মেয়ের আবদার পূরণ।
গতকালকে আমি আপনাদের সাথে পরিবারকে নিয়ে ঘুরে বেড়ানোর অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছি। আজকে তারপরে কি ঘটেছিল সেটা বলছি। আমরা যখন ঘুরতে বের হয়েছিলাম তখনই ঠিক করেছিলাম ঘোরাফেরা শেষ করে হালকা কিছু খাওয়া দাওয়া করবো। আমার মেয়ে তার আগে থেকেই বলছিল সে ফুচকা খেতে যাবে। আমরা বেশ কিছুদিন আগে একটি দোকান থেকে ফুচকা খেয়েছিলাম। সেখানকার ফুচকা আমার মেয়ের খুবই পছন্দ হয়েছিল। তাই সে আবার সেই দোকানে যেতে যাচ্ছিল ফুচকা খেতে। সেজন্য আমি আমার মেয়েকে কথা দিয়েছিলাম ঘোরাফেরা শেষে তাকে সেই দোকানে নিয়ে গিয়ে ফুচকা খাওয়াবো।
তো যাই হোক ঘোরাফেরা শেষ করে আমরা একটি রিক্সা ঠিক করলাম সেই ফুচকার দোকানে যাওয়ার উদ্দেশ্যে। ফুচকার দোকানটি পদ্মারপাড় থেকে বেশ খানিকটা দূরে। যার ফলে সেখানে পৌঁছতে আমাদের বেশ খানিকটা সময় লাগলো। সেই ফুচকার দোকানে পৌঁছাতে পৌঁছাতে আমাদের প্রায় সন্ধ্যা হয়ে গেলো। যখন ফুচকার দোকানের সামনে পৌঁছেছি ততক্ষণে মাগরিবের নামাজের সময় হয়ে গিয়েছে। তাই আমি আমার স্ত্রী এবং বাচ্চাকে সেই দোকানে বসিয়ে রেখে চলে গেলাম নামাজ পড়তে। তাদেরকে বলে গিয়েছিলাম যে তোমরা খাবার অর্ডার করে দিও।
তারপর আমি যখন নামাজ পড়ে ফিরে আসলাম। এসে দেখি তখনও তাদের সামনে খাবার এসে পৌঁছায়নি। আমি যখন জিজ্ঞেস করলাম কি ব্যাপার তোমরা খাবার অর্ডার করো নি? তখন তারা বলল অর্ডার করেছি কিন্তু খাবার পরিবেশন করতে তারা একটু সময় নিচ্ছে। তখন আমি সেখানে বসে খাবারের জন্য অপেক্ষা করতে লাগলাম। কারণ আমি আগে থেকেই জানি এই দোকানে বেশ ভিড় থাকে। যার ফলে তাদের খাবার পরিবেশন করতে কিছুটা দেরি হয়। আর এই দোকানে খাবারের নামগুলো কিছুটা অদ্ভুত ধরনের।
আমরা যে খাবারটি অর্ডার করেছিলাম সেটি দেখতে কিছুটা ফুচকার মত হলেও খাবারটি খেতে এবং দেখতে বেশ খানিকটা ব্যতিক্রম ছিলো। সেই খাবারের নাম ছিলো ভাঙচুর। এমন অদ্ভুত নাম আমি এর আগে খুব একটা শুনিনি। যাইহোক আমি সেখানে বসার কিছুক্ষণের ভেতরেই তারা টেবিলে খাবার পরিবেশন করল। এই খাবারটি আমার নিজের কাছেও বেশ পছন্দ হয়েছিলো। যার ফলে খাওয়ার সামনে পরিবেশন করার পরে ছবি তুলে আর দেরি করিনি। সাথে সাথেই খাওয়া শুরু করে দিলাম। এর ভেতর আমি আমার স্ত্রীকে জিজ্ঞেস করলাম আর কিছু খেতে চাও নাকি? তখন সে বলল খাওয়া যেতে পারে।
তারপর আমি মেনু দেখে সেখান থেকে চিকেন মোমো অর্ডার করলাম। এদিকে আমাদের খাওয়া শেষ হয়ে গেলেও তখনো দেখি তারা চিকেন মোমো সার্ভ করছে না। তখন আমি তাদেরকে জিজ্ঞেস করলাম কি ব্যাপার এত সময় লাগছে কেন? তখন তারা জানালো চিকেন মম হতে বেশ খানিকটা সময় লাগবে। আমরা বসে চিকেন মোমোর জন্য অপেক্ষা করতে লাগলাম। শেষ পর্যন্ত বেশ অনেকটা সময় আমাদেরকে বসিয়ে রাখার পর তারা চিকেন মোমো সার্ভ করেছিলো দুই ধরনের সসের সাথে। যদিও তাদের মোমোটা খেতে আমার কাছে মোটেই ভালো লাগেনি। তারপরেও যেহেতু অর্ডার করেছি এখন আর না খেয়ে কোন উপায় নেই। তাই মম শেষ করে বিল মিটিয়ে আমরা বাড়ির দিকে রওনা দিলাম।
আজকের মত এখানে শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | হুয়াই নোভা 2i |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | ফরিদপুর |
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
