রেনডম ফটোগ্রাফি পোস্ট।
গত কিছুদিন যেখানেই গিয়েছি। ভালো কোন দৃশ্য দেখলে সেটার ছবি তোলার চেষ্টা করেছি। এই ছবি তোলা এখন এমন একটা অভ্যাসে দাঁড়িয়ে গিয়েছে। ভালো কিছু দেখলে ছবি না তুললে এখন আর ভালো লাগেনা। যদিও আমাদের এই অভ্যাস এর পেছনে মোবাইল ক্যামেরার একটি বড় অবদান রয়েছে। একটি সময় ছিল যখন মানুষের হাতে হাতে ক্যামেরা ছিল না। তখন মানুষকে ছবি তুলতে হলে অনেক আয়োজন করতে হতো। কিন্তু প্রযুক্তির উন্নতির কল্যাণে এখন মানুষের হাতে হাতে ভালো মানের ক্যামেরা এসে পৌঁছেছে। তাই এখন আর মানুষকে ছবি তুলতে খুব একটা কষ্ট করতে হয় না। আর এই সমস্ত মোবাইল ক্যামেরা ব্যবহার অনেক সহজ। যে কেউ চাইলেই ছবি তুলতে পারে। যাই হোক আজ আপনাদের সাথে আমার তোলা কিছু ছবি ভাগ করে নেবো। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।
কয়েকদিন আগে বন্ধু রাসেলের সঙ্গে ঘুরতে গিয়েছিলাম ধানমন্ডি লেকে। সেখানকার পরিবেশ ছিল চমৎকার। লেকে ঢুকতেই দেখতে পেলাম লেকের ভিতর দুটি ফোয়ারা। দেখতে বেশ দারুন লাগছিলো। লেকে আগত দর্শনার্থীদের জন্য এই ফোয়ারা ছিল একটি অন্যতম আকর্ষণ।
সেদিন যখন আমি আর আমার বন্ধু রাসেল ধানমন্ডি লেকে ঘুরতে গিয়েছিলাম। তখন আমরা গল্প করতে করতে পথ হারিয়ে ফেলেছিলাম। পরে যখন আমাদের সম্বিত ফিরল তখন আমরা আবার ধানমন্ডি লেকের দিকে ফিরতে লাগলাম। ফিরতি পথে এই জার্মান শেফার্ড কুকুরটি দেখতে পেলাম। এ ধরনের কুকুর দেখলে আমার এমনিতেই ভয় লাগে। যদিও কুকুরটি বেল্ট দিয়ে গাছের সাথে বাধা ছিলো। ধানমন্ডি হচ্ছে ধনী লোকদের এলাকা। সেখানকার অনেক বাড়িতেই এমন কুকুর দেখা যায়।
@rupok
সেদিন সকালে উঠে হাঁটতে বেরিয়েছিলাম। হাঁটতে বের হয়ে হঠাৎ করে খেয়াল করে দেখলাম সূর্যমামা কেবল পুব আকাশে উঁকি দিচ্ছে। দৃশ্যটি দেখে বেশ ভালো লাগলো । তাই ঝটপট ছবিটি তুলে নিলাম।
এই ছবিটি তোলা ফরিদপুর থেকে। কিছুদিন আগে আমি অল্প কয়েক দিনের জন্য ফরিদপুর গিয়েছিলাম। তখন পরিবার নিয়ে নদীর পাড়ে ঘুরতে গিয়েছিলাম। সেখান থেকেই ছবিটি তুলেছিলাম। ছবিটিতে দেখা যাচ্ছে একটি আইস গোলার ভ্যান। এই বিক্রেতার কাছে বিভিন্ন রকমের সিরাপ মিশ্রিত আইস গোলা পাওয়া যায়। খেতে মনে হয় ভালই। যদিও আমি এখন পর্যন্ত খেয়ে দেখিনি। তবে অনেককেই দেখেছি বেশ আগ্রহ নিয়ে খাচ্ছে।
এই ছবিটিতে দেখা যাচ্ছে সদ্য জেগে ওঠা পদ্মা নদীর মাঝে একটি ছোট্ট চর। পাশে অবশ্য নৌকা দাঁড়ানো দেখা যাচ্ছে। বছরের এই সময়টাতে পদ্মা নদীতে এমন দৃশ্য প্রায়ই দেখতে পাওয়া যায়।
