রেনডম ফটোগ্রাফি পোস্ট।
কয়েকদিন আগে গ্রামের দিকে গিয়েছিলাম একটি জরুরী কাজে। যাওয়ার পথে রাস্তার ধারেই দেখতে পেলাম এই দৃশ্যটি। ঘন সবুজে পুরো মাঠ ছেয়ে আছে। ফসলের মাঠের এই রূপ শুধু বর্ষাকালেই দেখা যায়।
আমি একটা সময় প্রতিদিন সকালে হাঁটাহাঁটি করতাম। সকালে হাঁটা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো। স্বাস্থ্যগত কারণেই আমি সেটা করতাম। যদিও গত বেশ কিছুদিন যাবত আমার হাঁটাহাঁটি বন্ধ রয়েছে। এদিকে দিন দিন ওজন বেড়ে যাচ্ছে। তাই চিন্তা করলাম আবার হাঁটাহাঁটি শুরু করা দরকার। তাই অনেকদিন পর আজ সকালে হাঁটতে বের হয়েছিলাম। সকালবেলা হাঁটাহাঁটি করার জন্য সবচাইতে উপযুক্ত সময়। কারণ এই সময়ে রাস্তাঘাট একদম কোলাহলমুক্ত থাকে। ছবিটা আপনারা দেখতেই পাচ্ছেন একদম ফাঁকা একটি রাস্তা। যদিও একটু বেলা বাড়ার সাথে এই রাস্তাটি হয়ে ওঠে প্রচন্ড গোল কোলাহলপূর্ণ।
আজ সকালে যখন রাস্তা দিয়ে হাঁটছিলাম তখন দেখতে পেলাম রোড ডিভাইডারের মাঝে বেশ কিছু ফুল গাছে ফুল ফুটে রয়েছে। বছরের অন্য সময়টাতে এই দৃশ্য সাধারণত দেখা যায় না। কিন্তু আজ ফুলগুলি দেখে খুবই ভালো লাগলো। প্রথম ফুলটা সম্ভবত কৃষ্ণচূড়া। বাকি গুলির নাম আমি জানিনা। যদি আপনারা কেউ জানেন তাহলে কমেন্টে জানাতে পারেন।
ইট পাথরের জঙ্গলের মাঝে একটি নিঃসঙ্গ গাছ দাঁড়িয়ে আছে। হাঁটার পথে একসময় এই গাছটি দেখতে পেলাম। এই রাস্তা দিয়ে এক সময় আমি প্রায় প্রতিদিন হাটাহাটি করতাম। গাছটিতে বেশ আম ধরেছিলো এবার। কিন্তু সিজন শেষ হওয়ার কারণে এখন আর গাছে কোন আম দেখা যাচ্ছে না। শহরের মূল রাস্তার পাশে এরকম গাছ দেখে আমি কিছুটা অবাক হই। এই গাছগুলি এখানে কে লাগিয়েছে বা কি কারণে লাগিয়েছে সেটা নিয়ে মনে প্রশ্ন ওঠে।
সেদিন যখন গ্রামের দিকে গিয়েছিলাম তখন একপর্যায়ে এই তিনটি রাজহাঁসকে দেখতে পেলাম। রাজহাঁস তিনটি অলস সময় পার করছিলো। রাজহাঁস গুলি দেখতে বেশ সুন্দর লাগে। তাই এদের দেখামাত্রই একটি ছবি তুলে নিলাম।
কয়েকদিন আগে বন্ধু রাফ্সানের শোরুমে গিয়েছিলাম আড্ডা দিতে। সেখানে আড্ডা দেয়ার একপর্যায়ে হঠাৎ এই সাপুড়ে এসে হাজির। একটা সময় এদেরকে গ্রামাঞ্চলে প্রায়ই দেখা যেতো। যদিও এখন এদের সংখ্যা অনেক কমে গিয়েছে। অনেকেই এই পেশা ছেড়ে ভিন্ন পেশায় চলে গিয়েছে। যদিও আমি সাপ খুব ভয় পাই তারপরেও এই লোকটিকে দেখে ছবি তোলার লোভ সামলাতে পারলাম না।
একটি মাঠের মাঝে দেখা যাচ্ছে খড়ের গাদা। গ্রামের দিকে একসময় এই দৃশ্যটি খুবই পরিচিত ছিলো। এই খড়গুলো গোখাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা যায়। শোনা যায় এখন নাকি এই খড়ের দাম হয়েছে আকাশছোঁয়া। বাংলাদেশে সেই জন্যই নাকি গরুর দাম বেড়ে গিয়েছে অনেক।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | হুয়াই নোভা 2i |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | আদমপুর |
![logo.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmZEaz6VZmitMY1N8dSXHuT2tfgXFnDKjY8iV7jNGuNwEE/logo.png)
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
![Heroism_3rd.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRejDSNMUFmRz2tgu4LdFxkyoZYmsyGkCsepm3DPAocEx/Heroism_3rd.png)
![standard_Discord_Zip.gif](https://steemitimages.com/0x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmTvJLqN77QCV9hFuEriEWmR4ZPVrcQmYeXC9CjixQi6Xq/standard_Discord_Zip.gif)
ভাল ফটোগ্রাফি।
বর্যার সৌন্দর্য ধরেছেন ক্যামেরায় অসাধারণ কাজ হয়েছে!
