ধ্বংস হয়ে যাওয়া কৈশোর (দ্বিতীয় পর্ব)। ১০% সাইফক্স।

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা? আমি ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও ভালো আছেন।


রাসেল এসে বলল এখন বল কি জন্য এত জরুরি তলব? রবিন তখন পুরো ঘটনা খুলে বললো। ঘটনাটি শুনে রাসেল বলল ওদের এত বড় সাহস। আমাদের এলাকার ভিতরে এসে এই ধরনের কাজ করে। এর জন্য ওদেরকে একটা শিক্ষা দিতে হবে। রবিন বলল এখন কিভাবে কি করা যায় সেটা বল?

png_20220302_132811_0000.png

ওদের গ্রুপের একটি ছেলের নাম রাশেদ। ও বলল ওদের এলাকার ভিতরে গিয়ে মেরে আসি। রাসেল বললো না এই কাজটা করা ঠিক হবে না। কারন তাতে ওদের এলাকার বড় গ্রুপ আমাদের উপর ক্ষেপে যেতে পারে। যা করার ঠান্ডা মাথায় চিন্তা ভাবনা করে করতে হবে। রাসেল তখন রাশেদ কে বলল ওই ছেলেগুলোর উপর একটু নজর রাখ। কখন কোথায় যায় সেই ইনফরমেশনটা আগে দরকার। তারপর সুযোগ বুঝে জায়গা মত ধোলাই দেয়া যাবে।

রবিনের রাসেলের বুদ্ধিটা পছন্দ হলো। এই কারণেই রবিন রাসেলের বুদ্ধির উপর সবসময় ভরসা করে। কোন জায়গায় ঝামেলা করতে হলে রাসেলের সাথে আগে পরামর্শ করে নেয়। রাসেল বলল তবে যেহেতু ওরা আমাদের এলাকার ভিতরে এসে এধরনের একটি কাজ করেছে। তাই আমরা আজকে বিকালে ওদের এলাকায় যাবো। কারো সাথে ঝামেলা করব না। শুধু সবাই মিলে গিয়ে একটি শোডাউন দিয়ে আসব। যাতে ওরা বুঝতে পারে আমরা ইচ্ছা করলে ওদের এলাকার ভিতরে এসে ওদের মারতে পারি। এই পরামর্শটাও রবিনের খুব পছন্দ হলো।

রাসেল রবিন কে জিজ্ঞেস করল জিনিস দুটো কি তোর কাছে আছে? জিনিস বলতে রাসেল পিস্তল দুটোর কথা বলছে রবিন সেটা বুঝতে পারলো। রবিন বলল হ্যাঁ আছে। রাসেল বলল বিকালে জিনিস দুটো নিয়ে আসিস। আমার এখন একটু কাজ আছে। আমি বাজারে যাবো। যাওয়ার সময় রাসেল বলে গেল সবাই বিকালে তৈরি থাকিস। আজকে ওদের এলাকায় ঘুরতে যাবো।

তখন রবিন জিজ্ঞেস করল শুধু কি পিস্তল দু'টো নিয়ে যাব? তখন রাসেল বলল না সবাই কিছু না কিছু নিয়ে যাবো। তবে এমন জিনিস নিয়ে যেতে হবে যেগুলো সবাই লুকিয়ে নিয়ে যেতে পারে। রামদা নেয়া যাবেনা কারণ এটার সাইজ অনেক বড় হয়ে যায়। সবাই যার যার মত তৈরী হয়ে আসিস। বিকাল চারটার দিকে ওরা সবাই একজায়গায় মিলিত হলো।রবিন রাসেল কে বলল জিনিস দুটো নিয়ে এসেছি। রাসেল একটি পিস্তল রবিনের কাছ থেকে নিয়ে নিজের মাজায় গুঁজে রাখলো। আর বাদবাকিদের জিজ্ঞেস করলো তোরা কি এনেছিস? তাদের ভেতর কেউ কেউ চাকু এনেছে কেউ এনেছে চাইনিজ চাপাতি। ওদের এই গ্রুপটার কাছে পিস্তল দুটো বাদে ও বেশকিছু দেশীয় অস্ত্র আছে। এগুলো ওরা সবসময় নির্দিষ্ট একটি নিরাপদ জায়গায় রেখে দেয়। যখন কারো সাথে ঝামেলা হয় তখন সেখান থেকে জিনিসপত্রগুলো বের করে।

সবাই প্রস্তুত হওয়ার পর রওনা দিলো পাশের এলাকার উদ্দেশ্যে। জায়গাটি ওদের এলাকা থেকে খুব একটা দূরে নয়। মাত্র ১০ মিনিটের হাঁটা পথ। ওই ছেলেরা যেখানে থাকে এই সময়টাতে ওরা হাঁটতে হাঁটতে সেদিকে গেলো। গিয়ে দেখে সেই ছেলেগুলো একটি দোকানের সামনে বসে আড্ডা দিচ্ছে। সংখ্যায় তারা ৪/৫ জন হবে। ওরাও গিয়ে সেই দোকানের পাশে দাঁড়ালো।

রবিন দোকানের পাশে দাঁড়িয়ে সিগারেট ধরিয়ে টানতে লাগলো। ছেলেগুলো ওদের দেখে কিছুটা অস্বস্তি বোধ করছে এটা ওরা বুঝতে পারছিল। এর ভেতরে রবিন মাজা থেকে পিস্তলটা বের করে একটু নেড়েচেড়ে দেখলো। আসল উদ্দেশ্য ওদের কে একটু ভয় দেখানো। রবিন পিস্তল বের করার কিছুক্ষণ পর ছেলেগুলো আস্তে করে সেখান থেকে কেটে পড়লো। তখন রাসেল বলল আমাদের এখানে আর বেশীক্ষন অপেক্ষা করা ঠিক হবে না। এই এলাকার বড় ভাইরা যেকোনো সময় চলে আসতে পারে। আমাদের এখন এখান থেকে চলে যাওয়াই ভালো। তারপর ওরা দ্রুত সেই স্থান ত্যাগ করলো। (চলবে)

logo.png

Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

standard_Discord_Zip.gif


🇧🇩🇧🇩ধন্যবাদ🇧🇩🇧🇩


@rupok

Sort:  
 2 years ago 

যেভাবে বর্ণনা দিয়েছো তাতে মনে হচ্ছে তুমি কোন কালে এমন কোন গ্রুপের সদস্য ছিলে হাহাহাহা। এই কিশোর গ্যাং পরবর্তীতে কি করে দেখার অপেক্ষায় রইলাম।

 2 years ago 

ব্যাক্তিগত কিছু অভিজ্ঞতা ও আছে। আর আশেপাশে অনেক দেখেছি।

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.14
JST 0.030
BTC 66937.04
ETH 3270.78
USDT 1.00
SBD 2.74