ফুচকার খোঁজে গিয়ে পেলাম হতাশা। ১০% সাই-ফক্স।
আমি ভোজনরশিক হওয়ার সুবাদে শহরে কোথায় কোন খাবারটা ভালো পাওয়া যায় এ সম্বন্ধে মোটামুটি একটু ভালো ধারনা আছে। বেশ কিছুদিন থেকেই আমাদের শহরে একটি ফুচকার দোকানের নাম ডাক শোনা যাচ্ছে। যদিও আমার এখন পর্যন্ত সেখান থেকে ফুচকা খাওয়া হয়নি। তবে অনেকের কাছে শুনেছি সেখানে বিভিন্ন রকমের ফুচকা পাওয়া যায় এবং সেগুলোর সাদ নাকি যথেষ্ট ভালো।
তাই বেশ কিছুদিন থেকেই চিন্তা করছিলাম সেই ফুচকার দোকান থেকে একবার ঘুরে আসি। কয়েকদিন আগে আমি আমার স্ত্রী এবং মেয়েকে নিয়ে গিয়েছিলাম সেই ফুচকার দোকানে। তারা দুজন আবার ফুচকা খেতে খুবই পছন্দ করে। আমরা ঠিক করেছিলাম সন্ধার পরে সেখানে যাবো। তাই মাগরিবের নামাজ পড়ার পরে আমরা বাসা থেকে বের হয়েছিলাম।
প্রথমে আমার মেয়েকে নিয়ে গিয়েছিলাম ডাক্তারের কাছে। পরে ডাক্তার দেখানো হলে আমরা সেখান থেকে ফুচকার দোকানের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। সেখানে পৌছে আমি কিছুটা অবাক হলাম। কারণ সেখানে দেখি ছোট্ট একটি দোকান। কিন্তু বসার কোন জায়গা নেই। প্রতিটি টেবিলে লোক বসে আছে। আমরা কিছুটা বিব্রতকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হলাম। কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পরে একটি টেবিল খালি হলে আমরা সেখানে বসে পরলাম।
বসে আমরা ওয়েটারের কাছে মেনু কার্ড চাইলাম। কিন্তু তাদের ব্যস্ততার কারণে বেশ কিছুক্ষণ বসে থাকার পরও মেনু কার্ড পেলাম না। তারপর আমি নিজেই পাশের একটি টেবিল থেকে মেনু কার্ড নিয়ে দেখতে লাগলাম কি কি ফুচকা এখানে পাওয়া যায়। মেনু কার্ড দেখার পরে আমরা তিন চার রকমের ফুচকা অর্ডার করলাম। কিন্তু অর্ডার করার কিছুক্ষণ পর তারা আমাদের জানালো সবগুলি খাবার আজকে হবে না। কথাটা শুনে বেশ মেজাজ খারাপ হলো।
কারণ আমি ইতিমধ্যে অর্ডার দিয়ে সেটার টাকাও পরিশোধ করে এসেছি। তারপর আমি জানতে চাইলাম তাহলে এখন কি হবে? তারা বললো এখন শুধু নরমাল ফুচকা হবে। একবার চিন্তা করছিলাম যে চলে যাই। আবার চিন্তা করলাম এতদূর যখন এসেছি যেটা আছে সেটাই খাই। আমরা সেই নর্মাল ফুচকা অর্ডার করলাম। আর সাথে ড্রিংকস হিসাবে অর্ডার করেছিলাম আমার জন্য জিরা পানি আর ওদের জন্য স্প্রাইট। অর্ডার করে দীর্ঘক্ষণ বসে আছি কিন্তু খাবার পরিবেশনের লক্ষণ দেখিনা।
পরে বাধ্য হয়ে আমি টেবিল থেকে উঠে কর্তৃপক্ষকে আবার জিজ্ঞেস করলাম যে আর কতক্ষণ লাগবে? তারা তখন কিছুটা গুরুত্ব দিলো। বলল আর বেশি সময় লাগবে না। তার কিছুক্ষণ পর আমাদের টেবিলে ফুচকা পরিবেশন করলো। ফুচকা মুখে দিয়ে বুঝতে পারলাম এদের ফুচকার স্বাদ ভালো। সেজন্যই হয়ত এত মানুষের ভিড়। তাছাড়া এদের মেনুতে কিছু ভিন্নধর্মী খাবার ও আছে। যেটা আমাদের শহরে অন্য কোথায় আর পাওয়া যায় না। কিন্তু সমস্যা হল আমার মেয়ে দই ফুচকা খেতে চেয়েছে। সেখানে না পেয়ে তার মন কিছুটা খারাপ হলো। এর ভেতরে আমার জন্য জিরাপানি পরিবেশন করলেও ওদের জন্য যে স্প্রাইট অর্ডার করেছিলাম সেটা দিচ্ছিলো না। পরে আমরা স্প্রাইট না নিয়েই রেস্টুরেন্ট থেকে বের হয়ে আসি।
