনে হচ্ছিল যদি একটি বিয়ের দাওয়াত পেতাম। তাহলে কতোই না ভালো হোতো।শুভ ভাইয়ের পোস্টে আমি একটি কমেন্ট ও করেছি। কমেন্ট করে আবার শুভ ভাইকে এই কথাটা জানিয়েছি।
আসলে বিয়ের অনুষ্ঠানের রান্নাটা আমার কাছে খুব মজা লাগে। কারণ একসাথে অনেক মানুষের রান্না হয়। সেই কারণে এই রান্নাটা একটু অন্য রকমের মজা হয়। আপনি যদি বাসায় এই খাবারগুলো রান্না করেন। তাহলে কখনো এতটা মজা হবে না। আমার সত্যিকার অর্থেই একটি বিয়ের অনুষ্ঠানের খাবার খাওয়ার ইচ্ছা করছিল।
এই পোস্টটি পড়ার পরদিন সকালে হঠাৎ করে একটি বিয়ের দাওয়াত পেলাম। জানতে পারলাম আমার এক ফুফাতো বোনের হঠাৎ করে বিয়ে ঠিক হয়েছে। পাত্র আর একদিন পরেই ইংল্যান্ড চলে যাবে। তাই তড়িঘড়ি করে এক দিনের ভিতরেই বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। আমার এই ফুফাতো বোন পেশায় একজন ডাক্তার। আর পাত্র প্রাইভেট ভার্সিটি থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে বের হয়েছে।
সকালে আমার কিছু ব্যক্তিগত কাজে আমাকে কয়েকটি জায়গায় যেতে হয়েছিল। সমস্ত কাজ শেষ করে আমার বাসায় ফিরতে দুপুর হয়ে গিয়েছিল। দুপুরে বাসায় ফিরে দ্রুত গোসল করে তৈরি হয় অনুষ্ঠানস্থলে উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। সেখানে পৌঁছে কমিউনিটি সেন্টারটির চেহারা দেখে বেশ ভালই মনে হলো। পুরো কমিউনিটি সেন্টারটি খুব সুন্দর করে সাজানো। সেখানে পৌছে দেখি ইতিমধ্যে খাওয়া-দাওয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। অনুষ্ঠানে দেখি আগত অতিথিদের জন্য ওয়েলকাম ড্রিংকসের ব্যবস্থা আছে। কিছুক্ষণ পর একটি টেবিল ফাঁকা দেখে আমি সেখানে বসে পরলাম।
অল্পক্ষণের ভিতরেই সামনে খাবার চলে এল। খাবারগুলি দেখেই অনেক লোভনীয় মনে হচ্ছিল। মেনু ছিল মাটন কাচ্চি বিরিয়ানি, মুরগির রোস্ট, জালি কাবাব, আলুবোখারার চাটনি, বোরহানি, আর খাওয়ার শেষে ছিল শাহী জর্দা। আর বাঙালি সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ পান-সুপারির ব্যবস্থা তো রয়েছেই। আমি ইদানিং খাওয়া নিয়ে বেশ সচেতন। রিচ ফুড এড়িয়ে চলার চেষ্টা করি। কিন্তু এই ধরনের খাবার সামনে পেলে সেই নিষেধাজ্ঞার কথা বেমালুম ভুলে যাই।
খাবার দেখেই মনে মনে পরিকল্পনা করেছিলাম অল্প খাবো। কিন্তু খেতে খেটে খাওয়াটা একটু বেশি হয়ে গেল। যদিও আগের তুলনায় অনেকটা কম খেয়েছি। আমার টেবিলে আমার সাথে যারা খেতে বসে ছিল তাদের সকলের আগে আমার খাওয়া হয়ে গিয়েছিলো। খাওয়া-দাওয়া শেষ করে হাত ধুয়ে বসে আত্মীয় স্বজনদের সঙ্গে গল্প করতে লাগলাম।
