পদ্মার চরে ভ্রমণের অভিজ্ঞতা।
বেশ কয়েকদিন হল কোথাও ঘুরতে যেতে চাচ্ছিলাম। বেশি দূরে নয় শহরের আশেপাশে কোথাও। এক্ষেত্রে আমার প্রথম পছন্দ হচ্ছে চরাঞ্চলগুলো। আমাদের শহরের আশেপাশেই এমন অনেক চর আছে যেগুলিতে নৌকায় করে যেতে হয়। এই ধরনের চরে ঘুরতে যেতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। কারণ এখানে যাওয়ার সময় নৌকা ভ্রমণের একটা অভিজ্ঞতাও হয়ে যায়। সাথে চরের বিশুদ্ধ পরিবেশে চমৎকার কিছু সময় কাটানো যায়।
গতকালকে বন্ধু ফেরদৌসের সাথে বাইরে ঘুরতে যাওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু ফেরদৌসের কিছু ব্যক্তিগত কাজ থাকার কারণে সেই পরিকল্পনা বাতিল হয়ে যায়। কথা হয়েছিল আজ দুজন বিকালে ঘুরতে বের হব। লক্ষ্য ছিল পদ্মার চরে ঘুরতে যাওয়ার। কোথাও ঘুরতে যেতে হলে কিছুটা সময় হাতে নিয়ে বের হতে হয়। এজন্য আমরা দুজন মিলে পরিকল্পনা করলাম বিকেল সাড়ে চারটার দিকে আমরা বের হব। ঠিক সাড়ে চারটার সময় আমাদের দুজনের পদ্মার নদীর পাড়ে মিলিত হওয়ার কথা ছিলো।
সাধারণত বেশিরভাগ সময় দেখা যায়। যেখানে আমাদের একসাথে হওয়ার কথা আমি সময় মতোই সেখানে পৌঁছেছি। ফেরদৌস কিছুটা দেরি করে। কিন্তু আজ হয়েছিল তার ব্যতিক্রম। আজ আমি পদ্মার পাড়ে পৌঁছানোর আগেই ফেরদৌস সেখানে পৌঁছে গিয়েছিলো। আমি যখন পদ্মা নদীর পাড়ের কাছাকাছি পৌঁছলাম তখন ফেরদৌস কে ফোন দিয়ে জিজ্ঞেস করলাম যে তুমি কোথায়? সে জানালো আমি নদীর পাড়ের সেই ভাসমান রেস্টুরেন্টে বসে আছি। তুমি সরাসরি সেখানে চলে এসো।
শুনে আমি কিছুটা অবাক হলাম। সেখানে গিয়ে দেখি ফেরদৌস সত্যিই সেই রেস্টুরেন্টে বসে আছে। রেস্টুরেন্টের একটি চেয়ারে বসে নদীর সৌন্দর্য উপভোগ করছে আর কোমল পানিয়র বোতলে চুমুক দিচ্ছে। আজ প্রচন্ড গরম পড়েছিলো আজ। তাই সেখানে পৌঁছে আমিও একটি কোলড্রিংস নিয়ে নিলাম। সেখানে বসে নদীর সৌন্দর্য উপভোগ করতে থাকলাম সাথে চলতে লাগলো আমাদের আড্ডা।
আজকের আকাশটা অনেকটা শরতের আকাশের মত দেখাচ্ছিলো। দেখে মনে হচ্ছিলো না যে এটা বর্ষাকালের আকাশ। নীল আকাশে সাদা মেঘের ভেলা দেখে মনটা যেন কেমন করে উঠছিলো। আমরা বেশ কিছুক্ষণ সেই রেস্টুরেন্টে বসে আড্ডা দিলাম। তারপর যখন রোদের তেজ কিছুটা কমে আসলো। তখন আমরা সেখান থেকে বের হয়ে ইঞ্জিন চালিত নৌকায় উঠে চরের দিকে রওনা দিলাম। অল্প সময়ে আমরা কাছের একটি চরে পৌঁছে গেলাম।
সেখানে বেশ কিছুক্ষণ ঘোরাফেরা করলাম। সাথে অনেক ছবিও তুললাম। সেখানে ঘোরাফেরার সময় আমরা স্থানীয় কিছু লোকজনের সাথে কথা বলেছি। যারা মূলত মৎস্যজীবী। তারা মাছ ধরার জন্য তাদের সরঞ্জাম প্রস্তুত করছিলো। বেশ কিছুক্ষণ সেই চরে ঘোরাফেরা করে সন্ধ্যার আগ দিয়ে আমরা আবার ফিরে এলাম নদীর পাড়ে।
***আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | হুয়াই নোভা 2i |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | পদ্মার চর |
![logo.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmZEaz6VZmitMY1N8dSXHuT2tfgXFnDKjY8iV7jNGuNwEE/logo.png)
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
![Heroism_3rd.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRejDSNMUFmRz2tgu4LdFxkyoZYmsyGkCsepm3DPAocEx/Heroism_3rd.png)
![standard_Discord_Zip.gif](https://steemitimages.com/0x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmTvJLqN77QCV9hFuEriEWmR4ZPVrcQmYeXC9CjixQi6Xq/standard_Discord_Zip.gif)
নদীর পাড়ের চোর এলাকা দিয়ে হাঁটতে আমারও অনেক ভালো লাগে। কাশ বনের দৃশ্ গুলোতে এমন ভরে যায়। খোলা আকাশ ও সমুদ্র দেখলে এমনি মন ভালো মন ভালো হয়ে যায়। ভালো লাগলো আপনার শেয়ারকৃত ফটোগ্রাফ থেকে ও অনুভূতিগুলো পড়ে।
পদ্মার চরে অপরূপ সৌন্দর্যময় প্রকৃতির পরিবেশের মধ্যে ভ্রমণ করেছেন ভাইয়া। আসলে আপনার ভ্রমণ কাহিনী পড়ে আমার খুবই ভালো লাগলো। আপনার বন্ধু ফেরদৌস আজকে ঠিক আপনার আগেই চলে এসেছে। প্রতিবার আপনি আগে আসেন। আজকে সে আগে চলে এসেছে। আসলে পদ্মার পাড়ে এই অপরূপ সৌন্দর্যময় দৃশ্য দেখে বারবার ভ্রমণ করার ইচ্ছা জাগছে, শুভকামনা রইল আপনাদের জন্য।
মানুষের সরল সাধারণ জীবনযাপন এইরকম প্রত্যন্ত অঞ্চলে গেলে দেখা যায়। এবং কী সুন্দর প্রকৃতি। সুন্দর নীল আকাশ চারিদিকে সবুজ প্রকৃতি সুন্দর জলরাশির নদী। সবমিলিয়ে দারুণ। এবং আপনার বন্ধু ফেরদৌস এর মতো আমারও একজন বন্ধু আসে যে সবসময় দেরি করে আসে। এখন পযর্ন্ত একদিনও সঠিক সময়ে আসেনি হাহা। পোস্টের ফটোগ্রাফি গুলো খুব ভালো ছিল ভাই।।
প্রথমেই বলব ভাইয়া আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। পদ্মা নদীর চরে ঘুরতে গিয়েছিলেন বন্ধুর সাথে, হয়তো প্রতি বারের ন্যায় আজকেও যে ধারনা করেছিলেন বন্ধুর আগে আপনি উপস্থিত থাকবেন কিন্তু ব্যতিক্রম বন্ধ আগেই উপস্থিত ছিল রেস্টুরেন্টে। তবে আরেকটি জিনিস শেয়ার করলে বেশি খুশি হতাম। স্থানটা এখানে উল্লেখ করেন নাই। যেহেতু পদ্মা নদী অনেক বড় একটি নদী। আমার স্মৃতিতে গাথা রয়েছে রাজশাহী পদ্মার পাড়, পদ্মা গার্ডেন। তাই খুব মনোযোগ সহকারে পড়ার চেষ্টা করেছিলাম। কখনো যদি কাউকে দেখি পদ্মা নদী নিয়ে কিছু লিখছে অথবা রাজশাহীর বিষয়ে কিছু লিখছে তখন আমি অতিরিক্ত মনোযোগ সহকারে দেখার বা পড়ার চেষ্টা করে থাকি। জানিনা মিস করেছি কিনা। হয়তো রাজশাহী নয়। ধারনা করতে পারি ফরিদপুর অঞ্চল হতে পারে। যাই হোক খুব ভালো লেগেছে। সুন্দর একটি মুহূর্ত র বর্ণনা আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন দেখে।