অনেকদিন পর স্টেডিয়ামে ফুটবল খেলা দেখা।১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য।
অনেকদিন পর করোণাভীতি কেটে যাওয়ায় প্রচুর ঘোরাঘুরি করছি। দীর্ঘদিন ধরে বন্দী থাকার ফলে এখন ঘোরাফেরা করতে আরও বেশি ভালো লাগছে। আমি একজন ক্রীড়া প্রেমিক মানুষ। খেলাধুলা আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। খেলতেও ভালো লাগে, খেলা দেখতেও ভালো লাগে। করোনার কারণে দীর্ঘদিন ধরে শুধু বাসায় বসে টেলিভিশনে খেলা দেখতে হচ্ছে।
স্থান- লিংক
আজ অনেকদিন পর আমাদের শহরের স্টেডিয়ামে গিয়েছিলাম একটি ফুটবল ম্যাচ দেখতে। স্টেডিয়ামে বসে খেলা দেখার মজাই অন্যরকম। কয়েকদিন আগে আমাদের শহরে সিটি কর্পোরেশন আয়োজিত একটি ফুটবল টুর্নামেন্ট শুরু হয়েছে।
স্থান- লিংক
এই টুর্নামেন্টে সিটি কর্পোরেশনের সবগুলি ওয়ার্ড অংশগ্রহণ করবে। প্রত্যেকটি ওয়ার্ড এর একটি করে টিম থাকবে। নক আউট পদ্ধতিতে খেলা হারলেই বিদায়। ফুটবল এমনিতেই খুবই উত্তেজনাপূর্ণ একটি খেলা। তারপর যদি আবার হয় নক আউট। তাহলে সেই উত্তেজনা আরো বেড়ে যায়।
স্থান- লিংক
দুইদিন আগে আমাদের ওয়ার্ডের খেলা হয়েছে। খুব ইচ্ছা ছিল সেই খেলাটা দেখার। কিন্তু কিছু সমস্যার কারণে সেই খেলাটা দেখতে পারিনি। আমাদের ওয়ার্ড সেই খেলায় জিতেছে। তাই চিন্তা করলাম আজকের খেলাটা দেখে আসি।
স্থান- লিংক
সকালবেলা আমাদের এলাকায় মাইকিং করেছে। সেখানে বলেছে বেলা তিনটার সময় খেলা শুরু হবে। আমি যথারিতি তিনটার সময় স্টেডিয়ামে গিয়ে উপস্থিত হলাম। স্টেডিয়ামে গিয়ে দেখি তখনো কেউ আসেনি অল্প কয়েকজন লোক ছাড়া। দুই দলের প্লেয়াররা এখনো এসে পৌঁছায়নি। আমি স্টেডিয়ামের একজনের কাছে জিজ্ঞেস করলাম খেলা কয়টায় শুরু হবে। তিনি বলল সাড়ে তিনটার সময়। আমি তাকে জানালাম মাইকে বলা হয়েছে তিনটার সময় খেলা।
স্থান- লিংক
অনেকদিন পর স্টেডিয়ামে এসেছি। স্টেডিয়ামে এসেই পুরনো অনেক স্মৃতি মনে পড়ে গেলো। এক সময় কত এসেছি এই স্টেডিয়ামে বিভিন্ন রকম খেলা দেখতে। নিজেও দীর্ঘদিন এই স্টেডিয়ামে ক্রিকেট প্র্যাকটিস করেছি। তাই স্টেডিয়ামের সাথে একটি অন্য রকম সম্পর্ক অনুভব করতে পারি। যদিও আগেকার লোকজন এখন আর প্রায় কেউই নেই। স্টেডিয়ামের চেহারাও এখন অনেক পরিবর্তন হয়েছে। সুন্দর ড্রেসিংরুম হয়েছে, পুরাতন গ্যালারি ভেঙে নতুন গ্যালারি করা হয়েছে, কিন্তু মাঠটা সেই আগের মতই আছে। অভ্যাসমতো আমি পকেট থেকে মোবাইলটা বের করে বেশ কিছু ছবি তুলে নিলাম।
স্থান- লিংক
এদিকে ঘড়ির কাঁটা প্রায় ৪ টায় পৌঁছে গিয়েছে। তখনও খেলা শুরু হয়নি। হঠাৎ করে ব্যান্ড পার্টির শব্দ শুনে বুঝতে পারলাম কোন একদলের প্লেয়ার এবং সর্মথকরা এসে পৌঁছেছে। তারা আসতেই স্টেডিয়াম কোলাহলপূর্ণ হয়ে গেলো। তাদের সমর্থকরা বাজি ফুটাচ্ছিলো, ব্যান্ড পার্টি বাজনা বাজাচ্ছিলো। একটি উৎসব মুখর পরিবেশ সৃষ্টি হল স্টেডিয়ামে। আরো বেশ কিছুক্ষন পর খেলা শুরু হলো। কিন্তু প্রচণ্ড গরমে এতক্ষণ অপেক্ষা করার পর খেলা দেখার ইচ্ছাটাই চলে গিয়েছে। তাই চিন্তা করলাম বাসায় চলে যাব। বাসায় যাওয়ার আগে কয়েক মিনিট খেলা দেখার সিদ্ধান্ত নিলাম।
স্থান- লিংক
খেলা শুরু থেকেই জমে উঠেছিল। কারণ খেলার শুরুর কয়েক মিনিটের ভিতরেই একদল প্রতিপক্ষ দলকে একটি গোল দিয়ে দেয়। এর ভিতর আমার বন্ধু আমাকে ফোন দিলো। ও আবার খেলাধুলা খুব একটা পছন্দ করে না। আমাকে বললো চলো কোথা থেকে ঘুরে আসি। আমিও রাজী হয়ে গেলাম। কিছুক্ষণ পর আমি ওর এলাকায় গেলাম। তারপর সেখান থেকে দুজন ভ্রমণের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়লাম।
স্থান- লিংক
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি।
আশা করি পোস্টটি আপনাদের ভালো লেগেছে। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত যন্ত্র | হুয়াই নোভা ২আই |
---|
Support @amarbanglablog by delegating STEEM POWER.
