পরিবারের সাথে কিছুটা সময় কাটানো। ১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য।
করোনা পরিস্থিতির কারণে দীর্ঘদিন ধরে স্ত্রী সন্তানকে নিয়ে বাইরে কোথাও যাওয়া হয়না। আগে মাঝে মাঝে রেস্টুরেন্টে খেতে যেতাম। কিন্তু করোণা মহামারীর ভয়ে দীর্ঘদিন বাইরে যাওয়া থেকে বিরত ছিলাম। ফুডপাণ্ডার মাধ্যমে অর্ডার করে খাবার বাসায় খাবার এনে খেতাম। মেয়েটা অনেকদিন থেকেই বলছিল রেস্টুরেন্টে খেতে যাবে। আমিও ভাবছিলাম ওদেরকে নিয়ে কোথাও থেকে খেয়ে আসি।
আমি আমার স্ত্রীর সঙ্গে এ বিষয়ে আলাপ করছিলাম যে আমাদের শহরে খুব সুন্দর সাজানো-গোছানো একটি রেস্টুরেন্ট আছে। এই রেস্টুরেন্টটা অন্য রেস্টুরেন্ট গুলি থেকে একটু আলাদা, একটু উঁচু মানের। এখানের খাবারের প্রাইস ও অন্য রেস্টুরেন্ট থেকে একটু বেশি। তো সেখানে যাওয়ার প্ল্যান করছিলাম।
হঠাৎ করে ফেসবুকে আমাদের শহরের একটি রেস্টুরেন্টের বুফে ডিনার এর পোস্ট দেখতে পেলাম। আমার দীর্ঘদিন থেকে ইচ্ছা ছিল ব্যুফেতে যাওয়ার। যার ফলে আমি আমার স্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করলাম যে ব্যুফেতে যাবে কিনা। ও বলল যাওয়া যায়। তারপর আমি রেস্টুরেন্টের নাম্বারে ফোন দিয়ে কথাবার্তা বলে বুফের জন্য বুকিং দিয়ে আসলাম। এটা গতকালের ঘটনা।
আজ সন্ধ্যার সময় সেই বুফেতে খেতে গিয়েছিলাম। যাওয়ার আগেই কিছু বিষয় নিয়ে আমার মন খুঁতখুঁত করছিল। কারণ বাংলাদেশ বেশিরভাগ জায়গায় সময় ৩ ঘণ্টা। কিন্তু এখানে সময় দেয়া ছিল দু'ঘণ্টা। তারপর একটি মফস্বল শহর হিসেবে ৫০০ টাকায় মাত্র ৩৩ টা আইটেম দেয়া ছিল। কিন্তু ঢাকায় ৫০০ থেকে ৬০০ টাকার ভিতরে অনেক বুফে আছে। যাদের আইটেম থাকে ৫০ থেকে ৭০ টার ভিতরে। যাহোক যেহেতু আমাদের শহরে আর কেউ বুফের আয়োজন করে না। তাই এদের এখানে না গিয়ে কোনো উপায় নেই। যথারীতি আমরা সময়মত গিয়ে রেস্টুরেন্টে উপস্থিত হলাম। সাতটা থেকে খাবার সার্ভ করার কথা ছিল। কিন্তু ঘড়িতে সাতটা দশ বেজে যায় তখনও খাবার সার্ভ করছিলো না। আরো ৫ মিনিট লেট করলো। যখন খাবার সার্ভ করলো তখন খেয়াল করে দেখলাম হঠাৎ করে সবাই একসঙ্গে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। আমরা বসে বসে গল্প করছিলাম যার ফলে আমরা একটু পিছনে পড়ে গেলাম।
যথারীতি আমরাও খাবার সংগ্রহ করার সেই যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়লাম। যদিও খুব একটা সুবিধা করতে পারছিলাম না। একটা লাইনে দাড়াতে হয়েছিল। আমার সামনে একজন মাঝবয়েসি লোক দাঁড়িয়ে ছিল। বাঙ্গালীর যা স্বভাব উনি করল কি আরো তিন চার জনকে যারা লাইনের বাইরে ছিল তাদেরকে ডেকে উনি একটু পিছনে এসে ওনার সামনে তাদেরকে জায়গা করে দিল দাঁড়ানোর জন্য। তারা সবাই উনার পরিবারের লোক। কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী তাদের দাঁড়ানোর কথা আমাদের পেছনে। যদিও এগুলি বলে কোন লাভ নেই। কারণ এই মধ্যবয়স্ক লোক এখনো যদি তার ভিতরে এইধরনের চিন্তা ভাবনা থাকে তাহলে শোধরানোর আর কোনো সুযোগ নেই। যাহোক সেই লাইনে দাঁড়িয়ে বেশ কষ্ট করে খাবার সংগ্রহ করে নিজেদের জন্য রিজার্ভ টেবিলে গিয়ে বসলাম।
