রেনডম ফটোগ্রাফি পোস্ট। ১০% সাইফক্স।
প্রথম আলোকচিত্র
সেদিন সকালে ডিস্কর্ডে আমাদের কমিউনিটির মেম্বারদের সাথে আড্ডা দিচ্ছিলাম। এর ভেতরে হঠাৎ করে দেখি সেখানে দাদা উপস্থিত। বেশ কিছুক্ষণ সেখানে সবার সাথে আড্ডা হল। দাদা থাকলে আড্ডাটা এমনিতেই জমে ওঠে। সেদিন সকাল থেকেই আমার মনটা খুবই ফুরফুরে ছিলো। কারণ দীর্ঘদিন পর সকালবেলা এক পশলা বৃষ্টি হয়ে গিয়েছে কালবৈশাখী ঝড়ের সাথে। বৃষ্টি পরবর্তী আবহাওয়া এত সুন্দর ছিল যে সব কিছুই ভালো লাগছিলো। ঘরে থাকতে মন চাইছিল না আর। তাই বন্ধু ফেরদৌসকে ফোন দিয়ে তাকে নিয়ে বাইরে ঘুরতে বেরিয়ে গেলাম। ঘুরতে বের হয়ে বন্ধুর সাথে যেখানে দেখা। সেখান থেকেই ছবিটি তোলা হয়েছে। লাল টকটকে কৃষ্ণচূড়া ফুল ফুটে আছে গাছে। কৃষ্ণচূড়া গাছে যখন ফুল ফুটে থাকে তখন এক চমৎকার দৃশ্যের অবতারণা হয়। সেটি হয়তো আপনারা ছবিটি দেখেই বুঝতে পারছেন।
দ্বিতীয় আলোকচিত্র
এই ছবিটি একটি ছোট্ট ব্রিজের উপর থেকে তোলা। ছবিতে দেখা যাচ্ছে জরাজীর্ণ একটি নদী। নদীর ওপরে দেখা যাচ্ছে অস্তগামী সূর্য। এ ধরনের দৃশ্য দেখলে মনটা কেমন জানি উদাস হয়ে যায়।
তৃতীয় আলোকচিত্র
এটি পল্লীকবি জসীমউদ্দীনের বাড়ির সামনের কবরস্থান। ধারণা করা হয় কবর কবিতাটি উনি এই কবরস্থানের একটি কবর নিয়ে লিখেছিলেন। এই কবরস্থানের পেছনেই পল্লী কবির বাড়ি।
চতুর্থ আলোকচিত্র
এই ছবিটি দেখতে হয়তো খুব সাধারন মনে হচ্ছে। কিন্তু আমার কাছে ছায়াঢাকা এই গ্রামীণ রাস্তাগুলো বরাবরই খুব ভালো লাগে। এই ধরনের রাস্তা দিয়ে চলাফেরা করে ও শান্তি।
পঞ্চম আলোকচিত্র
এটি একটি বাগান বিলাস ফুল গাছ। ফুলে ফুলে পুরো গাছটি ছেয়ে আছে। দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে।
ষষ্ঠ আলোকচিত্র
একটি ঘন সবুজ ফসলের ক্ষেত। এই ধরনের ফসলের ক্ষেত দেখলে চোখ জুড়িয়ে যায়। এই ফসলের মাঠ গুলোই গ্রাম বাংলার মূল চালিকাশক্তি।
সপ্তম আলোকচিত্র
এটি একটি গ্রামীণ খাল। যদিও পানি শুকিয়ে যাওয়ার কারণে এখন দেখে মাঠের মতো মনে হচ্ছে। কিন্তু ভরা বর্ষায় এই খালগুলো পানিতে কানায় কানায় ভরে ওঠে। এই খালগুলো তখন হয়ে ওঠে গ্রামের মানুষের মাছের যোগানের অন্যতম উৎস।
অষ্টম আলোকচিত্র
ছবিতে দেখা যাচ্ছে একজন বৃদ্ধ মৎস্যজীবীকে। এই বয়সেও তিনি জীবিকার জন্য মাছ ধরছেন। হয়তো এই কাজ করেই সে তার পরিবারের আহার যোগায়। এই ধরনের বৃদ্ধ মানুষকে কাজ করতে দেখলে শুধু একটি কথাই মনে হয় জীবন বড় কঠিন।
নবম আলোকচিত্র
সেদিন আমি আর আমার বন্ধু ফেরদৌস সাথে ছিল আমাদের আরো এক বন্ধু। আমরা তিনজনে মিলে নদীর পাড়ে ইফতার করতে গিয়েছিলাম। তখন এই ছবিটি তোলা। সেই ইফতারের গল্পটি অন্য আরেকদিন বলবো।
দশম আলোকচিত্র
এটি একটি রঙ্গন ফুল গাছ। এই ফুলটি আমার কাছে খুবই ভালো লাগে দেখতে। এই ফুলটি আমাদের দেশের সব এলাকাতেই কম বেশি দেখা যায়। বেশিরভাগ বাগানি তাদের বাগানে এই ফুলের গাছ রাখতে পছন্দ করে।
আজকের মতো এখানে শেষ করছি।
পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোনো নতুন ব্যাপার নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | হুয়াই নোভা 2i |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | হাজিগঞ্জ, নর্থ চ্যানেল |
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
ভাই আপনার রেনডম ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারন ছিল।আজকের ফটোগ্রাফি গুলো আসলে কি যে সুন্দর লাগছে তা বলার মত না। অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই আপনাকে এত সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ছবিগুলো যে আপনার ভালো লেগেছে এটা জেনে খুশি হলাম। প্রাকৃতিক দৃশ্যের ছবি তোলা এখন একটি নেশার মতো হয়ে গিয়েছে। ধন্যবাদ ভাই আপনাকে।
ভাইয়া প্রতিটি ফটোগ্রাফি জাস্ট দারুন লাগছে। মনে হচ্ছে এগুলো কোনো ক্যালেন্ডারের তুলা ছবি।
আমরা ব্লগিং করতে করতে এমন একটা অভ্যাসে নিজেদের নিয়ে গিয়েছি যে সুন্দর কিছু দেখলেই ফটোগ্রাফি করতে ইচ্ছে করে। তবে ভাইয়া দারুণ কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন।
একদম ঠিক বলেছেন। ব্লগিং করতে এসে আমার এই ছবি তোলার অভ্যাসটা তৈরি হয়েছে। আগে কিন্তু আমি খুব কম ছবি তুলতাম।
ভাই আপনি ঠিকই বলেছেন, আমি যখন বাইরে কোথাও ঘুরতে যায়।আর ভালো কিছু দেখলেই ছবি তুলতে ইচ্ছা করে। এটা একদম অভ্যেসে পরিণিত হয়েছে। যাই হোক আপনার ফটোগ্রাফি গুলো আমার খুবই ভালো লেগেছে। খুবই সুন্দর সুন্দর ফুলের ফটোগ্রাফি করেছেন। যা দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম এবং সূর্য অস্ত যাওয়ার ফটোগ্রাফি ও নদীতে নৌকার ফটোগ্রাফি আমার অনেক ভালো লেগেছে।
সূর্য অস্ত যাওয়ার ছবি তোলা আমার অনেক পুরনো একটি অভ্যাস। আর নদীর পাড়ে ঘুরতে গেলে সবসময়ই আমি কিছু ছবি তুলি। আমার নিজের কাছেই ভালো লাগে।
বৃষ্টির পরবর্তী মুহূর্তে চারপাশের পরিবেশের সজীবতা আমারও খুব ভালো লাগে। গ্রামীণ পরিবেশে ফটোগ্রাফি গুলো আমার কাছে ভালো লেগেছে সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে বিভিন্ন প্রকার ফুলের ফটোগ্রাফি গুলো। বিশেষ করে বলতে হয় কৃষ্ণচূড়া ফুলের ফটোগ্রাফি টা। সম্পূর্ণ গাছটা রক্তিম লাল বর্ণ ধারণ করে আছে। মনমুগ্ধকর ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
বৃষ্টির পরের শান্ত স্নিগ্ধ পরিবেশ সত্যিই মনে একটি অন্যরকম অনুভূতি তৈরি করে।
ভাইয়া সত্যি বলতে আমারো এটি অভ্যাসে পরিনত হয়েছে, কোথাও গেলে আশেপাশের সৌন্দর্য গুলো ক্যামেরা বন্দি করে ফেলি, ফটোগ্রাফি করা যেনো একটা নেশা হয়ে দাঁড়িয়েছে, ভাইয়া আপনি অসাধারণ কিছু রেনডম ফটোগ্রাফি করেছেন, প্রতিটি ফটোগ্রাফি অনেক সুন্দর ছিলো, সুন্দর করে বর্ণনাও দিয়েছেন ভাইয়া।
সবার দেখছি একই রকম অবস্থা। এর পিছনে আমাদের ব্লগিং ক্যারিয়ারের একটি বড় অবদান রয়েছে। কারণ একটা সময় ছিলো যখন আমি ছবি তুলতে খুব একটা পছন্দ করতাম না।
