ঢাকায় আমার জুম্মার দিন। ১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য।
ঢাকা আসার পর থেকেই আমি জুম্মার নামাজটা মসজিদে গিয়ে পরার চেষ্টা করছি। জুম্মার নামাজে আমাদের দেশে সবজায়গায় ভিড় হয়। কিন্তু ঢাকা শহরে ভিড় হয় সবথেকে বেশি। একটু দেরিতে মসজিদে গেলে সহজে জায়গা পাওয়া যায় না। হয় মসজিদের একদম উপরের তলায় অথবা রাস্তায় জায়নামাজ বিছিয়ে নামাজ পড়তে হয়।
একবার আমি নামাজ পড়তে গিয়ে খুবই সমস্যায় পড়েছিলাম। গিয়ে দেখি মসজিদের ভিতরে জায়গা নেই। বাইরে নামাজ পড়তে হবে। সবাই সাথে করে দেখি জায়নামাজ নিয়ে এসেছে। কিন্তু আমার সাথে জায়নামাজ ছিল না। খুবই দুশ্চিন্তায় পড়ে ছিলাম এখন কিভাবে নামাজ পড়বো। পড়ে যাই হোক শেষ পর্যন্ত নামাজ পড়ার একটা ব্যবস্থা হয়েছিলো।
সমগ্র দেশে সাধারণত মানুষ জুম্মার নামাজের পর কিছুক্ষণ গল্পগুজব করে তারপর বাড়িতে যান। কিন্তু ঢাকায় এসে এবার দেখলাম একটু অন্যরকম ব্যাপার। মসজিদের পাশেই বিভিন্ন রকমের প্রচুর হকার এসেছে। বিভিন্ন রকমের জিনিস নিয়ে। মানুষ নামাজ শেষ করে সেই হকারদের কাছ থেকে কেনাকাটায় ব্যস্ত হয়ে গিয়েছে। ফলমূল, শাকসবজি, মাছ থেকে শুরু করে সবকিছুই ছিল সে হকারদের কাছে।
এই ব্যাপারটা আমি আগে কখনো দেখিনি। হকারদের কাছ থেকে এই সময় কেনাকাটার মূলত দুটি কারণ। প্রথম কারণ হচ্ছে এই সময়ে বেশির ভাগ দোকানপাট বন্ধ থাকে। দ্বিতীয়ত হচ্ছে এই হকারদের কাছ থেকে টাটকা জিনিসপত্র তুলনামূলক কম দামে পাওয়া যায়। সেখানে কিছু হকার এসেছিল বিভিন্ন রকম কাপড়-চোপড় নিয়ে। যেমন পাঞ্জাবি পায়জামা সাথে অন্যান্য জিনিস। যেমন টুপি, আতর, তসবি এগুলো ও ছিলো।
নামাজ শেষ হওয়ার পর পুরো এলাকাটা একটি বাজারে পরিণত হয়ে গেলো। কেনাকাটায় পুরো এলাকার সরগরম হয়ে উঠছিলো। বিক্রি করতে পেরে হকাররা ও খুশি। আবার কম দামে কিনতে পেরে ক্রেতাও খুশি। সবার উৎসবমুখর কেনাকাটা দেখে আমার বেশ ভালই লাগছিলো।
আজকের মত পোস্টটি এখানেই শেষ করছি। আশা করি পোস্টটি আপনাদের ভালো লাগবে। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত যন্ত্র | হুয়াই নোভা ২আই |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | লিংক |
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
🇧🇩🇧🇩ধন্যবাদ🇧🇩🇧🇩
আমি রূপক। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাঙালি। আমি বাংলায় মনের ভাব প্রকাশ করতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকেও ভালোবাসি।
সত্যি আজকে আপনার মাধ্যমে নতুন এক অভিজ্ঞতা সম্পর্কে জানলাম। ঢাকা শহরে নামাজ পড়া অত্যন্ত কষ্টকর। রাস্তায় মানুষজন নামাজ আদায় করে এবং নামাজ আদায় করার পর আবার হকারেরা ও শাকসবজি ফলমূল বেঁচতে চলে আসে। সত্যিই অবাক করার মত বিষয় এবং অনেক সুন্দর মুহূর্ত আপনি আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন
ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।