100 SP | 250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP |
🇧🇩🇧🇩ধন্যবাদ🇧🇩🇧🇩
আমি রূপক। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাঙালি। আমি বাংলায় মনের ভাব প্রকাশ করতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকেও ভালোবাসি।
স্টেডিয়ামে গিয়ে খেলা উপভোগ করা অনেক মজার।আমি ঢাকায় গিয়ে বিপিএল খেলা দেখেছিলাম একবার।আপনার খেলা দেখার অভিজ্ঞতা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
আপনাকে ও অসংখ্য ধন্যবাদ।
ভাইয়া আসলে আপনার পোস্ট পড়ে বুঝতে পারছি ফিলটা একটু ভিন্ন যেহেতু এই স্টেডিয়ামে নিজেই খেলা প্রাকটিস করেছেন কোন এক সময় তার মানে আপনি যখন এখানে গিয়েছেন খুব আপন মনে হয়েছে ।আসলে এরকমটা হয়ে থাকে। যেই কলেজ থেকে পড়ালেখা শেষ করেছি আজ থেকে পাঁচ বছর আগে সেখানে গেলেই খুব আপন মনে হয় যেন এটি তো আমার খুব প্রিয় ।আসলেই মুখে বলে প্রকাশ করার মত নয়।
ফরিদপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থার , শেখ জামাল স্টেডিয়াম টি দেখে খুবই ভালো লাগলো। ফুটবল মাঠ অনেক সুন্দর ও অনেক বড়। স্টেডিয়ামটির ফটোগ্রাফি গুলো আপনি খুব সুন্দর ভাবে করেছেন। আমিও খেলাধুলা অনেক পছন্দ করি। আর সরাসরি খেলা দেখার মজাই আলাদা। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
এমনতেই বাঙ্গালী খেলা প্রিয় মানুষ। তারপর আবার ফুটবল খেলা বলে কথা। খুবই সুন্দর হয়েছে আপনার ফটোগ্রাফি গুলো। এমন খেলা শেয়ার করার জন্য ভাই আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
স্টেডিয়ামে বসে বাস্তবে সবাই একসাথে হই হুল্লোর করে খেলা দেখার মজাই আলাদা।আমাদের গ্রামে এমন স্টেডিয়াম নেই তবে বিশাল এক মাঠ আছে সেখানেও বেশ যাক যমক ভাবে ফুটবল খেলা হয়ে তবে করোনার জন্য বন্ধ।আপনার সুন্দর সময় কাটানো দেখে আমার সেই দিন মনে পরে গেলো।অনেক সুন্দর দিন কাটয়েছেন ভাই।
শুভ কামনা
ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।
বাহ ভাই স্টেডিয়াম টা তো খুব সুন্দর। আমি একবারই স্টেডিয়ামে খেলা দেখছিলাম। ২০১৯ সালে বাংলাদেশ বনাম ভূটানের ম্যাচ দেখছিলাম বঙ্গবন্ধু ফুটবল স্টেডিয়ামে। স্টেডিয়ামে খেলা দেখার আলাদা একটা মজা আছে।
ধন্যবাদ আপানকে ভাই ।
আমার লাইফে কখনো স্টেডিয়াম এ গিয়ে খেলা দেখা হয়নি।
এটা আমার অনেক বড় আফসোস।
যদিও আপনার কারণে অনেক কিছুই দেখা হলো আজ।
অর্থাৎ আপনার ছবির কারণে অনেক কিছুই দেখলাম।
ধন্যবাদ আপু আপনাকে ।
করনা ক্রান্তির পর এই প্রথম স্টেডিয়ামে গিয়ে খেলা দেখার মজাই আলাদা আপনার পুরো লেখা থেকে সেই অনুভূতিটি প্রকাশ পেয়েছে।
স্টেডিয়ামের ফটোগ্রাফি গুলো চমৎকার হয়েছে।শুভকামনা আপনার জন্য♥
ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
ভাই আসলে শেষ কবে স্টেডিয়ামে গিয়ে খেলা দেখেছি জানিনা। যাক আপনার পোস্টটি পড়ার সময় মনে হলো স্টেডিয়ামে বসে রয়েছি। খুব ভালো একটা অনুভুতি হচ্ছিল। শুভ কামনা রইল আপনার জন্য 💌
ধন্যবাদ ভাই আপনাকে।
ভাই একসময় ক্রিকেট প্র্যাকটিস করতেন এই স্টেডিয়ামে তাই নিশ্চয়ই অনেক স্মৃতি মনে পড়েছে। সব মিলিয়ে আপনার জন্য একটি চমৎকার বিকেল ছিল।
ধন্যবাদ ভাই আপনাকে।