পরিবারের সাথে বৈকালিক ভ্রমণ।
কয়েকদিন হল বাড়িতে এসেছি। বাড়িতে এসে এখন পর্যন্ত তেমন একটা বাইরে যাওয়া হয়নি। আসার পর থেকে ঘরেই আছি। কমিউনিটির কাজ করছি আর পরিবারের সাথে সময় কাটাচ্ছি। এভাবেই দিন কেটে যাচ্ছিলো। কিন্তু আপনারা জানেন আমি ঘোরাফেরা করতে বেশ পছন্দ করি। সেজন্য বেশিক্ষণ বা বেশিদিন আমার পক্ষে ঘরে বসে থাকা সম্ভব না। সাধারণত আমি আমার বন্ধুর ফেরদৌসের সাথেই বেশি ঘোরাফেরা করি। তবে মাঝে মাঝে পরিবারকে নিয়েও ঘুরতে বের হই।
তাই চিন্তা করলাম আজ পরিবারকে নিয়ে বাইরে থেকে ঘুরে আসি। যদিও দুদিন আগে আমাদের পরিকল্পনা ছিল বাইরে ঘুরতে যাওয়ার। কিন্তু সেদিন কমিউনিটির কাজ শেষ করে বের হতে দেরি হয়ে গিয়েছিলো। যার ফলে সেদিন আর কোথাও ঘুরতে যাওয়া হয়নি। একটা রেস্টুরেন্ট থেকে খাওয়া-দাওয়া করে সোজা বাড়ি ফিরে এসেছিলাম। আজ ছিল একে তো শুক্রবার। তার পরে আবার সার্ভার প্রবলেম এর কারণে কমিউনিটি কোন কাজই করতে পারছিলাম না। তাই চিন্তা করলাম আজকেই মোক্ষম সময় বাইরে থেকে ঘুরে আসার। তাই মনে মনে একটি পরিকল্পনা করলাম আজকে ঘুরতে যাওয়ার।
পরিকল্পনা মোতাবেক আমি আমার স্ত্রী এবং মেয়েকে নিয়ে বিকাল চারটার দিকে বাসা থেকে বের হলাম। উদ্দেশ্য ছিল পদ্মার পাড়ে ঘুরতে যাওয়া। তবে আমাদের ইচ্ছা ছিল নৌকায় করে কিছুটা ঘোরাঘুরি করা। তাই আমি তাদেরকে বললাম আমরা নৌকায় করে নদীর ওপারে গিয়ে চরে কিছুটা ঘোরাফেরা করে আসি। নদীটা পার হলেই ওপারে বেশ বড় চর। সেখানে ইতিমধ্যে অনেক জনবসতি গড়ে উঠেছে। এই ধরনের নতুন জেগে ওঠা চরে ঘুরতে বেশ ভালোই লাগে।
পদ্মার পাড়ে পৌঁছে প্রথমে আমি ওদেরকে একটি জায়গায় দাঁড় করিয়ে রেখে নামাজ পড়ে নিলাম। তারপর দেখে শুনে একটি ট্রলারে উঠে বসলাম। কিছুক্ষণ পর ট্রলার ছেড়ে দিলো ওপারের উদ্দেশ্যে। নদীতে এখন কেবল পানি কমতে শুরু করেছে। যার ফলে ট্রলার গুলি প্রথমে কিছুক্ষণ ধীর গতিতে চলল যাতে কোন ডুবো চরের সাথে বেঁধে আটকে না যায়। তারপর যখন একটু গভীর পানিতে গেল তখন পূর্ণ গতিতে চলল ওপারের উদ্দেশ্যে। যখন ওপারের কাছাকাছি পৌঁছলাম তখন দেখতে পেলাম এবার ওপারে বেশ ভালো নদী ভাঙ্গন হয়েছে। কারণ আগে ট্রলার যে জায়গাটাতে থামতো এখন দেখলাম সেটি বিলীন হয়ে গিয়েছে পদ্মার গর্ভে।
যাইহোক কিছুক্ষণের ভেতরেই আমরা ওপারে গিয়ে চরে নামলাম। তারপর আমরা হেঁটে চরটা ঘুরেফিরে দেখতে লাগলাম। যদিও এত বড় চর ঘুরে দেখতে হলে পুরো দিন প্রয়োজন। কিন্তু আমরা যেহেতু অল্প সময় হাতে নিয়ে এসেছি তাই কিছুদূর সামনে এগিয়ে চরাঞ্চলের জীবনযাত্রা দেখতে লাগলাম। সাথে সাথে বেশ কিছু ছবিও তুলছিলাম। যখন দেখলাম প্রায় সন্ধ্যা হয়ে এসেছে তখন ঘোরাফেরা বন্ধ করে আবার ঘাটের উদ্দেশ্যে ফিরে চললাম। সেখান থেকে ট্রলারে করে আমরা আবার এপারে চলে এলাম।
আমার পরিবারের লোকজনের আগে এইভাবে চরে ঘোরাফেরার কোন অভিজ্ঞতা ছিল না। যার ফলে তারা চরে কাটানো সময়টা বেশ উপভোগ করেছে। শহর থেকে বের হয়ে মাঝে মাঝে গ্রামীণ পরিবেশে আসলে মন এমনিতেই ভালো হয়ে যায়। আমাদেরও তাই হয়েছিলো। আমি দীর্ঘদিন ঢাকাতে ছিলাম। আর আমার অনুপস্থিতিতে আমার পরিবারও তেমন একটা বাইরে ঘুরতে বের হয়নি। যার ফলে চরে ঘোরাফেরার এ সময়টা আমাদের সবারই অনেক ভালো লেগেছে।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | হুয়াই নোভা 2i |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | পদ্মার চর |
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
ভাই পরিবারের সাথে নিয়ে খুবই সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করেছেন। আসলে ব্যস্ততার কারণে আপনি বের হতে পারছেন না। তবে শুক্রবার ছিল আর সার্ভার প্রবলেম থাকার কারণে আপনি কমিউনিটিরকোন কাজ করতে পারছিলাম না। সেজন্য পরিবারকে নিয়ে খুব সুন্দর একটি মুহূর্ত উপভোগ করছেন। এই জায়গাটি ফটোগ্রাফি আমার খুবই ভালো লেগেছে। এত সুন্দর জায়গা সত্যি অসাধারণ, সকলের সুস্থতা কামনা করছি।
খুবই চমৎকার লাগলো ভাই। পদ্মা নদীর চর ও পদ্মা পাড়ের ফটোগ্রাফি গুলো। নদী এলাকায় ঘুরতে আমাকে খুব ভালো লাগে। নদী এলাকার প্রকৃতি এটা আমাদের বাংলাদেশের ঐতিহ্য। নদীমাতৃক এদেশে অসংখ্য নদী রয়েছে যা প্রকৃতিতে বাংলাদেশের সেতুবন্ধন করেছে। যদিও নদী ভাঙ্গনের ফলে অসংখ্য মানুষ ভূমিহীন হয়ে পড়েছে। অনেক অনেক শুভকামনা রইল ভাই আপনার পরিবারের জন্য।