বন্ধুর সাথে বৈচিত্র্যময় গ্রামীণ মেলা ভ্রমণ( প্রথম পর্ব)। ১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য।
এটি হচ্ছে বাচ্চাদের খেলনার দোকান। এই ধরনের দোকান গুলি মূলত মেলার মূল আকর্ষণ। কারণ বাচ্চারা মেলায় আসতে চায় এই দোকানগুলো থেকে জিনিসপত্র কেনার জন্য।
এটি মেয়েদের বিভিন্ন ব্যবহার্য সামগ্রীর দোকান। এই দোকানে মেয়েদের ব্যবহারের বিভিন্ন রকম জিনিসপত্র পাওয়া যায়। গ্রামের মেয়েরা এই দোকানগুলোতে আসে চুড়ি, ফিতা, লিপিস্টিক বিভিন্ন রকম জিনিসপত্র কিনতে।
মেলায় ঘুরতে আসা দর্শনার্থীদের খাওয়া দাওয়ার জন্য বিভিন্ন রকম আয়োজন থাকে। মেলায় ঘুরতে এসে কিছু না খেলে মনে হয়েছে মেলায় ঘুরতে আসা পরিপূর্ণতা পায় নি। এই দোকানে সিংগারা, পুরি, মোগলাই পরোটা সহ আরো বিভিন্ন রকমের খাবার পাওয়া যায়।
এটি একটি আচারের দোকান। এই দোকানের ক্রেতা মূলত মহিলারা এবং বাচ্চারা। এই আচারের দোকানে বিভিন্ন রকমের সুস্বাদু আচার পাওয়া যায়। যদিও সে আচার কতটা স্বাস্থ্যসম্মত সে প্রশ্ন থেকেই যায়।
এটি মেলায় অবস্থিত আরো একটি মজাদার খাবারের দোকান। এই দোকানটি মূলত চিংড়ি মাছ ভেজে বিক্রি করে। সাথে চিকেন ফ্রাই, চিকেন সাসলিক ও পাওয়া যায়। মেলায় আগত দর্শনার্থীদের বেশিরভাগই এই ধরনের দোকান থেকে চিংড়ি মাছ ভাজা খেয়ে থাকে।
এই ধরনের দোকানগুলি গ্রামীণ মেলার অন্যতম অনুষঙ্গ। আমরা যখন ছোট ছিলাম তখন মেলায় এই ধরনের দোকান বেশি দেখা যেত। মেলায় যাওয়া মানেই ছিল এই দোকানগুলো থেকে নানা রকমের দেশি খাবার কেনা। তারপর বাড়িতে সবাই মিলে অনেক মজা করে সেই খাবার খাওয়া হতো। এখন অবশ্য মেলায় বিভিন্ন রকম বিদেশী খাবার ও পাওয়া যায়।
এটি একটি পানের দোকান। এখানে বিভিন্ন রকমের পান কিনতে পাওয়া যায়। গ্রামের মানুষজনের অন্যতম একটি পছন্দের জায়গা হচ্ছে এই পানের দোকান। কারণ তারা এখানে এসে বিভিন্ন ফ্লেভার যুক্ত পান খায়।
এই দোকানে মজাদার মুড়ি মসলা এবং ছোলা ভুনা পাওয়া যায়। মেলায় আগত দর্শনার্থীরা খুব মজা করে এখান থেকে মুড়ি মসলা খায়। এটাও গ্রামীণ মেলার একটি অপরিহার্য অংশ।
এটি একটি পপকর্নের ভ্রাম্যমান দোকান। আগে অবশ্য গ্রামীণ মেলায় পপকর্ন দেখা যেত না। এখন এই ধরনের ভ্যান সব মেলাতে দেখা যায়।
পাপড় হচ্ছে এমন একটি খাবার যেটি ছাড়া বাঙালির কোন গ্রামীন উৎসব পরিপূর্ণতা পায় না। এই ধরনের পাপড়ের দোকান গ্রামীণ মেলার অপরিহার্য অংশ। এই পাপড়ের দোকান দেখলে আমার ছোটবেলার কথা মনে পড়ে যায়। মেলায় আসলে প্রথমেই পাপড় কিনে খেতে খেতে মেলা দেখা হতো। পাপড় এখনো খুবই জনপ্রিয় সকলের কাছে।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি।
পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত যন্ত্র | হুয়াই নোভা ২আই |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | লিংক |
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
🇧🇩🇧🇩ধন্যবাদ🇧🇩🇧🇩
আমি রূপক। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাঙালি। আমি বাংলায় মনের ভাব প্রকাশ করতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকেও ভালোবাসি।
ভাইয়া, গ্রামীণ মেলা গুলো আসলেই খুবই সুন্দর হয়। ছোটবেলায় আমাদের গ্রামের বাড়িতে মেলাগুলো হতো।এখন কালের পরিবর্তনে আধুনিকতার ছোঁয়ায় এই মেলাগুলো বিলুপ্ত হয়ে গেছে।তবে কিছু কিছু অঞ্চলে এখনো গ্রামীণ মেলা হয়ে থাকে। ভাইয়া,মেলার মধ্যে বিভিন্ন রকমের জিনিস দেখে খুবই ভাল লেগেছে।বিশেষ করে ভালো লেগেছে আমার পানের দোকান টি।আমি একবার আমাদের গ্রামে বিভিন্ন ফ্লেভার দেওয়া পান খেয়ে ছিলাম সত্যিই খুবই সুস্বাদু লেগেছিল।অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর গ্রামীণ মেলা আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন বলে।
