শুরু হলো আমার ভোজন বিলাস।১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য।
আপনাদের কাছে আমি আগেই বলেছি যে আমি দুদিন আগে ঢাকায় এসেছি। ঢাকায় এসেছিলাম বেশ খুশি নিয়ে। কিন্তু এখন একটু টেনশনে আছি। আজ সারাদিন আমি বাসায় ছিলাম। শুধু সকালে একটি হসপিটালে গিয়েছিলাম আমার ভাগ্নের ডেঙ্গু টেস্টের রিপোর্ট আনার জন্য। কারণ গতকালকে থেকে তার ও হালকা জ্বর হয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে তার ডেঙ্গু টেস্টের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। একটা চিন্তা অন্তত দূর হলো।
আমি যখনই ঢাকায় আসি তার আগে প্ল্যান করে আসি যে এবার ঢাকায় গিয়ে আমি কি কি খাবো। আমি খেতে অনেক ভালোবাসি এবং বিভিন্ন রকম খাবার সম্বন্ধে আমার জানার আগ্রহ ও অনেক। এজন্য আমি ফুড ভ্লগ গুলি দেখি ইউটিউবে। বাংলাদেশের বেশ কিছু ফুড ভ্লগার আছেন যাদের কনটেন্ট আমার কাছে খুব ভালো লাগে। তেমনই একজন খালেদ সাইফুল্লাহ। খাই-দাই ডট কম নামে একটি চ্যানেলে তিনি ভিডিও আপলোড করেন। তার ভিডিওর টপিকস হচ্ছে ফুড রিভিউ করা।
তার একটা ভিডিও দেখতে গিয়ে আমি দেখতে পেলাম পেশোয়ারাইন নামে একটি রেস্টুরেন্ট আছে। এই রেস্টুরেন্টটি মূলত তাদের পাকিস্তানি ঘরানার নেহারির জন্য বিখ্যাত। ওই ফুড ব্লগার সেই রেস্টুরেন্টের নিহারি খেয়ে খুবই প্রশংসা করেছিলো। আমি নেহারী খুবই পছন্দ করি। সেজন্য ওই ভিডিও দেখার পর থেকেই আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম আমি ঢাকা গেলে এই রেস্টুরেন্ট থেকে নিহারী খাবো।
আজ সারাদিন বাসায় থাকার পর সন্ধ্যার দিকে বাসা থেকে বের হলাম। রেস্টুরেন্টের ওই এলাকাটা আমার পরিচিত নয়। তারপরেও গুগল ম্যাপে লোকেশন দেখে রিকশায় করে সেখানে চলে গেলাম। গিয়ে লোকজনের কাছে যখন জিজ্ঞেস করলাম যে রেস্টুরেন্টটা কোথায়। তারা আমাকে জানালো রেস্টুরেন্টটি বেশ কয়েকমাস আগে এখান থেকে চলে গিয়েছে। শুনে আমি প্রচন্ড হতাশ হলাম। কারণ প্রথমত আমি অনেকটা দূর থেকে এখানে এসেছি। আর দ্বিতীয়ত এই রেষ্টুরেন্টের নেহারি খাওয়ার খুব ইচ্ছা আমার ছিলো। তো ব্যর্থ মনোরথে চিন্তা করছিলাম যে এখন বাসায় ফিরে যাব কিনা।
তখন আমার হঠাৎ করে মনে পড়ল আমি যে এলাকাতে আছি তার কাছাকাছি একটা রেস্টুরেন্টের রিভিউ দেখেছিলাম। সেখানেও অনেক ভালমানের নেহারি রান্না হয়। তো যেই ভাবা সেই কাজ। তখনই একটি রিক্সা নিয়ে আবার চলে গেলাম সেখানে। এবারও গুগল ম্যাপ এর শরণাপন্ন হলাম। প্রায় আধাঘণ্টা পর রিকশায় করে সেই রেস্টুরেন্টের সামনে পৌছালাম। রেস্টুরেন্টের নামটি ছিল বেশ মজার মিয়া ভাই। রেস্টুরেন্টটি খুবই ছোট ধরনের কিন্তু পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন। সমস্যা আমার পিছু ছাড়ছিলো না। রেস্টুরেন্টে কাছাকাছি পৌছতেই হঠাৎ করে ইলেক্ট্রিসিটি চলে গেল। এই রেস্টুরেন্টে আবার ব্যাকআপ পাওয়ারের ব্যবস্থা নেই। যার ফলে বেশ কিছুক্ষণ রেস্টুরেন্টের সামনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করলাম। তারপর রেস্টুরেন্টের ভেতরে ঢুকে আমার কাঙ্খিত খাবার অর্ডার করলাম।