তারপর খেতে শুরু করলাম। খাবারের টেস্ট মোটামুটি ভালই ছিল। কিন্তু একটা ব্যাপার হচ্ছে আপনি বুফেতে যাওয়ার আগে মনে হবে যে অনেক কিছু খাবেন। কিন্তু অল্প কিছু খাবার খাওয়ার পরে দেখবেন আর খেতে পারছেন না। খেতে খেতে ডিস্কর্ড এ একটু ঢুঁ মারলাম। দেখলাম আড্ডা খুব জমে উঠেছে। আমি খাওয়া বাদ দিয়ে সে আড্ডায় কিছুক্ষণ অংশগ্রহণ করলাম। তারপর খেয়াল করলাম আর কিছু খাওয়ার মতো অবস্থা নেই। প্রথমে রাগ হচ্ছিল যে বুফের সময় দেয়া হয়েছে মাত্র ২ ঘন্টা। কিন্তু আমরা এক ঘন্টা পরেই চলে আসলাম।
যাহোক অভিজ্ঞতাটা ভালই ছিলো। বেশ উপভোগ করেছি। আশা করি পোস্টটি আপনাদের ভালো লেগেছে। আজকের মতো এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত যন্ত্র | হুয়াই নোভা ২আই |
---|---|
লোকেশন | লিংক |
Support @amarbanglablog by delegating STEEM POWER.
100 SP | 250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP |
🇧🇩🇧🇩ধন্যবাদ🇧🇩🇧🇩
আমি রূপক। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাঙালি। আমি বাংলায় মনের ভাব প্রকাশ করতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকেও ভালোবাসি।
আপনি আপনার পরিবারকে সাথে নিয়ে রেস্টুরেন্টে একটি সুন্দর সময় কাটিয়েছেন। আশা করি আপনি এবং আপনার পরিবার রেস্টুরেন্টের সময়টা দারুণভাবে উপভোগ করেছেন। রেস্টুরেন্টের ভিতরে মানুষের ভিড় দেখা বোঝা যাচ্ছে এটি একটি স্বনামধন্য, মানসম্পন্ন ও রুচিসম্মত খাবারের রেস্টুরেন্ট। রেস্টুরেন্টের খাবারের আইটেমগুলো দেখতে আমার কাছে খুবই সুন্দর লেগেছে। আশাকরি খাবারের স্বাদও অসাধারণ ছিল। ফরিদপুরে এত সুন্দর একটি রেস্টুরেন্ট রয়েছে যা আপনি পোস্ট না করলে বুঝতেই পারতাম না। আপনার এবং আপনার পরিবারের জন্য শুভকামনা রইলো।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
পরিবার নিয়ে বাইরে বুফেতে খেতে যাওয়া আমি মনে করি পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের একটা রিপ্লেসমেন্ট হওয়া। কারণ করোনাকালীন আমরা যেভাবে ঘরে বন্দি ছিলাম সেটা খুবই অসহ্যকর একটা ব্যাপার ছিল। আমার বাচ্চারাও সুযোগ পেলেই আমাকে বলে বসে চলনা আমরা কোথাও ঘুরে আসি। যাই হোক ভাই আপনাকে দেখে পরিবার নিয়ে কোথাও ঘুরতে যাওয়ার সাহস পেলাম। আপনার এই সুন্দর মুহূর্ত গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনাকে ও অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
সেরা ভাইয়া । আপনার পরিবারকে নিয়ে সত্যি সুন্দর একটি সময় কাটিয়েছেন।
এটি সত্যি খুব অন্যায় একটি কাজ বলে মনে করি ভাই । নিজের লাইন ছেড়ে অন্যের লাইনে আসা এটি আসলেই বাঙালির একটি অন্যতম সভাব ভাই কিছু করার নেই ।।।😁😁
আসলেই ভাইয়া আপনার এই পোস্টটি পরে অনেক নতুন কিছু দেলাম জানলাম।। পুরাই অসাধারণ কাটিয়েছেন বললেই চলে ভাইয়া....
