সকালের মনোরম পরিবেশে হাটাহাটি সেই সাথে নদী দর্শন।

কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা? আমি ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও ভালো আছেন।


অন্যান্য দিনের মতো আজকে সকালেও হাঁটতে বের হয়েছিলাম। আজকে মোটামুটি সময় মতোই বাসা থেকে বের হয়েছিলাম হাটাহাটি করার জন্য। তবে হাঁটতে বের হওয়ার কিছুক্ষণ পরেই বেশ ক্ষুধা অনুভব করলাম। ইদানিং এই সমস্যাটা বেশ অনুভব করছি। আমি আসলে রাতে তেমন কোনো ভারি খাবার খাই না। ভারি কোন কিছু খেলে সেটা সন্ধ্যার ভিতরেই খেয়ে ফেলি। যার ফলে সকালে উঠে আমার বেশ ক্ষুধা লাগে। তবে এই ক্ষুধা লাগে যখন হাঁটতে বের হই তখন। বাসায় থাকতে যদি ক্ষুধার অনুভূতি হোতো তাহলে হয়তো হালকা কিছু খেয়ে বের হতে পারতাম। যাইহোক যখন ক্ষুধার অনুভূতিটা প্রবল হোলো। তখন চিন্তা করতে লাগলাম কোথায় খাওয়া যেতে পারে।

IMG_20240905_065542.jpg

পরবর্তীতে চলে গেলাম আমার পছন্দের সেই খিচুড়ির দোকানে। কিন্তু সেখানে গিয়ে দেখি তখনও তারা তাদের রেস্টুরেন্ট খোলেনি। কারন তখন বাজে বেলা ছয়টা। এতো সকালে আসলে কোন হোটেলেই খোলেনা। আমি পরবর্তীতে চিন্তা করতে লাগলাম কোথায় গিয়ে এখন খাবার পাবো? তখন হঠাৎ করে মনে পড়লো স্টেডিয়াম পাড়ায় ঠাকুরের হোটেল রয়েছে। সেখানে অনেক সকালে তারা লুচি আর ডাল ভাজি তৈরি করে। সেখানে গেলে হয়তো খাবার পাওয়া যাবে। চিন্তাটা মাথায় আসতেই আমি ঠাকুরের হোটেলের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। এই হোটেলটা ফরিদপুরে পুরাতন হোটেল গুলোর ভেতরে একটা। আসলে হোটেল বলতে তেমন কিছু না। দুটো দোকান মিলিয়ে একটা ছোট্ট হোটেল মতো খোলা হয়েছিলো বহু আগে।


IMG_20240905_070319_1.jpg

সেই ছোট্ট হোটেলটা যে এতদিন ধরে তার জনপ্রিয়তা ধরে রাখতে পারবে। তখন হয়তো কেউই চিন্তা করেনি। শহরের আমরা যারা স্থানীয় বাসিন্দা তাদের কাছে এই হোটেলটা বেশ পছন্দের। যাই হোক হাঁটতে হাঁটতে একসময় পৌঁছে গেলাম ঠাকুরের হোটেলে। সেখানে পৌঁছে জিজ্ঞেস করতেই তারা জানালো খাবার তৈরি হয়ে গিয়েছে। আমি টেবিলে বসতেই সামনে চলে এলো গরম গরম লুচি আর ডাল ভাজি। এদের ডাল ভাজি টা আসলে একটু অন্যরকম খেতে দারুন লাগে। এই হোটেলে ডাল ভাজি ছাড়াও লুচির সাথে খাওয়ার জন্য মিষ্টিও পাওয়া যায়। সেই মিষ্টিটাও দারুণ সাদের। যদিও ইদানিং ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হওয়ার জন্য মিষ্টিটা এড়িয়ে চলার চেষ্টা করছি।


IMG_20240905_070317.jpg

যাই হোক সামনে গরম গরম লুচি আর ডাল ভাজি আসতেই খাওয়া শুরু করে দিলাম। যথারীতি এবারও ছবি তুলতে ভুলে গিয়েছিলাম। বেশ আয়েস করে সকালের নাস্তাটা শেষ করলাম। নাস্তা শেষ করার পরে আর হাটতে ইচ্ছা করছিলো না। তার পরেও অনেকটা জোর করে আরো বেশ খানিকক্ষণ হাঁটলাম। হাঁটতে হাঁটতে একসময় পদ্মার পাড়ের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিলাম। তখন চিন্তা করলাম পদ্মার পাড় থেকে একবার ঘুরে যাই। দেখি কোনো মাছ পাওয়া যায় কিনা। কিন্তু সেখানে গিয়ে দেখতে পেলাম তখনো মাছ বিক্রেতারা সেখানে এসে পৌঁছায়নি। তাই আমি পদ্মার পাড়ে কিছুক্ষণ ঘোরাফেরা করে। কিছু ছবি তুলে বাসার দিকে রওনা দিলাম।

আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।


ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইসহুয়াই নোভা 2i
ফটোগ্রাফার@rupok
স্থানফরিদপুর

logo.png



PUSS_Banner2.png



Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

standard_Discord_Zip.gif


break .png

Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote


VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png



🇧🇩🇧🇩ধন্যবাদ🇧🇩🇧🇩


@rupok

Sort:  

This post has been upvoted by @italygame witness curation trail


If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness




CLICK HERE 👇

Come and visit Italy Community



Hi @rupok,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.

Come and visit Italy Community

 2 months ago 

আশা করি ভাইয়া ভালো আছেন? সকালে প্রকৃতির পরিবেশে বেশ সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করেছেন আপনি। সকালের প্রাকৃতিক আবহাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। সকালবেলা বিশেষ করে নদীর পাড়ের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য খুবই দারুণ হয়ে থাকে। প্রকৃতির পরিবেশে এতো সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করার অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই। ভালো থাকবেন ভাইয়া।

 2 months ago 

রাতে হালকা খাবার খেলে সকাল সকাল বেশ ক্ষুধা লেগে যায় ভাইয়া। গরম গরম লুচি আর ডাল ভাজি খেতে সত্যি অনেক ভালো লাগে। তবে মিষ্টি না খাওয়াই ভালো ভাইয়া। এখন সবারই ডায়াবেটিস সমস্যা হচ্ছে। তাই আগে থেকেই একটু সতর্ক থাকতে হবে।

 2 months ago 

আমি তো রাতের বেলায় ভারী খাবার খেলেও যদি সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠি,তাহলে তাড়াতাড়ি নাস্তা করতে হয়। কিন্তু ঘুম থেকে দেরীতে উঠি বলে নাস্তা দেরীতে করা হয়। যাইহোক সকালে হাঁটতে বের হয়ে ঠাকুরের হোটেলে গিয়ে বেশ মজা করে গরম গরম লুচি খেয়েছেন তাহলে। গরম গরম লুচি খাওয়ার মজাই আলাদা। তারপর পদ্মা নদীর পাড়ে গিয়ে দারুণ কিছু ফটোগ্রাফি ক্যাপচার করেছেন। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

Coin Marketplace

STEEM 0.19
TRX 0.18
JST 0.031
BTC 86390.02
ETH 3257.29
USDT 1.00
SBD 2.93