প্রাতঃভ্রমণে নতুন একটি জায়গা ঘোরার অভিজ্ঞতা।
গতকাল রাতে আমার এক আত্মীয় ফোন দিয়ে আমাকে বলল। আগামীকাল সকাল সাড়ে সাতটার ভেতরে আমার কাছে একটি জরুরী কাগজ দিয়ে যাবে। তার ফোন পেয়ে কিছুটা টেনশনে পড়লাম যে আত্মীয় ফোন দিয়েছিল আমাদেরই কাজের জন্য। যার ফলে যত কষ্টই হোক সকাল বেলা সেখানে অবশ্যই যেতে হবে। যদিও এত সকালে কোথাও যেতে আমার এমনিতেই ভালো লাগেনা তার পরেও যেহেতু নিজেদের কাজ তাই সকালবেলা উঠে রওনা দিলাম সেই আত্মীয়ের বাড়ির উদ্দেশ্যে।
তাদের বাসা বনশ্রীর একটু পাশেই। জায়গাটির নাম মেরা দিয়া। সেই এলাকাতে গিয়ে আমি বেশ অবাক হলাম। কারণ এই এলাকাগুলোতে আগে তেমন কোন মানুষের বসবাস ছিল না। সেখানে জমির দাম ছিল খুবই কম। কিন্তু এখন সেখানকার পরিস্থিতি দেখলে বিশ্বাস করতে পারবেন না। কারণ সেখানে সব চমৎকার বড় বড় বিল্ডিং তৈরি হয়েছে। মাত্র ১২-১৩ বছর আগে সেখানে জমির কাটা ছিল মাত্র পাঁচ লাখ টাকা করে। এখন সেই জমির দাম প্রায় কোটি টাকা ছুঁয়েছে। আমি আমার কাজ সেরে ফেরার পথে এলাকাটি একটু ভালোভাবে দেখতে লাগলাম।
আমি ঠিক করেছিলাম সেখান থেকে হেঁটেই বনশ্রী আসব। তাই আমি আমার কাজ শেষ করে বনশ্রীর উদ্দেশ্যে হাঁটতে শুরু করলাম। কিন্তু কিছুদূর আগানোর পরই দেখতে পেলাম মেরাদিয়া হাট। ঢাকা শহরের ভিতরে এই ধরনের হাট প্রায় দেখা যায় না বললেই চলে। আর আমি কোথাও গেলে যদি সেখানে হাট বাজার কিছু দেখতে পাই। তবে সেখান থেকে একবার ঘুরে যাওয়ার চেষ্টা করি। যার ফলে মেরা দিয়ার হাট দেখতে পেয়ে আমার বেশ কৌতুহল জাগলো। তাই আমি সেই হাটে ঘুরেফিরে সবকিছু দেখতে লাগলাম।
হাটের একদম শুরুর দিকে ছিল মাছের দোকান। সেখানে বিভিন্ন রকম নদীর এবং সামুদ্রিক মাছ পাওয়া যাচ্ছিলো। তার ভেতর কিছু মাছ ছিল একেবারেই তাজা। মাছ আমার কাছে দেখতে বেশ ভালই লাগে। এই মেরা দিয়া হাটের অনেক গল্প শুনেছি। এখানে নাকি এমন কোন জিনিস নাই যা পাওয়া যায় না সেজন্য আশেপাশের এলাকা থেকে প্রচুর মানুষ এখানে আসে কেনাকাটা করতে। যদিও আমি যখন গিয়েছিলাম তখন ছিল একেবারেই সকাল। যার ফলে সেখানে মানুষের সংখ্যা ছিল খুবই সীমিত। আমি সেই হাটে ঘুরে বেড়াচ্ছিলাম আর এই এলাকার কথা চিন্তা করছিলাম।
অল্প কিছুদিনে এই এলাকার ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। এখন সেখানে এমন কোন প্রতিষ্ঠান নেই যে তাদের শাখা খোলেনি। তাছাড়া আছে চমৎকার প্রশস্ত রাস্তাঘাট। ভালোভাবে জীবন ধারণের সমস্ত উপকরণ এখন সেখানে আছে। একটা সময় ছিল যখন মানুষ এদিকে আসতে চাইত না। আর এখন সেখানকার প্রপার্টির দাম আকাশ ছোঁয়া আমি তাই চিন্তা করছিলাম এইখানে যারা আগে জমি কিনেছে তারা অত্যন্ত লাভজনক একটি ব্যবসা করেছে। যেহেতু সময়টা ছিল অনেক সকাল তাই আমি মনের আনন্দে হাঁটতে হাঁটতে বাড়ির দিকে ফিরতে লাগলাম।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | হুয়াই নোভা 2i |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | মেরাদিয়া |