এদিকে তখনও বর কনে এসে পৌঁছায়নি। তাদের আসতে আসতে প্রায় সন্ধ্যা হয়ে গেল। এর ভিতর দেখি কমিউনিটি সেন্টার থেকে সবাইকে কফি পরিবেশন করা হচ্ছে। যেহেতু সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছে তাই চিন্তা করলাম এক কাপ কফি হলে মন্দ হয় না। কফির কাপে চুমুক দিতে দিতে চাচাতো ফুফাতো ভাই-বোনদের সাথে গল্প করছিলাম। শেষ পর্যন্ত বর কনে এসে উপস্থিত হলে তাদের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হলো। এভাবেই অনুষ্ঠান সমাপ্ত হল। তারপর ক্লান্ত শরীরে বাসায় ফিরে এলাম এভাবেই আমার বিয়ের অনুষ্ঠানের খাবার খাওয়ার অভিজ্ঞতা সম্পন্ন হল।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | হুয়াই নোভা 2i |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | লিংক |
![logo.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmZEaz6VZmitMY1N8dSXHuT2tfgXFnDKjY8iV7jNGuNwEE/logo.png)
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
![Heroism_3rd.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRejDSNMUFmRz2tgu4LdFxkyoZYmsyGkCsepm3DPAocEx/Heroism_3rd.png)
![standard_Discord_Zip.gif](https://steemitimages.com/0x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmTvJLqN77QCV9hFuEriEWmR4ZPVrcQmYeXC9CjixQi6Xq/standard_Discord_Zip.gif)
ভাই একেই বলে গোপালের কপাল চাইতে নাই চাইতেই দাওয়াত ও পেয়ে গেলেন😍।আর হ্যা এটা কথা মানতেই হবে বাসায় যত ভালো করে রান্ধেন বিয়ে বাড়ির টাই বেস্ট।আর আপনার ফুফাতো বোনের জন্য শুভকামনা রইলো।🖤
ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।
ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।
ভাই খুব মজার ছিল বিষয়টা। দাওয়াত খাওয়ার ইচ্ছেটা এই ভাবে পূর্ণ হয়ে গেলো হাহহাহাহাহা। শুভ ভাই এর পোস্ট দেখে আমার ইচ্ছে করে নাই তবে আপনার খাবার এর ছবি দেখে আমার এখন ইচ্ছে করছে । দেখি আমিও পোস্ট করতে পারি কিনা কেউ ইনভাইট করে কিনা আমাকে হাহাহাহহাহাহা।
আমিও অবাক হয়েছি। মনে মনে যেটা আশা করলাম রব্বুল আলামিন সেটা সাথে সাথেই দিয়ে দিলেন।
🥰🥰🥰🥰😘😘
বিয়ে বাড়ির মানেই আনন্দঘন মুহূর্ত । আপনি যে বিয়েতে গিয়েছেন আমার তো মনে হচ্ছে অনেক বেশি আয়োজন ছিল। যদিও আপনি বিয়ে বাড়িতে পৌঁছাতে দুপুর হয়ে গেছিল কিন্তু তারপরেও কিছুটা হলেও খাওয়া-দাওয়া ইনজয় করতে পেরেছেন। ফটোগ্রাফি গুলো তো আমার কাছে অসাধারণ লেগেছে। লাইটিং করা দৃশ্য গুলো খুবই ভালো লেগেছে। খাবারের ফটোগ্রাফি টা অসাধারন ছিল। আপনি আমাদের সাথে শেয়ার করাতে আমরাও উপভোগ করতে পারলাম। আমাদের মাঝে এরকম একটা মুহুর্ত শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ আপনাকে আপু ।
খাওয়ার পরিমাণটা কিভাবে আর কন্ট্রোল করবেন!এতো মজার মজার খাওয়া সব।আমার ও তো এখন বিয়ের খাবার খেতে ইচ্ছে করছে।
সেটাই তো চিন্তার বিষয়। এই ধরনের খাবার দেখলে কন্ট্রোল করা খুবই কঠিন।