বন্ধুদের সাথে বড়ই বাগানে অভিযান।

in আমার বাংলা ব্লগlast year (edited)

কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা? আমি ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও ভালো আছেন।


গতবছর শীতের সময় একদিন বন্ধু রাফসানের শোরুমে বসে আড্ডা দিচ্ছিলাম। কথায় কথায় রাফসান বলল ওর এক পরিচিত ছোট ভাইয়ের বড়ই বাগান রয়েছে। সেই বাগানে মূলত কাশ্মীরি আপেল কুল হয়। আমাদেরকে প্রস্তাব দিল সেখান থেকে ঘুরে আসার জন্য। ওর প্রস্তাব পাওয়ার সাথে আমরা সানন্দে রাজি হয়ে গেলাম। তারপর তিনজন মিলে সেই বাগানে গিয়ে আমরা নিজ হাতে টাটকা বড়ই ছিড়ে খেয়েছি। বাজারের বড়ই এর সাথে সেই টাটকা বড়ইয়ের সাদে বেশ পার্থক্য খেয়াল করেছিলাম।

IMG_20230209_161743.jpg

IMG_20230209_155516.jpg

তারপরে আর একদিন সেই বাগানে যাওয়ার ইচ্ছা ছিল। কিন্তু যাব যাব করে আর যাওয়া হয়নি। তাই এবার আগে থেকেই খোঁজখবর রাখছিলাম যে সেই বাগানের বড়ই পেকেছে কিনা। গতকালকে বন্ধু রাফসানের শোরুমে গিয়েছিলাম সেই বরই বাগানে যাওয়ার উদ্দেশ্যে। কারণ ইতিমধ্যে আমরা খবর পেয়েছি যে বাগানের বড়ই পেকে গিয়েছে। তারপর আমরা তিন বন্ধু মিলে রওনা দিলাম বরই বাগানের উদ্দেশ্যে। রাফসানের এলাকা থেকে সেই বরই বাগানের দূরত্ব খুবই কম। তাই অল্প কয়েক মিনিটেই আমরা সেই বাগানে পৌঁছে গেলাম। সেখানে পৌঁছে ফেরদৌসের মোটরসাইকেল একটি জায়গায় রেখে আমরা বাগানের উদ্দেশ্যে হাঁটতে লাগলাম।

IMG_20230209_160954.jpg

বাগানটি মূল রাস্তা থেকে একটু ভিতরে। তাই মিনিট দুয়েকের ভিতরে আমরা বাগানে পৌঁছে গেলাম। কিন্তু সেই বাগানে পৌঁছে এবার বেশ অবাক হয়েছি। কারণ গতবার বাগানটাকে অনেক ছোট মনে হয়েছিল। কিন্তু এবার গিয়ে দেখতে পেলাম সেই বাগানটি আসলে অনেক বড়। গতবার আমরা কিছু গাছ একেবারে ছোট দেখে গিয়েছিলাম। কিন্তু এবার গিয়ে দেখি এই এক বছরে সেই গাছগুলো অনেক বড় হয়ে গিয়েছে। তো বাগানে ঢুকেই যথারীতি আমরা আমাদের ইচ্ছামতো বড়ই ছিঁড়ে খেতে লাগলাম। গাছ থেকে নিজ হাতে টাটকা বড়ই পেরে খাওয়ার ভেতর এক অন্য রকমের মজা আছে। এটা যারা না করেছেন তারা বুঝতে পারবেন না।

IMG_20230209_162425.jpg

IMG_20230209_161612.jpg

তাছাড়া বাজার থেকে আমরা যে বড়ইগুলি কিনে খায়। সেই বড়ই কতদিন ধরে সংরক্ষণ করা হয়েছে বা তাতে কোনো কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয়েছে কিনা সেটাও জানি না। কিন্তু এখান থেকে একদম কেমিক্যাল মুক্ত গাছপাকা টাটকা বড়ই খেতে দারুন লাগছিল। বেশ কিছুক্ষণ ধরেই আমরা তিন বন্ধু পাকা পাকা বড়ই বেছে খেতে লাগলাম। ইতিমধ্যে বাগান মালিক সেখানে এসে হাজির হলো। আগেই বলেছি বাগান মালিক আমাদের বন্ধু রাফসানের পরিচিত ছোট ভাই। বাগান মালিক সাথে করে একটি বালতি এবং পলিথিন ব্যাগ নিয়ে এসেছিল।

