পুরান ঢাকায় বিরিয়ানি খেতে গিয়ে পেলাম হতাশা।

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা? আমি ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও ভালো আছেন।


গতকালকে আপনাদের কাছে পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী বিউটি লাস্যি থেকে লেবুর শরবত খাওয়ার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছি। আমি আগেই বলেছি পুরান ঢাকায় যাব আর বিরিয়ানি খাব না। এটা তো হতে পারে না। আপনারা সবাই জানেন খাদ্য রসিকদের জন্য পুরান ঢাকা হচ্ছে অত্যন্ত আকর্ষণীয় স্থান। সেখানে বিভিন্ন রকম মুখরোচক খাবারের ব্যবস্থা রয়েছে। বিশেষ করে বিরিয়ানি আর কাবাব এই ধরনের খাবারের সমারোহই বেশি সেখানে।পুরান ঢাকায় বেশ কিছু বিখ্যাত বিরিয়ানি দোকান আছে। যেগুলি পুরো ঢাকার শহর তথা সারা বাংলাদেশের মানুষের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয়।

IMG_20220909_145501.jpg

এর ভেতর সবার পছন্দের শীর্ষে আছে হাজী বিরিয়ানি। এদের নামটা সারা দেশ জোড়া। এমনকি বাংলাদেশি যারা দেশের বাইরে থাকেন তারাও হাজী বিরিয়ানির নাম ভালোভাবে জানেন। হাজী বিরিয়ানির নামে সারা দেশব্যাপী হাজার হাজার বিরিয়ানির দোকান চলছে। তবে আমার এর আগেই হাজির বিরিয়ানি থেকে বিরিয়ানি খাওয়ার অভিজ্ঞতা আছে। সেজন্য সেদিন চিন্তা করছিলাম নতুন কোন দোকান থেকে বিরিয়ানি খাওয়া যায় কিনা। কিছুদিন আগে একজন ফুড ব্লগারের একটা ভিডিও দেখেছিলাম। সেই ভিডিওতে তিনি হানিফ বিরিয়ানির কথা অনেক ভালো বলেছিলেন । তার ভাষ্য মতে হানিফ বিরিয়ানির স্বাদ হাজির বিরিয়ানি থেকে ভালো।

IMG_20220909_144014_1.jpg

যদিও আমি প্রথমে হাজির বিরিয়ানির সামনেই গিয়েছিলাম। কিন্তু গিয়ে সেখানকার যা পরিস্থিতি দেখলাম তাতে বুঝলাম আজকে আর হাজির বিরিয়ানি থেকে খাওয়া সম্ভব নয়। কারণ হাজীর বিরিয়ানির দোকানটা খুবই ছোট। আর এখানে অসংখ্য লোক দাঁড়িয়ে আছে বসার জন্য। প্রচন্ড ভিড় সেখানে তাই সেখানে বসে খাওয়ার কোন সুযোগ নেই। খেতে হলে আমাকে পার্সেল নিতে হোতো। তো যেহেতু আমার আগেই হাজির বিরিয়ানির স্বাদ নেয়া হয়েছে। তাই চিন্তা করলাম নতুন একটি রেস্টুরেন্ট থেকে বিরিয়ানি খেয়ে দেখি কেমন। যদিও সেই ভিডিওতে বেশ প্রশংসা শুনেছি হানিফ বিরিয়ানির।

IMG_20220909_145510.jpg

তাই চিন্তা করলাম আজ সেখান থেকেই বিরানির স্বাদ নেয়া যাক। হানিফ বিরিয়ানির অবস্থান হাজীর বিরিয়ানি থেকে অল্প একটু সামনেই। অল্প সময়ের ভেতরেই হানিফ বিরিয়ানিতে পৌঁছে গেলাম। পৌঁছে সেখানে যখন হাত ধুয়ে টেবিলে বসেছি বিরিয়ানি অর্ডার করার জন্য। তখন তারা জানালো নতুন হাড়ি আসছে সেখান থেকে আমাদেরকে বিরিয়ানি দেয়া হবে। আগের বিরিয়ানি শেষ হয়ে গিয়েছে। যার ফলে আমাদেরকে মিনিট দশেক অপেক্ষা করতে হবে। পেটে ক্ষুধা আর চারপাশে বিরানির সুঘ্রান নিয়ে অপেক্ষা করা কতটা কষ্টকর এটা আশা করি আপনারা সকলেই বুঝতে পারছেন।

IMG_20220909_143331.jpg

এই রেস্টুরেন্ট ও দেখলাম হাজী বিরিয়ানির মতো লোকে লোকারণ্য। যাই হোক কিছু করার নেই। তাই বসে অপেক্ষা করতে লাগলাম। মিনিট দশেক পরে হঠাৎ করে ওয়েটারদের ভেতর চাঞ্চল্য লক্ষ্য করলাম। বুঝতে পারলাম তাদের নতুন বিরিয়ানির হাঁড়ি এসেছে। কিন্তু তারপরও আমাদের টেবিলে খাবার এলোনা। কারণ প্রথমে তারা পার্সেল গুলো ডেলিভারি দেয়াতে ব্যস্ত ছিল। পরে যখন পার্সেল ডেলিভারি দেয়া শেষ হলো তারপর আমাদের টেবিলে বিরিয়ানি সার্ভ করল। সেখানে বিরিয়ানির তিন ধরনের প্লেট হয়। একটি হাফ প্লেট যেটার দাম ১২০ টাকা। আর একটা হচ্ছে ফুল প্লেট যেটার দাম ২০০ টাকা। আর একটা আছে স্পেশাল প্লেট সেটার দাম ২৪০ টাকা। আমি স্পেশাল প্লেটেরই অর্ডার করেছিলাম। কিন্তু বিরিয়ানি যখন টেবিলে পরিবেশন করল তখন আমার কাছে দেখে খুব একটা ভালো লাগলো না।

IMG_20220909_143338.jpg

স্পেশাল প্লেটে কোন কিছুই স্পেশাল দেখতে পেলাম না। মাংসের নামে কয়েক পিস হাড্ডি এবং চর্বি বেশি দিয়েছে এই যা। কিন্তু সেই ফুড ব্লগারের ভিডিওতে দেখেছিলাম স্পেশাল প্লেটে মাংসের পরিমাণ থাকে অনেক বেশি। এখন বুঝতে পারছি আসলে ব্লগারদের ভিডিও পুরোপুরি বিশ্বাস করাটা ঠিক না। কারণ অনেকে আছে পেইড রিভিউ দেয়। আবার অনেক সময় রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষ ব্লগারদের দেখলে এক্সট্রা খাতির করে বেশি পরিমাণে খাবার দেয়। বিরিয়ানি দেখে কিছুটা হতাশ হলাম। কারণ মনে মনে যা আশা করেছিলাম সেটার সাথে প্লেটের বিস্তর ফারাক দেখতে পাচ্ছি। খেতে গিয়ে বুঝলাম মাংসের নামে সেখানে শুভঙ্করের ফাঁকি দেয়া হয়েছে। মাংসের পরিমাণ ছিল খুবই কম। কিন্তু আমি এর আগে যতবারই হাজির বিরিয়ানি থেকে খেয়েছি সেখানকার মাংসের কোয়ালিটি এবং পরিমাণ দুটোই অনেক ভালো ছিল। যাই হোক কি আর করা। যেহেতু খাবার অর্ডার দেয়া হয়ে গিয়েছে এখন তো না খেয়ে ওঠার উপায় নেই। তাই কোন রকমে খাবারটা শেষ করে বিল মিটিয়ে রেস্টুরেন্ট থেকে বেরিয়ে এলাম। আর মনে মনে সিদ্ধান্ত নিলাম এরপর থেকে ফুড ব্লগারদের ভিডিও পুরোটা বিশ্বাস করা যাবে না।

আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।


ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইসহুয়াই নোভা 2i
ফটোগ্রাফার@rupok
স্থাননাজিরা বাজার

logo.png

Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

standard_Discord_Zip.gif


🇧🇩🇧🇩ধন্যবাদ🇧🇩🇧🇩


@rupok

Sort:  
 2 years ago 
আপনার পোস্টটি পড়ে খারাপ ও লেগেছিল এবং ভালো ও লেগেছিল। খারাপ লেগেছিল এই কারনে আপনার গত পোস্টে পড়েছিলাম ঐতিহ্যবাহি বিউটি লাস্যি থেকে দুই গ্লাস লেবুর শরবত খেয়েছিলেন। আরও খাওয়ার ইচ্ছে ছিল কিন্তু পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহি বিরানির কারণে খাওয়া হলো না।কিন্তু ব্লগার থেকে হানিফ বিরানির প্রশংসা শুনে খেতে গিয়েছিলেন সেটা ও মন সম্মত ছিল না। তা শুনে মনটা খারাপ হয়েছিল।আর ভালো লাগছে এই কারনে যে, আপনার এত সুন্দর একটি তথ্য অনেকেই এভাবে লোকের কথা শুনে যেকোনো যায়গায় খেতে যাওয়া থেকে বিরত রাখবে।আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া, এত সুন্দর একটি উপদেশ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
 2 years ago 

আমি হানিফ বিরিয়ানির আরো কয়েকটা রিভিউ দেখেছি। অনেকেই ভাল বলেছে। কিন্তু আমার কাছে মোটেই ভালো লাগেনি। বিশেষ করে সেখানে মাংসের পরিমাণ ছিল খুবই কম।

 2 years ago 
আসলে সেই জন্যই যদি কোন একান্ত কাছের মানুষ না হয়ে থাকে তবে এসব ক্ষেত্রে অপরিচিত হোটেলে না যাওয়াই ভালো। অবশ্য অনেক সময় এমনও হয় যে কাউকে দিয়ে প্রচার চালানোর জন্য কারো সাথে একটু আপ্যায়নটা একটু বেশি করে।যেমন আপনার এই পরিচিত লোককে দিয়ে হোটেলের কতৃপক্ষ এমন করতে পারে। যারদরুন তার খাবারে একটু বেশি মাংস দিতে পারে। অবশ্য এটা ধারনা হতে পারে আবার নাও হতে পারে। তবে যা-ই হোক এত সখ করে খেতে গিয়ে যদি এমন হয়। তবে মন খারাপ হওয়াটাই স্বাভাবিক।
 2 years ago 

জি ভাইয়া আপনার পোস্টটি পড়ে আমি নিজে অবাক হলাম কারণ যেহেতু বলেছে এটা স্পেশাল বিরিয়ানি সেহেতু এখানে কোন স্পেশালিটি থাকার দরকার ছিল। অন্ততপক্ষে আর যাই হোক বিরিয়ানি মাংস সমান সমান হওয়ার কথা । এটা অবশ্যই ঠিক বলেছেন ব্লগাররা যখন ব্লগ করতে যায় তখন হোটেলের লোকেরা তাদের হোটেলের নামের জন্য একটি স্পেশাল করেই দেয়।লোক দেখানো যেটাকে বলে।

 2 years ago 

ওটাই সমস্যা আপু। এই জন্য আমাদের মত সাধারন জনগণ ধোকা খায়।

 2 years ago 

ভাইয়া কি বলবো প্রথম বার আমিও এইরকম পরিস্থিতি পড়েছিলাম।এর পর থেকে যখনি পুরান ঢাকায় যাই হাজী বিরিয়ানি তে খেয়ে আসি।যদিও ওখানে সিরিয়াল ধরতে হয় সবসময়। তারপরও তাদের মাংসের পরিমাণ অনেক ভালো এবং টেস্ট। তারপরও নতুন অভিজ্ঞতা অর্জন করা ভালো।পড়ের বার আর ঠকতে হয় না। আপনার মতো আমিও ভাইয়া ফুড ব্লগিং দেখে একটা রেস্টুরেন্টে খেতে গিয়েছিলাম। তখন যা দেখেছি পুরোটাই চেন্জ।এই জন্য এর পর থেকে কখনো ফুড ব্লগিং দেখে কোথাও খেতে যায় না। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে সুন্দর একটি অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য।

 2 years ago 

হাজী বিরিয়ানি খেতে আমার কাছেও মজা লাগে। তবে কেন জানি ওটা আমার কাছে বিরিয়ানি মনে হয় না। সাদ অনেকটা তেহারির মতো মনে হয়।

 2 years ago 

ভাই আপনি ঠিক ঐ বলেছেন যে পেটে ক্ষুধা নিয়ে চারপাশে বিরিয়ানির ঘ্রাণের ভিতর বসে থাকাটা খুব কষ্ট হয়। আর অপেক্ষার পরে যদি সামনে হাড্ডি এবং চর্বি পড়ে বিরিয়ানির তবে মনটা একটু খারাপই হয়।

 2 years ago 

আপনি আমার মনের কষ্টটা বুঝতে পেরেছেন।

 2 years ago 

আমার বাংলা ব্লগে ব্লগিং করতে এসে এটুকু কষ্ট তো বুঝতেই হবে। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।

 2 years ago 

দাদা হানিফ পরিবহন এর নাম শুনেছি, হানিফ সংকেতের ইত্যাদিও দেখেছি আজ হানিফের বিরিয়ানি দেখে নিলাম,,হিহি 🤣 । এই জিনিসটা সব জায়গায় দেখা যায় দাদা, রেস্টুরেন্টে গিয়ে বসে থাকলে আগে তাদের খাবার না দিয়ে যারা পার্সেল নিতে যাবে বা পার্সেলের অর্ডার থাকে তাদের আগে দেওয়া হয়। এই জিনিসটা মাঝে মাঝে আমার খুবই ইরিটেশন লাগে।

 2 years ago 

ক্ষুধা পেটে বিষয়টা আরো বিরক্তিকর।

 2 years ago 

হ্যাঁ দাদা একদম🤓 সবার ক্ষেত্রেই এটি প্রযোজ্য। পেটে খিদে তারপর যদি আবার খাবার দিতে দেরি করে তাহলে অস্বস্তি লাগাটাই স্বাভাবিক।

 2 years ago 

ভাইয়া হাজির বিরিয়ানির প্রশংসা চারিদিকে ছড়িয়ে গেছে বলেই এত মানুষের ভিড় ওখানে। এটা সত্য কথা যে ভাইয়া ব্লগারদের রিভিউ দেখে যেকোনো বিরিয়ানির দোকানে না যাওয়াই ভালো। তবে এত অপেক্ষার পর শেষ পর্যন্ত যে আপনি এক ধরনের হতাশার পর্যায়ে পড়েছেন এটা জানতে পেরে খুবই খারাপ লাগলো। স্পেশাল এর মধ্যে যদি কয়েক টুকরা হাড্ডি আর চর্বি থাকে তাহলে অন্য সব ক্ষেত্রে কেমন অবস্থা। যাহোক ভাইয়া হানিফ বিরিয়ানির দোকানে বিরিয়ানি খাওয়ার হতাশার অভিজ্ঞতা জানতে পারলাম আপনার এই পোস্টটি পড়ে।

 2 years ago 

বিরিয়ানি সামনে আসার পর মেজাজটা খুবই খারাপ হয়েছিল মাংসের অবস্থা দেখে। কিন্তু কি আর করা যেহেতু অর্ডার করেছি না খেয়ে তো আর ওঠা যায় না।

 2 years ago 

ফুড ব্লগাররা এখন অনেকটা বিজ্ঞাপনদাতার মত হয়ে গেছে। পজিটিভ কমেন্ট ছাড়া নেগেটিভ রিভিউ খুবই কম পাওয়া যায়। এর হয়তো একটা কারণ পেইড রিভিউ। যাইহোক যে যাই বল ুক পুড়ানো ঢাকার বিরিয়ানি এখনও টেস্ট করা হয়নি ইচ্ছা আছে পরেরবার ঢাকা গেলে অবশ্যই খাবো।

 2 years ago 

এবার তো দুই তিন দিন থেকে গেলা। তোমার উচিত ছিল একদিন পুরান ঢাকা থেকে ঘুরে আসা।

 2 years ago 

aka aka aysob khabar kheya moja nai r Rasel k nia to khabar er kotha chintai kora jai na.

 2 years ago 

বিরিয়ানি খেতে গিয়ে অনেক কষ্ট করেছেন। কিন্তু যদি খাবারটা শান্তি মত হতো তাহলে বেশ ভালো লাগতো। বিরিয়ানির প্লেটে প্রতারণা। যা ফুড ব্লগারদের একটা কারসাজি। এজন্যই ঐতিহ্য একটা বড় জিনিস ভাই। আমার মনে হয় হাজী বিরিয়ানিতে এমনটা হতো না। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।

 2 years ago 

সব সময় অবশ্য ফুড ব্লগারদের দোষ থাকে না। যে সমস্ত হোটেলের মালিক চালাক। তারা ফুড ব্লগারদের সামনে খুব ভালো মানের খাবার পরিবেশন করে। যাতে মানুষের তার হোটেল সম্বন্ধে একটা ভালো ধারণা হয়।

 2 years ago 

ভাইয়া কথায় আছে ধৈয্যতে ভালো কিছু হয় ,হাজি বিরিয়ানী আমি খেয়েছি ,অনেক স্বাদের আপনি একটু সময় নিয়ে খেয়ে দেখার দরকার ছিল। তবে পরে তো ঠকে গেলেন হাহাহা যাই হোক তবে অভিজ্ঞতা হলো আপনার।

 2 years ago 

আপু হাজী বিরিয়ানি এর আগে কয়েকবার খেয়েছি। এজন্য এবার নতুন একটা বিরিয়ানির স্বাদ নেয়ার চেষ্টা করলাম। কিন্তু গিয়ে ধরা খেলাম।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.14
JST 0.028
BTC 59404.52
ETH 2610.92
USDT 1.00
SBD 2.41