এই ছবিতে দেখা যাচ্ছে গোধূলি লগ্নে একটি নৌকা তার গন্তব্যের উদ্দেশ্যে চলছে। যদিও সেই নৌকাটি একেবারেই ফাঁকা। সেদিন যখন পরিবার নিয়ে পদ্মার চরে গিয়েছিলাম ঘুরতে। সেখান থেকেই ছবিটি তুলেছিলাম।
এই ছবিটি পর্দার চর থেকে তোলা। কিছুদিন আগে পরিবার নিয়ে পদ্মার চরে ঘুরতে গিয়েছিলাম। সেখানে নদী ট্রলারে করে পার হয়ে সেই চরে পৌঁছেছিলাম। সেই চরে পৌঁছুতেই নৌকা থেকে নেমে এই ছবিটি তুলেছিলাম। ছবিটিতে একটি ঘোড়াকে দেখা যাচ্ছে ঘাস খেতে। ঘোড়াটির পাশেই দেখা যাচ্ছে ঘোড়ার গাড়ি চরাঞ্চলে চলাফেরার এবং মালামাল পরিবহনের অন্যতম একটি মাধ্যম হচ্ছে এই ঘোড়ার গাড়ি।
এই ছবিটিও তুলেছিলাম সেদিন পদ্মার চরে ঘুরতে গিয়ে। ছবিতে দেখা যাচ্ছে একটি ভেড়া তার বাচ্চা সহ দাঁড়িয়ে আছে। আর বাচ্চাগুলো তার মায়ের গা ঘেঁষে দাড়িয়ে রয়েছে। দৃশ্যটি দেখতে এত সুন্দর লাগছিল যে ছবি তোলার লোভ সামলাতে পারলাম না।
ছবিতে একজন ঝাল মুড়িওয়ালা কে দেখতে পাচ্ছেন। আমরা যখন পদ্মার চরে গিয়ে নেমেছিলাম। তখনই এই ঝালমুড়ি ওয়াআলাকে দেখতে পাই। যদিও তার আশেপাশের তেমন কোন কাস্টমার দেখতে পেলাম না। তবে যে সমস্ত লোক পদ্মার চরে ঘুরতে আসে তাদের ভেতর অনেকেই এই লোকের কাছ থেকে ঝালমুড়ি কিনে খায়।
এই ছবিটি তুলেছিলাম দুইদিন আগে। যখন আমি হাতিরঝিলে হাঁটতে গিয়েছিলাম তখন। আমি ধারণা করেছিলাম ওয়াটার বাসগুলি অনেক পরে চলাফেরা শুরু করে। কিন্তু এত ভোরবেলায় ওয়াটার বাস দেখে আমি আসলে খুবই অবাক হয়েছি।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | হুয়াই নোভা 2i |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | ঢাকা,ফরিদপুর |
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
প্রযুক্তির উন্নয়নের জন্য হাতে হাতে মোবাইল ফোনের ক্যামেরা থাকার কারনে ছবি তোলা সহজ হয়ে পরেছে।আমি নিজেও এখন সুন্দর কিছু দেখলে ছবি তোলার চেষ্টা করি।ধানমন্ডি লেকে দুইবন্ধু গল্প করতে করতে পথ হারিয়ে ফেলেছেন 🤭,আসলে বন্ধু রা পাশে থাকলে এমনই হয় কোন কিছুর ঠিক থাকে না।যাই হোক ফোয়ারা দুইটি বেশ সুন্দর। হাতির ঝিলের ছবিটাও খুব সুন্দর। ধন্যবাদ
