পরিকল্পিত প্রতিশোধ (প্রথম পর্ব)।
রাফি স্কুল ছুটির পর স্কুলের গেটের কাছে দাঁড়িয়ে ওর বাবার জন্য অপেক্ষা করছিলো। ওর বাবা সাধারণত স্কুল ছুটির আগেই চলে আসে ওকে নেয়ার জন্য। কিন্তু আজ স্কুল ছুটি হয়েছে বেশ কিছুক্ষণ হলো। এখনো সে আসেনি রাফিকে নিতে। যদিও স্কুল থেকে রাফিদের বাসার দূরত্ব খুব বেশি নয়। তারপরেও ওর বাবা-মা সবসময় ওকে নিষেধ করেছে একা একা বাসায় ফিরতে। তারা ওকে বলে দিয়েছে কখনো আনতে যেতে লেট হলে রাফি যেন স্কুলে অপেক্ষা করে। কিন্তু বেশ কিছুক্ষণ পার হয়ে যাওয়ায় রাফি আর ধৈর্য ধরতে পারল না। রাফি আস্তে আস্তে বাসার দিকে হাঁটতে থাকলো।
রাফি ক্লাস সিক্সে পড়ে। লেখায় সে মোটামুটি ভালোই। তার বাবা রাজনীতিবিদ সাথে তার নানা রকম ব্যবসাও রয়েছে। রাফি বেশ ধনী পরিবারের সন্তান। স্কুল থেকে তার বাড়ি কাছে হলেও সে সব সময় গাড়িতে যাতায়াত করে তার বাবার সাথে। কিন্তু আজ যেহেতু তার বাবা আসে নাই তাই রাফি ইচ্ছা করেই হেঁটে হেঁটে বাড়ির দিকে যাচ্ছিলো। সব সময় বাবার সঙ্গে বাড়ি থেকে ফেরা হয় তার। তাই রাফির এই একা একা হেঁটে বাড়িতে ফিরতে একটু অন্যরকম লাগছিলো। তার কাছে বেশ ভালই লাগছিলো।
নিজেকে বেশ বড় মনে হচ্ছিল। রাফি রাস্তা দিয়ে হাঁটছিল আর তাকিয়ে রাস্তার দুপাশের দোকানপাট বাড়িঘর এগুলো দেখছিলো। এভাবে হাঁটতে হাঁটতে রাফি বাসার বেশ কাছাকাছি চলে এসেছে। এর ভিতর হঠাৎ একটি মাইক্রোবাস এসে রাফি সামনে থামলো। কিছু বুঝে ওঠার আগেই একজন লোক বের হয়ে রাফির মুখ চেপে ধরে মাইক্রোবাসে উঠে গেলো। সাথে সাথে মাইক্রোবাসের দরজা বন্ধ হয়ে গেলো। ভালোমতো কিছু বুঝে ওঠার আগেই রাফি জ্ঞান হারালো।
রাফির বাড়ি ফিরতে এত দেরি হচ্ছে দেখে রাফির মা মিসেস রেহানা রাফির বাবাকে ফোন দিলো। ফোন দিয়ে জিজ্ঞেস করল তোমরা এখন কোথায়? রাফিকে নিয়ে বাড়ি ফিরতে এত দেরি হচ্ছে কেনো। রাফির বাবার হঠাৎ মনে পড়ল তার তো ছেলেকে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার কথা ছিলো। কাজের চাপে সে কথা ভুলেই গিয়েছে। সে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মিটিং এর ভেতর ছিল।
সে ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখে প্রায় এক ঘন্টা পার হয়ে গিয়েছে রাফির স্কুল ছুটি হয়েছে। সে দ্রুত মিটিং থেকে বের হয়ে রাফির স্কুলের দিকে রওনা দিলো। রাফির বাবা ইস্কুলের কাছে গিয়ে দেখে স্কুল অনেক আগেই ছুটি হয়ে গেছে। সে দারোয়ানকে জিজ্ঞেস করল যে রাফিকে দেখেছে কিনা। দারোয়ান বলল স্কুল ছুটির পরে রাফি বেশ কিছুক্ষণ গেটের কাছে দাঁড়িয়ে ছিলো। তারপর একা একাই বাড়ির দিকে রওনা দিয়েছে।
রাফির বাবা একথা শোনার পর তার মেরুদন্ড দিয়ে একটি শীতল স্রোত বয়ে গেলো। তিনি হিসাব করে দেখলেন যদি রাফি হেঁটেও বাড়ির দিকে রওনা দেয়। তাহলে আরো অনেক আগেই বাড়িতে পৌঁছে যাওয়ার কথা। তিনি সাথে সাথে রাফিক মাকে ফোন করলেন। ফোন করে জিজ্ঞেস করলেন রাফি কি বাড়ি পৌঁছেছে? মিসেস রেহানা বললেন না এখনো তো বাড়ি পৌঁছায়নি। তুমি রাফিকে আনতে যাওনি? তখন রাফির বাবা তাকে সবকিছু খুলে বললো।
তিনি বললেন যে তিনি একটি গুরুত্বপূর্ণ মিটিংয়ে আটকা পড়েছিলেন। তাই রাফিকে আনার কথা ভুলে গিয়েছিলেন। এ কথা শুনে রাফির মা প্রচন্ড রাগ করলো। মিসেস রেহানা তাকে বললো তুমি আনতে যেতে না পারলে আমাকে বলতে। আমি রাফিকে আনতে যেতাম। রাফির বাবা তখন তাকে বলল এখন ঝগড়া করার সময় নয়। আগে আমাদেরকে রাফিকে খুঁজে বের করতে হবে।
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
ভাইয়া আপনার লেখা গল্পটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। জানিনা রাফি কার হাতে বন্দি হয়েছে। তবে আশা করছি এর পরবর্তী পর্বগুলো পড়তে পারলে সবকিছু সামনে আসবে। পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম ভাইয়া।
পরবর্তী পর্ব ইতিমধ্যে পোস্ট করা হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে গল্পটি পড়ার জন্য।
খুব সম্ভবত রাফির বাবার সাথে শত্রুতার জের ধরে রাফিকে কেউ কিডন্যাপ করেছে। পরবর্তী পর্বগুলো আরো ইন্টারেস্টিং হবে।
পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম।
একদম ঠিক ধরেছেন।
আপনার গল্প গুলো পড়তে আমার বেশ ভালো লাগে। এছাড়াও আমি গল্পপ্রেমিক মানুষ। যাইহোক গল্পটি পড়ে ভালো লাগলো। রাফিকে যারা তুলে নিয়ে গেছে তারা সম্ভবত রাফির বাবার শত্রু হবে। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম ভাই
এইতো বিষয়টা ধরে ফেলেছেন।
আসলে সমাজের উচ্চ পর্যায়ের মানুষ গুলোর শএুর অভাব হয় না। আর যদি রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হয় তাহলে তো কোনো কথাই নেই। যাইহোক পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম ভাই।।
মানুষের শত্রু হয় তার কুকর্মের কারণে। এই কারণেই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের শত্রু বেশি থাকে।
আপনার লেখা গল্পগুলোর মধ্যে অনেক সাহিত্যরস আমি খুঁজে পাই। আপনার লেখা গল্পগুলো পড়তেও আমার খুবই ভালো লাগে। তেমনি আজকের গল্পটা সত্যিই অনেক সুন্দর হয়েছে। এই গল্পটির পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
ধন্যবাদ আপনার প্রশংসা সূচক মন্তব্যের জন্য।