শুভ কামনা।
আপনার প্রোফাইল দেখে বুঝতে পারলাম আপনি ইস্টিমিটে নতুন জয়েন করেছেন। চেষ্টা করুন আগে ভালোভাবে কাজ শেখার তারপর কাজ করুন।
একদল ঠিক বলেছেন!
এই ফিল্ডে আমি নতুন ও আনকোরা!
চেষ্টা থাকবে ইস্টিমিট সম্পর্কে জেনে কাজ করা।
আপনার পরামর্শের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
ভাইয়া আপনি সত্যি খুব সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন। প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে আপনার ফটোগ্রাফি ২ নাম্বার ফুলটির নাম হচ্ছে রাধাচূড়া ও ৩ নাম্বার এবং ৪ নাম্বার ফটোগ্রাফি ফুলটির নাম হচ্ছে দেশী ফুরুস বা জারুল ফুল । আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।
আমি খুব কম ফুলের নাম জানি। আপনাকে ধন্যবাদ ফুলের নাম গুলো বলার জন্য।
সত্যি বলেছেন ভাই বর্ষাকাল একটু অন্যরকম রূপে সাজে। যদিও বর্ষা সবার জন্য ভালো নয়। যাই হোক তবে আজকে আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে মুগ্ধ হলাম। খুব সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন কিছু ফটোগ্রাফির। বিশেষ করে ফুলের ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ ছিল। ধন্যবাদ আপনাকে এরকম সুন্দর কিছু ফুলের ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
এগুলো হঠাৎ চোখে পড়ে গিয়েছিল। তাই ঝটপট কয়েকটি ছবি তুলেছিলাম।
আসলে ভাই বর্ষাকাল আমারও খুবই পছন্দের একটি ঋতু। কিন্তু আসলে সত্যিই মাঝে মাঝে চিন্তা করি যে এই বর্ষাকালে কত মানুষ যে দুঃখ কষ্ট করে। অনেকের ঘরবাড়ি থাকে না কিংবা অনেকের পানি ওঠে এরপরে ঘরবাড়ি নষ্ট হয়ে যায়। তখন খুবই খারাপ লাগে আপনার ফটোগ্রাফি গুলো খুবই সুন্দর ছিল ভালোই লাগছে আপনার ফটোগ্রাফি গুলো। এভাবে ঘুরতে গেলে বিভিন্ন ধরনের ফটোগ্রাফি করা যায়।
ঠিকই বলেছেন প্রতিবছর বর্ষার সময়। আমাদের দেশের অনেক দরিদ্র মানুষকে চরম দুঃখ দুর্দশায় পতিত হতে হয়।
বর্ষাকাল টা আমাদের মনে অন্যরকম একটা দাগ কেটে যায় আমার তো তাই মনে হয়। ভাই যে সকাল সকাল আবার হাঁটতে শুরু করেছেন এটা সত্যিই ভালো লাগলো। এই অভ্যেস আমি করতে চেয়েও পারিনা। আর সাপুরে কে দেখে একদম চমকে উঠলাম ভাই। কত রকমের মানুষ যে আছে । ভালো ছিল সব গুলো ছবি।
আসলেই ঠিক বলেছেন বর্ষাকালটা আমাদের সকলের মনে অন্যরকম দাগ কেটে যায়।
ভাইয়া প্রত্যেকটার ফটোগ্রাফি ছিল মনের মত। ভালো লেগেছে অপরূপ সৌন্দর্য ফুটে উঠেছে গ্রাম বাংলার। আমাদেরকে এত সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলোর সাথে মনের অনুভূতিগুলো শেয়ার করার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
ধন্যবাদ আপনাকে আপনার চমৎকার মন্তব্যের জন্য।
সকাল সকাল হাঁটার স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী । আগে নিয়মিত হাঁটতাম এখন পারিনা। নতুন করে হাঁটাহাঁটির অভ্যাস শুরু করতে হবে।আপনার রেনডম ফটোগ্রাফির প্রায় সবগুলো ছিল সবুজ প্রকৃতি নিয়ে। এ ধরনের ফটোগ্রাফ দেখলে চোখে আরাম পাওয়া যায় পাশাপাশি মন জুড়িয়ে যায়। আপনার সবগুলো ফটোগ্রাফ থেকে আমার সবচেয়ে খড়ের গম্বুজ সবুজ প্রকৃতির মাঝে কিভাবে দাঁড়িয়ে আছে সে ফটোগ্রাফটি খুব অসাধারণ লেগেছে ভাই ।
শরীর ভালো রাখতে হলে সকালে হাটাহাটির বিকল্প নেই।
গ্রামের প্রকৃতি দেখতে আমার অনেক ভালো লাগে।সাপকে আমিও খুব ভয় পাই ভাইয়া।কিভাবে লোকটি সাপগুলো গায়ে নিয়ে ঘুরছে দেখেই গা শিরশির করে ওঠে।আর কৃষ্ণচূড়া ফুল ছাড়া বাকি ফুলগুলি আমার ও চেনা নেই।ছবিগুলো সুন্দর ছিল,ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার মত আমিও সাপ অনেক ভয় পাই।