শুভ কামনা রইল ভাইয়া 🥰❤️
ধন্যবাদ তোমাকে ভাইয়া।
🥰🥰
আপনি আপনার স্ত্রীর সাথে অনেক আনন্দের মুহূর্ত পার করেছেন।অনেক সুস্বাদু খাবারের আয়োজন।খাবার গুলো খুবই লোভনীয় ছিল।সম্পূর্ণ পোস্টটা খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন।
এই জিনিসটা কি ভাই।?
বুফে হচ্ছে রেস্টুরেন্টে এক ধরনের খাবারের আয়োজন। যেখানে আপনি একটি নির্দিষ্ট টাকার বিনিময়ে, একটি নির্দিষ্ট সময় ধরে যত ইচ্ছা খেতে পারবেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
পরিবারের সাথে কাটানো মুহূর্ত গুলো সবসময় অসাধারন হয়।পরিবারের সবাই মিলে যাই করবেন না কেন অন্য রকম ভালো লাগা কাজ করবে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মুহূর্ত টি ভাগ করে নেওয়ার জন্য।
আমার এখনো বুফেতে যাওয়ার সৌভাগ্য হয়নি। এবং যাওয়ার কোনো ইচ্ছাও নেই। কারণ আমি বেশি ক্ষেতে পারিনা। এবং নিয়ম শৃংখলা বিষয়টি জন্মগত। যার থাকে ছোট থেকেই থাকে। আর যার থাকেনা কোনই দিনই সেটা তৈরি হয় না।
খুব ভালো লাগল পড়ে। ধন্যবাদ।।
পরিবার নিয়ে অনেক সুন্দর মুহুর্ত কাটিয়েছেন আপনি।পরিবারের সাথে কাটানো প্রতিটা মুহুর্ত সবারই অনেক সুন্দর হয়ে থাকে।ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের সাথে আপনার সুন্দর সময়টা শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে।
কেও যখন পরিবারের সাথে সময় কাটায় তখন তা দেখতে খুবই ভালো লাগে কারণ পরিবার আমাদের সবচেয়ে কাছের। দেখেই বুঝা যাচ্ছে আপনার পরিবার আপনার সাথে রেস্টুরেন্টে ভালো একটি সময় কাটিয়েছে।তবে আরেকটি ব্যাপার ও লক্ষ্য করলাম। তা হচ্ছে রেস্টুরেন্টটিতদ ভালোই ভিড় আছে, তার মানে রেস্টুরেন্টটির মান উন্নত। আর উন্নত মানের রেস্টুরেন্ট এর খাবার যে মজা হবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা।খাবারের আইটেম গুলোও বেশ লোভনীয় লাগছে। আপনার পরিবারের জন্য ভালোবাসা রইলো।
আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ভাইয়া, এতো খাবার দেখেই খেতে ইচ্ছা করলো। পরিবার মানেই আনন্দ। আপনার পরিবারের সাথে কাটানো সময়টা বেশ সুন্দর ছিল। আমিও যখন ম্যাচ থেকে বাসায় যায় এভাবে পরিবারের সাথে সুন্দর সময় পার করি। আপনার জন্য ভালোবাসা এবং শুভ কামনা ভাইয়া।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।