আমারও আপনার মতো এখন ছবি তোলার একটা অভ্যাস হয়ে দাঁড়িয়েছে। একটু সুন্দর বা একটু ইউনিক কিছু দেখলেই ছবি তুলতে ইচ্ছা করে। আপনার তোলা ছবিগুলো খুবই সুন্দর ছিল। তবে আমার কাছে সূর্য মামার পুব আকাশে উঁকি দেওয়ার ছবিটা বেশী ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ এত সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আজকে আপনার ফটোগ্রাফি গুলো আমার খুবই ভালো লেগেছে।আপনার রাসেল বন্ধুর সাথে ধানমন্ডি লেকে কাটানো মুহূর্ত এবং ঘোড়ার গাড়ি আর পদ্মা নদীর ফটোগ্রাফি অসাধারণ। প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি ছিল দেখার মতো।
ধানমন্ডি লেক পাড় এবং পদ্মার চর দু'জায়গায় বেশ মনোমুগ্ধকর, বিশেষ করে পদ্মার চরে এই সময়টায় নতুন নতুন চর দেখতে বেশ চমৎকার লাগে। আপনার শেয়ারকৃত সবগুলো ছবি আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে উল্লেখযোগ্য ভাবে গোধূলি লগ্নে নদীতে নৌকা চলার দৃশ্য, ভাইয়া অসংখ্য ধন্যবাদ এবং শুভকামনা রইল আপনার প্রতি।
জি রুপক ভাই ঠিক এখন আধুনিক প্রযুক্তির যুগে কমবেশি সবার হাতে হাতে ভালো মানের ফোন এবং কী ক্যামরাও অসাধারণ ৷ যদিও বর্তমানে ডি-এসলার ক্যামরা অনেক জনে নিতেছে ৷
তবে ভালো মানের ফোন গুলোও ক্যামরা কম নয় ৷ আর আপনার মতো আমার ও ঠিক একি কেস কোনো কিছু ভালো দৃশ্য দেখলে ৷ ফটোগ্রাফি করতে বেশ ভালো লাগে ৷
যা হোক আপনার তোলা প্রতিটি ফটোগ্রাফি অনেক সুন্দর ছিল ৷ আপনি পদ্মার পাড়ে বেশ কয়েকটি ছবি ক্যাপচার করেছেন ৷ সব মিলে অনেক সুন্দর ছিল ভাই ৷
ধন্যবাদ
ঠিক ই বলেছেন ভাইয়া চোখের সামনে সুন্দর কিছু দেখলে ছবি না তুলে পারা যায়না , তার মধ্যে আমাদের স্মার্ট ফোন তো আছেই , তবে আপনার সব গুলো ফটোগ্রাফি দারুন ছিল ,তার মধ্যে পদ্মার চরের ফটোগ্রাফি গুলো বেশি ভালো লেগেছে।
ভাই আজকে আপনার ফটোগ্রাফি গুলো আমার খুবই ভালো লেগেছে। পদ্মার পাড়ে অনেক সুন্দর সময় পার করেছেন এবং ঝলমুড়িওয়ালাকে দেখতে পেলেন। এখানে আসলে পদ্মার পাড়ে প্রায়ই অনেক মানুষ আসে। পদ্মার পাড়ের সুন্দর দৃশ্য আমার খুবই ভালো লেগেছে এবং বন্ধুর সাথে লেকের পাড়ে অনেক সুন্দর সময় পার করেছেন, প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি দেখে খুবই ভালো লাগলো।
ভাইয়া, আপনার ফটোগ্রাফিগুলো অনেক সুন্দর হয়েছে। 😍পদ্মাচরে ছবিগুলো অসাধারণ লাগছে ভাইয়া।অনেক ভালো লাগলো।অনেক ধন্যবাদ শেয়ার করে দেখার সুযোগ করে দেয়ার জন্য। অনেক শুভকামনা আপনার জন্য।
এটাই হচ্ছে প্রযুক্তির কল্যান ভাই। একসময়ে ছবি তোলা ছিল রাজকীয় ব্যাপার কিন্তু এখন সেটা যে কেউ ইচ্ছা করলেই পারে। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো চমৎকার ছিল। সবগুলো ফটোগ্রাফি বেশ চমৎকার ছিল। তবে ফটোগ্রাফির পেছনের গল্প বা কথাগুলো আমার বেশি ভালো লাগছে।