আপনি জুম্মা মোবারক অনেক সুন্দর কাটিয়েছেন।নামাজ শেষে রাস্তার পাশে বিভিন্ন ধরনের জিনিস বিক্রি করা গল্প বর্ণনা করেছেন। খুব ভালো লাগলো বিষয়টি পড়ে জানতে পেরে।শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।
ভাইয়া কি আর বলবো আমি সেদিন গেছিলাম নামাজ পড়তে রাস্তায় ও আমি পাই নাই। ভিতরে তো দূরের কথা। পরে মাসজিদে উপরে উঠার সিড়িতেই দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করলাম। আসলে কি জুম্মার দিনে খুব ভালোই লাগে এই বিষয় টা। দোয়া রইল ভাইয়া আপনার জন্য।
ধন্যবাদ ভাইয়া।
ঢাকাকে বলা হয় মসজিদের শহর। তারপরেও জুম্মার দিনে মসজিদে জায়গা পাওয়া যায় না। এবং নামাজের পর হকারদের থেকে পন্য কেনা। এই বিষয়টি আমার বেশ দারুন লেগেছে। লোকদেরও আর বাজারে যেতে হয় না এবং হকারদেরও বিক্রি হয়।
খুব ভালো লিখেছেন ভাই।
ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।
বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে জনবহুলের শহর ঢাকা।তো এখানে মসজিদেও ভীড় হওয়াটা স্বাভাবিক।
ধন্যবাদ আপনাকে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।
ভাই ইশ্বরের কাছে প্রার্থনা আপনি করেছেন , কষ্ট হয়েছে জায়গার সল্পতার কারনে তবুও আপনি নামাজে অংশ নিয়েছেন। ইশ্বর আপনার মঙ্গল করুক এই কামনা করি। আল্লাহ আপনার সহায় হবেই। ভাল থাকবেন।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই আপনাকে।
জুমার দিনে সকল মসজিদে অনেক মানুষ জমা হয়। তবে শুধু ঢাকা নয় আমাদের গ্রামাঞ্চলেও জুমার দিনে হকার গুলো তাদের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস গুলো বিক্রি করে খুবই স্বল্পমূল্যের ভিতরে।
আমাদের এলাকায় অবশ্য এ ব্যাপারটা হয়না।
যাইহোক তাহলে সবকিছু মিলিয়ে ঠিক আছে। না হওয়াটাই উত্তম। কেননা প্রার্থনা করার জায়গায় অন্য চিন্তা ভাবনা নিয়ে আসাটাই ভালো
আমিও তো এমন দেখিনি ভাইয়া।
আমাদের চট্টগ্রামে অনেক ভিড় হয় নামাজে কিন্তু এভাবে হকার বসে না। যা বসে তা হলো বাচ্চাদের খাবার দাবার, যেমনঃআচার,ফুচকা,আইসক্রিম ওয়ালা এসব।
আমিও এরকমটা আগে দেখিনি। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি সুন্দর একটি জুম্মার দিন কাটিয়েছেন। নামাজ শেষে রাস্তার পাশে বিভিন্ন ধরনের জিনিস বিক্রি করার গল্প বর্ণনা করেছেন।দেখে খুবই ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে এমন একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। শুভ কামনা রইল আপনার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।
আমি যেসময় ঢাকার মোহাম্মদপুরের দিকে থাকতাম ওই সময়ে শুক্রবার এর দিনে মসজিদে যদি দেরি করে যেতাম তাহলে জায়গা পেতাম না। একদিন তো বিশাল একটা কাহিনী ঘটে গিয়েছিল। প্রথমে একটা মসজিদে গিয়েছি সেখানে জায়গা পাইনি, পর আরেকটাতে গিয়েছি। সেখানেও জায়গা পাইনি।
মসজিদের বাহিরের এক কর্নারে বসে নামাজ পড়েছিলাম।
আমিও একদিন ভাই এই অবস্থার শিকার হয়েছিলাম। খুব ঝামেলায় পড়েছিলাম। ধন্যবাদ আপনাকে ভাই আপনার মন্তব্যের জন্য।