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
ভাইয়া বর্তমানে ফ্লাইওভার হওয়ার পর সব জায়গা উন্নত হয়ে গিয়েছে। সাধারণত আমি সেখানে থাকি সেখানে ২০০৯ সালে যখন প্রথম এসেছি সেই সময়ের পরিস্থিতি আর বর্তমান সময়ের পরিস্থিতি একদম ভিন্ন। আমাদের এই বাংলাদেশ এখন ডিজিটাল বাংলাদেশে পরিণত হয়েছে। তারজন্য শহর থেকে শুরু করে গ্রাম পর্যন্ত দারুণ উন্নত হয়ে গিয়েছে। এখন গ্রামে গেলেই আর আগের মতো কাঁচা রাস্তা দেখা যায়না আর এটা তো শহর। ভাইয়া মাছগুলো কিন্তু একদম টাটকা মনে হচ্ছে। সকাল সকাল ওঠে আপনার কাজও হলো সাথে কিছু জায়গা দেখাও হলো আর অল্প হলেও সকালের হাঁটাহাঁটিও হয়ে গেল। এক ঢিলে আপনার দুই পাখি মারা হয়ে গেল। ধন্যবাদ সুন্দর মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য।
আপু এই তথাকথিত উন্নয়ন শেষ পর্যন্ত আমাদের গলার কাঁটা হয়ে না দাঁড়ায়। হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করে যে ফ্লাইওভারগুলো তৈরি করা হয়েছে তার খুব কম সুফলই আমরা পাচ্ছি। তবে উন্নতি কিছুটা হয়েছে সেটা অস্বীকার করা যাবে না। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
১০-১৫ বছর আগে যারা এসব এলাকার জমিতে টাকা ইনভেস্ট করেছে। তারা এখন অনেক টাকা লাভ করছে। আসলে এই ধরনের ইনভেস্টমেন্টে আপনার দূরদর্শিতার প্রয়োজন।
বর্তমান সময়ে জমির অনেক দাম। আমিও আপনার মতই মাঝে মাঝে অবাক হই কয়েক বছর আগে যেখানে তেমন মানুষজন কিছুই ছিল না এখন সময়ের ব্যবধানে তা একদম ভিন্ন। আমি আগে যেখানে থাকতাম সেখানে কয়েক বছর আগেও জমির দাম এমন একটা বেশি ছিল না কিন্তু বর্তমান সময়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হয় সে সকল জমির দাম অনেক গুনে বেড়ে গিয়েছে। আপনার নিকট আত্মীয়ের ফোন পেয়ে আপনি সকাল-সকাল ঘুম থেকে উঠে তার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছেন এটা জেনে খুবই ভালো লাগলো, আসলে আমাদের সকলের উচিত একে অপরের পাশে থাকা নিজের যত কষ্টই হোক না কেন বিপদে তার পাশে থেকে সাপোর্ট করাই প্রকৃত মনুষত্ব বলে আমি মনে করি।
আমার সেই নিকট আত্মীয়ও অবশ্য আমার কাজের জন্যই ফোন দিয়েছিলো। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