IMG_20230209_162425.jpg

IMG_20230209_162936.jpg

পরে আমরা সকলে মিলে বড়ই পেরে বালতিতে রাখতে লাগলাম। আমি আর ফেরদৌস সেখানে গিয়েছিলাম বরই কেনার উদ্দেশ্যে। যার ফলে আমরা বেশ কিছুক্ষণ ধরে বড়ই পাড়ছিলাম। তবে আমাদের কাজ আগাচ্ছিলো না। সেজন্য বাগান মালিক নিজেই নিজ হাতে বড়ই পারতে লাগলো। এভাবে বেশ কিছুক্ষণ পর যখন দেখলাম যথেষ্ট বড়ই পারা হয়েছে। তখন আমরা বাগান মালিক কে বললাম আর লাগবে না। তারপর আমরা তার সাথে গিয়ে বইগুলি মাপতে লাগলাম। আমি আর ফেরদৌস দু কেজি করে বড়ই কিনেছিলাম। বন্ধুরা আফসানের অবশ্য বরই নেওয়ার খুব একটা ইচ্ছা ছিল না প্রথমে। পরে আমাদের দেখাদেখি সেও দুই কেজি বড়ই নিল। কারণ বড়ইগুলো খেতে এতই মজা ছিল যে সেগুলো পরিবারের লোকজনকে খাওয়াতে ইচ্ছে করছিল। যাইহোক বড়ই কেনা শেষ হলে আমরা সেদিনের মত বাড়ি পথ ধরলাম।

আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।

ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইসহুয়াই নোভা 2i
ফটোগ্রাফার@rupok
স্থানগজারিয়া

logo.png

Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

standard_Discord_Zip.gif


break .png

Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote


VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png



🇧🇩🇧🇩ধন্যবাদ🇧🇩🇧🇩


@rupok

Sort:  
 last year 

গত বছরের গিয়েছেন তাই এ বছরেও মিস করেন নি ৷ আসলে এক একটি মৌসুনে এক একটি ফল৷ যা হোক আপনার বন্ধুর রাফসানের বড়ই বাগান তো অনেক বড় ৷ আর পাকা বড়ই মনের মতো খেয়েছেন ৷ আর ব্যাগ ভর্তি নিয়েও এসেছেন ৷ সবমিলে অনেক ভালো লাগলো ভাই বড়ই খাওয়ার মূহুর্ত গুলো ৷ অনেক ধন্যবাদ ভাই ভালো থাকবেন ৷

 last year 

ইচ্ছামত গাছ থেকে নিজ হাতে পেরে বড়ই খেয়েছি। সে এক দারুন অনুভূতি।

 last year 

বাজারের কেনা বরই এর থেকে গাছ থেকে পেড়ে বরই খাওয়ার মজাই আলাদা। টাটকা বরই এর স্বাদই যেন অন্যরকম। আপনি আপনার বন্ধুদের সঙ্গে বরই বাগানে ঘুরতে গিয়ে অনেক সুন্দর মূহুর্ত কাটিয়েছেন।

 last year 

বাজারে থেকে কেনা বড়ইয়ের সাথে গাছ থেকে পেড়ে খাওয়া টাটকা বড়ইয়ের সাথে যে এতটা পার্থক্য। সেটা আমার আগে ধারণা ছিল না।

 last year 

গত বছর আপনি আপনার বন্ধুদের সাথে বড়ই বাগানে গিয়েছিলেন এবং সেই পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছিলেন। তাই তো এবারও সেখানে যাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেছেন এবং সেই উদ্দেশ্য অনুযায়ী বড়ই বাগানে গিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো ভাইয়া। আসলে বাজার থেকে যেসব বড়ই আমরা কিনে খাই সেগুলোতে অনেক কেমিক্যাল মেশানো থাকে। তাই তো দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করে রাখা যায়। গাছের টাটকা বড়ই খাওয়ার মজাই আলাদা। পরিবারের সকলের জন্য নিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো ভাইয়া।

 last year 

টাটকা বড়ই খাওয়ার মজাই আলাদা। বাড়ির আশেপাশে কোন বাগান থাকলে। সেখান থেকে নিজ হাতে ফল পেড়ে খেয়ে দেখবেন। একটা অন্য রকমের অনুভূতি।