আমিও ঠিক আপনার মত গ্রাম অঞ্চলে ঘুরাফেরা করতে বেশি পছন্দ করি। কারন গ্রাম অঞ্চলের প্রাকৃতিক দৃশ্য আমার মনকে বারবার আকর্ষিত করে।আপনার সাথে আমার অন্য একটি দিকেও মিল রয়েছে, যে আমিও যেখানে ঘুরতে যাই যদি কিছু ভালো লেগে যায় সব কিছু ছবি তুলে নেই। এটা আমার অভ্যাসে পরিণত হয়ে গেছে। আমার ফোনে শুধু প্রাকৃতিক দৃশ্যের ছবি।আপনার তোলা ফটোগ্রাফি গুলো দেখে খুবই ভালো লাগছে এমনকি আমার গ্রাম অঞ্চলের কথা মনে পড়ে গেল। গ্রাম অঞ্চলের ফাঁকা মাঠের কথা মনে পড়ে গেল। গ্রাম অঞ্চলের ধানক্ষেতের কথা মনে পড়ে গেল। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া আমাদের মাঝে এত সুন্দর একটি রেনডম ফটোগ্রাফি পোষ্ট করার জন্য।
গ্রামীণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ছবি তুলতে আমার নিজের কাছেও অনেক ভালো লাগে। তবে আমার ফোনটা অনেক পুরনো হয়ে গিয়েছে। এখন নতুন একটা ফোন নিতে হবে। কারণ বর্তমান সময়ের নতুন ফোন গুলোতে অনেক ভালো মানের ক্যামেরা থাকে। সেই ক্যামেরায় ছবিগুলি দুর্দান্ত হয়। তখন হয়তো আরো ভালো মানের ছবি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পারবো।
ওয়াও ভাইয়া প্রতিটি ফটোগ্রাফি দেখতে চমৎকার লাগছে। আপনি সব সময় অনেক সুন্দর ফটোগ্রাফি করেন। আজও আপনি অনেক সুন্দর ফটোগ্রাফি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। তবে ভাইয়া আমার কাছে কৃষ্ণচূড়া গাছের ফটোগ্রাফি অনেক ভালো লেগেছে। কোন সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি করতে আমার সত্যি অনেক ভালো লাগে। এত সুন্দর ফটোগ্রাফি করে আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার কাছেও সবগুলো ছবির ভিতরে কৃষ্ণচূড়া গাছের ছবি দুটো বেশি ভালো লেগেছে।
কিছু কিছু ছবি বাস্তবের চাইতে ক্যামেরাতে আরো অনেক বেশি সুন্দর লাগে। আবার ঠিক তার উল্টোটাও ঘটে। তোমার তোলা ছবি গুলোর ক্ষেত্রে প্রথমটাই হয়েছে মনে হচ্ছে।
এডিটিং এর প্রভাবে এমনটা হতে পারে। আর দৃশ্য যদি সুন্দর হয় তাহলে ছবিটা এমনিতেই ভালো আসে।
ফুল দেখলে আমার মন খারাপ থাকলে ও ভালো হয়ে যায়। কারণ ফুল ভীষণ ভালোবাসি।কৃষ্ণচূড়া ফুল খুব পছন্দ করি। ছোট বেলায় কৃষ্ণচূড়া ফুল দিয়ে মালা গাঁথতাম। বাগান বিলাস ফুলটিকে আমরা কাগজ ফুল নামে চিনি। যাইহোক সবগুলো ফটোগ্রাফি ভালো হয়েছে। নদীসহ নৌকার ছবি টি দেখে আরো ভালো লাগলো।কারণ নৌকায় চড়তে খুব ভালো লাগে আমার।আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে উপহার দেয়ার জন্য
কৃষ্ণচূড়া ফুল আসলে এমন একটি ফুল। যেটা সবাই পছন্দ করে। আর যখন পুরো গাছ কৃষ্ণচূড়া ফুলে ছেয়ে থাকে তখন একটা দেখার মত দৃশ্যের অবতারণা হয়।
ভাইয়া আপনি আজকে চমৎকার ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। ৮ নাম্বার ছবিটি দেখে আমাদের অনেক কিছু শিখার আছে। আপনি ঠিক বলেছেন ভাইয়া। সত্যিই জীবন অনেক কঠিন ভালো লাগলো। আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো ভালো থাকুন।
এই ধরনের মানুষকে দেখলে আমার ভালো লাগে না। নিজের ভেতর এক ধরনের অপরাধ বোধ কাজ করে। মনে হয় যে আমাদের যেটা করার দরকার ছিল সেটা করতে পারিনি।