মাঝে মাঝে বাচ্চাদের আবদার মেটাতে গিয়ে বেশ ভালোই লাগে। ভাইয়া আপনার গতকালকের পোস্ট আমি পড়িনি তার জন্য আমি আন্তরিক দুঃখিত। মামনির আবদার মেটাতে তার পছন্দের দোকানে নিয়ে যাওয়া, খাবার খাওয়ার মাঝেও আপনি সময় মতো নামাজ পড়তে চলে গেছেন এটা খুবই ভালো লাগলো আমার কাছে। মাঝে মধ্যে কিছু খাবার অর্ডার করার পর আর খেতে ইচ্ছে করেনা কিন্তু ফেলেও দেওয়া যায় না তখন খুবই খারাপ লাগে। ফুচকার মতো দেখতে ভাংচুর খেতে কেমন লেগেছিল ভাইয়া? সুন্দর মুহুর্ত গুলো শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
বাচ্চাদের আবদার না রেখে কি আর থাকা যায়। আপনার প্রথম খাবারের আইটেমটা আমাদের এখানে দই পাঁপড়িচাট বলে।বেশ চটপটা হয় খেতে।আমি ছবিতে দেখএ ভাবলাম মোমোটা হয়তো ভালো এবং অথেনটিক হবে খেতে। স্যুপ(চিকন ব্রুথ) দিলে ভালো হত।যাই হোক,, ভালো মন্দ মিলিয়েই জীবনের এক্সপেরিয়েন্স।
আসলে বাবা-মা চায় সবসময় সন্তানের ইচ্ছা পূরণ করতে। আপনি তাই আপনার মেয়ের ইচ্ছাটা পূরণ করলেন। আসলে বাচ্চাদের ইচ্ছা পূরণ করলে তারা খুবই খুশি হয়। তার পছন্দের দোকানে এসে পছন্দের খাবার খাওয়াতে পেরেছেন আবার ভালো লাগে। যাই হোক আপনি খুবই ভালো একটি কাজ করেছেন এবং আপনি অর্ডার দিয়ে নামাজ পড়তে গিয়েছিলাম, এটা ভালো লাগলো এবং মোমো আসতে অনেক দেরি হল, আসলে মোমো আসতে অনেক দেরি হয়। যাইহোক খুব একটা ভালো ছিলো না খাবারটা, তারপরও অর্ডার দিয়েছিলেন তাই নষ্ট করেননি।ভালো লাগলো, আসলে খাবার নষ্ট করা মোটেও ঠিক না।
এই হচ্ছে আমাদের বাঙালিদের সমস্যা একবার নাম ফুটলে আর কুয়ালিটি ধরে রাখতে পারেনা। আমিও এই রেস্টুরেন্টটিতে বেশ কয়েকবার গিয়েছি। আমার মনে হয় ফরিদপুর শহেরের আর সব ফুচকার চাইতে এখানকার ফুচকা একটু হলেও ভালো আর তাই সবসময় লোকজনের ভির লেগেই থাকে।
ভাই আপনি আপনার মেয়ের ফুচকা খাওয়ার আবদার পূরণ করতে অনেক দূর পর্যন্ত সবাইকে নিয়ে ফুচকা খেতে চলে গেলেন খুবই ভালো একটি বিষয়। তার পাশাপাশি আপনার মেয়ে অনেক ভাগ্যবান যে আপনার মত একজন বাবা পেয়েছেন। আসলে খেতে গিয়ে অর্ডার করার পরও অনেকক্ষণ বসে থাকতে আমার কিন্তু খুবই বিরক্ত লাগে এখানে আপনারা অনেক ধৈর্য নিয়ে বসে ফুচকা ও মম খেয়ে আসলেন সবই কিন্তু আপনার মেয়ের জন্য। ছেলে মেয়ের জন্য বাবা-মার সবই করতে পারেন এটা কিন্তু তার একটি জ্বলন্ত উদাহণ।
আজ মনটা কিছুটা খারাপ। কিন্তু যখন খাবারের নামটা পড়লাম হাসা আটকাতে পারছি না। ভাঙচুর নামটাই এমন খেতে না জানি কেমন। তবে মোমো টা বেশ দারুণ লাগছে আমার কাছে। পরিবার নিয়ে ঘুরতে গিয়ে মেয়ের আবদার পূরণ করেছেন এটা ভালো লাগল।।
আসলেই তো নামটা বেশ ইন্টারেস্টিং ভাঙ্গচুর🤣🤣।ভাঙ্গচুর পরিবেশনটা আসলেই সুন্দর।আমার কাছে মোমো খেতে ভালো লাগে না।যাই হোক অবশেষে যে মেয়ের আবদার পূরন হলো,তাই অনেক।ধন্যবাদ
আসলে দোকানে ভিড় থাকলে পরিবেশন করতে এমনিতেই অনেক সময় লাগে। নামটা একটু অন্যরকম ছিল এরকম নাম আমি আগে কখনো শুনিনি। আর মেয়ের আবদার বাবা কখনো না রেখে থাকতে পারেনা। কিন্তু চিকেন মোমো জন্য আপনার অনেকক্ষণ অপেক্ষা করলেন কিন্তু সেটা খেতে আপনার ভালো লাগেনি শুনে খারাপ লাগে।
আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। এদের জন্য একটু তো করতেই হবে ভাই। বেশ ভালো লাগলো কষ্ট হলেও মেয়ের আবদার পূরণ করতে পেরেছেন। আর মেয়েরা বাবার উপর মায়ের অধিকার কাটায় । সেজন্য এটা তো করতেই হবে। খুবই ভালো লাগলো ভাই পোস্টটি পড়ে। আপনার পরিবারের জন্য শুভকামনা রইল।