 last year 

এটা ঠিক যে বাজারের বড়ই থেকে বাগানের গাছ থেকে পেড়ে খাওয়া বড়ইয়ের মজাটাই আসলে অনেকটা আলাদা থাকে। কিছু বড়ই তো আমাদের জন্য নিয়ে আসতে পারতেন ভাইয়া 😁 বড়ই পাকার জন্য অপেক্ষা না করে আমাদের বাড়িতে চলে আসতে পারতেন। কারন আমাদের বাড়ির সামনে ছোট্ট একটি পাখনা বড়ই গাছ আছে। বাজারের বড়ই অথবা যে কোন ফলের মধ্যেই অনেক ধরনের জীবাণু থাকে অথবা তারা অনেক ধরনের ফর্মুলা ফলের সাথে মিশিয়ে থাকে। কিন্তু গাছ থেকে পেরে খেলে শরীর স্বাস্থ্যও খুব ভালো থাকে। আমিও প্রত্যেকদিন বিকেলে আমাদের ছোট্ট বড়ই গাছ থেকে পাকনা কিছু বড়ই পেরে খাই। সেই বড়ইগুলো খেতে ভীষণ ভালো লাগে।

 last year 

আপু চলে আসেন আমাদের এদিকে। এখনো বাগানে পর্যাপ্ত পরিমাণ বড়ই রয়েছে। নিজ হাতে গাছ থেকে ফল পেরে খাওয়ার মজাই অন্যরকম। আপনাকে সেদিক থেকে ভাগ্যবতী বলতে হবে।

 last year 

মাঘ ফাল্গুন মাসে বাংলাদেশে অনেক প্রকার বড়ই বা কুল পাওয়া যায়। আমি আজকেও বাজার থেকে উন্নত জাতের বড়ই কিনে এনেছি। তবে আপনি আপনার বন্ধু ফেরদৌস মিলে কুল অভিযানে যেয়ে অনেক সুন্দর একটা মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। যেখানে গাছগুলো পূর্বে দেখেছিলেন ছোট এখন বড় হয়ে গেছে এবং সেখান থেকে আপনারা কুলপেড়ে খাওয়াসহ বালতি ভরে পাড়ছিলেন। কেমন যেন মনে মনে অনুভূতিতে আপনাদের খুঁজে পেলাম। মনে হচ্ছে যেন সেই মুহূর্তে আমিও আপনাদের নিকটে ছিলাম।

 last year 

ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

 last year 

ভাইয়ার এগুলার প্রতি বেশ নেশা,আমের দিন আমের বাগানে এখন বরই দিনে বরই বাগানে।আসলেই নিজের হাতে গাছ থেকে বরই পেরে খাওয়ার মজাই আলাদা।যাক বন্ধুর ছোট ভাইয়ের বরই বাগান যেয়ে বেশ ভালো সময় উপভোগ করেছেন।সাথে বরই কিনে নিয়ে এসেছেন।বরই গুলো দেখে আমারো খেতে ইচ্ছে করছে। ভালো লাগলো।ধন্যবাদ

 last year 

ঠিকই বলেছেন। এখন আমার সব সময় চেষ্টা থাকে বাগান থেকে টাটকা ফল কেনার প্রতি। যদিও অন্যান্য ফলের বাগান তেমন একটা পাওয়া যায় না আমাদের এলাকায়। তবে আমের সময়ে আমবাগান আর বড়ইয়র সময় বড়ই বাগান থেকে ফল সংগ্রহ করার ব্যবস্থা করতে পেরেছি।

 last year 

গত বছর বন্ধুর সাথে বরই বাগান গিয়ে পোস্ট দিয়েছেন যদিও তা দেখা হয়নি। তবে আজ আবার দেখে খুব ভাল লাগলো ভাইয়া। ইচ্ছে করছে গাছ ধরে ঝাঁকা দেই।খুব ভাল লাগলো আপনার অনুভূতি গুলো পড়ে। গাছের তাজা বরই খাওয়ার মজাই অন্য রকম। যাক পরিবারের জন্য ও নিলেন জেনে খুব ভাল লাগলো। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে।

 last year 

আসলেই বাগান থেকে নিজ হাতে বড়ই পেরে খাওয়ার ভেতরে অন্যরকম মজা রয়েছে। আর গাছগুলো সব এমন সাইজের যে। আপনি দাঁড়িয়ে থাকলে আপনার চোখ বরাবর গাছের ডাল থাকবে। সেখানে দেখতে পাবেন গাছ পাকা বড়ই ঝুলে রয়েছে। দৃশ্যটা দেখতেও ভালো লাগে।

Coin Marketplace

STEEM 0.19
TRX 0.13
JST 0.030
BTC 62835.77
ETH 3392.04
USDT 1.00
SBD 2.50