কিছুক্ষণ পর আমার সামনে খাবার চলে আসলো। প্রচন্ড ক্ষুধা লেগে ছিলো। সেজন্য গোগ্রাসে খাওয়া শুরু করলাম। আমি অর্ডার করেছিলাম কোরেলের রগ এর নিহারী এবং ব্রেন আর সাথে গার্লিক নান। তারপর আবার কোরেলের মাংস নিহারী অর্ডার করেছিলাম। খাওয়াতে এতটাই মগ্ন ছিলাম যে ছবি তোলার কথা মনেই হয়নি। খাওয়া শেষ হওয়ার পর মনে পড়লো যে খাবারের ছবি তোলা হয়নি। অনেকটা খাবারের অর্ডার করেছিলাম। যার ফলে পুরোটা শেষ করতে ও পারিনি। রেস্টুরেন্ট থেকে বের হওয়ার সময় বুঝতে পারলাম একটু বেশি খেয়ে ফেলেছি। যাইহোক খাবারটা বেশ মজার ছিলো। তারপর ধীরে সুস্থে বাসার দিকে ফিরে চললাম।
এই ছিল আমার আজকের দিন। আশা করি পোস্টটি আপনাদের ভালো লেগেছে। আজকের মতো এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত যন্ত্র | হুয়াই নোভা ২আই |
---|---|
স্থান | লিংক |
ফটোগ্রাফার | @rupok |
🇧🇩🇧🇩ধন্যবাদ🇧🇩🇧🇩
![](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmeu7bMtmK6H5wsD2CFwpuo284mVAKuMo8rpv8AWFAX5pV/IMG_20210731_195547.png)
আমি রূপক। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাঙালি। আমি বাংলায় মনের ভাব প্রকাশ করতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকেও ভালোবাসি।
ফুড ব্লগারদের এই জিনিসটা আমার খুব ভালো লাগে। তারা সবসময় সেরা খাবারগুলো সুন্দরভাবে রিভিউ করে। এবং খাবারের ছবিগুলো আশা করছিলাম। কিন্তু আপনি তো খাওয়াই এতোটাই মগ্ন ছিলেন ভুলে গেছেন। খুব ভালো হয়েছে পোস্টটা।
আলহামদুলিল্লাহ্ বাচ্চাটার অন্তত ডেঙ্গু হয়নি।
বাচ্চাদের রোগশোক অনেক ঝামেলা, সেই সাথে দুশ্চিন্তার তো শেষ ই নি।
তবে খাওয়ার ছবিটা মিস করলাম।ছবি দেখতে পেলে ভালো লাগতো।
ঠিকই বলেছেন। ছবিটা দিতে পারলে আমারো ভালো লাগতো। ধন্যবাদ আপনাকে।
দিলেনতো ভাই খুদা টা বাড়িয়ে,, অনেক খেতে ইচ্ছা করছে!! এত রাতে কোথায় পাব ভাই? সমাধান চাই ভাই।।
আর আমি এখনও ওভারলোড অবস্থায় আছি।
আসলে শহরাঞ্চলে এখন ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি দোয়া রইল সে যেন সুস্থ হয়ে যায়। আপনি সাবধানে থাকবেন। আসলেই রেস্টুরেন্টের পরিবেশ অনেক ভাল ছিল এবং এখানে উন্নত মানের পাকিস্তানি নেহারি পাওয়া যায় এবং দেখে অত্যন্ত ভাল লাগল আসলে ইচ্ছা করছে খেতে। আপনার জন্য শুভকামনা রইল। অনেক সুন্দর ছিল আপনার দিনটি।
ভাই কি খাবার দেখাইলেন পেট তো খালি খাই খাই করতাছে।অনেক ভালো ছিলো।
ভাই আপনার ভোজন বিলাস এর খুব সুন্দর একটি অভিজ্ঞতা আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন এ জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আশা করি আপনি খুব সুন্দর একটি মুহূর্ত কাটিয়েছেন। আপনার জন্য রইল শুভকামনা।
রুপক ভাই এক একা খাচ্ছেন । আপনার খাওয়ার পোষ্ট দেখে আমারো লোভ হচ্ছে। কি আর করার। ফরিদপুর আসলে ট্রিট টা নিয়ে নেবো। ভাল থাকেন।ভাগ্নের সুস্থতা কামনা কারছি আর ডেঙ্গু হতে সাবধান কিন্তু। সুস্থ মতো ফিরে আসেন।সুন্দর একটা পোষ্ট এর জন্য ধন্যবাদ।
আমি বলেছিলাম না,চিন্তার কোন কারণ নেই। সব ঠিক হয়ে যাবে।সবিই আল্লাহ ইচ্ছা। মানুষের করার কিছুই নেই।যাইহোক রিপোর্ট নেগেটিভ শুনে আমিও খুশি হলাম।সেই সঙ্গেই আপনাকে ধন্যবাদ।ভালো থাকবেন।