পরে আমরা সেখান থেকে বের হয়ে অন্য আরেকটি ফুচকার দোকানে গেলাম। সেখান থেকে মেয়েকে দই ফুচকা খাইয়ে তারপর বাসায় ফিরলাম। আপনি যখন বাসা থেকে কোন বিশেষ খাবার খাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হবেন। সেটা না পেলে আপনার অবশ্যই কিছুটা খারাপ লাগবে। আমাদেরও তাই হয়েছিলো। ফেরার সময় চিন্তা করছিলাম অন্য কোনদিন বিকালের দিকে আমরা সেই ফুচকার দোকানে যাবো। কারণ সেখানে মেনুতে বেশকিছু ব্যতিক্রমধর্মী খাবার আছে যেগুলো আমাদের খাওয়ার ইচ্ছা হয়েছিলো।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | হুয়াই নোভা 2i |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | কমলাপুর |
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
ভাইয়া,আপনি একদম ঠিক কথা লিখেছেন যে উদ্দেশ্যে কোথাও যাও হয় সে উদ্দেশ্যটা যদি পূরণ না হয় তাহলে অবশ্যই মন খারাপ হবে। ভাইয়া, যে রেস্টুরেন্টের কথা বলেছেন ফুচকার জন্য খুবই জনপ্রিয় আসলে ভাইয়া আমার মনে হচ্ছে আপনার পুরোটা লেখা পড়ে বুঝতে পারলাম। ওখানের ফুচকা খুবই সুস্বাদু হয় একারণে বেশি চাহিদা। একটা কথা কি ভাইয়া,খাবারের অর্ডার দিয়ে অপেক্ষা করতে এত যে বিরক্ত লাগে যা বলে বোঝানো যাবে না। দই ফুচকার নাম শুনেছি কখনো খাওয়া হয়নি এটির স্বাদ মনে হয় অন্য ফুচকার থেকেও আলাদা। যাইহোক ভাইয়া, আপনার মেয়ের জন্য দোয়া করি জানিনা কি সমস্যার জন্য ডাক্তারের কাছে নিয়ে গিয়েছেন তাকে দ্রুত সুস্থ করে দেক। ধন্যবাদ ভাইয়া, এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ভাইয়া ফুচকা আমার খুবই প্রিয়। বিশেষ করে আমি দেখেছি মেয়েদের বেশি প্রিয় হয় ফুচকা। ভাবীর মত আমারও ইচ্ছে করে মাঝে মাঝে ফুচকা খেতে।আসলেই আমরা কোথাও কোনো প্রস্তুতি নিয়ে গেলে সেটা যদি মনের মত না হয় তাহলে আমাদের কাছে খুবই বিরক্ত লাগে। আপনি ফুচকার দোকানে গিয়ে যে বিব্রতবোধ হয়েছেন তা মনে হয় খুবই বিরক্তিকর ছিল।যেসব দোকানের খাবার একটু ভালো হয় ওইসব দোকানে ভিড় থাকে বেশি। তখন দোকানদার সব কাস্টোমারদের একই রকম সুবিধা দিতে পারেনা।
ঠিক বলছেন ভাই বিশেষ খাবার খাওয়ার উদ্দেশ্যে যখন আমরা বের হই, আর সে খাবার না খেয়ে আবার ফেরত আসতে হয় তখন মন খারাপ হয়ে যায়। আমিও ভাই বেশ কয়েকবার এমন পরিস্থিতির শিকার হয়েছি। তবে শিকার হওয়ার পিছনে আমারই দোষ ছিলো কারণ আমি নির্দিষ্ট সময়ে সেখানে যেতে পারি নি।
এত কষ্ট করে ফুচকা খেতে গিয়ে যদি খাওয়া না হয় তাহলে তো মেজাজ এবং মন দুটোই খারাপ হবে। তবে আপনাদের আবারো সেই ফুচকা দোকানে যাওয়ার আগ্রহ দেখে বুঝলাম হয়তো সেখানে সত্যিই খাবার জন্য অনেক মজাদার কিছু রয়েছে। যাইহোক ভাইয়া খুব ভালো লাগলো। পরবর্তী দিন যখন যাবেন তখন সেই পর্বের অপেক্ষায় থাকবো।
আসলে এই ধরণের দোকানগুলোতে সবসময় উপচে পরা ভিড় থাকে।আর এই ভিড় এর কারণে খাবারের মান ভালো হলেও সেভাবে সার্ভিসটি ধরে রাখতে পারেনা।
এইরকম বাজে সার্ভিস হলে ব্যবসায় বেশিদূর আগাতে পারবে না। আপনার পোস্ট পড়ে মনে হলো এদের ফুসকা ভালো এবং খাবারে ভিন্নতা আছে কিন্তু তাতে কী এদের সার্ভিস খারাপ। যাইহোক শেষ পযর্ন্ত মেয়েকে দই ফুসকা খাইয়েছেন এটা শুনে ভালো লাগল।
অনেক আশা নিয়ে কোথাও গিয়ে যদি এভাবে হতাশা নিয়ে ফিরতে হয় তাহলে সত্যিই অনেক খারাপ লাগে ভাই। আপনার লেখাগুলো পড়ার সময় নিজের কাছেই খারাপ লাগছিল। আমার চেনা পরিচিত অনেক জনকে আমি দেখেছি যারা ফুচকার জন্য একদম পাগল। কিন্তু বিশ্বাস করুন ভাই আমার কেন যেন ফুচকার প্রতি একদম লোভ নেই। আমার খেতে কেমন একটা লাগে। আজ পর্যন্ত কখনো ফুচকার দোকানে বসি নি ভাই ।