ভাইয়া সময়ের সাথে সাথে সবকিছু চেঞ্জ হয়ে যাচ্ছে।আগের জায়গা আর আগের মত নেই। মানুষ মানুষের জন্য। আপনি আপনার আত্মীয়ের কলে তার সাথে দেখা করতে গেলেন, জেনে ভাল লাগলো। এরপর আপনি হাটের ছবি দিলেন, দেখে ভাল লাগলো। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। অনেক শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
ঠিকই বলেছেন সবকিছুই পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে।
১২-১৩ বছরের মধ্যে এইরকম পরিবর্তন সত্যি বেশ দারুণ। হয়তো ওখানে বড় কোনো উন্নয়ন প্রকল্প হয়েছে সেজন্য জমির দামও বেড়ে গেছে আর বসতিও বেড়ে গেছে সত্যি মেরা দিয়ার ঐ হাট টা দেখে মনে হচ্ছে মফস্বল কোনো শহরের হাট। বোঝার উপায় নেই এটা ঢাকা শহর। ফটোগ্রাফি গুলো ভালো ছিল ভাই সুন্দর লিখেছেন।।
মূল ঢাকা শহরের ভেতর আসলে আর জায়গা নেই। এজন্য শহরের আশেপাশের এলাকাগুলো এখন দামি হয়ে উঠছে।
শুনে বেশ অবাক হলাম ভাইয়া যেখানে 12-13 বছর আগে জমির দাম ছিল পাঁচ লাখ সেখানে এখন কোটি ছুঁয়েছে। আসলে ভাইয়া জায়গা জমির দাম এমনি। যাইহোক আমার আম্মুও কখনো মাছের বাজারে গেলে একদম সকাল সকাল গিয়ে মাছ কিনে আনে তখন বেশ তাজা তাজা মাছ পাওয়া যায়। আর সাগরের আর নদীর মাছ হলেতো কথাই নেই।
যোগাযোগ ব্যবস্থা ভাল হলে জায়গা জমির দাম বাড়তে সময় লাগে না। আর আমাদের ছোট্ট দেশের তুলনায় জনসংখ্যা অনেক বেশি। তাই ক্রমবর্ধমান এই জনসংখ্যার জন্য নিত্য নতুন আবাসনের দরকার পড়ছে। কিছুদিন আগেও যেখানে কোন মানুষ থাকতো না সেখানেও এখন এরকম চমৎকার সব বসতি গড়ে উঠছে।
আগে তো ভাইয়া রাস্তাঘাটেই ছিলো না ধরতে গেলে,এখন অনেক সুন্দর রাস্তা হয়েছে।অনেক সুন্দর সুন্দর দালান ও উঠেছে।জমির দাম ও অনেক বেড়ে গিয়েছে।মেরাডিয়া হাঁট তো প্রায় দেখতাম গাড়ি থেকে। মাছগুলোর ছবি দেখে আসলেই তাজা তাজা লাগছে। ধন্যবাদ
মাছগুলো আসলেই বেশ তাজা ছিলো।
যে হারে মানুষ বাড়ছে মনে হয় আর কিছুদিন পর গ্রাম গুলও শহরে পরিণত হয়ে যাবে।তবে এটা ঠিক সেসময় যারা জমি কিনেছে তারা রাতারাতি বড়লোক হয়ে গেলো হাহা।
দূরদর্শী চিন্তা সম্পন্ন মানুষজন এই ধরনের জায়গায় আগে ইনভেস্ট করত। তাদের চিন্তা ভাবনা যে সঠিক ছিল সেটা এখন বোঝা যাচ্ছে।
আমার কাছে কিন্তু ঢাকা শহরকে মোটেও উন্নত মনে হয়নি। নোংরা ঘিঞ্জি একটা শহর।
নিজের জরুরি কাজ থাকলে অনিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও যেতে হবে এটাই স্বাভাবিক। তবে এই মেরা দিয়া নামটি কেমন অদ্ভুত রকমের।যাইহোক বিল্ডিংগুলি সুন্দর দেখতে লাগছে।দিন বদলের সঙ্গে সঙ্গে জায়গার ও বদল ঘটছে।তাছাড়া মাছগুলি বেশ টাটকা মনে হচ্ছে।ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ আপনাকে আপনার মন্তব্যের জন্য।