একেবারে সঠিক বলেছেন ভাই পাপড় ছাড়া বাঙালির কোনো উৎসবই পূর্ণতা পাই না। আমার নিজেরও খুব পছন্দ। বর্তমানে এই গ্রামীণ মেলার সংখ্যা কমেই যাচ্ছে।
কয়েকমাস আগে আমাদের এখানেও একটা মেলা হয়েছিল। একেবারে আপনার শেয়ার করা এই মেলার মতোই ছিল সব। আসলে গ্রামীন মেলা গুলো সব প্রায় একরকমই হয়।
এবং ছবিগুলো দারুণ ছিল ভাই।
ঠিক বলেছেন। গ্রামীণ মেলা গুলো আসলে একই রকম হয়। ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাইয়া আপনার মেলায় কাটানো মুহূর্তগুলো এবং সেই মুহূর্তের ফটোগ্রাফি গুলো খুবই সুন্দর ছিল। পানের দোকানের ফটোগ্রাফিটি আমার বেশি ভাল লেগেছে। এখানে রংবেরঙের মসলা দিয়ে সুন্দর করে পান সাজানো হয়। আগে যখন মেলায় যেতাম তখন এইসব পানের দোকান থেকে পান নিয়ে খেতাম। ফটোগ্রাফিটি দেখে অনেক ভালো লাগলো। খুবই সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন ভাইয়া। আপনার ফটোগ্রাফিগুলোর মাধ্যমে পুরনো দিনের অনেক স্মৃতি মনে পড়ে গেল। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
ভাইয়া সব কিছু বাদ দিলেও। এইযে এই ক্যাপশন এর ছবির দোকানটি দেখে একেবারব জিভে জল চলে আসলো।এই আচার গুলো আমার খুব প্রিয় আর ছবি গুলোও খুব সুন্দর ভাবে তুলেছেন।
আপনার এলাকার বাজারগুলো দেখতে ভালো লাগে, খুব মজা লাগে।
গ্রামীণ মেলার ফটোগ্রাফিগুলো দেখে খুবই ভালো লাগলো। মেলায় কাটানো সুন্দর মুহূর্তগুলো আপনি খুব সুন্দর করে ফটোগ্রাফির মাধ্যমে তুলে ধরেছেন। এই ফটোগ্রাফিগুলো দেখে ছোটবেলায় মেলায় ঘুরতে যাওয়ার কথা মনে পড়ে গেল। সত্যি কথা বলতে শৈশবে বা ছোটবেলায় আমরা দলবেঁধে মেলায় ঘুরতে যেতাম সে সময়টা অনেক বেশি মনে পরছে আজকে। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার কাটানো সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।
ভাইয়া পোস্টটি পড়ে মনে হল আপনি দারুণভাবে উপভোগ করেছেন গ্রামীণ মেলা। এই মেলার ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ সুন্দর হয়েছে। আর একটা সত্যি কথা ভাইয়া পাপড় বাঙালির মেলা পূর্ণতা পায় না। ভাইয়া আপনার পরবর্তী পোষ্টের অপেক্ষায় রইলাম। ভাইয়া আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
আগে যখনি মেলা হবে সুনতাম তখনি মনে মনে তাক করতাম মেলায় যাবো বিভিন্ন রকমারি খাবার খাবো বন্ধুদের নিয়ে ।চরকিতে উঠবো আরও বিভিন্ন আনন্দ ফুর্তি করবো ।বন্ধুদের সাথে গ্রামীন মেলায় ঘুরার মুহূর্ত খুব সুন্দর ছিলো রকমারি খাবার দেখে লোভ লেগে গেল ।ধন্যবাদ ভাই এতো সুন্দর মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য ।
আপনি গ্রামীণ মেলা আমাদের সামনে ফটোগ্রাফির মাধ্যমে খুব সুন্দর করে তুলে ধরেছেন। ।ছোটবেলায় মেলায় গেলে আমারও আসলে প্রথমেই পাপড় কেনা হতো ।আপনার পাপড়ের দোকানের ছবি দেখে আমার ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল ।আমার খুবই মজা লাগত খাবারটা কিন্তু এখনো ভাবে খাওয়া হয়না ।ধন্যবাদ এত সুন্দর ছবিগুলো আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য ।
নিজের জেলায় মেলা হবে শুনলে যে কতটা খুশি হতাম তা বলে বঝাতে পারবো না। অনেক দিন হলো মেলায় যায় নি।মেলা মানেই ছোটবেলা। করোনার জন্য মেলা হয় না অনেক দিন ধরে। খুব মিস করি দিনগুলো।
খুব ভালো লাগল ভাইয়া আপনার পোস্টটি। যেতে হয়ত পারবো না। কিন্তু ছবি গুলো দেখেও মন ভরে গেল।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে।