পছন্দের রেস্টুরেন্টে বন্ধুদের সাথে খাওয়া দাওয়ার অভিজ্ঞতা।১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য।

in আমার বাংলা ব্লগ3 years ago

কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা? আমি ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও ভালো আছেন।


গতকালকের লেখায় আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি ঘুরতে বের হয়ে কিরকম বিড়ম্বনার শিকার হয়েছিলাম। একটা পর্যায়ে আমার মন খুবই খারাপ হয়েছিল। যেমনটা চিন্তা করে বাসা থেকে বের হয়েছিলাম তার কিছুই হয়নি। অন্যভাবে বলতে গেলে আসলে খুবই বাজে একটা অভিজ্ঞতার শিকার হয়েছিলাম। আমি যখনই বাইরে ঘোরাফেরা করতে যাই তখন অবশ্যই সেখানে খাওয়া-দাওয়ার একটি পর্ব থাকে।

IMG_20211110_223829.jpg

কারণ আপনারা জানেন আমি খুবই ভোজন রসিক একজন মানুষ। যদিও শারীরিক সমস্যার কারণে এখন আগের মত আর খাওয়া-দাওয়া করতে পারিনা। খেতে গেলেই চিন্তা হয় আবার শরীর খারাপ না হয়। গতকালকে আমাদের ঘোরাফেরা শেষে যখন আমার বন্ধুদেরকে তাদের এলাকায় নামিয়ে দিতে গেলাম। তখন বনানী পৌঁছানোর পর আমি তাদেরকে বললাম চল একটা রেস্টুরেন্ট থেকে খেয়ে আসি। ওরা খুব একটা আগ্রহী ছিল না। আমি কিছুটা জোর করে ওদেরকে নিয়ে গেলাম। বনানীর একটা রেস্টুরেন্টের প্রতি আমার অনেক আগে থেকেই আগ্রহ ছিল। ইচ্ছা ছিল যদি কখনো বনানী যাওয়া হয়। ব্যাটে-বলে মিলে গেলে অবশ্যই এই রেস্টুরেন্ট থেকে একদিন খাবো।

IMG_20211110_215614.jpg

যেহেতু আজ বনানী এসেছি তাই চিন্তা করলাম সেই রেস্টুরেন্ট থেকে খেয়েই যাই। যদিও রাত ততক্ষনে প্রায় সাড়ে দশটা বেজে গিয়েছে। চিন্তা করছিলাম যে রেস্টুরেন্ট এখনো খোলা আছে কিনা? রেস্টুরেন্টের লোকেশন সম্বন্ধে কেউ ভালোভাবে জানতাম না। এইজন্য গুগল ম্যাপ এর শরণাপন্ন হলাম। অল্পক্ষণেই গুগল মহাশয় আমাদেরকে রেস্টুরেন্টের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিলো।

IMG_20211110_215603.jpg

আমরা আশেপাশে তাকিয়ে দেখি কোথাও রেস্টুরেন্ট এর সাইনবোর্ড দেখছিনা। পরে হঠাৎ করে উপরের দিকে তাকিয়ে দেখি যেই বিল্ডিংয়ের সামনে আমাদের গাড়ি দাঁড়িয়ে আছে সেই বিল্ডিং এর পাঁচ তলায় রেস্টুরেন্টের সাইনবোর্ড জ্বলজ্বল করছে। ততক্ষনে প্রচন্ড ক্ষুধা লেগেছে। ড্রাইভারকে গাড়ি পার্ক করতে বলে আমরা লিফটে উঠে সোজা রেস্টুরেন্টে চলে গেলাম। রেস্টুরেন্টের ভেতরে প্রবেশ করার পর ইন্টেরিয়রটা খুব ভাল লাগল।

IMG_20211110_215637.jpg

আমাদের খুব দ্রুত খাবারের অর্ডার করলাম। তারপর রেস্টুরেন্টের ভেতরে কয়েকটা ছবি তুলে নিলাম।খাবার অর্ডার করার পর দেখি ইংল্যান্ড নিউজিল্যান্ড এর সেমিফাইনাল ম্যাচ হচ্ছে। কিছুক্ষণ খেলা দেখায় মনোযোগ দিলাম। খেলার অবস্থা দেখে মনে হচ্ছিলো নিউজিল্যান্ড হেরে যাবে। কারন দ্রুত নিউজিল্যান্ডের দুটো উইকেট পড়ে গিয়েছিল। এর ভেতর চিন্তা করছিলাম খাবার দিতে কতক্ষণ দেরি করবে আল্লাহ মালুম। আমাদেরকে বেশীক্ষন অপেক্ষা না করিয়ে কিছুক্ষণ পরেই খাবার পরিবেশন করা শুরু করলো।

IMG_20211110_222019.jpg

IMG_20211110_222009.jpg

প্রথমে স্টার্টার হিসাবে ছিলো থাই সুপ এবং অন্থন। তারপর মেইন কোর্সে ছিল ফ্রাইড রাইস, ক্রিস্পি ফ্রাইড চিকেন, চাইনিজ ভেজিটেবল এবং সুইট এন্ড সাওয়ার চিকেন। সাথে তো অবশ্যই কোমল পানীয় ছিল। টেবিলে খাবার সার্ভ করার পর আমরা খাওয়া শুরু করলাম। স্যুপটা মুখে দিয়েই বুঝতে পারলাম এদের খাবারের মান বেশ ভালো। যদিও অন্থনটা খুব একটা পছন্দ হয়নি। আকারে একেবারেই ছোট ছিল।

IMG_20211110_222013.jpg

IMG_20211110_222006.jpg

স্যুপ শেষ করার পর কিছুক্ষণ অপেক্ষা করলাম। তারপর আমাদের টেবিলে মেইন কোর্স সার্ভ করল। ইতিমধ্যে স্যুপ খেয়ে আমার দুই বন্ধুর পেট ভরে গিয়েছে। যার ফলে মেইন কোর্স শেষ করতে তাদের কষ্ট হল। যেহেতু আমার বেশি খিদা লেগেছিল আমি মোটামুটি দ্রুত খাবার শেষ করে ফেললাম। সবগুলি খাবারই ভালো ছিল। কিন্তু সুইট এন্ড সাওয়ার চিকেনের ভেতরে মিষ্টি একটু বেশি হয়েছিল। যেজন্য ওটা খুব একটা ভালো লাগেনি। খাবার শেষ করে বিল মিটিয়ে আমরা দ্রুত নিচে নেমে এলাম। কারণ ইতিমধ্যে রাত হয়েছে অনেক। এই ছিল আমাদের ভোজন পর্ব। এই রেষ্টুরেন্টটি একটি অভিজাত এলাকায় অবস্থিত। এর আশেপাশে আরও নামকরা অনেকগুলি রেস্টুরেন্ট আমরা দেখতে পেলাম। এর সামনেই ছিল উড হাউস গ্রিল। যেটা ঢাকায় স্টেক এর জন্য অনেক বিখ্যাত। পাশেই আছে বার্গার কিং। বুঝতে পারলাম খাদ্য রসিকদের জন্য এই জায়গাটি খুবই পছন্দের।

IMG_20211110_221956.jpg

আজকের মতো এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন।

ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইসহুয়াই নোভা ২আই
ফটোগ্রাফার@rupok
স্থান লিংক

logo.png

Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

🇧🇩🇧🇩ধন্যবাদ🇧🇩🇧🇩


@rupok


Polish_20211012_184119287.jpg

আমি রূপক। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাঙালি। আমি বাংলায় মনের ভাব প্রকাশ করতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকেও ভালোবাসি।

Sort:  
 3 years ago 

আপনার কাটানো মুহূর্ত গুলো অনেক সুন্দর ছিল।ছবিগুলো খুব সুন্দর হয়েছে।খাবারের ছবিগুলো বেশি ভালো লেগেছে আমার কাছে।ধন্যবাদ আপনাকে।

 3 years ago 

ধন্যবাদ আপনাকে।

 3 years ago 

এতো রাতে ক্ষুধার্ত পেটে এই পোস্ট দেখার পর ভাইয়া কেমন লাগে বলেন তো!
খাবার গুলো দেখেই বুঝা যাচ্ছে অনেক বেশি মজার হবে৷ চিকেনে বেশি মিষ্টি আমার ও পছন্দ না।

 3 years ago 

পোস্টটা তাহলে দিনে করলেই ভালো হতো।😋

 3 years ago 

ওয়াও ভাইয়া রেস্টুরেন্টের খাবার গুলো তো অনেক মজাদার দেখেই বুঝা যাচ্ছে, সেই সাথে অনেক সুন্দর ডেকোরেশন করেছে। আপনাদের নতুন এক জায়গার অভিজ্ঞতা টি বেশ লাগলো আমার।

 3 years ago 

ধন্যবাদ আপনাকে আপু।

খাবারের ছবি দেখে বুঝা যাচ্ছে খাবার অনেক টেস্টটি হয়েছে। বন্ধুদের সাথে কোথাও ঘুরতে গেলে বা কোথাও খাইতে গেলে এটার মজাই আলাদা।আপনি অনেক সুন্দর করে শেয়ার করেছেন বন্ধুদের সাথে আপনার কাটানো কিছু সময় এবং বন্ধুদের সাথে খাওয়ার অনুভূতি খুবই সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। আপনার জন্য শুভকামনা রইল

 3 years ago 

ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।

 3 years ago 

ভাইয়া পছন্দের রেস্টুরেন্ট আমার খুবই পছন্দ হয়েছে, মানসম্মত রেস্টুরেন্ট, আর বন্ধুদের সাথে ঘুরতে যেয়ে কোন রেস্টুরেন্টে খাওয়ার মজাটাই অন্যরকম। ধন্যবাদ ভাই আপনাকে।

 3 years ago 

ধন্যবাদ আপনাকে।

 3 years ago 

এক পছন্দের রেস্টুডেন্ট 2 আপনার বন্ধুদের সাথে আড্ডা সব মিলে একটি দারুন চমকপ্রদ' সময় কাটিয়েছেন ।আপনি বরাবর বন্ধুদের সাথে ঘোরাঘুরি করেন দেখি বিষয়টি ভালো ।আমরা তো চাইলেও করতে পারিনা সামাজিক প্রতিবন্ধকতা আমাদের বের হতে দেয় না শুধু ক্যাম্পাসের ক্ষণিকের জন্য তবে আপনাদের মত এত সুন্দর ভাবে বন্ধুদের সাথে ঘুরে বেড়াতে ভালো লাগতো যদি পাখি হতাম ।ভালো থাকবেন ভাইয়া।

 3 years ago 

বলেন কি ঢাকা ভার্সিটির স্টুডেন্টরা তো খুবই আড্ডাবাজ হয়। তারা বন্ধুদের সঙ্গে প্রচুর সময় কাটায়। আমার তো এমনই ধারণা।
ধন্যবাদ আপনাকে।

Coin Marketplace

STEEM 0.27
TRX 0.11
JST 0.031
BTC 68396.79
ETH 3797.89
USDT 1.00
SBD 3.56